X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
১৯ বৈশাখ ১৪৩২

অমিত হাবিব ও তাঁর গ্রেসফুল জার্নি

মুন্নী সাহা
২৯ জুলাই ২০২২, ২০:১৭আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২২, ২১:২৮

অমিত দার সঙ্গে শেষ দেখা ২২ জুলাই শুক্রবার। বিআরবি হাসপাতালে। আগের রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার খবরটি জানায় সহকর্মী মাসুদুল হক। দেশ রূপান্তরের প্রধান প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা সুইটির কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে খবরের এই মেয়েটি ফোনের ওপার থেকে খবর কিছু তেমন করে বলতে পারেনি, কেঁদেছে অঝোরে। এক সহকর্মীর অঝোর কান্নার গভীরে তো পরতে পরতে খবর... মানে বার্তা। যারা চেনেন না সাংবাদিক অমিত হাবিবকে, তারা সহজেই বুঝে নেবেন, নামের আগে যে বিশেষণই থাক না কেন, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া মানুষটি, মানুষ হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে এটুকু অর্জন করেছেন, যার জন্য চোখের পানি ঝরছে সহযোদ্ধাদের।

শুক্রবার দুপুরে বিআরবি হাসপাতালের আইসিইউর স্টাফরা অকপটে এ কথাই বলছিলেন, পর্দায় দেখা চেনা জন- এই আমাকে। অমিতদা তখন প্রায় অচেতন। সারা শরীরে যেসব যন্ত্রপাতি সংযোজিত,  সেগুলো দেখাচ্ছে অবস্থা উন্নতির দিকে।

অচেতন অমিত হাবিবের মাথায় হাত বোলালাম, হাতটা ধরে থাকলাম। এক মুহূর্তেই চলে গেলাম ৯১-এর আজকের কাগজের নিউজ টেবিলে। পুলক গুপ্ত আমাদের হেডস্যার, অমিত হাবিব সহকারী হেডস্যার। মানে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট শিফট ইনচার্জ। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবে ভর্তি হয়েছি। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে কাজ শেখার প্রথম চাকরির কর্মস্থল। কিছুই পারতাম না তখন। ভুলভাল লেখা অমিত দা, পুলকদা এডিট করে দিতেন। কোনও শব্দের বানান-মানে বা কোন দেশ কোন রাজধানী... সেই দেশের রাজনীতি একটু বলে, গম্ভীর গলায় আমাদের ডেস্কের হেডস্যার পুলকদা হালকা বকা দিতেন। পরে বলতেন... মনে থাকবে তো? পরে যেন ভুল না হয়...।

আর অনুবাদ খবরের কপিটি অমিতদার হাতে পড়লে তো শেষ! মানে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখবেন।

অনেকটা একগাদা উত্তরপত্রের শেষ খাতাটা দেখার সিচুয়েশন। আমি তখন বয়সে অনেক ছোট, নতুন, মাত্র ছাত্র এবং ভীতু। অমিতদাকে ‘বাঘের মতো ডরাই’। পাশে বসে থাকি নিউজটা কারেকশনের সময় অমিত হাবিবের ‘খিঁচানো বকা’ খাওয়ার অপেক্ষায়। মেরিনা আপা, সুমি আপা, জাকারিয়া সব হৈ হৈ করতে করতে লাঞ্চব্রেকে যাওয়ার সময় চোখ দিয়ে আমাকে ডাকে। আমি চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিই, আজকে ‘ধরা খাইছি’ অমিত হাবিবের কাছে। দুপুরে বকা খেয়েই পেট ভরে যাবে, তোমরা যাও। আড়চোখে অমিতদা এসব চোখে চোখে কথাবার্তা দেখেও নেন। ‘একটু টাইট দিলাম মার্কা’ হাসি হেসে, মাথা নিচু করে আমার কপিটা দেখতে দেখতে ডিকশনারি দেখার পরামর্শ দেন। তখন তো আর গুগল ছিল না। কোনও কোনও শব্দ, দেশের অবস্থান, জার্মান, ফরাসি উচ্চারণ ভেদে কী হতে পারে সবটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জনে জনে পাঠাতেন আমাকে। যান, পুলকদার কাছে, জেনে আসেন, আজফার হোসেনকে জিজ্ঞেস করেন, সাজ্জাদ শরীফকে জিগান গিয়ে...।

