X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার: সত্যটা কী!

মোহাম্মদ এ. আরাফাত
২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৩আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৪৬

মোহাম্মদ এ. আরাফাত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্বমানচিত্র। বিগত এক বছর ধরে যতই দিন গিয়েছে ততই এই মহামারি চারদিকে ছড়িয়ে গেছে আরো তীব্রগতিতে। দিনের পর দিন লাশের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। সময় যতই অতিবাহিত হয়েছে, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গিয়েছে। শুরুতে চিকিৎসাসামগ্রীর সংকট তৈরি হওয়ায় অনেক জায়গায় বিক্ষোভও হয়েছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্রের কর্ণধাররাও দ্রুততার সঙ্গেই তৈরি করছেন আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ উপযুক্ত সুযোগ সম্বলিত হাসপাতাল। জনগণকে ঘরে অবস্থান এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে শুরু করে লকডাউন কার্যকরে নিয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। কিন্তু চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেনসহ গোটা বিশ্ব নানামুখী উদ্যোগ নিয়েও করোনার কাছে ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতি রীতিমতো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের! সময় যতই যাচ্ছিল বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর অসহায়ত্ব বুঝি আরো বেশি করে ফুটে উঠছিল। সবাই হা হুতাশ করছিল করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে। অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন, যা গোটা বিশ্বেকেই আশার আলো দেখাচ্ছে। করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিতে তিনটি টিকার কথা উল্লেখ করেছে। এই টিকাগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্না এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে উদ্ভাবিত টিকা। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় দ্রুত টিকা পৌঁছানোর এবং সমহারে বণ্টনের তাগিদও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনাভাইরাসের ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার ঘোষণাও দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ৫ ডলার (৪২৫ টাকা)। এই টিকা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কেনা হবে। এই টিকা বিতরণ করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে এ সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় একটি সমঝোতা চুক্তি আগেই সই করে রেখেছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিলে সঙ্গে সঙ্গেই যেন বাংলাদেশে এই টিকা আনা যায়, সেই চিন্তা থেকেই এই অগ্রিম চুক্তি করে রাখা হয়। আশা করা হচ্ছে জানুয়ারি মাস থেকেই করোনা ভ্যাকসিন কার্যকর করা যাবে বাংলাদেশে।

ভারতের একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান করোনা ভ্যাকসিন আনার জন্য চুক্তি করবে, আর এটা বিনা বাধায় কোনও প্রোপাগান্ডা ছাড়া এসে যাবে তা কল্পনা করাটাও কষ্টের! অন্তত বিগত সময়ে আমরা তাই দেখে এসেছি! যেকোনও ইস্যুতেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়ন করতে চাইলে একদল সব গেলো বলে রব তুলে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি! ইতোমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় অপপ্রচার শুরু হয়েছে এই মর্মে যে, বাংলাদেশ নাকি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে কোনো কারণ ছাড়াই কম টাকার ভ্যাকসিন বেশি টাকায় কিনছে! ইউরোপ ও আমেরিকার চেয়েও বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনছে বাংলাদেশ। এবং এই বক্তব্য অনেক মানুষ শেয়ার দিচ্ছে, অনেকে বিশ্বাসও করছে। কিন্তু বাস্তবতা আসলে কী? বাংলাদেশ কি সত্যিই অনেক দামে এই টিকা কিনছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে যাবার জন্য আমাদের একটু বিশ্লেষণে যেতে হচ্ছে।

