X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধন বন্ধ করতে তৎপর কারা?

রাশেদ মেহেদী
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৩:০০আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ১৩:০১

রাশেদ মেহেদী আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধন নিয়ে অপপ্রচার এবং বিতর্ক দু’টোই জোরেসোরে শুরু হয়েছে। কোন একটা অদৃশ্য মহল এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কৌশল নিয়েছেন। অসত্য তথ্য, ভুল ব্যাখা এবং উদ্ভট যুক্তি দিয়ে ফেসবুকেও খোলা হয়েছে কয়েকটি পেজ। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র দায়িত্ব ছিল পুরো প্রক্রিয়াটি কিভাবে হচ্ছে তা জাতিকে জানানো এবং এ নিয়ে প্রতিনিয়ত যেসব প্রশ্ন বা বিতর্ক উঠছে তার যুক্তিসঙ্গত জবাব নিয়মিত দিয়ে যাওয়া। কিন্তু পত্রিকায় মন্ত্রণালয় নির্দেশিত বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণকে  নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে জানালেও যেসব বিষয়কে কেন্দ্র করে বিতর্ক এবং অপপ্রচার চলছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কোনও উদ্যোগই বিটিআরসিকে নিতে দেখা যায়নি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সঙ্গেও এ নিয়ে একাধিকবার কথা হয়েছে। তাকেও অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো নিয়ে অনেকটাই উদ্বিগ্ন দেখেছি। তবে তিনি সব ধরনের ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার মোকাবেলা করে যে কোনও মূল্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দৃঢ় প্রত্যয়ের কথাও জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে অপপ্রচারের মূল উপজীব্য হচ্ছে ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধনের মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের কাছে দেশের ১৩ কোটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এই ফিঙ্গারপ্রিন্টের ডাটাবেজ বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে!’ এ ধরনের ব্যাখা প্রথম শুনে বেশ যুক্তিসঙ্গত মনে হয় এবং কিছুটা উদ্বেগেরও সৃষ্টি করে। কিন্তু বাস্তবে তথ্যটিই অসত্য। কারণ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে না। এখানে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র গ্রাহক প্রদত্ত জাতীয় পরিচয় পত্রটি আসল না নকল যাচাই করা হচ্ছে এবং ওই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরে এর আগে কতটি সিমকার্ড নিবন্ধিত আছে তা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র এবং রিটেইলার পয়েন্টে যেসব বায়োমেট্রিক মেশিনটি আছে সেটি সরাসরি জাতীয় পরিচয় পত্র সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত এবং নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনু বিভাগ দ্বারাই তদারকি হচ্ছে। আমরা জানি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় প্রত্যেকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়। সেগুলোর ডাটাবেজ জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। এখন সিমকার্ড নিবন্ধনের ক্ষেত্রে যখন কোনও ব্যক্তি অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুল রাখার সঙ্গে সঙ্গে সেটি জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারের ডাটাবেজে সংরক্ষিত ডাটাবেজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলিয়ে দেখছে। এখানে যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলে যায় তাহলে ‘ওকে’ আর না মিললে ‘মিসম্যাচড’ জাতীয় ম্যাসেজ আসবে। অপারেটরদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে রাখা বায়োমেট্রিক মেশিনের কাজ এটুকুই। এ মেশিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেকর্ডের কোনও অপশন নেই। আর এই মেশিনটি মোবাইল ফোন অপারেটরের সার্ভারের সঙ্গেও যুক্ত নয়। অতএব মোবাইল ফোন অপারেটরের কাজে ১৩ কোটি মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট তুলে দেওয়ার তথ্য অসত্য এবং ব্যাখা একবারেই অবান্তর। 

