X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

অজ্ঞতায় সুখ নেই

ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ
১০ মে ২০২১, ১৭:১৫আপডেট : ১০ মে ২০২১, ১৯:১৩

ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ সপ্তাহখানেক আগের কথা। এক কাজিনের সঙ্গে গল্প করছিলাম। কথায় কথায় জানতে চাইলাম, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে কিনা। সে খুব নির্লিপ্তভাবে জবাব দিল, প্রথম ডোজের ওপরই তার ভরসা নেই। কারণ এই রোগ নিয়ে বিজ্ঞানীদের এখনও অনেক জানার বাকি, টিকায় কাজ হবে কিনা সেটাও তো কেউ জানে না। আমি অবাক হয়ে ভাবি, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন শিক্ষিত ব্যক্তি, যার কিনা একবার কোভিড হয়েছে, সে যদি এতটা অন্ধকারে থাকে, তবে সাধারণ মানুষের ধারণা কোন পর্যায়ে আছে?

মহামারির দেড় বছর হতে চললো। ভাইরাসটির একের পর এক গজিয়ে ওঠা ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর। আমরা দেখছি দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে ভারত কেমন করে এক ভয়ানক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। নেপালেরও একই দশা। সুতরাং আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। 

ভ্যারিয়েন্টগুলো নিয়ে কতটা জানি, এগুলো আসে কী করে?

অন্য যেকোনও ভাইরাসের মতো করোনাভাইরাসেরও টিকে থাকা ও বংশবিস্তারের জন্য পোষক কোষের (হোস্ট সেল) দরকার হয়। এর স্পাইক প্রোটিনগুলো মানবকোষের রিসেপ্টর অংশের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে নেয় এবং ওই আক্রান্ত কোষের ঘাড়ে ভর করে নিজের কপি করতে শুরু করে। আর এই প্রতিরূপ তৈরির সময় ভাইরাসের জিনে সামান্য এদিক-সেদিক হতে পারে। এটাকেই বলে মিউটেশন।

করোনাভাইরাসের বেলায় প্রায়ই যেটা ঘটে সেটা হলো- মিউটেশনের সময় এর স্পাইক প্রোটিনের গঠনে এমন পরিবর্তন আসে, যার মাধ্যমে এটি হোস্ট সেলের সঙ্গে নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে বেঁধে ফেলতে পারে। ফলে দেখা যায় শরীরের অ্যান্টিবডিগুলোও ভাইরাসটিকে সহজে সরাতে পারে না। যখন এই ধরনের পরিবর্তনযুক্ত অনেকগুলো ভাইরাস একসঙ্গে তৈরি হয়, তখন ওটাকেই বলে ভ্যারিয়েন্ট। সুতরাং নতুন ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে যেগুলো দ্রুত ও সহজে ছড়ায় সেগুলো নিয়ে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ, এতে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি চাপ পড়তে থাকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও। হাসপাতালে যাওয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে মৃত্যু।

ইউকে ভ্যারিয়েন্ট বি ১.১.৭, সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট বি ১.৩৫১ ও ব্রাজিলিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পি.১ ও অতঃপর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি ১.৬১৭; সবকটাকে নিয়েই উদ্বেগের কারণ আছে। তবে এর মাঝে অল্প কিছু ভ্যারিয়েন্ট আছে যেগুলো অ্যান্টিবডি (আগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তৈরি হওয়া) বা ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দিতে পারে।

সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের কারণে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়েছিলাম আমরা। বাংলাদেশের জন্য এখন চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। 

তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা কতখানি?

