X
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
৩১ বৈশাখ ১৪৩১

‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি পাওয়া কেন জরুরি?

জনি হক
২০ আগস্ট ২০২২, ১০:১৪আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২২, ১৩:২৩

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’কে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো বিষয়টি ঝুলে আছে তো আছেই। সেন্সর বোর্ড মনে হয় না বিষয়টি সুরাহার জন্য কিছু করবে বা করার ক্ষমতা রাখে। যদিও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ছবিটি আবারও দেখেছেন। নির্মাতা ফারুকী সেন্সর বোর্ডকে সাত দিন সময় দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আগামীকাল সেই সাত দিন শেষ হবে। তারপর তিনি হয়তো আইনের পথে হাঁটবেন। মনে হচ্ছে, শেষমেষ নির্মাতাকে উচ্চ আদালতের দুয়ারেই যেতে হবে। আদালত নিশ্চয়ই সঠিক রায় দেবেন। তাছাড়া যেভাবে জনমতের জোয়ার উঠেছে তাতে করে ছবিটি আর বেশিদিন আটকে রাখা যাবেও না।

‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি পাওয়া কেন জরুরি? বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবের দৃষ্টিকোণ থেকে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি আসুন।

বেলজিয়ামের ব্রাসেলস ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম প্রডিউচার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএপিএফ) হলো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাদের অনুমোদিত এ-গ্রেডের উৎসব রয়েছে ১৫টি। এগুলো হলো ফ্রান্সের কান, জার্মানির বার্লিন, ইতালির ভেনিস, কানাডার মন্ট্রিয়াল, সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো, স্পেনের সান সেবাস্তিয়ান, রাশিয়ার মস্কো, চেক প্রজাতন্ত্রের কারলোভি ভেরি, চীনের সাংহাই, মিসরের কায়রো, এস্টোনিয়ার তালিন ব্ল্যাক নাইটস, জাপানের টোকিও, ভারতের আইএফএফআই, পোল্যান্ডের ওয়ারশো এবং আর্জেন্টিনার মার দেল প্লাতা।

বি-গ্রেডের উৎসবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য– সিডনি, বুসান, মুম্বাই, কলকাতা, মিলান, কেরালা, সিনেমা জভে, তুরিন প্রভৃতি। এছাড়া রোম, টরন্টো, সানড্যান্স, রটারডাম, ভিয়েনা, বিএফআই লন্ডনকে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ভাবা হয়ে থাকে। 

সাম্প্রতিক সময়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বেশকিছু মুক্ত চলচ্চিত্র বিশ্বমঞ্চে নিজস্ব একটি অবয়ব ও পরিচয় দেখাতে পেরেছে। তরুণ নির্মাতারা নতুন ঢঙে গল্প বলে ও নতুন ভাষায় ছবি নির্মাণ করছেন বলেই ভিনদেশি প্রযোজক-পরিবেশকরা বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোতে আমাদের অংশগ্রহণের সুযোগ বেড়েছে। প্রতিযোগিতা করে হোক কিংবা আবেদনের মাধ্যমে তরুণ নির্মাতারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তহবিল পাচ্ছেন। সেই চিত্রটা চোখে পড়ার মতো।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন যারা, তাদের মধ্যে অবধারিতভাবেই সামনের কাতারে থাকবেন তারেক মাসুদ এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন দিনের চলচ্চিত্রের প্রতিনিধি বলা যায় এই দুই নির্মাতাকে। তারা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনের আয়নাটা বদলে দিয়েছেন। যেসব ছবি বিশ্বকে জানিয়েছে– বাংলাদেশও বিশ্বমানের ছবি বানায়, সেই তালিকায় তাদের নির্মাণগুলো তরুণদের পাঠ্য।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অর্জনের কমতি নেই। ২০১৯ সালে ‘শনিবার বিকেল’ মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪১তম আসরে দুটি পুরস্কার পেয়েছে। এগুলো হলো রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার এবং কমেরসান্ত পুরস্কার। এছাড়া বুসান ও সিডনি উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নেয় ছবিটি।

২০১৭ সালে ‘ডুব’ ছবির সুবাদে প্রথমবার কমেরসান্ত পুরস্কার জেতেন ফারুকী। এটি সাংহাই উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় এবং বুসান, কেরালা ও আইএফএফআই-এ অফিসিয়াল সিলেকশনে ছিল। তার ‘টেলিভিশন’ লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোরস স্ক্রিনিংয়ে এবং কেরালা উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে ছিল। এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় বুসান উৎসবে। বুসানে এশিয়ান সিনেমা ফান্ড জেতে ছবিটি। এছাড়া কলকাতা উৎসবে নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড পায় এটি। এরপর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ সাংহাই এবং কেরালা উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়। এছাড়া বুসান উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে ছিল এটি।

