X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ

স্বদেশ রায়
১৫ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৪০আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৪০

এ সপ্তাহে পৃথিবীর রাজনীতিতে অন্যতম বড় ঘটনা ১৬ অক্টোবরের চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) বিশতম কংগ্রেস। ১০ কোটি পার্টি মেম্বরের একটি রাজনৈতিক দলের ২৩০০ ডেলিগেট যোগ দেবেন ওই কংগ্রেসে। যে ডেলিগেটদের তিন ভাগের দুইভাগ চীনের সামরিক ও বেসমারিকসহ সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। শুধু দশ কোটি মেম্বারের পার্টি হিসেবে নয় বা ২৩০০ গুরুত্বপূর্ণ ডেলিগেট অংশ করবেন বলেও এই কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের পার্টি অনুশাসন অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছর চীনের কর্ণধার কে হবেন তা নির্ধারণ করার বা অনুমোদন দেওয়ার জন্যেই এটা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এ মুহূর্তের পৃথিবীর দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশটির এমন একটি ঘটনা যে কংগ্রেসের মাধ্যমে ঘটার কথা সেদিকে সকলেরই চোখ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। 

বিশ্বের বড়-বড় মিডিয়া অনেক গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি কভার করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিশ্ব রাজনীতির এমন বড় ঘটনা যেমন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দীর্ঘ সময় ধরে ও নানান বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে মিডিয়াতে গুরুত্ব পায়, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস তার দশভাগের একভাগও গুরত্ব পাচ্ছে না। এই গুরুত্ব না পাওয়ার মূল কারণ কোনও মতেই মিডিয়ার অনিহা বা অন্য কোনও কূট কৌশল নয়। বরং পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়ার যে সকল সাংবাদিক এই কংগ্রেসের প্রস্তুতির নিউজ কভার করছেন– তাদের অনেকের মত হলো, বিষয়টি বোরিং।

এত বড় একটা রাজনৈতিক ঘটনা বোরিং হওয়ার মূল কারণ সিসিপির কংগ্রেস যত বড়ই হোক না কেন, আর যতই আড়ম্বরপূর্ণ হোক না কেন– বেশিভাগই জানেন এই কংগ্রেস শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা বা নিয়মের বাধ্যবাধকতা। কারণ এই কংগ্রেসের ভেতর দিয়ে সিসিপির নেতৃত্বে কোনও পরিবর্তন আসবে না। শি জিনপিং’ই আগামী পাঁচ বছরের জন্যে পার্টির সেক্রেটারি হবেন। আর পার্টির সেক্রেটারি হিসেবে তিনিই সে দেশের কর্ণধার বা প্রেসিডেন্ট থাকবেন। এবং এই কংগ্রেসেও তাঁর আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার বিষয়টি অনুমোদিতই থাকবে। তার কোনও পরিবর্তন হবে না।

পশ্চিমা মিডিয়ার একটি অংশ অবশ্য সিসিপির এই কংগ্রেসে শি জিনপিং- এর কিছু দুর্বল দিক খোঁজার চেষ্টা করছে। তার ভেতর অন্যতম হলো শি জিনপিং তার অনুগত স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার মনোনীত করতে পারবেন কিনা? এর পরে আরেকটি বিষয় পশ্চিমা কোনও কোনও মিডিয়া ঈঙ্গিত করছে, এই কংগ্রেসে চীনের সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের কি শেষ অবধি শি জিনপিং তার পক্ষে রাখতে সম্ভব হবে?

দীর্ঘদিন ধরে যারা চীনের রাজনীতি ও সরকারকে লক্ষ্য করছেন তারা সকলেই জানেন, খুব বড় ধরনের কোনও অঘটন যদি আকস্মিক না ঘটে তাহলে অন্তত এবারের কংগ্রেসে এ দুটি বিপদে শি জিনপিং-এর পড়ার কোনও কারণ নেই। তারপরে চীনের আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করেন এমন একজন চাইনিজ গবেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শি জিনপিং অতি সহজে এবারের কংগ্রেসে তার পছন্দের ব্যক্তিদেরকেই পার্টির নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরে বসাতে পারবেন। তাছাড়া এ মুহূর্তে চীনের সামরিক বাহিনীর ওপর শি জিনপিং-এর একচ্ছত্র নেতৃত্বই রয়েছে। তাই পশ্চিমা কিছু বিশ্লেষক কিছু গুরুত্বপূর্ণ আশঙ্কা করলেও বাস্তবে এই কংগ্রেস যে কোনও সাংবাদিকের জন্যে কিছুটা বোরিং ইস্যু।

যেহেতু এখানে কোনও উত্তেজনা থাকবে না। থাকবে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। যার ভেতর দিয়ে শি জিনপিং আরও পাঁচ বছর রাষ্ট্র ও পার্টির নেতৃত্বে থেকে যাবেন এবং শি জিনপিং-এর মাও দেজ দং এর মতো আজীবন ক্ষমতায় থাকার যে অনুমোদন গত ১৯ তম কংগ্রেস দিয়েছিলো তা বহাল থাকবে।

তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে নতুন করে এই ক্ষমতা পাওয়ার পরে শি জিনপিং দেশের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোন পথে এগুবেন? এমনকি প্রতিবেশী নিয়েও তার নীতি কী হবে?

