X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গানের কবিতায় কাব্যকৃতি

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:০৯আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:০৭

“জয় বাংলা বাংলার জয়
হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়ই
কোটিপ্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য ওঠার এইতো সময়...”

এই একটি গানের কবিতা লেখার পর, বাংলাদেশের কিংবদন্তি, গানের কবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার যদি আর একটি গানের কবিতাও না লিখতেন; তবু তিনি অমর হয়ে থাকতেন। কিন্তু তাঁর মতো সৃজনের অবিরাম ধারা যার মধ্যে প্রবাহিত ছিল, তিনি কি তৃপ্ত হয়ে কৃতিত্বের একমাত্রায় থেমে যেতে পারতেন?

প্রকৃতপক্ষে এই কিংবদন্তি গীতিকবি ১৯৬৪ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা শুরু করেন। বেতার, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে অকৃপণ হাতে দিয়ে গেছেন অজস্র মণি-মুক্তা। সেই ধারা আরও অর্থবহ হয়ে প্রবহমান ছিল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।

বাংলাদেশে আধুনিক বাংলা গানকে নিছক পদ্যের অবস্থা থেকে আধুনিক, কিন্তু সুবোধ্য কবিতার মর্যাদায় উন্নীত করতে যারা উদ্যোগী হয়েছিলেন; তাদের মধ্যে ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। গাজী মাজহারুল আনোয়ার সেই ধারায় এক অবিরাম প্রস্রবণের মতো এসে যুক্ত হলেন। তাঁর সমসাময়িক আরও একজনের নাম উল্লেখযোগ্য, তিনি ছিলেন অকালপ্রয়াত মাসুদ করিম।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির তালেশ্বর গ্রামে। কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চিকিৎসা শাস্ত্রে অধ্যয়নের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যার ভেতরটা ভেজা ছিল গীতিকবিতার অমৃত রসে, চিকিৎসা শাস্ত্রের শুষ্ক কাঠিন্য কি তাঁকে বেঁধে রাখতে পারতো? স্বাভাবিকভাবেই অন্তরের কবির জয় হলো। ইতি ঘটলো চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়নের।

তখন ঢাকা বেতারই ছিল একমাত্র প্রচারমাধ্যম, যারা গীতিকবির যোগ্যতা নির্ধারণ করতেন। অর্থাৎ কোন কোন গীতিকবির রচনা সুরের মাধ্যমে গানে রূপান্তরযোগ্য, তার বিচারের ভার ছিল বেতারের কর্মকর্তাদের হাতেই। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গীতিকবিতায় তাঁরা মুগ্ধ হলেন এবং বেতারের তালিকাভুক্ত ‘গীতিকার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন অবলীলায়।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার বিরচিত গানের সংখ্যা বিপুল। অনুমিত হয় ২০ সহস্রাধিক। এত বিপুল সংখ্যক রচনার সবক’টি নিয়ে আলোচনা করা অসাধ্য সাধনের বিষয়। আমি বিশেষত তাঁর প্রতিনিধিত্বকারী গানগুলো নিয়েই কিছু বলার চেষ্টা করবো। বেতার, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের যে সমস্ত গান মানুষের মুখে মুখে ঘোরে এবং যেগুলো কালাতিক্রমী হয়েছে ও হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছে, সেগুলো অল্পবিস্তর আলোচনার দাবি রাখে।

বাংলাদেশে সম্ভবত সমসাময়িক এমন কোনও মেধাসম্পন্ন সুরস্রষ্টা নেই, যিনি তাঁর গানে সুরারোপ করেননি। গানের কবিতায় আমরা কাব্য বলতে কী বুঝি? আমাদের সবারই দৃষ্টি আছে, আমরা দেখি। আমরা যেভাবে দেখি এবং অনুভব করি, তার প্রকাশ হয় স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু সেই একই বিষয়কে কবি এমনভাবে প্রকাশ করেন, যা শুনলে প্রথমত চমকে যেতে হয়, পরে ভাবনা আসে। এমনভাবেও অনুভব করা বা অনুভূতির প্রকাশ ঘটানো যায়? আমরা সবাই দেখি আকাশ নীল, বাতাস প্রবাহিত হয়, তাতে কোনও না কোনও গন্ধ থাকেই। রাতের ঝোপঝাড়ে জোনাকি জ্বলে, নদী প্রবাহিত হয়ে যায়। কিন্তু যখন শুনি,

“আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল
বাতাসের আছে কিছু গন্ধ
রাত্রির গায়ে জ্বলে জোনাকি
তটিনীর বুকে মৃদু ছন্দ।।”

