X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

সারা বাংলায় ছিল বিজয়ের উল্লাস আর স্বজন হারানোর বেদনা

সালমান তারেক শাকিল
১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:০০আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৫৯

‘...মিছিল হচ্ছে, হাঁটতে হাঁটতেই পাঞ্জাবিটা পরলাম। মিছিলে উল্লাস আছে, তবে সবার মুখে হাসি নেই। স্বজন হারানোর ব্যথা হয়তো তাদের বিজয়ের আনন্দের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল।’—১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের গল্পটা বলছিলেন কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল। তার এই গল্পের মতো সারা বাংলার দৃশ্য তখন অনেকটা তাই। একদিকে বিজয় আর বিজয়ের উল্লাস, আরেকদিকে স্বজন হারানোর বেদনা। সে দিন রক্তক্ষয়ী বিজয়ই ছিল সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের মুখ। 

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় আসে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রায় সন্ধ্যায়। কয়েকটি জেলা এরইমধ্যে মুক্ত ঘোষণা হলেও; ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবরে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধারা উল্লাসে ফেটে পড়েন। হাতের অস্ত্র নিয়ে শিশুর মতো ফাঁকা গুলি ছুড়ে মুক্তির উদযাপনে মত্ত হন তারা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীন দেশের পতাকা হাতে পথে-পথে বেরিয়ে পড়ে মানুষের মিছিল।

মিছিলে ছিল হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার উল্লাস, ছিল যুদ্ধে স্বজন হারানোর বেদনা-দুঃখও। ঢাকায় ফেরার পথে রণাঙ্গণের যোদ্ধারা ছিলেন স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনে। যদিও কোনও জেলায় মুক্তিযোদ্ধারা তখনও স্বদেশমুক্ত করতে মরণপণ লড়ছেন। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, ময়মনসিংহ, খুলনার মুক্তিযোদ্ধারা বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপে জানিয়েছেন একাত্তরের বিজয়ের গল্প।

১৪টি বইয়ে প্রায় ৪ হাজার মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. মাহফুজুর রহমান। চট্টগ্রামের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাদেশে মানুষ যেভাবে উদযাপন করেছে, ঠিক একইভাবে চট্টগ্রামেও সবাই উল্লাসে বেরিয়ে আসে। আমরা তখন বেতারের দিকে যাচ্ছিলাম। সাধারণ মানুষ পতাকা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। জয় বাংলা, জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো শহর।’

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করছিলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম দিদারুল আলম দুলাল। তিনি বলেন, ‘একাত্তরে প্রথম বিজয় দিবসে ধলই এর ফরাদাবাদের আপামর জনগোষ্ঠী ঘর থেকে বেরিয়ে এসে উল্লাস করেছিল। সে অনুভূতি বলে বোঝানোর মতো না।’

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভৈরবে পাকিস্তানি বাহিনীকে ঘিরে রেখেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্জামান মজুমদার। ইউপিএল থেকে প্রকাশিতব্য ‘এক কিশোরের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থে তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালের আশুগঞ্জে যুদ্ধের শেষে ভারতীয় বাহিনীর রণকৌশলে পরিবর্তন আসে। যে কারণে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরবে পাকিস্তানি বাহিনীকে ঘিরে রেখেছিলেন। ওই পরিস্থিতিতেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের খবর পান তারা।

মুক্তিযোদ্ধারের বিজয় উদযাপন (ছবি: সংগৃহীত)

শাহ্জামান মজুমদার লিখেছেন, ‘এভাবে করতে করতে ১৬ ডিসেম্বর এসে গেলো। আশুগঞ্জে থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর পেলাম। সে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলাম, পাগল হয়ে যাওয়ার দশা তখন! শিশুর মতো আমাদের অস্ত্রগুলো দিয়ে খেলনার মতো আকাশে গুলি ছুড়ছিলাম! একে অপরকে জড়িয়ে ধরছিলাম, উন্মাদের মতো নৃত্য করছিলাম, সে এক সীমাহীন আনন্দ! আমাদের দেশ শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হলো! আমরা হারিয়ে দিলাম বর্বর, হিংস্র, খুনি ও রক্তপিপাসু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে!’

