X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ওপর উচ্চ গ্রেড প্রাপ্তির প্রত্যাশার ক্ষতিকর প্রভাব

ড. প্রণব কুমার পান্ডে
১৯ জুন ২০২৩, ১৯:৫৬আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ১৯:৫৬

বাংলাদেশের বাবা-মায়েরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই তাদের সন্তানদের অ্যাকাডেমিকভাবে ভালো গ্রেড পাওয়ার জন্য চরম চাপের মধ্যে রাখে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য অ্যাকাডেমিক কৃতিত্ব অত্যন্ত মূল্যবান– এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কিন্তু বাবা-মায়েরা প্রায়ই এই বিষয়টিকে একদিকে যেমন তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে, ঠিক তেমনি এটিকে সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করে ফেলেন। ফলে,  শিশুদের মানসিকতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এই চাপের বিরূপ প্রভাব তাদের অ্যাকাডেমিক কর্মক্ষমতায় এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়ে।

অ্যাকাডেমিক কৃতিত্বের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা অল্প বয়সে শুরু হয়, কারণ বাবা-মায়েরা স্কুলে তাদের সন্তানদের ফলাফলের জন্য উচ্চ প্রত্যাশা করতে থাকেন। একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার আকাঙ্ক্ষা দ্বারা উদ্দীপিত তীব্র প্রতিযোগিতার ফলে বাবা-মায়েরা সন্তানদের সামগ্রিক বৃদ্ধি এবং সুস্থতার বিষয়টিকে অবহেলা করে ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য নিরলসভাবে চাপ বৃদ্ধি করতে থাকে।

এই অতিরিক্ত চাপ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ এবং চাপের মাত্রা বেড়ে যায়, কারণ তারা ক্রমাগত ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে থাকে। ফলে, প্রত্যাশা অর্জনের ক্রমাগত চাপের প্রভাবে শিক্ষার্থীরা ক্ষুধা হ্রাস, বিরক্তি এবং এমনকি বিষণ্নতাসহ দীর্ঘস্থায়ী চাপের সব লক্ষণ অনুভব করে।

অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর অত্যাধিক জোর দেওয়ার কারণে খেলাধুলা, শিল্পকলা এবং সামাজিকীকরণের মতো বিষয়গুলোতে আগ্রহ অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে খুব কম সময় বা শক্তি অবশিষ্ট থাকে। শিশুদের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিভা, সৃজনশীলতা এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি এবং অর্জন করতে দেওয়া হয় না, যা তাদের ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। স্কুলে অত্যধিক জোর দেওয়া বাচ্চাদের অস্বাস্থ্যকর অধ্যয়নের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে বিধায় তারা একটি সুন্দর ও আনন্দদায়ক শৈশব থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

তাছাড়া, সাধারণত শিক্ষার্থীরা ভালো গ্রেডের জন্য রোট লার্নিংয়ে (পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে মুখস্থ) অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। মুখস্থের ওপর জোর দেওয়া বাচ্চারা গভীর জ্ঞান লাভের জন্য কিছুই না করে শুধু মুখস্থ করতে থাকে। এই পদ্ধতিটি কেবল সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে নিরুৎসাহিত করে; না বরং মৌলিকতাকেও নিরুৎসাহিত করে। শিক্ষাব্যবস্থা এমন একটি সংস্কৃতির ওপরে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে প্রকৃত শিক্ষার চেয়ে রোট মেমোরাইজেশন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।

অভিভাবকদের চাপ ক্লাসরুমের বাইরেও শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ার ভয়ে তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে ক্রমাগত নিজেদের তুলনা করে, যা তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার বিকাশ ঘটতে পারে। শিশুরা তাদের সহপাঠীদের সম্ভাব্য বন্ধুর পরিবর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে শুরু করতে পারে, যা প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারে এবং স্কুলের পরিবেশকে নষ্ট করতে পারে।

এই চাপজনিত সমস্যা সমাধান করার জন্য পিতামাতাদের তাদের সন্তানদের ওপর অতিরিক্ত চাপের সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাবকে বুঝতে হবে। এটা ঠিক যে বাবা-মায়ের পক্ষে সন্তানদের সর্বোত্তম মঙ্গল কামনা করা স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে তাদের সামগ্রিক মঙ্গল এবং সামগ্রিক বিকাশের ভারসাম্য বজায় রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের উচিত শুধু অ্যাকাডেমিক কৃতিত্বের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত না রেখে একটি সহায়ক এবং পরিপালনকারী পরিবেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করা যা শিশুদের ব্যক্তিগত বৃদ্ধি, আত্ম-আবিষ্কার এবং শেখার প্রতি ভালোবাসাকে উৎসাহিত করে।

সামাজিক নিয়ম এবং শিক্ষানীতির মধ্যে আরও গভীর সমন্বয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলা, যা সব শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সৃজনশীল সমস্যা সমাধান এবং স্বাধীন অনুসন্ধানকে উৎসাহিত করবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে চিরাচরিত পরীক্ষা নির্ভরতা থেকে সমস্যা সমাধান, যোগাযোগ এবং অভিযোজন যোগ্যতার মতো হস্তান্তরযোগ্য ক্ষমতা গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

মানসিক চাপের চক্রটি আংশিকভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে। ফলে অভিভাবকদের শিশুদের লালন-পালনের অন্যান্য পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মায়েরা প্যারেন্টিং ক্লাস, থেরাপি, বা সহায়তা গোষ্ঠীতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত সীমা আরোপ করা এবং একটি প্রেমময় ঘরোয়া জীবন প্রদানের মধ্যে একটি ভালো ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারেন।