তখন এই প্রকাশটা স্বাভাবিকভাবেই চমকে দেয়। একটা ভিন্ন রকমের ভালোলাগা হৃদয়কে দুলিয়ে যায়। কবি এবং সাধারণ মানুষের ভাবনার পার্থক্য এখানেই। কাব্যে উপমা রূপক চিত্রকল্প, এমন বহু কিছুর সম্মিলন ঘটে এবং সেটিও কিন্তু অকারণ নয়। এই গানটি যারা শুনেছেন, তাঁরা এর পরবর্তী পঙক্তিগুলো শুনলেই বুঝবেন এটা একটি নারীর প্রকাশের দ্বিধাজনিত উচ্চারণ, যার প্রকাশ ঘটেছে গানটির সঞ্চারীতে এসে। যেখানে বলা হচ্ছে,

“ভেবে তো পাইনি আমি কী হলো আমার
লজ্জা প্রহরী কেন খোলে নাকো দ্বার”

অর্থাৎ আকাশের যা আছে, বাতাসের যা আছে, রাত্রির যা আছে, তটিনীর যা আছে; শুধু তা-ই কেন, এর চেয়ে অনেক বেশি আমার আছে। কিন্তু লজ্জাপ্রহরী প্রকাশের দ্বার বন্ধ করে রেখেছে। লজ্জাপ্রহরী এই শব্দবন্ধের কথা ভাবুন, এটাই তো কবিকৃতী। এবং গানটির শেষ পঙক্তিদ্বয়ে তা পূর্ণভাবে প্রকাশিত। কারণ, অভোগ শব্দের অর্থই হলো পরিপূর্ণ ভোগ। সেখানে এসে তাই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে,

“বলি বলি করে তবু বলা হলো না
জানি না কীসের এত দ্বন্দ্ব”

এভাবে প্রতিটি কাব্যগুণসমৃদ্ধ গানের কবিতাকে বিশ্লেষণ করতে গেলে তা এক বিশাল প্রবন্ধের বই হয়ে যাবে। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের এমন বা এর চাইতে ঢের বেশি কাব্যগুণসমৃদ্ধ গানের সংখ্যা প্রচুর। আমি শুধু কিছু গানের অস্থায়ী উল্লেখ করবো।

“লোকে বলে রাগ নাকি অনুরাগের আয়না
যা বলে বলুক লোকে
সন্দেহ ভরা চোখে
আমি তো কারও পানে চাই না...”

এই গানের কবিতায় প্রেমের মান-অভিমানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই মুহূর্তে মান যে করেছে, তার রাগ আবার অনুরাগ হয়ে উঠবে সে কথা কি সে স্বীকার করে? কিংবা ধরুন,

“আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে
কেন সৈকতে পড়ে আছি
কোন অশ্রুভেজা স্বপনে
মনে তাজমহল গড়েছি...”

এই গানের কবিতার শেষ পঙক্তিটি উচ্চারণ করলেই এক বিরহীর জীবন ভাবনাকে উপলব্ধি করা যাবে। ‘জীবনের চাওয়াটাকে মুছে ফেলে/শূন্যতাকে আমি ধরেছি।’ ভালোবাসার দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার পর যখন উপলব্ধি হয়, সব হারিয়ে গেছে, তখনই মনে হয় যেন সাত সাগর পাড়ি দিয়েও হায় সৈকতেই পড়ে আছি!

আমি এখন যে দুটি পঙক্তির কথা বলবো, সেটি একটি গানের সঞ্চারী। আমি বহুকাল আগে থেকেই এই পঙক্তি দুটির প্রেমে পড়ে আছি।

“যে কুড়ায় কাঁচের গুঁড়ো
পথের ধারে হীরে ফেলে আঁচলে চন্দ্র ঢেকে
সে হয় খুশি পিদিম জ্বেলে
গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে
জীবন খাতার ছিন্ন পাতা
শুধু বেহিসাবে ভরে রবে...”

যে সঞ্চারীটির কথা উল্লেখ করেছি, সেই গানের শুরুর পঙক্তিদ্বয় অর্থাৎ অস্থায়ী এটা। ছবির দৃশ্যে দেখা যায়– যে যাকে ভালোবাসে, সে ঘরেই আছে। সেই মূল মানুষটিকে ফেলে বা না চিনে নায়িকা অন্যদের মধ্যে খুঁজে ফিরছে নায়ককে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সঞ্চারীর পঙক্তিটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি কাব্যবিচারে অসম্ভব সুন্দর।

না, এভাবে প্রতিটি গান ধরে ধরে বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। তিনি মূলত চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গানের কবিতার রচয়িতা। সেখানে বিভিন্ন বিচিত্র চরিত্রের নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান, পারিবারিক অবস্থা, পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে তাঁকে লিখতে হয়েছে। গানের বাণীও তাই চরিত্রানুগ করার জন্য কাব্য ভাষারও পরিবর্তন করতে হয়েছে। এমনও চরিত্র আছে যার পক্ষে হয়তো কাব্য করাও সম্ভব নয়। সেখানে সংলাপের মতো কিছু কথাকেই গানে গানে রূপান্তরিত করতে হয়েছে। তার বিশাল ভাণ্ডারে এর সবকিছুই আছে।