শুধু ডিকশনারি ঘাঁটলে যে ভুলটা শুধরে নেওয়া যায়, সেটা ১২ জনের কাছ থেকে জেনে নিলে বহুমাত্রিক জানা হয় এবং তাতে ভবিষ্যতের একজন সংবাদকর্মী তৈরি হওয়াটা পোক্ত হয়... সে মিশনটাই পারস্যুট করতেন অমিত হাবিব। চঞ্চল বয়সী এই আমাদের, এসব পারফেকশনিস্ট বসগিরি পছন্দ হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। তাই অমিতদা আমাদের কাছে ‘ডর’।  

এই ডর-ভয়ের মানুষটি নিজে থেকেই কম করেননি কিছু। যেদিন খুব বকা দিয়েছেন, সেদিনই জিগাতলার বাসায় নিজ হাতে ডিম ভেজে ভাত খাইয়েছেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে ভাবিসহ  রিকশায় বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। গত ৩০ বছরের মধ্যে একসঙ্গে এক টেবিলে বা একই প্রতিষ্ঠানে অমিতদার সঙ্গে ছিলাম আমি ৯ বছর। তারপর পত্রিকা থেকে ব্রডকাস্ট। সেই ডর-এর অমিত হাবিবই বলেছেন, ‘মুন্নী আপনি তো ভালোই করেন টিভি রিপোর্টিং।’ তারপরের বাক্যেই খোঁচা-  ‘আরে এখন তো আপনি স্টার, গোটা দেশের মানুষ আপনারে চেনে, আর আমাদের কী পাত্তা দেবেন!’

একসঙ্গে এক টেবিলে এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করি আর না-ই করি, অমিতদাকে পাত্তা দিতেই হয়, হয়েছে। শুধু আমি নই, নবনীতা, উৎপল শুভ্র, রঞ্জনাদি, জাকারিয়া এমন আরও অনেকেরই। আমরা সে সময়কার এক টেবিলে আড্ডার, কাজ করার মানুষ এখন আলাদা আলাদা অবস্থানে, আলাদা পরিচিতিতে যতই উজ্জ্বল হই না কেন... অমিত হাবিব মানে আমাদের ‘ডর-বস, ডর-বন্ধু’। এই ডর-পারফেকশনের, সৎ সাংবাদিকতা, নির্মোহ জীবনচারিতার আর ভিড়ের মধ্যে সাংবাদিকতার একজন নিভৃত জেমস বন্ড অমিত হাবিব হতে পারার।

গত ৩০ বছরে আমরা একসঙ্গে বয়স বাড়িয়েছি, বুড়ো হয়েছি। অনেক আড্ডা,  বেড়ানো, তর্ক,  রাজনীতি, রান্না, খাওয়া হয়েছে। অমিতদা আমাদের বস, বন্ধু হয়ে উঠছেন কিন্তু সহজেই তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া যায়- সম্পর্কের সেই গাম্ভীর্যটা ভাঙেননি।
এই তো, করোনার সময় আমার করোনা অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অমিত হাবিবকে ফোনে পরামর্শ দেওয়া শুরু করলাম। তখন অমিতদাও আক্রান্ত। আমি কি আনবো, কোনটা খাবেন, কয়বার গার্গেল করবেন– এসব নিয়ে হরবর করে ফোনে অমিতদা'র ওপর ডাক্তারি করার চেষ্টা করছি, আর ও প্রান্ত থেকে তাঁর খিঁচানো ধমক- ‘পাকামো কইরেন না তো  মুন্নী, একটু করোনা হইছে আর তাতে এক্সপার্ট হয়ে গেছেন! আমার জন্য কিছু আনতে হবে না, কিছু পাঠাতে হবে না। বরং আপনি আপনার করোনা দর্শনটা লেখেন, আমাকে পাঠান। দেখি দেশ রূপান্তরে একটা স্পেশাল কিছু করবো ভাবছি’।

অমিত হাবিবকে এই বুড়ো বয়সেও আমি এতটাই ভয় পাই যে ভয়ে ভয়ে আমি করোনা নিয়ে লিখেও ফেললাম। আর অমিতদা শুধু পুরো পাতাজুড়ে আমার লেখাটিই ছাপলেন। ছাপানো পত্রিকার পাতাজুড়ে আমার লেখা দেখে আমার ডর-মাস্টারকে জিজ্ঞেস করলাম... পুরোটা ছাপলেন যে! ‘কাইট্টা-ছিল্লা-লবণ লাগায়া সুন্দর একটা স্লিম লেখা ছাপবেন দেইখ্যা বড়সড় ৩ হাজার শব্দ লিখলাম, আপনি দেখি কিছুই করেন নাই... পড়েন নাই লেখাটা অমিতদা? এমনেই ছাইপা দিলেন!’

