X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের সমালোচনাও করছেন তো?

রাশেদা রওনক খান
১৪ জুন ২০১৯, ১৪:৫৭আপডেট : ১৪ জুন ২০১৯, ১৬:৩৫

রাশেদা রওনক খান

লেখাটির মূল উদ্দেশ্য হলো—এই মুহূর্তে যেসব অগ্রজ-বুদ্ধিজীবী জীবিত আছেন, তাদের প্রতি ক’দিন পর পর সঠিকভাবে না জেনে, না বুঝে সমালোচনা করার একটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা খুঁজে দেখা।

একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ দিয়েই শুরু করি। তা হলো—প্রবাসীদের নিয়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একটি বক্তব্য দিয়েছেন অনেক আগে। সেটা নিয়েই চলছে ফেসবুকে সমালোচনা। গেলো বছর অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ প্রসঙ্গেও সমালোচনা করেছেন অনেকে। এর আগেও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের রামপালবিরোধী আন্দোলনের সময়, আর অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল তো আছেনই; সমালোচনার শিকার হচ্ছেন সব সময়।

এসব শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিকের কাজ, লেখা, বক্তব্য, সামাজিক আন্দোলন-সংগ্রামে যোগ দেওয়া না দেওয়া প্রসঙ্গে এসব আলোচনা-সমালোচনার উৎপত্তি।

যেসব বুঝতে হলে রোনাল্ড বার্থ-এর ‘ডেথ অব দ্য অথার’ স্মরণ করে নেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ তাদের লেখার আছে, বলার আছে, করার আছে, করেছেন। আমরা পাঠক-শ্রোতা-দর্শক হিসেবে গ্রহণ করেছি আমাদের মেধা-মনন দিয়ে। আমাদের বিবেচনায়। এখন এই গ্রহণ করা কিংবা না করা পুরোটাই আমাদের হাতে। গ্রহণ না করতে চাইলে করবেন না। আপনার যুক্তি তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু ফেসবুকে আমরা একদল আছি, যারা কেবল প্রোপাগান্ডা তৈরি করি, আরেক দল আছি, প্রোপাগান্ডা ছড়াই। আরেক দল আছে বুঝে না বুঝে সেটা পুনঃউৎপাদন করে যায়। কিন্তু এর বাইরে একদল আছে, যারা এসব প্রোপাগান্ডাকে নিজ স্বার্থে কাজে লাগায়। আমার আজকের লেখা শেষ দলের জন্য। ফেসবুক হলো এক ধরনের বাচ্চাদের খেলার বাবল, একজন মানুষের সারা জীবনের সকল অর্জনকে এক ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারি চাইলে। সেই উড়িয়ে দেওয়ার দলে যখন সচেতন মানুষও ঢুকে পড়ে, তখন জাতি হিসেবে তা শঙ্কার বিষয়।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তার বক্তব্যের একটি অংশে প্রবাসীদের কিছু প্রসঙ্গ এনেছেন। আমি পুরো ভিডিওটি কোথাও পাচ্ছি না, তবে আংশিক ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে যেটুকু অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তা হলো, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন বাঙালি শ্রমিক শ্রেণি কতটা দেশপ্রেমিক, উপার্জনক্ষম, সংসার-সন্তান থেকে দূরে থাকে। আবার বিদ্যা শিক্ষা থাকলে দলে দলে সবাই তার কাছ থেকে ফরম পূরণ করতে আসতেন না।
বিমানের এক দরজা দিয়ে ঢুকে আরেক দরজা দিয়ে বের হওয়ার কথা বলে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের প্রতি তীব্র টান ও দেশে স্বজনদের কাছে যাওয়ার আকুলতা। আমাদের অনেকেরই এই অভিজ্ঞতা আছে বিমানে অন্যদের ফরম পূরণ করার। সেটাই তিনি তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলেছেন। হয়তো বক্তারা (বিশেষ করে একটু বেশি বয়সী যারা) অনেক সময় শ্রোতার করতালি বা হাসিতে বিগলিত হয়ে একটু বেশিই বলে ফেলেন, সেরকম বেশিও বলেছেন হয়তো। অন্যদিকে কারো কাছে মনে হয়েছে তিনি প্রবাসীদের কটাক্ষ করেছেন। হতে পারে তিনি শ্রেণিচৈতন্য নিয়ে কখনও মনোযোগী ছিলেন না। তিনি এলিট ঘরানার, সেটাও হতে পারে। তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু তাই বলে এমন কিছু বলেননি যে তাকে ‘ধান্ধাবাজ’ বলে গালি দিতে হবে, কেন্দ্রের ভবন নির্মাণের টাকার উৎস নিয়ে বিতর্ক তুলতে হবে।

