X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুকে শিশু-কিশোর কী করে!

উদিসা ইসলাম
১৮ মার্চ ২০১৬, ০৯:৩৬আপডেট : ১৮ মার্চ ২০১৬, ০৯:৪৪

উদিসা ইসলাম জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৮ বছরের নিচে একাউন্ট খোলার নিয়ম নেই। তাতে কী? ১৮ বছর লিখে দিব্যি ১১ বছরের ছেলেমেয়েরা সারারাত কাটিয়ে দিচ্ছেন ফেসবুকে। বাড়াচ্ছেন ‘ফ্যানস’ আর ‘ফলোয়ারস’। এমনকি শিশুর প্রতি মুহূর্ত ধরে রাখতে ‘ডিজিটালি একটিভ’ বাবা-মায়েরা দিব্যি ৬ বছরের সন্তানের নামে একটা করে একাউন্ট করে রাখছেন। অথচ আগের কথা ভাবুন, ছবি প্রিন্ট করে আমাদের সেই ৮১ সালের ছবি এখনও সংরক্ষণে আছে তো। নিজের ‘ভাল থাকা’, শিশুকে কতকিছু করতে দিতে পারা দেখানোর কি আছে! ভেবে দেখবেন আপনার শিশুকে অবাধে ছবি পোস্টের অনুমতি দিয়ে কী সাংঘাতিক জগতে ঠেলে দিচ্ছেন। তার ছবি যেকোনও জায়গায় যেকোনওভাবে অপব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছেন। যেকোনও অঘটন ঘটে গেলে বাবা মাকে কোনওদিন যদি এই শিশু যদি বলেন, তুমি আমাকে না থামিয়ে অপরাধ করেছিলে। বা তুমি ঠিক জায়গায় থামোনি, তখন তাদের কি উত্তর দেবেন ভেবে দেখেছেন একবার!
১.
সম্প্রতি ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়া দুই কিশোরের মারধোরের ভিডিও দেখতে দেখতে পরিস্কার হয় কয়েকটি দিক। অক্সফোর্ড এর শিক্ষার্থী নুরুল্লাহকে ডেকে নিয়ে জুনায়েদ যখন মারধোর করে (তারা ফেসবুকে পূর্ব পরিচিত) তখন বের হয়ে আসে একের পর এক বিষয়গুলো। জুনায়েদ একজন মেয়ের নাম বারবার নিতে থাকে (ইচ্ছাকৃতভাবেই)। আর একজন বড়ভাই ‘রিজভী’র নাম। একজন নারী এবং একজন বড় ভাই। এরপর ফেসবুকে ইভেন্ট খোলা হয় জুনায়েদের বিরুদ্ধে। আশ্চর্য লাগে সেখানে জুনায়েদকে যতটা হেনস্তা করা হচ্ছে জঘন্য ভাষায়, আর যে মেয়েটির নাম জুনায়েদ উল্লেখ করেছিল তাকে নানান ছবি এবং ভয়ঙ্কর ভাষায় আক্রমণ শুরু করা হলো যিনি কিনা আদৌ সিনে নেই। একাধিক নারীর ছোট পোশাকের ছবিতে ভরে গেলো ফেসবুক পেজের দেয়াল।

আরে আরে দাঁড়ান, ভাববেন না ছোটলোকের সন্তানের ভাষা এমনই হবে। এরা আপনার আমারই সন্তান। সকালবেলা গাড়ি চড়ে সেরা স্কুলগুলোরই কোনও একটাতে ঢুলুঢুলু চোখে যায়। কেন যায়? শুনুন মাদকের কবলে পড়া এ লেভেলের রাতজাগা সিয়ামের কথা:

আমার বাবা আমাকে কোনও সম্মান করে না। বন্ধুদের সামনে মারে। আমার মাকে আমার সামনে গালি দেয়, মারে। লোকটার খালি অনেক অনেক টাকা আছে। কথায় কথায় বলে: আমার নামে তিনটা ফ্ল্যাট আছে। আবার হুমকি দেয় ঠিক মতো না চললে সেগুলো আমারে দিবে না। যখন আমার গায়ে হাত তোলে তখন মাঝে মাঝে মনে হয় মেরেই ফেলি। মা সারাক্ষণ বোঝায়। কিন্তু আপনি বলেন, আমার নামে এতো সম্পত্তি, কষ্ট করে পড়ালেখা করে ভালো রেজাল্ট করতে হবে কেন, পাস করলেইতো হয়। ফ্রাস্টেশন কাটে ফেসবুকে। আমার অনেক মাস্তান বন্ধুও আছে ফেসবুকে। এসব থাকা লাগে, ক্ষমতা।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলাতে চান ম্রুনাল
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
পিএসজির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলো মোনাকো
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়েছে শতাধিক পাইলট তিমি
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়েছে শতাধিক পাইলট তিমি
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