‘শনিবার বিকেল’ আটকে থাকলেও আরেকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়িয়ে যাচ্ছেন ফারুকী। এটি হলো “নো ল্যান্ড’স ম্যান”। তালিন ব্ল্যাক নাইটস উৎসবে এর অফিসিয়াল স্ক্রিনিং হয়েছে। কায়রো উৎসবে ছিল ছবিটির স্পেশাল স্ক্রিনিং। বুসান উৎসবে এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে অফিসিয়াল প্রজেক্ট ছিল এটি।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম ছয়টি চলচ্চিত্র আরও অনেক উৎসব ঘুরেছে ও পুরস্কার জিতেছে। এছাড়া এশিয়া-প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে (অ্যাপসা) তার ছবিগুলো ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পেয়েছে। সিডনি, বুসান ও তালিনের মতো উৎসবে বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এসব অর্জন নিঃসন্দেহে নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। তারা নতুন ভাষায় গল্প বলার সাহস পেয়েছেন। বিশ্বমঞ্চে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখেছেন।

এমন প্রভাবশালী পরিচালক ছিলেন তারেক মাসুদ। ২০০২ সালে তাঁর ‘মাটির ময়না’ কান উৎসবের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে স্থান পেয়ে ফিপরেস্কি পুরস্কার পায়। সেই ঘটনা অনেক তরুণকে চলচ্চিত্র নির্মাণে ধাবিত করেছিল। কানের মতো বৈশ্বিক আসরে পা রাখার স্বপ্ন বাসা বেঁধেছে তাদের বুকে।

তারেক মাসুদের পর কানে বাংলাদেশের জন্য গৌরব এনে দেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে (আঁ সার্তে রিগা) জায়গা পেয়ে ইতিহাস গড়েছে তার ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। বাংলাদেশের আর কোনও ছবির এই অর্জন নেই। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ছবি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে, সেই তালিকায় এটি অন্যতম। কান ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, বিএফআই লন্ডন, স্পেনের সিনেমা জভে এবং কেরালায় প্রশংসা কুড়িয়েছে এই ছবি। এর আগে ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ।

২০১৫ সালে প্রথমবার কান উৎসব স্বচক্ষে দেখেছিলাম। এরপর আরও ছয়বার সাংবাদিকতার জন্য দক্ষিণ ফ্রান্সে সাগরপাড়ের শহরে ঘুরেছি। প্রতিবছর এখানে থাকে চলচ্চিত্র কেনাবেচার বৃহৎ বাজার মার্শে দ্যু ফিল্ম। এতে অংশ নেন হাজার হাজার পেশাদার চলচ্চিত্রজন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নির্মাতারা নিজেদের নতুন নতুন প্রকল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরার সুযোগ পান এখানে। এর অংশ হিসেবে তহবিল মিলে গেলে অনেক নির্মাতার চলার পথ মসৃণ হয়। গত সাত-আট বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি– কানে নির্বাচিত হলে যেকোনও চলচ্চিত্র পরিবেশক পাওয়াসহ বিভিন্ন পুরস্কারের দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে যায়। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকারেরা মার্শে দ্যু ফিল্মে অংশ নিয়ে বিদেশি তহবিল সংগ্রহ করেছেন। আর্থিক সংস্থানের ফলে সেসব ছবির গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে অংশগ্রহণ এবং বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিক মুক্তির পথ সুগম হয়েছে। একইসঙ্গে সমকালীন চলচ্চিত্র বাজার সম্পর্কে নতুন ভাবনার সঞ্চার হয়েছে। মার্শে দ্যু ফিল্মের মতো গোয়া ফিল্ম বাজারসহ বিভিন্ন মঞ্চ নতুন ও তরুণ নির্মাতাদের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নতুন দুয়ার খুলছে, নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলো ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দেশের পেশাদার চলচ্চিত্রজনেরা সম্ভাবনাময় নির্মাতা ও তাদের চিত্রনাট্য খুঁজে বের করে থাকে। লোকার্নো উৎসবের ‘ওপেন ডোরস’-এ প্রতিযোগিতায় থাকা কামার আহমাদ সাইমনের ‘ডে আফটার টুমরো’ ছবির চিত্রনাট্য কানের সিনেফঁদাসো শাখার লাতেলিয়ার কার্যক্রমে নির্বাচিত হয়। বিশ্ব-চলচ্চিত্রের আঙিনায় মুক্ত ছবির নির্মাতাদের প্রবেশের জন্য এই ‘ওপেন ডোরস’ কর্মসূচি বিরাট একটি সুযোগ হিসেবে পরিচিত। এর মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণের তহবিল, সম্ভাব্য বিপণনকারী ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যা মেলে। একইসঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে জায়গা পাওয়ার পথ তৈরি হয়।