সমালোচনা ভালো কিন্তু নিজেকে অতিমাত্রায় ‘বুদ্ধিজীবী’ প্রমাণ করে অন্যকে খাটো করে ‘বুদ্ধিজীবী’ হওয়া বোধহয় বুদ্ধিহীনতার পরিচয় পায় দিনশেষে। Pierre Bourdieu’র পলিটিক্যাল ফিল্ডে হয়তো আমরা সবাই পলিটিক্যাল অ্যাক্টর, যাদের কাজ হচ্ছে কৌশলে নিজের জায়গা করে নেওয়া। কিন্তু আমরা এখনও তাদের সমান অ্যাক্টর হয়ে উঠিনি যে, তাদের বা তাদের কাজকে অযৌক্তিকভাবে সমালোচনা করে নিজের বড়ত্বকে প্রতিষ্ঠা করবো। আগে নিজে বড় হই, তারপর না হয় নিজেকে এতটা বড় ভাবি– এটাই তো লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে আমার মনে হয়।
আমি সবসময় একটা কথা বলি, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক মুহম্মাদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক কায়কোবাদের মতো আরও যারা আছেন, তাদের একজনকেও (যাদের আমরা আমাদের এই সময়ে জীবিত বুদ্ধিজীবী অগ্রজ বলে ভাবি) ছোট করে আমরা ‘বড় বুদ্ধিজীবী’ হতে পারবো না। কারণ, তাদের যিনি যতটুকুই এই পর্যন্ত করে এসেছেন, তা এখনও আমরা করতে পারিনি। তাহলে কোন অহঙ্কার থেকে এত বড় সমালোচনা করে ফেলছি?

আরেকটা কথা, কে কোন বিষয়ে মুখ খুলবেন, কথা বলবেন কিংবা কে কোন সামাজিক আন্দোলনে যোগ দেবেন, আর কোনটায় দেবেন না– এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সুন্দরবন বা রামপাল নিয়ে যুদ্ধ করছেন বলে জাফর ইকবালকেও করতে হবে? জাফর ইকবাল কেন আনু মুহাম্মদের মতো করে আন্দোলন করলেন না, তা নিয়ে সমালোচনা করার আমরা কে?

আবার রামপাল আন্দোলনের সময়ও একদল আনু মুহাম্মদের বিরুদ্ধে যা-তা বলে গালি দেয়। তখনও একইভাবে হতাশ হয়ে পড়ি, তখনও লিখেছি, এখনও লিখছি। তখন আরেক দল লিখছে, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বই নিয়ে মানুষ আলোকিত করছেন, আনু মুহাম্মদ কেন তা করছেন না? তাকে তখন অমুকের দালাল, তমুকের দালাল বলে গালি দিচ্ছে। মেধা-শ্রম দিয়ে তৈরি করা তার ব্যক্তি এজেন্সিকে কীভাবে কোথায় কাজে লাগাবেন, এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

আপনি, আমি ধর্ষণ নিয়ে কথা বলছি দেখে জামিলুর রেজা বা আনিসুজ্জামানকেও কথা বলতে হবে– এটা বলার আমরা কে? এই মানুষগুলো কী নিয়ে ব্যস্ত, তা নিয়েও সমালোচনা করছি। আমরা কি বুঝতে পারছি কত নিচে নেমে যাচ্ছি? নিজের কাজ বাদ দিয়ে অন্যের সমালোচনায় পারঙ্গম এক জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি। এটা কি বুঝতে পারছি আমরা?

