X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকি

মো. জাকির হোসেন
২৪ মে ২০২৩, ১৯:৪০আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ১৯:৪০

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ প্রকাশ্য জনসভায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আবু সাঈদ চাঁদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা— শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার আমরা করবো ইনশাআল্লাহ।’ শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিতে এখন আর বিচলিত হই না। কারণ, সুযোগ পেলে এরা কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি নয়, বহু আগেই দাফন করে ফেলতো। চাঁদরা একা নয়, এরা সংখ্যায় অনেক। ২০২১ সালে ২ মার্চ রাজশাহী বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে রাজশাহীর সাবেক মেয়র বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘হাসিনা... রেডি হও। আজ সন্ধ্যার সময়, কালকে সকাল তোমার নাও হতে পারে। মনে নাই ’৭৫ সাল? ’৭৫ সাল মনে নাই?’

২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ ১৫ আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘এ সরকার যদি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে ৭৫-এর মতো পরিণতি বহন করতে হবে।’  চাঁদ যখন কবরে পাঠানোর হুমকি দেয়, তখন সেখানে অতিথি ও বক্তা হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা এবং সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

আবু সাইদ চাঁদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান এবং প্রধান বক্তা ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক রাসিক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। রাজশাহী বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, সাবেক এমপি অ্যাড. নাদিম মোস্তফা, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান মন্টু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মার্শাল প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন। এদের কেউ কি হত্যার হুমকির বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন? কিংবা বিএনপির তরফ থেকে কোনও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে কি, এটি চাঁদের ব্যক্তিগত অভিমত? এর সঙ্গে বিএনপির কোনও সম্পর্ক নেই? বিএনপি এমন বক্তব্যকে অনুমোদন করে না? আমি এমন বিবৃতি দেখিনি। তার মানে এটি চাঁদের একার হুমকি নয়। হঠাৎ উত্তেজনার বশে চাঁদ এমন হুমকি দিয়েছে, তাও নয়। হামেশাই এরা এমন হুমকি দেয়। এরা স্লোগান দেয় ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। এই স্লোগানের মর্মার্থ সহজেই অনুমেয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ, ভাই শেখ নাসেরসহ ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠার’ অতি সহজ মানে হলো— ‘তখন বাংলাদেশে না থাকায় হত্যা করতে পারিনি, এখন যেকোনও সময় হত্যা করবো।’ যারা বলে দফা একটাই— ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো’, আর যারা স্লোগান দেয় ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ তারা তো একই গোষ্ঠী। এরা তো হত্যাকারীদের রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকারী।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জিয়ার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা খুনি ফারুক ও রশিদ বিদেশি টেলিভিশনের সঙ্গে ও প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছে। সেই সময়ের পত্রিকায়ও তা ছাপা হয়েছে। ১৯৭৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় খুনি আব্দুর রশিদের উদ্ধৃতি দিয় সংবাদে বলা হয়— ‘‘মেজর আব্দুর রশিদ মেজর জেনারেল জিয়ার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছে, জিয়া যদি তাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে শেখ মুজিব ও অন্যান্য নেতাকে হত্যার ব্যাপারে জিয়ার যে ভূমিকা রয়েছে, সে সম্পর্কে সকল গোপন তথ্য তারা ফাঁস করে দেবেন।’ ওই বছরেরই ৩০ মে ‘দ্য সান ডে টাইমস’-এ খুনি ফারুক রহমানের বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানেও জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রকাশ হয়েছে। ফারুক রহমান বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘খন্দকার মোশতাকের ভাগ্নে ও আমার ভায়রা আব্দুর রশিদ প্রথমে আমার কাছে মুজিবকে সরিয়ে খন্দকার মোশতাককে প্রেসিডেন্ট পদে বসানোর প্রস্তাব দেন। আমি তাতে রাজি হই ও মেজর জেনারেল জিয়াকে সেনাবাহিনীর প্রধান করার প্রস্তাব দেই। মুজিবকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণের পর মোশতাক ও জিয়া আমাদের পরিকল্পনায় সম্মত হন।’

জিয়ার জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা খুনি ফারুক ও রশিদ একাধিকবার উল্লেখ করেছে। জিয়া তার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ করার কারণে খুনি ফারুক ও রশিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। অভিযোগ অস্বীকার করে কোনও বিবৃতি প্রদান করেননি। তিনি একাধারে প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান হিসেবে অত্যন্ত ক্ষমতাধর ছিলেন। খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, অন্য কেউ যাতে ব্যবস্থা নিতে না পারে— সেজন্য দায়মুক্তি আইনকে পাকাপোক্ত করলেন। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের অংশে পরিণত করলেন। কেন?