ইউরোপ বা পশ্চিমারা কোন ভ্যাকসিন কী দামে কিনছে, সেই তথ্য ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে। গত ১৮ ডিসেম্বর দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় এই সংক্রান্ত এক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায় বেলজিয়ামের বাজেট সংক্রান্ত প্রতিমন্ত্রী ইভা ডি ব্লিকার এক টুইট বার্তার মাধ্যমে সেই সংবাদ ফাঁস করে দিয়েছেন। যদিও এই টুইট নিয়ে ফাইজার-বায়োটেকের কর্ণধারেরা বেজায় চটেছেন এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া টিকার স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান একযোগে এই বিষয়টা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। প্রতিমন্ত্রী অবশ্য টুইট বার্তা দিয়ে দ্রুতই তা মুছে দেন, কিন্তু যা হবার ততক্ষণে হয়ে যায়। মুহূর্তেই গোটা বিশ্ব জেনে যায় এই ভ্যাকসিন ইউরোপ আমেরিকা ঠিক কী দামে কিনছে। এই বার্তা প্রকাশ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে বেলজিয়াম সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের জন্য দাম দিচ্ছে ২.১৮ ডলার, জনসন এন্ড জনসন এর টিকা কিনছে ৮.৫০ ডলারে, সানোফি-জিএসকে ৭.৫৬ ইউরোতে, ফাইজার-বায়োএনটেক ১২ ইউরোতে, কিউরভ্যাক ১০ ইউরোতে, মডার্না ১৮ ডলারে। এদিকে আমেরিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন কিনতে যাচ্ছে ৪ ডলারে আর বাংলাদেশ সেই ভ্যাকসিন ৫ ডলারে কিনতে যাচ্ছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, আমেরিকার থেকে মাত্র এক ডলার বেশি দিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন কেনার কারণটা না জেনেই একদল ইচ্ছাকৃত অপপ্রচারে লিপ্ত যে, আমরা ভারতকে অযথা টাকা দিচ্ছি বা ভারতীয় কোম্পানিকে ইচ্ছাকৃত নিজেদের টাকা দিয়ে দিচ্ছি!

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকাতে যেকোনও দেশের তুলনায় এই টিকা কম দামে পাওয়া যাওয়ার পেছনে একটা বড় কারণ রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার জন্য আলাদা তহবিল গঠন করেছে এবং তারা বিনিয়োগও করেছে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও দাতারা টিকা তৈরি এবং তার পরীক্ষার প্রকল্পগুলোতে কোটি কোটি পাউন্ড পরিমাণ অর্থ ঢেলেছে। ভ্যাকসিন-উৎপাদক কোম্পানি আমেরিকার মডার্না তাদের টিকার পেছনে ৫৯ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড অর্থ ব্যয় করেছে, জার্মানির বায়োটেকে এবং তাদের অংশীদার বৃহৎ আমেরিকান কোম্পানি ফাইজার যৌথভাবে প্রায় ৪০ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার পেছনে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও দাতা প্রায় ১৬৫ কোটি পাউন্ড অর্থ ব্যয় তথা বিনিয়োগ করেছে। এখানে দাতারা ঝুঁকি নিয়েছে এবং ভ্যাকসিন ব্যর্থ হলে তারা তাদের সম্পূর্ণ বিনিয়োগ কিন্তু হারাতো। তাই ইইউ, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উদ্ভাবিত সফল টিকার সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও দাতা প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক কম দামেই ভ্যাকসিন পাবে। আসলে যদি তাদের বিনিয়োগ এবং ঝুঁকি গণনায় নেওয়া হয় তাহলে পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণে কিন্তু কম দাম পড়ছে না। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার, টিকা উৎপাদনকালীন ট্রায়াল যদি অন্যদেশে হয় তবে টিকা দ্রুত এবং স্বল্পমূল্যে পাবার ক্ষেত্রে সেই দেশও অগ্রাধিকার পায়। যেমন সফল টিকার কোনও একটির ট্রায়াল যদি বাংলাদেশে হতো তবে বাংলাদেশও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো কম দামেই এই টিকা পেতো। কিন্তু ট্রায়ালেরও অনেক ঝুঁকি আছে, বাংলাদেশ সেই ঝুঁকি নেয়নি। তাই ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশ আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বেশি দামে টিকা কিনছে বা অযথা বেশি টাকা ভারতীয় কোম্পানিকে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে। এই বক্তব্যগুলো স্রেফ গুজব। বাস্তবের সঙ্গে এসব ঘটনার কোনও মিল নেই। উপরোক্ত বিষয়ের সাপেক্ষেই ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ও দাতা সংস্থা বাদে বাকিসব রাষ্ট্রকেই একটু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

