X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন সরকার কোন পথে স্বাস্থ্যসেবায় দ্রুত উন্নয়ন আনতে পারে

স ম মাহবুবুল আলম
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে নতুন সরকার গঠন করার পথে। নতুন সরকারের স্বাস্থ্য খাতে যারা নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে, তারা আগামী পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা উন্নয়ন ঘটাতে কতটুকু প্রস্তুত?

দলের নির্বাচনি ইশতেহারে তার একটা মনোজাগতিক প্রস্তুতি খুঁজে পাওয়া যেতে পারতো! শেষ মুহূর্তে ঘোষিত নির্বাচনি ইশতেহারে ১১টি অগ্রাধিকারের তালিকায় সাত নম্বর অঙ্গীকারটি- “নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা”। তবে ১০০ শব্দে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে (যা গত ২০১৮ সালের ইশতেহার থেকে ৫০ শব্দ কমে) তৈরি ইশতেহারে সেই অঙ্গীকার পূরণের পথরেখা দেখানো নেই।

স্বাস্থ্য খাতে প্রধান সমস্যা কী তা চিহ্নিত করতে না পারলে, অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে কর্মসূচি দেওয়াও সম্ভব নয়। তাই এক কথায় স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ইশতেহারের লিখনকে একটি দায়সারা গোছের বলতে হয়। আমার একটি কলামে “আগামী নির্বাচনে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ইশতেহারে কী প্রত্যাশা” শিরোনামে একটি ফর্দ দিয়েছিলাম। জনগণের জন্য সমতার ভিত্তিতে একটি অর্থসাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বহুমুখী জটিল চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। সীমিত সম্পদের মধ্যে একটি উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রাধিকার নির্ণয় করতে পারাটাই সাফল্যের প্রথম ধাপ।

আসুন দেখি কোনগুলো আমাদের বাস্তবায়নযোগ্য অগ্রাধিকার হওয়া উচিত:

১. আগামী বছরের বাজেটেই স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি’র ২ শতাংশ বরাদ্দের অঙ্গীকার রেখে সরকারকে কাজে হাত দিতে হবে।

পর্যায়ক্রমিকভাবে পরবর্তী বাজেটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশকৃত জিডিপি’র ৫ শতাংশে উন্নীত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রাখতে হবে। বাংলাদেশে মাথাপিছু বার্ষিক স্বাস্থ্যব্যয় ৪৬ ডলার; বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির এক শতাংশ। একটু বোঝার সুবিধার জন্য উদাহরণের সাহায্য নিই- যুক্তরাজ্যে এই ব্যয় ৪ হাজার ৫০০ ডলার যার প্রায় পুরোটাই সরকার বহন করে; বাজেটে তাদের বরাদ্দ জিডিপির ১০ শতাংশ। বাংলাদেশে যে ৪৬ ডলার খরচ হয় তার ৬৭ ভাগ ব্যক্তির নিজের পকেট থেকে দিতে হয়।

বাংলাদেশে একজন রোগীর প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা গ্রহণে প্রধান প্রতিবন্ধক ব্যক্তির নিজের পকেট থেকে এই অতি উচ্চ তাৎক্ষণিক ব্যয়। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করতে হলে রোগীর পকেট থেকে এই অতি উচ্চ তাৎক্ষণিক ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।

২. সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে একটি জাতীয় স্বাস্থ্য ডাটাবেজ (ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম) গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় ডাটাবেজ থেকে সমগ্র জনসাধারণের প্রাপ্ত স্বাস্থ্য তথ্য মুখ্য ভূমিকা রাখবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার প্রবণতা বিশ্লেষণ, নীতিনির্ধারণ ও সীমিত সম্পদের সঠিক বরাদ্দ রাখতে। তবে স্বাস্থ্য ডাটাবেজ প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমকে চিকিৎসক ও রোগীবান্ধব, দক্ষ এবং সেবা প্রদানে ভুলত্রুটি হ্রাস করে উন্নত করবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে এবার প্রথমবারের মতো একটি হেলথ আইডি প্রদান ও হাসপাতাল অটোমেশন ব্যবস্থাপনা চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির অভাবিত বিকাশের এই রকম একটি সময়ে খণ্ডিত সফটওয়্যারের ধারণা, স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাকে সহজ না করে সমাধানকে আরও কঠিন এবং অপচয়মূলক করবে। কত দ্রুত সরকার একটি স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীবান্ধব জাতীয় ডাটাবেজ চালু করতে পারছে তা দিনশেষে (পাঁচ বছর শেষে)  নির্ধারণ করে দিবে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের সাফল্য।

