X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘চরিত্রহীন’ বা ‘দালাল’ বলার অধিকার কার?

শেরিফ আল সায়ার
১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৬আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:১৫

শেরিফ আল সায়ার বাংলা ব্লগের যাত্রার শুরু থেকে একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে দেখেছি, অন্তর্জাল জগতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের বিস্তার কতটুকু ছিল। তাদের সঙ্গে লড়াইয়ের গল্পটা বর্তমান সময়ের ‘নতুন’ অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের অনেকেই জানেন, আবার হয়তো অনেকের কাছে অজানা। ‘নতুন’ বলছি এই কারণে যে, বর্তমান ফেসবুক ব্যবহারকারীদের চেয়ে তৎকালীন ব্লগ কেমন ছিল, সেটা পুরনো ব্লগাররাই বেশ ভালো জানেন। 
তারা জানেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের মন্তব্যের জবাব দেওয়া, যুক্তি দেওয়া, পাল্টা লেখালেখি করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বেশি বেশি লেখা প্রকাশ করে ব্লগারদের চিন্তার বিকাশের প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল। একটি সচেতন তরুণ প্রজন্ম পড়াশোনা করে, ইতিহাস চর্চা করে ও নিজেদের বিকশিত করে দাঁড় করেছিল ২০১৩ সালে শাহবাগ ময়দানে। গণজাগরণের যে বিচ্ছুরণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল, তার নেপথ্যে একদিন দুই দিন নয়, দীর্ঘ সময় ব্লগারদের ইতিহাস চর্চা ছিল—যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি কিন্তু পড়াশোনা করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। 
এই পুরো সময় ব্লগে ‘ভারতের দালাল’, ‘আওয়ামী লীগের দালাল’, ‘বিএনপির দালাল’, ‘জামায়াত ও পাকিস্তানের দালাল’ বানানোর প্রক্রিয়াও ছিল। যা এখন ফেসবুকেও বিস্তার করেছে। তখন এটা বর্তমানের মতো এত ভয়ঙ্কর ছিল না। তখন বিচার-বিশ্লেষণে বিবেচিত হতো। এখন আর সেসব নেই। আমরাই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল করে দুইয়ে দুইয়ে চার বলে কোনও এক পক্ষের দালাল উপাধি দিয়ে দেই।   

প্রশ্ন হলো—এখানে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো—বর্তমান সময়ের প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, যখন কারও সঙ্গে মতের অমিল হয়,  সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি পক্ষের ‘দালাল’ বানিয়ে দেওয়া হয়। এটা যেন এক অস্ত্রে রূপ নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের ফলোয়ার সংখ্যা বেশি, তাদের জন্য এই অস্ত্রটা আরও বেশি কাজে দেয়।  

আগে বিচার হতো ন্যূনতম প্যারামিটার ধরে। যেমন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবমাননাকর যুক্তি তুলে ধরা, বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে প্রশ্ন তোলা, শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, জামায়াত-শিবিরের পক্ষ নেওয়া ইত্যাদিসহ লেখার ধরন দেখে তাদেরই চিহ্নিত করা হতো। ব্লগে একটা টার্ম যুক্ত হয় ‘ছাগু’ নামে।  

তখন আইডেন্টিফাই করে ফেলা যেতো সহজে। গালাগালিও যে ব্লগে হয়নি, তা নয়। হয়েছে। কিন্তু বর্তমানের মতো তার চেহারাটা এত ভয়ঙ্কর ছিল না।