ডা. দীপু মনি এমপির নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য বিভিন্ন বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও ব্যাপক এবং ছাত্রকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে দেশে কীভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করা যায় সেই বিষয়টিকে পরিবর্তন আনয়নের জন্য একটি পাইলট উদ্যোগ গ্রহণ করে হয়েছে।

এই পাইলট প্রোগ্রামটি আজকের শিক্ষাব্যবস্থায় জর্জরিত সমস্যা সমাধানে এবং বাচ্চাদের, পিতা-মাতাদের এবং শিক্ষকদের চাহিদা মেটাতে একটি বিশাল পদক্ষেপ। এর প্রাথমিক লক্ষ্য হলো শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রুপ ওয়ার্ক এবং হ্যান্ডস-অন অ্যাকটিভিটিগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা– যাতে শেখার বিষয়টি আরও আকর্ষক এবং প্রাসঙ্গিক হয়।

মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য হলো একুশ শতকের জটিল বৈশ্বিক পরিবেশে উন্নতি লাভের জন্য প্রস্তুত এমন সুযোগ্য শিক্ষার্থী গড়ে তোলা, যারা সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান এবং সৃজনশীলতার ওপর জোর দিয়ে পরিকল্পনা করতে সক্ষম।

উদ্যোগটিতে একেবারে নতুন কোর্স পরিকল্পনা, সংশোধিত পাঠ্যপুস্তক এবং অত্যাধুনিক শিক্ষামূলক কৌশল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যা শিক্ষার্থীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমালোচনামূলক এবং সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা শ্রেণিকক্ষে এই সংস্কারগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারেন।

এই পাইলট প্রোগ্রামটি বাংলাদেশে প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য হলো একটি ছাত্রকেন্দ্রিক পদ্ধতিকে সমর্থন করে শিক্ষার উন্নতি করা যা শিক্ষার্থীদের এজেন্সিকে শক্তিশালী করবে, কৌতূহল জাগাবে এবং তাদের সামগ্রিক শিক্ষার মানের উন্নতি করবে। এই উদ্ভাবনী কর্মসূচি দেশের শিক্ষার গতিপথ পরিবর্তন করবে, যা শিক্ষার্থীদের একটি গতিশীল এবং অপ্রত্যাশিত ভবিষ্যতের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে।

পাইলট প্রকল্পের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই এর বাস্তবায়ন সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, প্রাসঙ্গিক পক্ষের কাছ থেকে ইনপুট চাইতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করবে এবং  উদ্ভাবনী শিক্ষাকে অনুপ্রাণিত করবে এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করবে, যা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে যে সরকারের পাশাপাশি অভিভাবক এবং অন্যান্য অনুঘটকদের এই সমস্যা উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভিভাবকদের উচিত শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সন্তানদের সামগ্রিক বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করা। পিতা-মাতারা চাইলেই ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য আনন্দময় শেখার পরিবেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সন্তানদের মানসিক চাপের ক্ষতিকারক প্রভাবের সংস্পর্শ কমিয়ে আনতে পারে।

এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততাও সমান অত্যাবশ্যক। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন পরিবেশের উন্নয়নের দিকে কাজ করতে হবে, যা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণকে স্বাগত জানায় এবং উদ্ভাবন এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করে। শুধু পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া থেকে দূরে সরে এসে মৌলিক জীবন দক্ষতার নির্দেশনার দিকে এগিয়ে গিয়ে আরও আনন্দময় শিক্ষা অর্জনকে প্রাধান্য দিতে হবে।

বাংলাদেশের বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের অ্যাকাডেমিকভাবে সফল হওয়ার জন্য অনেক চাপ দেন, যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই ধরনের চাপ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ, যা তাদের চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্রেডের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান শিশুদের সূক্ষ্ম ক্ষমতা, যেমন- কল্পনা, উদ্যোগ এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর। ফলে, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ এবং মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য একটি সামাজিক রূপান্তর প্রয়োজন। অভিভাবক, শিক্ষক, আইনপ্রণেতা এবং সম্প্রদায় সবাই একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাপ কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিয়মাবলি পুনর্বিবেচনা করে এবং শিক্ষার্থীদের বিকাশের আরও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণ আনন্দময় করতে পারি এবং জীবনে সফল হতে সাহায্য করতে পারি। আসুন আমাদের বাচ্চাদের আগ্রহগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাভাবিক দক্ষতা বিকাশের জন্য তাদের উৎসাহিত করি, যাতে তারা সফল মানুষ হতে পারে।

অভিভাবকদের অযৌক্তিক মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী প্রত্যাশার বিষয়টির নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে এবং বাচ্চাদের একটি উন্নত, আরও যত্নশীল স্কুল পরিবেশ প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা গ্রেডনির্ভর ডিগ্রি অর্জনের পরিবর্তে আনন্দময় পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করবে, যা তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

লেখক: অধ্যাপক, লোক প্রশাসন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মাটি কাটার সময় 'গরমে অসুস্থ হয়ে' নারী শ্রমিকের মৃত্যু
মাটি কাটার সময় 'গরমে অসুস্থ হয়ে' নারী শ্রমিকের মৃত্যু
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
সাকিবের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাক্ষাৎ
স্বর্ণপামে ৯ বিচারক: সর্বকনিষ্ঠ আদিবাসী লিলি, আছেন বন্ডকন্যাও
কান উৎসব ২০২৪স্বর্ণপামে ৯ বিচারক: সর্বকনিষ্ঠ আদিবাসী লিলি, আছেন বন্ডকন্যাও
‘“সুলতান পদক” পেয়ে আমি গর্বিত ও ধন্য’
‘“সুলতান পদক” পেয়ে আমি গর্বিত ও ধন্য’
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