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ভারতে যে বড় আকারের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলো, এতে করে ভারতীয় বি ১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টটি কিন্তু নিজেকে বদলানোর (মিউটেশন) যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছে। হতে পারে এরইমধ্যে নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে শুরু করেছে। যার কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে। আর এ সময়ে যদি আমাদের সীমান্তে ফাঁকফোকর থেকেই যায়, তবে একইসঙ্গে বাংলাদেশেও আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ।

এটা ধরে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে যে, ভাইরাস ছড়াতে থাকা মানেই আরও নতুন নতুন স্পাইকের আবির্ভাব ঘটা।

ভাইরাসের এই নতুন জোয়ার ঠেকাতে আমাদের হয়তো আরও স্বল্পমেয়াদী লকডাউনে যেতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিপর্যয় এড়াতে ঢাকা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে অক্সিজেন, আইসিইউ বেড, নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর ও সার্বিক চিকিৎসার একটা বাধাহীন সরবরাহ ব্যবস্থা থাকা চাই। পাশাপাশি, জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিও কঠোর নজরদারীতে রাখতে হবে। 

নতুন ভ্যারিয়েন্ট কীভাবে প্রাদুর্ভাব ছড়ায়?

ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে আগের চেয়ে বড় আকারে প্রাদুর্ভাব ছড়াতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে-

উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতা

  • এটি নিরাপত্তাপ্রহরী খ্যাত অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে পারে।
  • রোগের তীব্রতা বাড়াতে পারে।
  • নমুনা পরীক্ষায় ধরা না’ও পড়তে পারে।
  • সাধারণ চিকিৎসাপদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধী (রেজিস্ট্যান্ট) হয়ে ‍উঠতে পারে।
  • টিকাদান কার্যক্রমের চেয়েও দ্রুতগতিকে ছাড়িয়ে মহামারি ঘটাতে পারে।

এই মারাত্মক চক্র থামানোর উপায় কী?

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে, সংক্রমণ, ছড়িয়ে পড়া, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ও পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার পথ বন্ধ করা যায়।

প্রাকৃতিকভাবে ছড়ানো এই সংক্রমণে যে হার্ড ইমিউনিটি (গোষ্ঠীগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা) হবে না, সেটা এখন জানা কথা। কারণ অনেকেই পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যার নেপথ্যে রয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। অন্তত ৭০ শতাংশ লোক টিকা নিয়ে থাকলে আমরা হয়তো এ মহামারির সমাপ্তি দেখতে পাবো।

চলমান টিকাদান কার্যক্রম কি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করবে?

ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা একেক ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে একেক রকম। যেমন- সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসন টিকা কম কার্যকর। আবার এর বিরুদ্ধে ফাইজারের টিকা বেশি কার্যকর। 

বিশেষজ্ঞরা আবার এটাও জানালেন যে, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা এইচআইভি ভাইরাসের চেয়ে করোনাভাইরাসের মিউটেশনের গতি তুলনামূলক কম। এতে করে এখনকার টিকাগুলোকে পুরোপুরি ফাঁকি দিতে পারবে, এমন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হতে আরও অনেক বছর ও অনেক মিউটেশনের প্রয়োজন হতে পারে। 

এমনকি, ডাবল মিউটেশন থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি কিন্তু একেবারে ‘সুপার মিউট্যান্ট’ হয়ে যায়নি। কিছু ভ্যাকসিন কিন্তু এর বিরুদ্ধে এখনও কার্যকর। বেশিরভাগ ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দিতে এখনকার ভ্যাকসিনগুলো কিন্তু কোনও না কোনও দিক দিয়ে কাজ করেই যাচ্ছে। যার কারণে অন্তত হাসপাতালে যাওয়া বা মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে। সংক্রমণের হারটাও কমাতে পারছে ভ্যাকসিনগুলো। 

এর কারণ হতে পারে, ভ্যারিয়েন্টগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার সম্পর্ক আছে। আর তাই অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে পারলেও দেখা যায় টি-সেলগুলো ঠিকই সাড়া দিচ্ছে। সুতরাং, ‘আদর্শ’ ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা না করে যে ভ্যাকিসনটাই প্রথমে পাওয়া যাবে, সেটা নিয়ে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

ভ্যাকসিন নির্মাতারাও নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের টিকার উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে করে এগুলো নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর থাকে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না ও নোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের ভ্যাকসিনের এমন এক মিক্সচার নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে যেটা নতুন তৈরি হওয়া ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে পারবে।

ভ্যাকসিন কৌশলে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?