আমরা তো আরও আগে থেকেই বিদেশিদের কাছে নিজেদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট হাসিমুখে তুলে দিয়ে আসছি। এখন বেশ কয়েকটি দেশের ভিসা নিতে গেলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হয়। বেশিরভাগ দেশে প্রবেশের জন্য ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে যেতে হয়। আবার কয়েকটি দেশের দূতাবাসও বিধিসম্মতভাবেই জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে ভিসা প্রার্থীদের তথ্য যাচাই এর সুযোগ পাচ্ছে। বায়োমেট্রিক সিমকার্ড নিবন্ধনে তথ্য চুরির জন্য যারা অতিশয় উদ্বিগ্ন, তারা বিদেশি দূতাবাসে কিংবা ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন না। তারা বিষয়টি জানেন না, এমনও নয়। কারণ ওই অপপ্রচারের পক্ষে অবস্থান নেওয়া একাধিক ব্যক্তিকে চিনি যারা সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে শুধু কুয়ালালামপুর-সিঙ্গাপুরে নয়, মাঝে মাঝে ইউরোপের দেশেও যান। এ কারণে নেহায়েৎ তথ্য না জানার কারণে অপপ্রচার চলছে, এটা মেনে নিতে কষ্ট হয়। সন্দেহ আরও বেশি প্রবল হয় যখন ফেসবুকে ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানাই’ নামে খোলা একটি পেজের মূলভাষ্যে অদ্ভুত আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায়। চলুন তাদের ভাষাতেই দেখি তারা কি লিখেছে। ‘ভাবুন, প্যারিস হামলার পর অবিস্ফোরিত বোমায় কোনও বাঙালির ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেল। ভাবুন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর বদৌলতে কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা মেলবন্ধন কোন বিদেশি পত্রিকার হেডলাইন হলো… ফ্যান্টাসি মনে হচ্ছে? বাদ দেন। খালি ভাবুন, মিথ্যা আসামীকে বাঁচানোর জন্য সত্য প্রমাণ খুঁজতে গিয়ে উকিলগণের চুল ছেঁড়ার মুহূর্তে বাদী পক্ষের উকিল একটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আসলেন (ক্রয় মারফত); ভাবুন, যে তল্লাটে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হোক অথবা সত্য মামলাতেই হোক যেখানে মিথ্যা আসামী ধরে জেলে ভরার একটা তুমুল কম্পিটিশন সেখানে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আঙুলের ছাপের ডাটাবেস নিয়ে বসে আছে|"  বুঝতে পারছেন তো অপপ্রচারকারীদের কল্পনা শক্তির ধরন এবং উর্বরতা! এই পেজের উদ্যোক্তারা অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেছেন। তাদের উদ্বেগ ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে ইউরোপ আমেরিকায় বিক্রি হবে, আর সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে সেখানকার উকিল বাঙালিদের মিথ্যা জঙ্গি হামলার মামলায় ফাঁসাবেন? ইউরোপে তো এখনও অনেক বাংলাদেশি নাগরিক আছেন। এমনকি ফ্রান্সেও আছেন। ফ্রান্সে যে সব বাংলাদেশি নাগরিকরা ভ্রমণ করেছেন কিংবা বসরবাস করছেন তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট অভিবাসন এবং আর্ন্তজাতিক ভ্রমণ বিধি অনুযায়ী আরও অনেক আগেই ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ নিয়ে রেখেছেন। কই প্যারিস হামলার পর ওই সব ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে কয়জন বাংলাদেশিকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে? উদ্ভট কল্পনারও একটা সীমা থাকে। এদের কল্পনার গাঁজার নৌকায় চেপে শুধু ছোট-খাট পাহাড় নয়, একেবারে এভারেস্ট জয় করাও সম্ভব!

আরও একটা বিতর্ক উঠছে, এর আগে পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোনও দেশে সিমকার্ড নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। বাংলাদেশ কেন পাকিস্তানের অনুসরণ করছে? এখানেও তথ্যের ঘাটতি আছে। কারণ এর আগে নাইজেরিয়াতেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধন শুরু হয়েছে। তারা এক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা খুব ভালো কিছু নয়। কিন্তু কঠিন সত্য হচ্ছে এই বাংলাদেশে মানসিকভাবেই পাকিস্তানের নষ্ট রাজনীতির অসংখ্য দাস রয়েছেন। এই দাসের তালিকায় সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীও আছেন, যিনি এখনও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তুলে পাকিস্তানের নষ্টামির প্রতি তার অবিচল দাসত্বের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তানী স্টাইলে তারা সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, প্রতারণা সবকিছুই লালন করেন। পাকিস্তানের মতো এখানে ভয়ংকর জঙ্গি মানসিকতার মানুষ আশে-পাশে তাকালেই খুঁজে পাবেন। যারা মানুষ হতে চান না, অন্ধ বিশ্বাসের ক্রীতদাস পরিচয়ে বাঁচতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। একের পর এক মুক্তমনা লেখক,  প্রকাশক,  ব্লগার হত্যা করে ধর্মান্ধ জঙ্গিরা তাদের প্রবল অস্তিত্বেরও পরিচয় দিয়েছে। পাকিস্তানী মানসিকতার এই নষ্টদের আধিপত্যের কাছে সরকারকেও অসহায় হতে দেখি। যে কারণে এখানে খুনি জঙ্গিরা ধরা পড়ে না, উস্কানির অভিযোগ করে পুলিশ বই মেলায় স্টল বন্ধ করে, মুক্তচিন্তার প্রকাশকেই রিমান্ডে নেয়!  নষ্ট মানসিকতার ফল হিসেবেই পাকিস্তানের মতই বাংলাদেশে সিমকার্ড নিবন্ধন নিয়ে এর আগে অবিশ্বাস্য জালিয়াতি হয়েছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের অধীনে ১৪ হাজার সিমকার্ড নিবন্ধনের প্রমাণ মিলেছে। এমনকি নকল ও ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে তা ব্যবহার করে সিমকার্ড নিবন্ধন করা হয়েছে। এর আগে নিবন্ধনে ভয়াবহ অনিয়ম দূর করতেই সিমকার্ডের পুন:নিবন্ধন এবং পুন:নিবন্ধনের সময়  ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র সনাক্ত কতেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রয়োগ।