আমরা ভাবি, ‘আমার শরীর, আমার সিদ্ধান্ত’। কিন্তু এটা কেবল আমার বেলায়, আপনার বেলায় না? আপনি আমার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হলেই আপনাকে আমি তুমুল তুলোধুনা করবো? আমি একটি সামাজিক আন্দোলনে যুক্ত হলেই, অন্য কেউ কেন ওই সামাজিক আন্দোলনে যুক্ত হলেন না– তা নিয়ে সহজেই সমালোচনা করি। শাহবাগ আন্দোলনে যুক্ততা মানেই আধুনিকতা, যিনি সুনামগঞ্জে বসে অন্য কাজে ব্যস্ত/ ধান কাটছেন, তাকে তো তখন কিন্তু আমাদের মতো আধুনিক বা প্রগতিশীল ভাবি না! তখন শ্রেণিচৈতন্য কোথায় চলে যায় ভেসে আমাদের? এই যে ঈদ শেষে গৃহপরিচালিকা কেন ফিরছেন না, যারা দুইদিন আগে শ্রেণিচৈতন্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তারাই এখন ‘এই শ্রেণির ঈদ’ কেন এতো লম্বা তা লিখছে, তখন কিন্তু পাঠক হিসেবে লজ্জা পাই খুব।

আবার ধরুন, আমি ব্যাপক ধার্মিক, হিজাব পরি, অন্য আরেকজন কেন পরে না– সেটা নিয়েও সমালোচনা করি। আবার আমি হিজাব পরি না, অতএব কেন অমুক হিজাব পরেন– এগুলো নিয়েও আলোচনা শুরু করি। বা ধরা যাক, আমি বা আপনি অসম্ভব কর্মমুখর মানুষ। আরেকজন ঘরে বসে সন্তান লালন-পালন করেন। ঘরের কাজ করেন। তাহলেই হলো! তাদের সমালোচনা শুরু! কেন? এমনও তো হতে পারে তিনি তা একেবারেই নিজের ইচ্ছেতেই বেছে নিয়েছেন? আমি যদি নিজের ইচ্ছায় ব্যস্ত কর্মময় জীবন বেছে নিতে পারি, আরেকজন আরামে ঘরে বসে খাবেন-ঘুমাবেন-গান শুনবেন-সন্তান-স্বামী দেখভাল করবেন, সেই জীবন বেছে নিতে পারেন না? কেন আমি ধরেই নেবো যে, তিনি বাইরে কাজ করেন না মানে তিনি প্যাসিভ আর আমি অ্যাকটিভ?

হ্যাঁ, হতে পারে যারা ঘরে থাকার কথা ভাবেন, তাদের জন্মের পর থেকে শেখানো হয়েছে, মেয়েদের কাজ ঘর সামলানো, স্বামী-সন্তান লালন-পালন, স্বামী বা বাবার পরিচয়েই মেয়েদের পরিচয়, মেয়েদের নিজেদের পরিচিতি দরকার নেই ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে আমাদের আন্দোলন হতে পারে, বিতর্ক হতে পারে, সমাজ সচেতনতামূলক কাজ হতে পারে। কিন্তু যে নারী নিজ থেকেই ঘর সামলাতে ভালোবাসেন, সন্তান লালন-পালন করতে ভালোবাসেন, তাকে নিয়ে কেন সমালোচনা করবো? এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আমাদের এক ভ্রান্ত ধারণা, অমুক ঘরানার হলেই কেবল বুদ্ধিজীবী, স্মার্ট, প্রগতিশীল, কর্মময় আর তমুক ঘরানার হলেই ধান্ধাবাজ, গ্রাম্য, ঢিলা, আলসে। এসব কে শেখায় আমাদের? জীবনে চলার পথে এখন দেখি যারা এসব বড় বড় প্রগতিশীলতার আলাপ জুড়তেন, তারা এখন পুঁজিবাদ বা উপনিবেশের চাটুকারিতাতেই বেশি নিযুক্ত। দেশের ভেতর কিংবা বাইরে যারা সুযোগ পেলেই অন্যের সমালোচনা জুড়ে দেন, তাদেরও দেখি কী পরিমাণ চাটুকারিতা করেন কোনও এজেন্ডা বাস্তবায়নে।