কোনও নির্মাতা কিন্তু চাইলেই নিজের ছবি প্রথম সারির উৎসবে ঢোকাতে পারেন না। উৎসব কর্তৃপক্ষের মর্জির ওপর নির্ভর করে সেটা। সেই মর্জি কীভাবে হয় সেটা নির্বাচিত ছবিগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। 

বাংলাদেশের বেশকিছু চলচ্চিত্র অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঘুরেছে। সেই তালিকায় রাখা যায় গোলাম রাব্বানী বিপ্লবের ‘স্বপ্নডানায়’ (সাংহাই), রুবাইয়াত হোসেনের ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ (লোকার্নো, মন্ট্রিয়েল), রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনা জলের কাব্য’ (লন্ডন, বুসান, তুরিন), আবু শাহেদ ইমনের ‘জালালের গল্প’ (বুসান, গোয়া), নূর ইমরান মিঠুর ‘কমলা রকেট’ (গোয়া), বিজন ইমতিয়াজের ‘মাটির প্রজার দেশে’। মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবির মধ্যে জসীম আহমেদ প্রযোজিত ‘মায়ার জঞ্জাল’ (সাংহাই, মস্কো, কেরালা), মোহাম্মদ রাব্বি মৃধার ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’ (সাংহাই, বুসান), যুবরাজের ‘আদিম’ (মস্কো) উল্লেখযোগ্য উৎসবে স্থান পেয়েছে। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে অংশগ্রহণের গুরুত্ব কতটা সেটা আমরা দিনে দিনে দেখে আসছি।

প্রশ্ন হলো, ‘শনিবার বিকেল’-এর সেন্সর ছাড়পত্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক উৎসবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সম্পর্ক কোথায়? সম্পর্ক আছে। বেশ গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যেসব ছবি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের নিজস্ব ভাষা তৈরি করে চলেছে, সেগুলোরই একটি ‘শনিবার বিকেল’। ছবিটি মানবিকতার গল্প দেখিয়েছে দুনিয়াকে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা ছবিটি দুনিয়া দেখলো। কিন্তু আমরা এখনও দেখতে পারলাম না!

‘শনিবার বিকেল’কে ঝুলিয়ে রেখে আপিল বোর্ড নির্মাতার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। শিগগিরই ‘শনিবার বিকেল’কে মুক্তি দিয়ে সেন্সর বোর্ড দায়মুক্ত হোক। এ ধরনের চলচ্চিত্র যদি আটকে থাকে নতুন ধারার মুক্ত নির্মাতারা নতুন ঢঙে, নতুন ভাষায় গল্প বলার সাহসটা হারাতে পারেন। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের অবস্থান আরও মজবুত করতে তাই এমন ছবি নিয়মিত হওয়া দরকার। সেজন্য উৎসাহ দেওয়াটা জরুরি। দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়ন ও বিকাশের স্বার্থে ‘শনিবার বিকেল’কে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়ার বিকল্প নেই।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর আন্তর্জাতিক খ্যাতি আছে। উৎসবগুলোতে তাকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তার ছবি আটকে আছে এমন খবর যদি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসে, তখন দেশের ভাবমূর্তি কোথায় থাকবে? ইরান তাদের প্রথিতযশা চলচ্চিত্র পরিচালকদের গ্রেফতার করে গোটা বিশ্বে সমালোচিত হচ্ছে। আমরাও সেই একই ধরনের দুর্নাম কুড়ালে আগামীর তরুণ নির্মাতাদের জন্য বৈশ্বিক মঞ্চে যাওয়ার সুযোগ কমে যাওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কী বলেন?

লেখক: গীতিকবি; ডেপুটি নিউজ এডিটর, বাংলা ট্রিবিউন

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পর্দা উঠলো কান উৎসবের, মেরিল স্ট্রিপ ও মেসির ফেরা
কান উৎসব ২০২৪পর্দা উঠলো কান উৎসবের, মেরিল স্ট্রিপ ও মেসির ফেরা
বাংলা ট্রিবিউনের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন লিলি
কান উৎসব ২০২৪বাংলা ট্রিবিউনের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন লিলি
এমবাপ্পে রিয়ালে খেলবেন, নিশ্চিত করলেন লা লিগা প্রধান
এমবাপ্পে রিয়ালে খেলবেন, নিশ্চিত করলেন লা লিগা প্রধান
লখনউকে হারিয়ে রাজস্থানকে প্লে অফে তুললো দিল্লি
লখনউকে হারিয়ে রাজস্থানকে প্লে অফে তুললো দিল্লি
সর্বশেষসর্বাধিক