এখন দেখা যায়–যদি কারও সমালোচনা বা মন্তব্য পছন্দ না হয়, ঠিক তখনই ব্যক্তি আক্রমণের আশ্রয় নিয়ে হেনস্থা করা হয়। আর এই আক্রমণের বড় অস্ত্র হলো– ‘আওয়ামী লীগ বা ভারতের দালাল’ বা ‘বিএনপির দালাল’ বা ‘জামায়াত কিংবা পাকিস্তানের দালাল’ বানিয়ে দেওয়া। ঢালাওভাবে এই অস্ত্র ব্যবহার চলে। অনেকসময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিও এসব থেকে রেহাই পান না। এটাকেই  ‘ট্যাগিং রাজনীতি’ বলা যায়। যার বাইরে থাকা এই মুহূর্তে  অনেকটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যেমন ধরা যাক, বর্তমানে সরকারের সমালোচনা করলেই একটা পক্ষ তাকে বিএনপি, জামায়াত-শিবির বানানোর একটা প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। কিংবা বিএনপির সমালোচনা করলে তাকে আওয়ামী লীগের দালাল কিংবা ভারতীয় দালাল বলা শুরু করে দেয়।

শুধু তাই নয়, আমার এক বন্ধু আছে। সে বিভিন্ন সময়ে সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতো। তখন আমার অন্য অনেক বন্ধুরা তাকে কখনও জামায়াত, কখনও ‘পাকিস্তানি দালাল’ বলে গালি দিতো। একবার সে মেট্রোরেলের উদ্যোগ ও পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে সরকারের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দেয়। তখনও তাকে চরম হেনস্থার শিকার হতে দেখেছি। ‘নব্য আওয়ামী লীগের দালাল’ বলেও অভিহিত করা শুরু হয়। অর্থাৎ সে যেন ভালো কিংবা মন্দ যেকোনও কিছুর বলার অধিকারই হারাতে বসেছে!

একজন ব্যক্তিকে শুধু কোনও পক্ষের কাতারে দাঁড় করিয়েই ক্ষান্ত হয় না। যতভাবে, যে ভাষায় তাকে হেনস্থা করা যায়, সামাজিকভাবে হেয় করা যায় তার সব আয়োজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলতে থাকে।

অথচ সমালোচনার উত্তরটা হওয়ার কথা ছিল যুক্তি-তর্ক তুলে ধরার মাধ্যমে। একটা পক্ষ বানিয়ে দেওয়া তো সমাধান হতে পারে না।

মজার বিষয় হলো, এই ‘ট্যাগিং রাজনীতি’ বেশি যারা করেন, তাদের অনেকেই দেখেছি বাকস্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় কথা বলতে। তার অর্থ কি এই যে—শুধু নিজের মতের সঙ্গে মিললেই বাকস্বাধীনতা। কিন্তু দ্বিমত হলে তাকে হেনস্থা করাও কি বাকস্বাধীনতা?

বাকস্বাধীনতার বৈশিষ্ট্য তো এমন হওয়ার কথা ছিল না।

আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি, এমন হেনস্থার কারণে একজন ব্যক্তির জীবনে কতটা ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসতে পারে? ব্যক্তিজীবন কিংবা সামাজিক জীবন কতটা যন্ত্রণার হতে পারে?

অনেক সময় আমরা ভেবে দেখি না–কে কোন প্রেক্ষাপটে, কোন বিষয়ে, কেন, কোন কথা বললো। কোনও কিছু বিবেচনায় না নিয়ে আমরা ঢালাও একজন মানুষ সম্পর্কে মন্তব্য করে বসি। এটা কতটা সঠিক?     

যাইহোক, সম্প্রতি একাত্তর টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির একটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টো তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করে বসেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

ঐক্যফ্রন্টে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা হচ্ছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আসলে কার প্রতিনিধিত্ব করছেন–এ বিষয়ে মাসুদা ভাট্টি জানতে চান।

এরপরই ব্যারিস্টার মইনুল কিছু মন্তব্য করে বসেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো–

১. আপনের দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।
২.আপনাকে চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই…।

এই বক্তব্য দু’টি প্রশ্নের উদ্রেক করে।

ক. প্রশ্ন করার জন্য মাসুদা ভাট্টি ‘দুঃসাহস’ করেছেন বলে উল্লেখ করতে চেয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আমার প্রশ্ন হলো, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে এই প্রশ্ন করাটা কেন দুঃসাহসী কোনও কাজ হবে? তাহলে কাউকে কি প্রশ্নও করা যাবে না?