৩. কমিউনিটি ক্নিনিককে কেন্দ্রে রেখে জনবলের পুনর্বিন্যাস ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার শক্ত ভিত গড়ে তুলতে হবে।

একটি শক্তিশালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাই কেবল আমাদের প্রতিশ্রুত সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার কর্মসূচিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। কার্যকর রোগ প্রতিরোধ ও প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয়ের সুযোগ তৈরি করে দেবে। তথ্য প্রযুক্তি ও আধুনিক পয়েন্ট অব কেয়ার ব্যবস্থাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে। উপজেলা এবং সাব সেন্টারভিত্তিক ছোট ছোট চিকিৎসকদের দল কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর চিকিৎসা সেবা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কার্যক্রমের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবে। টেলিমেডিসিন ও স্মার্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জেলা ও বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে দ্রুততম সময়ে রোগীর যৌক্তিক রেফার নিশ্চিত করবে। যা বাংলাদেশে বহু কাঙ্ক্ষিত রেফারেল পদ্ধতির প্রতিষ্ঠা করবে।

৪. গ্রামীণ কমিউনিটি ক্লিনিকের আদলে গরিব ও সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা কাঠামো তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশের নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ও সেখানে ব্যাপক গলদ বিদ্যমান। বর্তমানে স্থানীয় সরকারের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব তুলে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে অর্পণ করতে হবে।

৫. একটি কার্যকর ও স্বয়ংসম্পূর্ণ জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এই লক্ষ্যে সরকারকে জেলা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। জেলা হাসপাতালকে সব বিশেষজ্ঞ ও পর্যায়ক্রমিকভাবে বিশেষায়িত সেবা প্রদানে সক্ষম হতে হবে। সব জরুরি চিকিৎসা, জীবন রক্ষাকারী ব্যবস্থা (আইসিইউ, সিসিইউ) ও রোগ নির্ণয়ের আধুনিক ল্যাবরেটরি ও ইমেজিং পরীক্ষার সক্ষমতা থাকতে হবে। কোনও রোগীকে যেন জেলা হাসপাতালকে পাশ কাটিয়ে টারশিয়ারি কেয়ারে চলে যেতে না হয়। জেলা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিচালনায় আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকতে হবে। স্থানীয়ভাবে নষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামত ও তাৎক্ষণিক জনবল নিয়োগের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দিতে হবে। তারা পুরো জেলার স্বাস্থ্য তথ্য, প্রশিক্ষণ, জনস্বাস্থ্যের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণসহ জেলাভিত্তিক স্বনির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিবে।

৬. আমাদের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করতে হবে। এ জন্যে সর্বপ্রথম যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। নেতৃত্ব নির্বাচনে আনুগত্য, স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে মেধাকে স্থান দিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমিকভাবে নন-প্র্যাকটিসিং করতে হবে। প্রতিবেশী দেশে যে সুযোগ-সুবিধা, বাজেট ও বিধি ব্যবস্থা আছে তার আদলে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি শুরু করতে পারি। তখনই এই প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন চিকিৎসা, ওষুধ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা করতে সক্ষম হবে।