চীনের ওই আন্তর্জাতিক বিষয়ক গবেষকের মতে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীন প্রথমেই নজর দেবে তার প্রতিবেশীদের প্রতি বিশেষ করে ভারত, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ তার মধ্যে থাকবে।

বাংলাদেশ কেন বিশেষভাবে থাকবে এ বিষয়ে তাঁর মতামত হলো, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে চীন বাংলাদেশকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেবে। বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিয়েশেটিভ (বিআরআই) এগিয়ে নেওয়ার জন্যে বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, এই বিআরআই এগিয়ে নেওয়ার জন্যে চীন আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অনেক বেশি বিনিয়োগ করবে। বিশেষ করে রোড, ব্রিজ, পোর্ট ও পোর্ট সিটি তৈরিতে তাদের বিনিয়োগ থাকবে অনেক বেশি।

শি জিনপিং কোভিড সহ নানান কারণে গত তিন বছর বিআরআই নিয়ে অনেকটা থেমে থাকলেও এবার কংগ্রেসের পরে যে এ কাজে অনেক বেশি জোর দেবেন তার প্রমাণ মেলে কোভিডের পরে চীনের প্রেসিডেন্টের প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে কাজাখস্থান ও উজবেকস্থানে যাওয়া। কারণ, বিআরআই এগিয়ে নেওয়ার জন্যে এ দুটি দেশ চীনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আর এর থেকে চায়নিজ ওই গবেষকের বক্তব্য আরও জোর পায় যে, আগামী পাঁচ বছরে এই বিআরআই এগিয়ে নেওয়ার জন্যে চীন অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে চাইবে বাংলাদেশে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোভিডের আগে চীন যে ব্যাপকহারে সারা পৃথিবীতে বিনিয়োগ করেছে এ মুহূর্তে কি তাদের সে সমর্থ আছে? জাপানের মিডিয়া ও পশ্চিমা মিডিয়া বলছে, চীনের অর্থনীতির গতি এ মুহূর্তে নিম্নমুখী। হংকং ভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের নিউজ বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর অবধি চীনে ৪.৪ মিলিয়ন মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। অন্যদিকে লোকাল গর্ভমেন্ট এমনকি স্কুল শিক্ষকদেরও বেতন পরিপূর্ণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই ৫০ ভাগ বেতন পাচ্ছেন।  এছাড়া সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ও নিক্কি এশিয়ার সংবাদ অনুযায়ী চীন এ মুহূর্তে বুশের আমেরিকায় যেমন হাউজিং সেক্টর দেশের অর্থনীতিকে নিম্নগতিতে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো– চীনেরও হাউজিং সেক্টর এখন অনেকখানি ওই অবস্থার মুখোমুখি। তাছাড়া কোভিড পরবর্তী এই যে অর্থনৈতিক মন্দা গোটা বিশ্বে চলছে এই মন্দা বাড়বে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

তবে ২০০৬ থেকে ২০০৮ এর মন্দার ভেতর দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছিলো, যে সমস্ত দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বাজার বড়– তারা কম সমস্যায় পড়েছিলো। যেমন- ভারত, চীন ও বাংলাদেশ। অবশ্য অভ্যন্তরীণ বাজার বড় থাকা সত্ত্বেও অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে মন্দা কাটাতে পারেনি। চায়নিজ ওই গবেষক মনে করেন, শি জিনপিং অভ্যন্তরীণ বাজারের প্রতি জোর দেবেন অনেক বেশি। এর পাশাপাশি তিনি সায়েন্স ও টেকনোলজি গবেষণাতে অনেক বেশি বিনিয়োগ করবেন অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সংবাদে যেমন দেখা যাচ্ছে চীনে যেমন ৪.৪ মিলিয়ন মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে- অন্যদিকে এর প্রায় তিনগুণ নতুন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে। শুধু চীনে নয় কোভিডের সময় পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ব্যাপক সংখ্যক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় ঠিকই– আবার এর পাশাপাশি এটাও সত্য টেকনোলজি ভিত্তিক নতুন ব্যবসার সুযোগও কিন্তু কোভিডের ভেতর দিয়ে পরিবর্তিত পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়েছে। আর এই ব্যবসা অবশ্যই সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ভিত্তিক। তাই এখন অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে যে দেশ যত বেশি সায়েন্স ও টেকনোলজি গবেষণায় গুরুত্ব দেবে তারা দ্রুত নতুন অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে পারবে।