খ. কোনও প্রশ্নকারীর প্রশ্ন পছন্দ নাও হতে পারে। এমনকি প্রশ্নের ধরন নিয়েও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন কথা বলতে পারতেন। কিন্তু  কাউকে কি তাই বলে ‘চরিত্রহীন’ বলা যাবে?

আবারও বলছি, কোনও নির্দিষ্ট প্রশ্ন অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। স্পষ্ট বোঝা গেছে, মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নটা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রহণ করতে পারেননি। সেই রাগের প্রকাশ যদি হয়, ‘চরিত্রহীন’ বলার মধ্য দিয়ে, তাহলে তো বলতে হয় তারা নিজেদের শিক্ষিত-সুশীল হিসেবে দাবি করেন কিভাবে? ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আরেকটা ভয়াবহ মন্তব্য করেছেন। সেটা হলো, তিনি বলতে চেয়েছেন– আজকালকার সব সাংবাদিক হয় ‘বাকশালী’ করে নয় তো বিএনপি করে। উনি খুব সহজে সব সাংবাদিক সম্পর্কে ঢালাও মন্তব্য করে বসলেন। তার অর্থ তিনিও ‘ট্যাগিং রাজনীতি’র আশ্রয় নিলেন।    

এটা তো সত্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা দেখেছি শিবিরের একটি অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিচ্ছেন। আর সেটা তো দৃশ্যমান ভিডিও বক্তব্য। অস্বীকার করারও কোনও উপায় নেই।

এখন এই বিষয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের যুক্তি থাকতেও পারে। কেন কোন কারণে তিনি গিয়েছেন কিংবা কেন সেখানে বক্তব্য দিয়েছেন। আমার তো মনে হয় তিনি একটি সুযোগ পেয়েছিলেন নিজেকে খণ্ডানোর। এই বিষয়টি তিনি পরিষ্কার করতে পারতেন ঠাণ্ডা মাথায়। সেই সুযোগটি কাজে না লাগিয়ে তিনি ব্যক্তি আক্রমণের আশ্রয় নিলেন। যা ফেসবুকে অহরহ আমরা দেখতে পাই। সেটাই দেখা গেলো টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে।

দুই.

ফিরে যাই ‘ট্যাগিং রাজনীতি’র দিকে। ‘ট্যাগিং রাজনীতিটা’ কীভাবে এবং কেন হচ্ছে, সেটাও তুলে ধরা প্রয়োজন।

ধরা যাক, একজন ব্যক্তি সম্মানিত। ইতিহাসে তার গুরুত্ব আছে। কিন্তু বর্তমানে তার কার্যক্রম আপনার পছন্দ নয়। তার বর্তমান অবস্থান নিয়ে আপনি সমালোচনা করলেন। সমালোচনাগুলো ওই ব্যক্তিকে যারা পছন্দ করেন, তারা গ্রহণ করতে পারলেন না। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো কোনও না কোনও পক্ষে ট্যাগ করে দেওয়ার রাজনীতি। হেনস্থার সব আয়োজন সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেলো। আপনার নীতিগত আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুললো। আর সোশ্যাল মিডিয়া এমন এক জায়গা, কেউ যদি অন্য একজন সম্পর্কে একটি বিরূপ মন্তব্য করে বসেন, তখন হুমড়ি খেয়ে অনেকেই ঢালাও মন্তব্য করতে থাকেন বিবেচনাহীনভাবেই। এভাবে অসংখ্য ব্যক্তিকে আমরা ভিকটিমে রূপান্তরিত করে ফেলছি।

প্রশ্ন হলো  ‘দালাল’ কিংবা ‘চরিত্রহীন’ ট্যাগ দেওয়ার অধিকার আসলে কি কারও আছে? দ্বিমত হলেই কি কারও ‘দালাল’ কিংবা ‘চরিত্রহীন’ বলার অধিকার আছে? যদি এভাবেই চলতে থাকে, তবে তো একদিন এদেশের প্রতিটি মানুষই কোনও না কোনও পক্ষের ট্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াবে। আদর্শিক যতই মিল থাকুক। কিন্তু আপনার ব্যক্তি মতের অমিল হওয়ামাত্রই আপনি অন্য পক্ষের লোক বলে গালি দেওয়া শুরু করে দেবেন।  