ভ্যাকসিনের জন্য একক উৎসের ওপর নির্ভর করে থাকাটা মোটেও ভালো কৌশল নয়। নিচের চার্টটি দেখলেই বোঝা যাবে, কী করে কিছু দেশ নানা ধরনের একগাদা ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রেখেছে। এর মধ্যে আবার কোনওটি দেখা যাচ্ছে স্বীকৃতির জন্যও অপেক্ষা করছে।

বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের মজুদ ও ধরন

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক ভ্যাকসিন আসছে। ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্মা ছাড়াও আরও ছয়টি ভ্যাকসিন বিভিন্ন দেশে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছে স্পুটনিক ভি, ক্যানসিনোবায়ো, সিনোভ্যাক ও ভারত টেক। 

ফাইজার ও মডার্না ছাড়া বাকি সব ভ্যাকসিন সাধারণ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। কোনোটির আবার শুধু একটি ডোজ হলেই চলে। আর বেশিরভাগই দেখা গেলো ৬০ শতাংশের বেশি কার্যকর। 

১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ লোককে টিকার আওতায় আনতে আমাদের দরকার ২৩ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন (দুটো ডোজ ধরে)। আর দিনে তিন লাখ ডোজ করে দেওয়া হলে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে লাগবে দুই বছরেরও বেশি সময়।

ভ্যাকসিন কৌশল বদলানোর উপায়

ভ্যাকসিন নিয়ে এখন যতো ধোঁয়াশা কাজ করছে, তা কাটাতে বাংলাদেশ দ্রুত বিভিন্ন উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ শুরু করতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে মজুদ করে ফেলেছে। 

পর্যায়ক্রমে তারা অতিরিক্ত ভ্যাকসিনগুলো কোভ্যাক্স কিংবা অন্য কোনও দেশকে দিয়ে দেবে। আর সেই গ্রহীতার তালিকায় এগিয়ে থাকার জন্য আমাদের এখন থেকে তদবির শুরু করতে হবে। এখন ডাব্লিউটিও ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র যদি ভ্যাকসিনের ওপর পেটেন্ট তুলে দিতে পারে তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমাদের এখানেও ভ্যাকসিন বানানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে। এখন সরকারের উচিৎ আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ফার্মাসিউটিক্যালসগুলোকে বড় বড় ভ্যাকসিন নির্মাতাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন আমদানি করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া। 

নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে নতুন প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো কিনা সেটা বোঝার জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের বিকল্প নেই। দেশের সার্বক্ষণিক এই জিনোমিক নজরদারী করা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই আমাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে সতর্ক থাকতে হবে। ভাইরাস নির্মূল করতে আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব তার সবই করতে হবে। 

ভাইরাসটি শূন্যস্থানে বাঁচতে পারে না। আমরাই ভাইরাসটিকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি, সংক্রমিত করতে দিচ্ছি এবং মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করার সুযোগ করে দিচ্ছি। টিকা দিক আর না দিক, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে (ভালো হয় দুটো একসঙ্গে পরলে), এবং একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 

করোনাভাইরাস যেহেতু বাতাসে ভেসে থাকতে পারে, কোথাও যদি একদল মানুষকে একত্রিত হতে হয় তবে সেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

আর চোখ বুঁজে থাকবেন না। ভ্যাকসিন নেওয়া সুযোগ পাওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নিন। সংক্রমিত হতে না চাইলে মাস্ক পরুন। সংক্রমিত হলে নিজেই নিজেকে আলাদা করে ফেলুন। এতেই সংক্রমণ ও মিউটেশন কমবে, থমকে যাবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের নতুন মহামারি। 

লেখক: অর্গানিকেয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। এমবিবিএস, এমবিএ ও হেলথ কেয়ার লিডারশিপ-এ স্নাতকোত্তর।

/এফএ/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
বাজেটে শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
ডিএনসিসির কাওরান বাজার আঞ্চলিক অফিস যাচ্ছে মোহাম্মদপুরে
ডিএনসিসির কাওরান বাজার আঞ্চলিক অফিস যাচ্ছে মোহাম্মদপুরে
ভাতা বাড়ানোর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
ভাতা বাড়ানোর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
সরকারি চাকরির আশ্বাস ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ
সরকারি চাকরির আশ্বাস ও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