জিয়ার পর খালেদা জিয়া ইনডেমনিটি বাতিল করতে পারতেন। রাজনৈতিক কারণে বাতিল না করলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন তা বাতিলের উদ্যোগ নিলেন, তখন সহায়তা করতে পারতেন। সহায়তা না করলেও নীরব থাকতে পারতেন। কিন্তু তা না করে খালেদা জিয়া ইনডেমনিটি বাতিলের বিরুদ্ধে সংসদ বর্জন ও হরতাল করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সংসদে স্থান করে দিয়েছেন। ইনডেমনিটি বাতিলের পর যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হলো, খালেদা জিয়া বাধা না দিয়ে নীরব থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি কূটকৌশল করে তার শাসনামলের ৫ বছরে একদিনের জন্যও মামলার বিচারের শুনানি হতে দেননি। শুধু তাই নয়, ইনডেমনিটি আইন বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৭ সালে খুনি শাহরিয়ার রশীদ উচ্চ আদালতে যে রিট দায়ের করেছিলেন, সে মামলায় শাহরিয়ার রশীদের আইনজীবী ছিলেন খালেদা জিয়া সরকারের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কোরবান আলী। এ মামলায় আদালত বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব উদ্দীন আহমেদকে নিরপেক্ষ পরামর্শ দেওয়ার জন্য আদালতের মিত্র তথা অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বৈধ আইন হিসেবে যুক্তি তুলে ধরেন। তার মানে পরোক্ষভাবে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকে তিনি বৈধ মনে করেন। জিয়ার পরবর্তী বিএনপি কেবল ইনডেমনিটি আইন বাতিল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের বিরুদ্ধেই অবস্থান নেননি, বরং বঙ্গবন্ধুর হত্যার দিন ১৫ আগস্ট বিশাল কেক কেটে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের উৎসব চালু করে। এখানেই থেমে থাকেনি বিএনপি। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে যে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়, তার সঙ্গেও যুক্ত হয় বিএনপি।

বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড দিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। এই হামলার আগে-পরে যত জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার বেশিরভাগেরই উদ্দেশ্য ছিল— ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে আঘাত করা। কিন্তু ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য ছিল— স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা এবং অনিবার্যভাবে মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশে দেশে রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরোধ স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় হরকত-উল-জিহাদ বাংলাদেশ হুজি-বি জঙ্গিদের সঙ্গে রাষ্ট্র যুক্ত হয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানসহ শীর্ষ নেতাদের হত্যা করতে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপ-মন্ত্রীরা জড়িত ছিল এই নৃশংস নরমেধ যজ্ঞে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে জঙ্গি ও রাষ্ট্রযন্ত্র এক হয়ে কাজ করেছে। সুযোগ পেলে বিএনপি আবারও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েই গেছে। পুলিশ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে আদালতের বিচারে। এখন এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত  যে, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (কিছু কর্মকর্তা), সিআইডি ও পুলিশের তখনকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল। তারা পেশাদার খুনিচক্র, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এবং ভারতের ওপর এই হামলার দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। জঙ্গিদের বাঁচাতে বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছিল। প্রহসনের মামলার জজ মিয়া নামের এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে জড়িত করেছে। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ জড়িত বলে বানোয়াট ও ডাহা মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে। প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা এবং এর বিচার না করা, এ কথাই নির্দেশ করে যে, বিএনপির ১৫ আগস্টের মনোভাবের কোনও পরিবর্তন হয়নি। এসবই বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও আওয়ামী লীগের প্রতি বিএনপির বৈরী ও ভয়ংকর শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ। আর এই শত্রুতা ভয়ংকরভাবে সংক্রমিত হয়েছে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনে। শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর এক দফা কেবল একজন  চাঁদের নয়। এটা বিএনপির এক দফা।

লেখক: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

ই-মেইল: [email protected]

/এপিএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত
২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেট্রোরেল লাইনের ওপর থেকে ক্যাবল সরানোর অনুরোধ
২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেট্রোরেল লাইনের ওপর থেকে ক্যাবল সরানোর অনুরোধ
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জেনোসাইড কর্নার’ বন্ধ থাকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসন্তোষ
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জেনোসাইড কর্নার’ বন্ধ থাকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসন্তোষ
ইতিহাস বিকৃতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবোল-তাবোল বলছে: হাছান মাহমুদ
ইতিহাস বিকৃতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবোল-তাবোল বলছে: হাছান মাহমুদ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