শি জিনপিং-এর তার নিজ দেশের অর্থনীতি মোকাবিলার প্রশ্নের পরে স্বভাবতই সামনে আসবে রাজনীতিতে তিনি কীভাবে এগুবেন?  শি জিনপিং গত দশ বছরে পৃথিবীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্ট্যালিন নন। আর তাকে গর্ভাচেভ মনে করাও মস্ত ভুল হবে। পৃথিবীর কেউ তাকে এ দুটো মনেও করছেন না। তবে তিনি যে এ মুহূর্তে পৃথিবীতে আগের মতো আমেরিকার বিপরীতে আরেকটি জোট শক্তি দাঁড় করাতে পারবেন বা দ্বি মেরুর বিশ্ব গড়ে তুলতে পারবেন এটা অন্য দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও যেমন মনে করেন না- তেমনি চাইনিজ ওই গবেষকও মনে করেন না। তিনি মনে করেন, শি জিনপিং মাল্টি পোলার বা বহুমেরুর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্যে এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা সব জায়গাতেই তাঁর হাত রাখবেন।

কিন্তু আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া আবার এশিয়ায় জাপান ও ভারত যেমন তাকে প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ করবে তেমনি দেশের ভেতরও কি তার কোনও চ্যালেঞ্জ নেই? বাস্তবে শি জিনপিং গত দশ বছর ধরে যে পরিবর্তিত চীনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ চীনের রূপকার ডেঙ সা পিং। ডেঙ এর নেতৃত্বের সব থেকে বড় দিক ছিল পার্টিতে যৌথ নেতৃত্ব। শি জিনপিং সেটা ভেঙে একক নেতৃত্বের ধারা তৈরি করেছেন তার পার্টিতে। অর্থাৎ ইয়েস ম্যানের পার্টি। একক নেতৃত্বে একটা সময় অবধি ভালো চলা যায়– নেতাও মনে করেন তিনি খুব ভালো চলছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একক নেতৃত্ব সব সময়ই দল ও নেতাকে ভেতর থেকে নিঃশেষ করে দেয়।  এমনকি চীনেও মাও এর একক নেতৃত্বও কিন্তু চীনকে দুর্বলই করে দিয়েছিলো আর মাও এর নেতৃত্বকে কুচক্রীদের হাতেই বন্দী হতে সহায়তা করেছিলো। তাছাড়া একক নেতৃত্ব সব সময়ই দেশের ব্যবসাকে নিজের পছন্দ বা সুবিধা অনুযায়ী চলতে দিতে পছন্দ করে। শি জিনপিং এর কাজে তার আভাস আছে। তিনি চীনের অর্থনৈতিক রিফর্মের ক্ষেত্রে তার পছন্দের বাইরের প্রাইভেট সেক্টরকে বাধা দিচ্ছেন। তাদের ব্যবসা সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছেন। যেমন ‘এইচ এন এ’ গ্রুপ, ‘অ্যান ব্যঙ ইন্সুরেন্স’ গ্রুপের মতো সফল ব্যবসায়ী গ্রুপের মালিকানা তিনি জোর করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছেন। এমনকি টেক জায়েন্ট আলীবাবাকেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

তবে বড় বড় এই সব অপছন্দের ব্যবসায়ী গ্রুপ নিয়ন্ত্রণের পরেও চীনে দ্রুতই গড়ে উঠছে একটি শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণি। যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সাধারণত মধ্যবিত্ত শ্রেণির বা স্বচ্ছল ঘরের নতুন প্রজন্মের মধ্যে সব সময়ই একটা উদার চিন্তা ধারার জন্ম নিতে দেখা যায়। যেমনটি দেখা গিয়েছিলো, ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল শ্রেণির ঘরের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। আবার ১৯৩৭ সাল থেকে গড়ে ওঠা পূর্ব বাংলার মুসলিম মধ্যবিত্ত বা স্বচ্ছল ঘরের ছেলেরাই সৃষ্টি করেছিলো বাংলাদেশ আন্দোলন। চীনেও ১৯৮৯-এর তিয়ানআনমেন স্কয়ারের আন্দোলনও ঘটেছিলো স্বচ্ছল ঘরের তরুণদেরই হাত ধরে। তাই কোনও দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বাড়তে থাকলেই ভবিষ্যতে একটা উদার পরিবেশের চাপ বাড়ে। চীনের দ্রুত বেড়ে যাওয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভেতর দিয়ে ভবিষ্যতে কোনও প্রজন্ম আসবে– এটাও কিন্তু শি জিনপিং-এর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনীতির খুব হালকা কোনও বিষয় নয়। কারণ এটা আসছে সমাজের ভেতর থেকে।

আবার শি জিনপিং এর হালকাভাবে ভাবারও কোনও উপায় নেই যে ‘কোনও শাসকই আজীবনের জন্যে নয়’। কারণ, চীনে ক্ষমতা চলে গেলে স্বাভাবিক জীবনে থাকা শাসকের জন্যে অসম্ভব। তাই  ১৯তম কংগ্রেসে শি জিনপিংকে আজীবন প্রেসিডেন্ট হতে হয়েছে। আর যার অনুমোদন তিনি আবারও নেবেন এই বিশতম কংগ্রেসে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্যে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত। 

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