উদাহরণস্বরূপ আমরা ড. কামাল হোসেনকেই আনতে পারি। ড. কামাল হোসেনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আবার অন্যদিকে ইতিহাসে তাকালে দেখা যায় ড. কামাল হোসেন সুসময়ে দেশে থাকেন আর অসময়ে দেশের বাইরে থাকেন। তবে তিনি আগাগোড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া একজন মানুষ। এই বিষয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তিনি বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞ আইনজীবী। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম একজন। এসব ভুলে গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে স্বাধীনতার পর তার কোন কোন কাজকে বিতর্কিত করা যায়– সেই চেষ্টা শুরু হয়ে গেলো।

প্রশ্ন হলো, ড. কামাল হোসেন যখন আওয়ামী লীগেই ছিলেন তখন কি কেউ তাকে  প্রশ্নগুলো করেছেন–তিনি কেন সংকট মুহূর্তে দেশ ছেড়ে চলে যান? কিংবা যুদ্ধের সময় কেন পাকিস্তানে অবস্থান করেছেন?

তখন কিন্তু কেউ এত জোরালোভাবে প্রশ্ন করেনি। কিন্তু এখন করা হচ্ছে। তার মানে এখন একটি সুযোগ হাতে পেয়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়লো। এটা কি সঠিক কোনও প্রক্রিয়া?

আমার তো মনে হয় ড. কামাল হোসেনকে কিছু সুস্পষ্ট প্রশ্ন করা উচিত ছিল শুরু থেকেই।

ক.  যেই দল ২১ আগস্ট ঘটালো, যেই দলের শীর্ষ নেতা সরাসরি ২১ আগস্ট হামলায় জড়িত বলে আদালতও রায় দিয়েছে, যেই দলের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা জেনেও নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেছে, যেই দল ২০০১ সালে রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে; সেই দলের সঙ্গে কেন একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা ব্যক্তি ঐক্য করছেন?

খ. বিএনপি এখনও বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মেনে নেয়নি। সেই দলের সঙ্গে কেন ঐক্য করলেন?

গ. বিএনপি এখনও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য অটুট রেখেছে। সেই বিএনপির সঙ্গে কেন ঐক্য করলেন?

এসব প্রশ্ন সেদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে ওনাকে সরাসরি করা উচিত ছিল। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এসব প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তার আগের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক তুলে ইতিহাসে ড. কামাল হোসেনের অবদানগুলোকে খারিজ করে দেওয়া। কারও অতীত নিয়ে যে প্রশ্ন করা যাবে না, তা বলছি না। করতেই পারেন। কিন্তু যখন দেখা যায়, অতীত নিয়ে এতদিন নিশ্চুপ থেকে, এখন সুযোগ বুঝে বলা শুরু হলো। এই প্রশ্নটিও সামনে আনা উচিত।

এটা তো একটা উদাহরণ মাত্র। এভাবে পরিচিত-অপরিচিত বহু ব্যক্তিকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। শুরুতেই আসামি বানিয়ে তারপর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে।

সবশেষে বলতে হয়, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢালাও মন্তব্যের কারণে দ্বিমত পোষণ করার অনেককেই অগ্রহণযোগ্য হিসেবে দাঁড়া করাচ্ছি। আর এতে শক্তিশালী হয় কারা? এখন আর আমাদের বিরুদ্ধে তাদের বলতে হয় না। আমরা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে বলছি। এইভাবে একটি ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ধীরে ধীরে আমরা একা হয়ে পড়ছি। আর সংঘবদ্ধ হচ্ছে সেই পুরনো শত্রুরাই।  

লেখক: হেড অব রিসার্চ, বাংলা ট্রিবিউন

 

 

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘গাজার গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন’
‘গাজার গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন’
‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে’
‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে’
প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
উত্তাল চুয়েট, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
উত্তাল চুয়েট, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