আর যায় কোথা! কী বীভৎস চিৎকার অমিত হাবিবের...।

আপনি আমাকে ছুঁক ছুঁক করা সাংবাদিক ভাবছেন? চেহারসর্বস্ব ভেটকি মাছ ভাবছেন, পত্রিকাটা সাইন বোর্ড বানিয়ে প্রেস ক্লাবে দলবাজি, ক্ষমতাসীনদের তেল দেওয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সে সামনের চেয়ার নিয়ে টানাটানি করা সম্পাদক ভাবছেন? শোনেন মুন্নী.. পত্রিকার প্রতিটি শব্দ-বাক্য-আইডিয়া-কলাম ইঞ্চি নিয়ে সম্পাদক দায়ী। আমার টিমটা ভালো, কিন্তু আমি পারতপক্ষে কোনও কিছু না পড়ে ছাড়ি না।
সেদিন আমিও ছাড়িনি অমিতদাকে। সেই সময়ের একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে, তাঁর নিজের করা একটি শিরোনাম খবর নিয়ে তাকে একহাত নিলাম।

অমিত হাবিবের স্পষ্ট জবাব–‘আমাদের পত্রিকায়, ওই ঘটনাটি নিয়ে পক্ষপাতিত্ব পাঠকের কাছে স্পষ্ট করতে ওই হেডলাইন আমি করেছি, নিউজটা আমি করিয়েছি। ‘অবিমৃষ্যকারিতা’ না করার জন্য ওটা আমার স্ট্যান্ড।’

তর্কে তাঁর সঙ্গে কে পারে? আমরা কখনও কেউ পারিনি, তাই ভয়ও ভাঙেনি। সেই ভয় ভয় দূরত্ব নিয়ে অমিত হাবিব আমাদের গুরু, হেডমাস্টার, বন্ধু। যে বন্ধুটি পরিপূর্ণ জ্ঞানে, সক্রিয় থাকার সময়ে জ্বর দেখার ছলেও মাথায় হাত রাখা হয়নি। তাঁর মা চলে যাওয়ার শোকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য হয়নি... একটার পর একটা পত্রিকার মালিকপক্ষ তাঁকে ব্যবহার করে পত্রিকা দাঁড় করানোর পর, ছুড়ে ফেলায় সহমর্মিতা জানানোর জন্যও মাথায় হাত, হাতটা ধরে বলা হয়নি অমিতদা ভয় পেয়েন না, আপনি উঠে দাঁড়াবেন।

৩০ বছর সাংবাদিকতার উচ্চ পদে থেকে, দীর্ঘ সময় ধরে অনেক সংবাদপত্র... ‘সম্পাদক’  হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পরেও প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে না পারার আক্ষেপের সময়ও আমরা বলতে পারিনি, অমিতদা সরি!

সেই অমিতদার মাথায় হাত বোলানোর সময় নার্স-ডিউটি ডাক্তাররা বললেন, দিদি আপনি একটু ডাক দেন, চেতন আছে।

‘অমিত দা...অমিত দা... আমি মুন্নী’... ডাকলাম ডাক্তারের পরামর্শে।  পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নার্স মেয়েটি বললো, দিদি মাস্কটা একটু খোলেন, পুরা নামটা বলেন... চেনেন কিনা দেখেন...।

আরেকবার অমিতদা বলে ডাকতেই ঘুমভরা চোখে একনজর দেখলেন। বাঁ হাতে আমার হাতটা ধরা। বললাম চাপ দেন, জোরে...।  যথেষ্ট জোরে হাতটা চেপে ধরলাম। এরপর তাঁর ডান হাতে ধরে, হাতটা দিয়ে বললাম চাপেন। অমিতদা পূর্ণ চেতনায় তখন। ডান হাতে, আমার হাতটা ধরতে পারলেন না... সেটা তিনি বুঝেও গেলেন। অসহায় চোখে আমার দিকে জিজ্ঞাসার চাহনি... যেন জানতে চাইছেন, আমার ডান দিক?