এবার আসি, বাংলাদেশের কোম্পানির সঙ্গে ভারতীয় কোম্পানির ভ্যাকসিন সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে। গত ৫ নভেম্বর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে অক্সফোর্ডের টিকা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়। যেকোনও ভ্যাকসিন একটি দেশকে পেতে হলে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় এবং সেই ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করেই ভ্যাকসিন নিতে হয়। ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রমের সঙ্গে একটি কোম্পানিকে যুক্ত করার মাধ্যমেই এই ভ্যাকসিন কার্যে একটি দেশ সম্পৃক্ত হয়। যে টিকাই আমরা নিতে চাই না কেন তা হোক যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেই সংশ্লিষ্ট দেশের সংস্থার অনুমোদন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়ে তারপরেই একটি ওষুধ বিতরণ প্রতিষ্ঠানকে এই টিকা আমদানি করতে হবে। যে মেডিসিন কোম্পানি সেই আমদানিকৃত টিকা আনবে তারা বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নির্দিষ্ট কমিটি থেকে অনুমোদন নিয়ে তারপর ওই টিকা বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আর এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কার্যকারিতা পুরোপুরি সফল হবার আগেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন যেন বাংলাদেশ আগে পায় সে ব্যাপারে সকল কাজ সম্পন্ন করে রেখেছিল বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। তাই এখানে বড় একটি ধন্যবাদ পাবার কাজ করেছে বেক্সিমকো। সিরাম থেকে ভ্যাকসিন পেতে হলে একটি কোম্পানির মাধ্যমে সমঝোতা স্মারক সই করতে হতো আর এই ঝুঁকিটা তখন নিয়েছে বেক্সিমকো। আর সে কারণেই মাত্র ৪২৫ টাকায় আমরা এই ভ্যাকসিন পাবো, যেখানে ভারতে বেসরকারিভাবে সেই টিকা কিনতে প্রতি ডোজে খরচ হবে এক হাজার রুপি। বিতরণ প্রতিষ্ঠানের পূর্বচুক্তি এবং বাংলাদেশ-ভারত সরকারের পূর্ব প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির শর্তানুযায়ী ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়েও তুলনায় কম দামে টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

এখন আসি কেন ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটকে বেছে নিলো বাংলাদেশ! এই বিষয়টা একটু পরিষ্কার করেই বলছি যেন সবার বুঝতে ও অপপ্রচারগুলো রুখতে সুবিধা হয়। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি দেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের অ্যাডভান্সড ট্রায়াল শুরুর অনুমতি পেয়েছিল। সহজ ভাষায় যদি বলি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশকে অক্সফোর্ড এই টিকা উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। অক্সফোর্ড যদি ভারতকে অনুমোদন দেয় বিক্রি করতে, তাহলে তারা বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করবে। আর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনের সেই পেটেন্ট পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ইতোমধ্যে তারা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করছে। তাই বাংলাদেশের কাছে সবচেয়ে সহজ এবং নিকটবর্তী হিসেবে ভারতকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনই কিন্তু শেষ কথা নয় বরং এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অন্যদেশে আনয়নও একটি বড় ঝুঁকির কাজ। তাই সবচেয়ে নিকটবর্তী বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটকেই বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ যারা আজকে প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, কেন বেশি ডলার খরচ করে টিকা আনা হচ্ছে তারা ভাবতেও পারছেন না এই টিকার জন্য ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা জার্মানির কোনও কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করলে খরচ তখন দ্বিগুণ হয়ে যেতো! দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের ব্যয়ভার, পরিবহন খরচসহ এই ভ্যাকসিনের দাম তখন কত ডলারে গিয়ে ঠেকতো কে জানে!

ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় দ্রুত টিকা পৌঁছানোর এবং সমহারে বণ্টনের তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দুই দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই তাগিদ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই বৈঠকে জিএভিআই, ইউনিসেফসহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদার অংশ নেয়। যেখানে টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও ছিলো। আমরা আশাবাদী, দ্রুতই বাংলাদেশের মানুষ সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে এই টিকা পাবে। তাই সবার প্রতি আহবান থাকবে, বিশ্ব মহামারির সময়েও যারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। করোনা ভ্যাকসিন ইস্যুতেও যারা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন। সঠিক তথ্য মানুষকে জানান এবং গুজব প্রতিহত করুন।

লেখক: অধ্যাপক; চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের অন্তত ৭টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম প্রয়োজন: ন্যাটোকে জেলেনস্কি
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
শিশু হাসপাতালে তিন দিনের ব্যবধানে দুবার আগুন!
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যাংককে চীনের দাবাড়ুকে হারালেন মনন
ব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান সংশোধনের দাবিব্যয়বহুল প্রযুক্তি আর ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের এখনই সময়
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