আমি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের পক্ষে বলছি না কিংবা জাফর ইকবাল বা আনু মুহাম্মদের পক্ষেও বলছি না। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যেমন মুখস্থবিদ্যার এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝেও বড় বড় লেখকদের সাহিত্য পড়তে আমাকে শিখিয়েছে সেই ছোটবেলায়, তেমনি আনু মুহাম্মদের সঙ্গে আমার মালিবাগের বাস ধরে জাহাঙ্গীরনগরে যাওয়া-আসার প্রায় ৩/৪ বছরের সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, ব্যক্তিগতভাবে তিনি অসম্ভব ভালো, মুক্তমনা (মানে আমাদের মতো নিজেকে এতবড় বুদ্ধিজীবী/প্রগতিশীল/ অতি জানা, অতি জ্ঞানী, একমাত্র আন্দোলনকারী ভাবা মানুষ নন) বিনয়ী। তবে ইস্পাত কঠিন মানুষ। লেখক জাফর ইকবাল আরেক ধরনের, যিনি তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, কাজ করতে ভালোবাসেন, নিরহঙ্কারী ও সরল মনের মানুষ। যার দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। প্রফেসর আনিসুজ্জামান আমার মায়ের সরাসরি শিক্ষক। তাকে ‘নানা স্যার’ বলে ডাকি। তার কাজ ও কাজের গভীরতা সম্পর্কে না জেনেই দেখেছি কীভাবে আমরা অনেকেই সমালোচনা করে চলি। একবার এক ছেলে ভয়ানকভাবে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাকে ইনবক্সে জিজ্ঞাসা করলাম, কী করো তুমি? উত্তরে বললো, বাবার কাপড়ের দোকানে বসি। আমি বললাম, কতদূর পড়েছো? বললো, ক্লাস সেভেন পর্যন্ত। ভাবলাম, ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ে যেমন আমরা অধ্যাপকদের সমালোচনা করতে শিখে যাই, তেমনি করপোরেট কলাচারে আরোপিত ওভার স্মার্ট হয়ে যে কাউকে এমনকি নজরুল বা রবীন্দ্রনাথকে খারিজ করতেও আমাদের সময় লাগে না।

জামিলুর রেজা চৌধুরী ও প্রফেসর কায়কোবাদকে ভিন্ন দুটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেছিলাম, সেখানে ক্যামেরার সামনে ও পেছনে যা শুনেছি, বুঝেছি এ ধরনের শিক্ষকেরা দেশকে কীভাবে দেখতে চান, কোথায় তাদের স্বপ্ন। তারা যতটুকু পেরেছেন, করেছেন। এবার তাদের সমালোচনা না করে বরং না করা বাকি কাজটুকু আমরা করলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

শেষ কথা আমি যেটা বলতে চাই, ‘আসুন আগে নিজেকে পড়ি, কেবল বই পড়লেই হবে না’—সেটা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্য থেকে যারা বুঝে ফেলেছেন বলে দাবি করছেন, তাদেরও পড়ার গভীরতা বুঝতে হবে। ওই পড়া দিয়ে নিজের মনের ভেতরে দ্বিচারিতা, নিজেকে বড় ভাবা, অন্যকে খাটো করা, অন্যের ভালো দেখে হিংসায় জ্বলে যাওয়া, নিজে যা না, তা ভেবে মনে মনে মন-কলা খাওয়া এসব বাদ দিয়ে আমাদের উচিত হবে নিজেদের বদলানো।
এসব মানুষজন, তারা এক জীবনে যতটুকুই করেছেন, তাদের কাছাকাছি কিছু করি, তারপর তাদের সমালোচনা করলেই বোধহয় ভালো হবে। ফেসবুক আছে বলেই যা খুশি তা লেখা যায়। তাই লিখে ফেললাম। কিন্তু কাকে নিয়ে, কেন, কার পক্ষে বা বিপক্ষে লিখছি, যাকে নিয়ে বলছি, তার যোগ্যতা কী? (নিজেকে মনে করলে হবে না, সমাজে বিবেচিত কিনা)–এসব একটু বিশ্লেষণ করে আমাদের লিখতে বসা উচিত। বড় মনের হই, সংকীর্ণতা পরিহার করি। আমাদের অগ্রজরা চলে যাওয়ার পর আমাদের সামনে আর আন্দোলন করার মানুষ যেমন থাকবে না, তেমনি আলোকিত করার মানুষও থাকবে না। কারণ, এই উত্তরাধুনিক যুগে আমরা তো পুঁজিবাদী করপোরেট অফিসের দালালিপনায় ব্যস্ত বুদ্ধিজীবী। তাদের মতো করে হলেও (হয়তো আমার/ আপনার চোখে তাদের কাজ খুব কম) দেশভাবনা আমাদের কই? অন্যের সমালোচনার আগে সেই প্রশ্ন নিজেকে করি!

লেখক: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
চরের জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন
চরের জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