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর একদিকে যেমন বিজয়োল্লাস, তেমনি কোথাও তখন যুদ্ধও চলছিল। তেমন একটি জেলা খুলনা। নগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে বিজয় উৎসব হলেও খুলনায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনপণ যুদ্ধ করেছে। ১৩ ডিসেম্বর খুলনার শিরোমনিতে শুরু হওয়া চূড়ান্ত যুদ্ধ ১৭ ডিসেম্বর ভোরে পাক সৈন্যদের আত্মসমর্পণে শেষ হয়। এই যুদ্ধ ‘ব্যাটেল অব শিরোমনি’ নামে পরিচিত। এর মধ্য দিয়ে ১৭ ডিসেম্বর খুলনা মুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের কঠিন যুদ্ধ করতে হয়েছে।’

যশোর মুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকেই যশোর মুক্ত হয়ে গেল। পরদিন আমরা উল্লাস করি। কেননা যশোর শহর, ঝিকরগাছা, শার্শা, চৌগাছার পুরো অঞ্চল তখন মুক্ত।’

১৬ ডিসেম্বর শহরে আনন্দ উল্লাসের কথা বলতে গিয়ে যশোর শহরের বারান্দিপাড়া খালধার রোড এলাকার বাসিন্দা, গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের ভাষ্য, ‘সে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘শহরে খুব বেশি লোকজন ছিল না বটে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য যারা ছিলেন, সবাই বের হয়ে আসেন। বন্দুক-রাইফেলের গুলি ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাস করা হয়। নতুন দেশের নতুন পতাকায় অনেকেই খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল করে সেদিন। যারা যুদ্ধ করেনি, তারাও সেই মিছিলে শামিল হন; জানান যে—আমরা জয় বাংলার লোক।’ 

যশোরের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ৮ ডিসেম্বর যশোর শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় মুক্তিবাহিনী। ১০ ডিসেম্বর প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ওয়ালিউল ইসলাম। ১১ ডিসেম্বর টাউন হল মাঠে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোরে হয় জনসভা। সেখানে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। অফিস আদালতে কার্যক্রম শুরু হয় ১২ ডিসেম্বর।

যশোরের মতো কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে কুড়িগ্রাম জেলা ছিল ৮টি থানা নিয়ে গঠিত একটি মহকুমা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কুড়িগ্রাম জেলার অর্ধেক অংশ ছিল ৬ নম্বর সেক্টর এবং বাকি অংশ ছিল ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে। ওই সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘যুদ্ধে বেশ কিছু অপারেশনে অংশ নিলেও আমি রণক্লান্ত ছিলাম না। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে আমি জেলার বাইরে মার্চ করার সিদ্ধান্ত নেই এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিতে থাকি। কিন্তু কুড়িগ্রাম দখলে নেওয়ার পরেই আমার কাছে নির্দেশ এলো যে—আমাকে আর সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে না। তখন আমি আমার ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কুড়িগ্রাম কলেজে (বর্তমানে সরকারি কলেজ) অবস্থান নেই। আমরা অপেক্ষা করছিলাম, সারা বাংলাদেশ কবে বিজয় লাভ করবে। এর মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর সকালে আমরা জানতে পারি যে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে। বিকালে আমরা রেডিওর মাধ্যমে জানতে পারি পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে।’

কীভাবে বিজয় উদযাপন করলেন, বাংলা ট্রিবিউনের এমন প্রশ্নে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘খবর জানা মাত্র আমরা কুড়িগ্রাম কলেজ মাঠে আকাশের দিকে বন্দুকের গুলি ছুড়ে বিজয় উল্লাস করেছি। আমার সঙ্গে থাকা বাহিনী এবং কুড়িগ্রাম পিটিআই মাঠে থাকা মিত্র বাহিনী সকলে বন্দুকের গুলি ছুড়ে বিজয়ের মহা উল্লাস উদযাপন করি।’

৮ ডিসেম্বর বিকালে শত্রু মুক্ত হয় কুমিল্লা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলছিলেন কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল। সেদিনের কথা উল্লেখ করেন তিনি, ‘১৬ ডিসেম্বর সকালে নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকার মৌলভীপাড়ার পাশে একটি পুকুরে আমি গোসল করছিলাম। হঠাৎ চার দিকে গুলির শব্দ। আমি বুঝতে পেরেছিলাম এটি যুদ্ধের নয়, বিজয়ের। মুক্তিবাহিনীরা বিভিন্ন স্থান থেকে কুমিল্লা শহরে ঢোকার পথে এই ফাঁকা গুলি ছুড়ে উল্লাস করছিল।’