তাই এমন বেশ কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে কাব্যকে সরিয়ে রাখতে হয়েছে। কাব্যবিচারে তা মানসম্মত বলে মনে না হলেও ছবির পরিবেশের বিচারে তা মানিয়ে গেছে। গাজী মাজহারুল আনোয়ার একজন ছন্দজ্ঞানসম্পন্ন কবি। কিন্তু ছন্দ ও অন্ত্যমিলে বিশেষত চলচ্চিত্রের গানে, অবস্থাকৌশলে তিনি ছন্দ ও অন্ত্যমিলের কঠিন অনুশাসন এড়িয়ে গেছেন। যাঁর রচনার সংখ্যা এত বিপুল, তার পক্ষে সব ক্ষেত্রে সমান দৃষ্টিদান সম্ভব না হওয়াই স্বাভাবিক।

এছাড়াও থাকে সংগীত পরিচালকের তাড়া। এমন অবস্থা চলচ্চিত্রে গানের কবিতা রচয়িতা সবার ক্ষেত্রে কম বেশি ঘটেছে। গাজী মাজহারুল আনোয়ার চলচ্চিত্রের প্রায় সকল সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। সর্বজনাব সত্য সাহা, আনোয়ার পারভেজ, সুবল দাস, সমর দাস, আলতাফ মাহমুদ, রবীন ঘোষ, আলাউদ্দিন আলী, খোন্দকার নুরুল আলম, আব্দুল আহাদ, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলসহ অনেক বয়োঃকনিষ্ঠদের কাজও তাকে করতে হয়েছে, অনেক সময় নিরুপায় হয়ে। এর সবই যে চলচ্চিত্রের জন্য তা নয়। এরমধ্যে অনেক মৌলিক আধুনিক গান বিশেষ করে দেশের গান তো আছেই। গাজী মাজহারুল আনোয়ার জীবনে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও। রাষ্ট্রীয়ভাবে পেয়েছেন একুশে পদক।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিবিসি জরিপ ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের বিচারে তাঁর তিনটি দেশের গান পুরস্কৃত হয়েছে। এগুলো হলো–‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ (গানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচার শুরুতেই প্রতিদিন বাজানো হতো), ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’ এবং ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’।

সবশেষে বলতে হয়, জনপ্রিয়তার বিচারে তিনি যে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন, সেখানে আর কেউ কখনও পৌঁছাতে পারবেন কিনা সন্দেহ। এই জনপ্রিয়তা শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বোদ্ধাজন বলে যাঁদের গণ্য করা হয় তাঁদের অন্তরেও। তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু দেশাত্মবোধক গান, কিছু আধুনিক বাংলা গান ও কিছু চলচ্চিত্রের গানের তালিকায় রাখছি ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে আলো নদীর এক দেশ’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুমপাড়ানি মাসি হতে দেবো না’, ‘মন ছুটে যায় আহারে সবুজের ছায়া ঘেরা তেপান্তরে’, ‘আমাদের পতাকা আমাদের মান সত্য সুন্দর বিজয় নিশান’, ‘আমার গানের অস্থায়ী আমার বাংলাদেশটা’, ‘আমার খাতায় প্রতি পাতায় প্রতি কবিতায়’, ‘ধনে আর ধানে ভরা সুরে আর গানে ভরা’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘সে যে কেন এলো না কিছু ভালো লাগে না’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম এই প্রেম তোমাকে দিলাম’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে কেন সৈকতে পড়ে আছি’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলে কমে’, ‘আছেন আমার মুক্তার আছেন আমার বারিস্টার’, ‘পাখি খাঁচা ভেঙে উড়ে গেলে হবে অচেনা’, ‘তুমি আরেকবার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়, কেউ পায় কেউ বা হারায়’, ‘ইশারায় শিস দিয়ে আমাকে ডেকো না’ এবং ‘জানতাম যদি শুভঙ্করের ফাঁকি’।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার, যাঁর জীবন-সংগ্রাম শুরু কলম দিয়ে। তাঁর কলম দীর্ঘসময় ধরে অনর্গল লিখে গেছে জীবনের কথা, প্রেমের কথা, মানুষের কথা, মানবতার কথা, যুদ্ধের কথা, শান্তির কথা, সুখ-দুঃখের কাব্য। বহু প্রতীক্ষার পরও বাংলাদেশ আর একজন গাজী মাজহারুল আনোয়ার পাবে কিনা তা ভবিষ্যৎই জানে।

লেখক: গীতিকবি ও কলামিস্ট

/এমএম/জেএইচ/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