আমি তাঁর স্নেহের মুন্নী সাহা, যতই ডাক্তারি ভাষায় বলি না কেন, আপনি ঠিক হয়ে যাবেন, সেটা উনি মেনে নেওয়ার, বিশ্বাস করার লোক নন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, অসহায় দুর্বল অবস্থায়ও নন। ঘুমে ঢুলঢুলে চেতনে, কেমন করে বুঝিয়ে দিতে হয় সে কায়দা অমিতদাই একমাত্র জানেন। তিনি বুঝিয়ে দিলেন... আমার এই অসহায়-পরনির্ভর-করুণার জীবন আমি মানি না। আমার চোখের সামনেই অভিমানে চোখ বন্ধ করলেন অমিতদা।

এই অভিমান-ক্ষোভ তাঁর একার নয়, যেন আমাদের অনেকেরই পক্ষ থেকে। আমরা যারা নব্বইয়ের দশকে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে শুধু সৎ-নিরেট শুদ্ধ সাংবাদিকতা করবো বলেই সাংবাদিকতার সঙ্গেই সংসার করেছি বা করছি। যারা মালিকপক্ষ হতে চাইনি, হইনি বা হতে পারিনি। সাংবাদিকতার খাতিরে, বরং বারবার মালিকপক্ষের ঘুঁটি হয়ে ব্যবহৃত হচ্ছি- হয়েছি। তাদের সবার অসহায়ত্ব এক চাহনি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে, অমিত হাবিব চোখ বুজলেন। যেন ধমক দিয়ে বলছেন... দেখলেন তো যৌবনের, পরিশ্রমের, সততার সবটা এই পত্রিকার ব্লটিং পেপার কেমন করে শুষে নেয়, আর টয়লেট পেপারের মতো ছুড়ে ফেলে?

বিআরবি হাসপাতালের আইসিইউতে অমিত হাবিবের বেডের পাশে, আমাদের অনেকের লড়াই এবং পরিণতি মিলিয়ে নিলাম। আসলে নেতৃত্ব বা দেশ না চাইলে, শুধু আমরা ৫-৭ জন চুনোপুঁটি  সাধারণ নাগরিক সংবাদপত্র বা মিডিয়ার শুদ্ধতার ব্রতচারী হলে, ব্যক্তিগত জীবনটার অপচয় ছাড়া আর কিছুই হয় না। আর এই অপচয়ের উসুলটা ব্যবসায়ীরা পায়... পেতেই থাকে। তারা পেয়ে যায় তাদের অনৈতিকতা পাহারা দেওয়ার এলসেসিয়ান মিডিয়া।

অমিত হাবিবের অভিমান ভরা চোখ এবং টুকরো টুকরো স্মৃতিতে ভরা পুরো পরিস্থিতির ‘একটা দীর্ঘশ্বাস’ আইসিইউতে রেখে এলাম।

বাইরে এসে সোশাল মিডিয়ায় চোখে পড়লো সুইটির পোস্ট... ‘উল্লেখ্য, দেশ রূপান্তর সম্পাদক অমিত হাবিবের সার্বিক চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন রূপায়ণ গ্রুপ, তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে...  ব্লা ব্লা...।’

এই প্রেস রিলিজটা বারবার গায়ে লাগছিল। অমিতদা কি এই গ্রেস বা অনুগ্রহ ডিজার্ভ করেন? তিনি কি গ্রহণ করবেন? নাকি একজন তেজি, হার না মানা, আউট অ্যান্ড আউট নিউজে ডুবে থাকা, দ্রুত হাঁটা, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারা সম্পাদককে দেখার আমাদের অভ্যস্ত চোখও মেনে নিতে পারবে কারও সাহায্য নিয়ে বেঁচে থাকা, হুইল চেয়ারে বসা অমিত হাবিবকে?

আমার সেসব এলোমেলো মনের প্রশ্নের জবাব অমিত হাবিবই দিয়ে গেলেন। কীভাবে অপ্রয়োজনীয় হওয়ার গ্লানি না নিয়ে গ্রেসফুল জার্নি অব্যাহত রাখতে হয়...!  

ক্রিকেটপ্রিয় অমিত হাবিব, আপনাকে হ্যাটস অফ... ইনিংসটা গ্রেসফুল ছিল।

লেখক: প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএন নিউজ

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
দাপট দেখিয়ে হায়দরাবাদকে হারালো গুজরাট
দাপট দেখিয়ে হায়দরাবাদকে হারালো গুজরাট
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
সব কালো আইন বাতিলের দাবি ডিআরইউর
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসসব কালো আইন বাতিলের দাবি ডিআরইউর
সর্বশেষসর্বাধিক