‘হাসতে হাসতে ঘর থেকে বের হচ্ছিলাম। পাঞ্জাবিটা তখন হাতে ছিল। খালি গায়েই বের হয়ে পড়লাম। রাস্তায় এসে দেখলাম প্রত্যেক ঘর বাড়ি থেকে মানুষ রাস্তায় জমায়েত হয়েছে। মিছিলও হচ্ছে।’ ১৬ ডিসেম্বরের গল্প বলছিলেন জহিরুল হক দুলাল। বলেন, ‘হাঁটতে হাঁটতেই পাঞ্জাবিটা পরলাম। মিছিলে উল্লাস আছে, তবে সবার মুখে হাসি নেই। স্বজন হারানোর ব্যথা হয়তো তাদের বিজয়ের আনন্দের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল। এরপর আমরা ঈদের দিনের মতো সবার বাড়ি বাড়ি গেলাম। কোলাকুলি করলাম। দেখলাম শূন্য শহর। অনেকেই কাঁদছে ঘরের বাইরে বসে।’

‘১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। ১৬ ডিসেম্বরের সকালেই ময়মনসিংহ অঞ্চলের মিত্র বাহিনীর প্রধান সানশিং বাবাজীর কাছ থেকে জানতে পারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণ করবে।’ বাংলা ট্রিবিউনের কাছে স্মৃতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন ময়মনসিংহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব। 

তিনি যোগ করেন, ‘এই খবর পাওয়ার পর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প থেকে কোম্পানি কমান্ডার আবুল হাশেমের নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দ উল্লাস করতে করতে সার্কিট হাউজ মাঠে এসে এসএমজি, এলএমজি এবং এসএলআর দিয়ে ব্রাশ ফায়ার এবং গুলি করে বিজয় আনন্দ উল্লাস করেছি।’ 

রাজশাহীতে বিজয় মিছিল (ছবি: সংগৃহীত)

তবে শহরে ‘একটু ভিন্ন’ পরিবেশও ছিল বিজয় দিবসের দিনে। আব্দুর রব বলছিলেন, ‘১০ ডিসেম্বর মুক্ত হওয়ার সাধারণ মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়ে আসলেও ১৬ ডিসেম্বর সকালে সার্কিট হাউজ মাঠে বিজয় আনন্দে মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ সময় ধরে গুলি ও ব্রাশ ফায়ারের শব্দ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে পুরো জেলা শহর আতংকপুরীতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছিল না, ময়মনসিংহ মুক্ত হওয়ার পর আবারও কেন শহরে গোলাগুলি হচ্ছে। এই কারণে যারা ঘরের বাইরে ছিল তারাও আতংকে ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। শহরের প্রধান মার্কেটসহ অলিগলির দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন পুরো জেলা শহর ভূতের নগরীতে পরিণত হয়েছিল।’

১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবরে রাজশাহীর সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আনন্দ-উল্লাসে নামলেও তখনও শত্রুমুক্ত হয়নি জেলাটি। বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকা মুক্তিকামী মানুষ সেদিন বিজয়ের উল্লাসে নতুন দিগন্তের স্বপ্ন বুনতে থাকে।

মুক্তিকালীন ৭ নম্বর সেক্টরের অধীন রাজশাহী ৪ নম্বর সাব-সেক্টরের গেরিলা লিডার ও রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান রাজা জানান, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরপর রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে রাজপথ প্রকম্পিত করেন। তবে তখনও রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়নি। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর তাদের জনবল নিয়ে চলে যেতে পারেনি। তবে দুই দিন পর ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়। এই দুই দিন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাও ঘটেছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান রাজা বলেন, ‘পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর যারা পালাতে পারেনি তাদের দু’একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এরমধ্যে পাকিস্তানি ক্যাম্পগুলো গুড়িয়ে ফেলা হয়। তবে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষ শহরে প্রবেশ করতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারাও আসেন। ১৭ ডিসেম্বর অনেক মুক্তিযোদ্ধা রাজশাহী নগরীতে পৌঁছে যান। ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর মাদ্রাসা মাঠে ৭ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দীন স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে রাজশাহীকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন।’

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য ও ছবি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বাংলা ট্রিবিউনের খুলনায় প্রতিনিধি হেদায়েৎ হোসেন, যশোর প্রতিনিধি তৌহিদ জামান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, কুমিল্লা প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মারুফ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি আতাউর রহমান জুয়েল ও রাজশাহী প্রতিনিধি দুলাল আবদুল্লাহ]

/ইউএস/আইএ/
টাইমলাইন: বিজয়ের ৫০
১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:০০
১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০
১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০০
১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:০০
১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:০০
সারা বাংলায় ছিল বিজয়ের উল্লাস আর স্বজন হারানোর বেদনা
১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০১
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘামে ভেজা ত্বকের যত্নে...
ঘামে ভেজা ত্বকের যত্নে...
চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলন
চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলন
হাসপাতালের ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
হাসপাতালের ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাঙামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
রাঙামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা
তাপপ্রবাহের গেটওয়ে যশোর-চুয়াডাঙ্গা