এমন অনেককে দেখেছি একটা বৈধ সিমকার্ডের পাশাপাশি একটা অনিবন্ধিত সিমকার্ড রাখতে চান। এক বন্ধু তো বলেই দিল, দোস্ত একটা আনরেজিস্টার্ড সিমকার্ড রাখার ব্যবস্থা থাকা উচিত, কোন অপরাধ নয়, গোপনে প্রেম-ট্রেম করতেও তো লাগে! বিয়ের পরে আসল সিমকার্ড দিয়ে প্রেম করা ভেরি রিস্কি দোস্ত! বোঝেন অবস্থা। এ ধরনের মানসিকতার কারণে শুধু অপরাধী, জঙ্গিরা নয়, অনেক ভদ্রলোকও সিমকার্ড পুন:নিবন্ধনের ঘটনায় মহা বিরক্ত। আবার মোবাইল ফোন অপারেটররাও খুশী নন। কারণ তারা অনেক বেশি সংযোগ বিক্রির জন্য এর আগে হাটে, মাঠে, ঘাটে মুড়ি-মুরকির মতো সিমকার্ড বিক্রি করেছেন, যেখানে গ্রাহকের কোনও তথ্যই ছিল না। এখন পুন:নিবন্ধন শুরুর পর গত দুই তির মাসেই প্রায় ২০ লাখ গ্রাহক কমে গেছে ছয় মোবাইল ফোন অপারেটরের। কয়েক মাস আগেও নাম পরিচয় বিহীন সিমকার্ড ব্যবহার করে ভিওআইপি প্রযুক্তির অবৈধ ব্যবহারের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক ইনকামিং কল এনেছে অনেকে প্রতিষ্ঠান। এখন সেখানেও সমস্যা। এখন সিমকার্ড চেনা যাচ্ছে, কোনও সিমকার্ডে অস্বাভাবিক কল সংখ্যা দেখলে বিটিআরসি তা বন্ধও করে দিচ্ছে।  ফলে অবৈধ আর্ন্তজাতিক কলের ব্যবসায়ীদেরও বিকল্প পথ দেখতে হচ্ছে যেখানে তাদের লাভের তুলনায় ব্যয়টাও বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে জঙ্গি-অপরাধী থেকে শুরু করে ভদ্রলোক, মোবাইল অপারেটর থেকে শুরু করে আর্ন্তজাতিক কলের ব্যবসায়ী সবাই যাচ্ছেন সঠিকভাবে সিমকার্ডের নিবন্ধন না হোক। ফেসবুকে ভুল তথ্য দিয়ে যারা অপপ্রচার তারা যদি এই চার চক্রের কারও কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে থাকেন অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

তবে আশার কথা, এরই মধ্যে পুন:নিবন্ধনের জন্য মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলোতে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের। তারা পকেটের টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া দিয়ে এসে সঠিক নিয়মে সিমকার্ড নিবন্ধন করে যাচ্ছেন। এই সংখ্যাই বেশি। আপনিও দায়িত্বশীল, সচেতন নাগরিক হলে নিজের সিমকার্ড সঠিক নিয়মে পুন:নিবন্ধন করবেন। সরকারের উচিত, পুন:নিবন্ধন কার্যক্রমে গ্রাহক হয়রানির ঘটনা ঘটছে কি’না তা নিয়মিত তদারক করা এবং ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

লেখক:বিশেষ প্রতিনিধি, সমকাল

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বানিয়ে ফেলুন কাঁচা আমের আমসত্ত্ব
বানিয়ে ফেলুন কাঁচা আমের আমসত্ত্ব
খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করছে আ.লীগ নেতাকর্মীরা
খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করছে আ.লীগ নেতাকর্মীরা
তীব্র গরমে বদলে গেছে আদালতের চিরচেনা চিত্র
তীব্র গরমে বদলে গেছে আদালতের চিরচেনা চিত্র
মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েলি সেনারা: যুক্তরাষ্ট্র
মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েলি সেনারা: যুক্তরাষ্ট্র
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