৭. একটি  দক্ষ ও শক্তিশালী লজিস্টিক  সরবরাহ ব্যবস্থা  প্রয়োজন। যা দেশের সর্বত্র ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর মজুত গণনা ও নিরীক্ষণের মাধ্যমে জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবে। স্বচ্ছ এবং সু-নিয়ন্ত্রিত ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী মূল্য পণ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রীর মান ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও তদারকি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তারও আগে সরকারকে দ্রুততম সময়ে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের একটি সময়োপযোগী গ্রহণযোগ্য তালিকা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হালনাগাদ করতে হবে।

৮. স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি মোকাবিলায় সামগ্রিক ও কৌশলগত মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমনে তীব্র অসন্তোষ। স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও সম্পদের বিপুল অপচয়ের গল্প আরও বেশি চাউর। নির্বাচনি প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়েছেন। এবার প্রমাণ করার সময়। আইন ও প্রবিধান এবং স্বাস্থ্যসেবার কাঠামোগত বিন্যাস এমন হবে যেন প্রতিটা স্তরে স্বচ্ছতা, তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ ও জবাবদিহি নিশ্চিত  থাকে।

এক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ও টেকনোলজিকে দুর্নীতি কমাতে প্রধান হাতিয়ার করতে হবে।

৯. স্বাস্থ্যসেবায় জনবলের ঘাটতি পূরণ, জনবলের বিভিন্ন অংশের (যেমন-চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্ট) অনুপাতকে  যৌক্তিক ও ভারসাম্যমূলক করে জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধিতে  প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে হবে।

বিশেষত সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে নার্স, মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট ও টেকনোলজিস্টের বেতন, সামাজিক মর্যাদা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, চিকিৎসকদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলির ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক মানদণ্ড নির্ধারণ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

১০. সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে সেবা প্রাপ্তির সুযোগ, সেবার মান ও ব্যয়ের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে।

সরকারি খাতের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর ভূমিকা সংকুচিত করতে হবে। সেবা প্রদানকারীর মুখ্য ভূমিকা থেকে সরে এসে সরকারি খাতকে স্বাস্থ্য-শিক্ষা, গবেষণা, জনশক্তি তৈরি, মান উন্নয়ন ও তদারকিতে উচ্চ সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

একটি মিশ্র স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপ্তি, উন্নতি ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা কীভাবে সরকারি খাতের পরিপূরক শক্তি হয়ে গুণিতক প্রভাব তৈরি করতে পারে তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।

১১. কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করতে হবে।

সুখী স্বাস্থ্য সেবা কর্মী ছাড়া উন্নত সেবা আশা করা যায় না। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জীবনমান, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অনৈতিক আচরণ, অপচিকিৎসা ও রোগীদের অভিযোগ দ্রুত গ্রহণ, তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য নীতিকাঠামো তৈরি করতে হবে।
 
বিগত সরকারগুলোর কাছে স্বাস্থ্য খাত অগ্রাধিকারে ছিল না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো খাতকে উপেক্ষা করে আমরা আমাদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে  যেতে পারবো না। আর স্বাস্থ্যসেবায় উন্নয়ন আনতে হলে, স্বাস্থ্য নেতৃত্ব ও জাতীয় নেতৃত্বের মধ্যে উন্নয়নের পথ ও কৌশল নিয়ে ঐকমত্যে আসতে হবে প্রথমে।

বঙ্গবন্ধু বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সারা জীবন রাজনীতি করে গেছেন। হাজার বছরের বঞ্চিত, শোষিত দুঃখী বাঙালির চিকিৎসা প্রাপ্তির জন্য হাহাকারের আজও শেষ হয়নি। আবারও বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক দল আরও শক্তিশালীভাবে ক্ষমতায়  ফিরে এসেছে। নতুন সরকার কি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সহজ সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাস্থ্য সুবিধা বঞ্চিত কোটি মানুষের মলিন মুখে হাসি ফুটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে?

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। কনসালটেন্ট, ল্যাবরেটরি মেডিসিন, এভার কেয়ার হাসপাতাল। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিষয়ক কলামিস্ট।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