X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে স্বতন্ত্র কমিশন: একটি পর্যালোচনা

ড. প্রণব কুমার পান্ডে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:০৯আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:০৯

অতি সম্প্রতি ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য "স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিশন" গঠনের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি ১৭টি সুপারিশ সংবলিত রিপোর্টটি মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তুলে দিয়েছে ইউজিসি। এই খবরটি পত্রিকায় প্রকাশের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এই সুপারিশের পক্ষে এবং বিপক্ষে আলোচনা চলছে। যারা যারা এই সুপারিশের পক্ষে কথা বলছেন তাদের মতে এই ধরনের ব্যবস্থা প্রচলন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আবার অন্যদিকে যারা এই সুপারিশের বিপক্ষে কথা বলছেন তাদের মতে এই ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ইউজিসির নিয়ন্ত্রণ কায়েম হবে।

বেশ কিছু দিন ধরেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমের খবর পত্রিকার মাধ্যমে দেশবাসীর নজরে এসেছে। এই ধরনের ঘটনা যে অতি সম্প্রতি শুরু হয়েছে, বিষয়টি সে রকম নয়। প্রায় দুই যুগ ধরে এই ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আদিষ্ট হয়ে ইউজিসি ইতোপূর্বে এই ধরনের অনৈতিক অভিযোগের তদন্ত করেছে। ইউজিসির তদন্তে অনেক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও আইনের মারপ্যাঁচের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ফলে, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় ইউজিসির পক্ষ থেকে পিএসসির আদলে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করা কতটা জরুরি?

১৯৯০ পরবর্তী সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে দলীয় প্রভাবের বিষয়টি অনেকটাই উন্মুক্ত সত্য হিসেবে জাতির সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময় এই ধরনের অনিয়মের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা নিজের মতো করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে গেছেন। এই ধরনের ঘটনাটি শুধু যে বর্তমান সরকারের আমলে ঘটেছে তা নয়। এই প্রক্রিয়া অনেক আগে থেকেই চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে মেধার পরিবর্তে রাজনৈতিক তদবির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জাতি গঠনের কারিগর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ডিগ্রি নিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে তারাই ভবিষ্যতে এই দেশকে নেতৃত্ব দেবে এটিই সবার প্রত্যাশা। ১৯৭৩ সালে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যখন আইন প্রণীত হয় তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতির বিবেক হিসেবে উল্লেখ করে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চার স্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় কখনও ভাবেননি যে আইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন রয়েছে।

যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতির বিবেক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন, এটি খুবই প্রত্যাশিত যে তাঁরা নিজেদের কার্যক্রমে নৈতিকতাবোধ মেনে চলবেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জনগণের মধ্যে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বিতর্কিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে আসীন ব্যক্তির অনৈতিক কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে। রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী শিক্ষকগণ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে আসীন হন তখন প্রত্যেকেই চেষ্টা করেন তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের সুপারিশকৃত প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ শুধু যে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীন প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন তাই নয়, অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে। অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। যেহেতু প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব নিয়োগ কাঠামো অনুসরণ করে শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র কোনও কাঠামো নেই। যদিও বেশ কয়েক বছর আগে ইউজিসি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগের একটি স্বতন্ত্র কাঠামো তৈরি করেছিল, কিন্তু বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই নিয়োগ কাঠামোকে গ্রহণ না করার কারণে সেটি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির আদলে নিজেদের নিয়োগ কাঠামোকে পরিবর্তিত করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়ে যারা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ আমাদের দেশে নেই। এর মূল কারণ হচ্ছে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের মাধ্যমে উপাচার্যগণকে এতটা ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে যে তাঁরা সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছেন এবং সেই অপকর্মকে আইনের মাধ্যমে বৈধতা প্রদান করছেন। পত্রিকার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে দেশবাসী অবগত হলেও তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি।

ফলে বাধ্য হয়েই ইউজিসি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের বিষয়ে সুপারিশ করেছে। অনেকেই এই বিষয়টির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন এই জন্য যে নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র কমিশন গঠন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপরে হস্তক্ষেপের শামিল। ১৯৭৩ সালের আইনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়োগের ব্যাপারে যে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ থাকবে না। পাশাপাশি এটিও ঠিক, অনেক সময় অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে কি পিএসসির আদলে একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে- এটি একটি আলোচনার বিষয়।

যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়তো স্বতন্ত্র কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগে আপত্তি করবে, সেহেতু কীভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায় সেই বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলের ভাবা দরকার। প্রথমে যে কাজটি করা দরকার সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য পদে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা। প্রথিতযশা শিক্ষকদের যদি এসব পদে নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব হয় তাহলে তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কাজ করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করে।

দ্বিতীয়ত, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট নিয়ম-কানুনে কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবার ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে পিএইচডি অর্জন। পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরে একজন প্রার্থী গবেষণায় নিজেকে কতটা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন সে বিষয়টিও দেখা হয়ে থাকে নিয়োগ প্রদানের সময়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সদ্য মাস্টার্স পাস করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকে। নতুন শিক্ষকদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়োগ পাওয়ার পরে একজন শিক্ষকের গবেষণায় হাতেখড়ি হয়। যে শিক্ষক নিজেই গবেষণার সঙ্গে পরিচিত নন, তিনি কীভাবে শিক্ষার্থীদের গবেষণার বিষয়ে জ্ঞান দান করবেন? তারপরে রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং অর্থের বিনিময়ে যদি সামনের সারির শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয় তাহলে সেই শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে কতটুকু অবদান রাখবে- সে বিষয়টি নিয়ে ভাবার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

তাছাড়া শুধু মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে অনিয়মের সুযোগ অনেক বেশি থাকে। লিখিত পরীক্ষা, ডেমনেস্ট্রেশন এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা গেলে নিয়োগে অনিয়মের সুযোগ অনেকটা কমে যাবে। তবে আশার কথা হচ্ছে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের সুযোগ অনেকটা কমে যাচ্ছে। কারণ, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষা, ডেমনেস্ট্রেশন এবং মৌখিক পরীক্ষার বিধান চালু করেছে। ফলে, ১৯৭৩-এর আইনের অধীনে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু মৌখিক পরীক্ষার পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষা, ডেমনেস্ট্রেশন মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

তৃতীয়ত, যেসব  উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হলে পরবর্তীতে অন্যান্য উপাচার্য অনিয়ম করার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ভয় পেতেন। আগেই উল্লেখ করেছি যে বিভিন্ন ধরনের আইনি বেড়াজালে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে সর্বোচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিবর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করেন বিধায় সরকারের ইচ্ছা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।

ফলে, পিএসসির আদলে স্বতন্ত্র নিয়োগ কমিশনের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের প্রথা চালু করা হলে আপাতদৃষ্টিতে তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ বলে মনে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব এবং দুর্নীতি কমানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।

বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিদের অনিয়মে জড়িত হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ইউজিসিকে এই ধরনের সুপারিশ করতে বাধ্য করেছে। এটি ঠিক যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে- এটি প্রত্যাশিত। কিন্তু আইনকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করার অর্থ আইন মেনে চলা নয়। বরং এটিকে স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। ফলে  বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এবং যোগ্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এই কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।

লেখক: অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর, জনশূন্য রাস্তাঘাট
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর, জনশূন্য রাস্তাঘাট
মুখোমুখি ইরান-ইসরায়েল, পরীক্ষার মুখে মার্কিন সামরিক কৌশল
মুখোমুখি ইরান-ইসরায়েল, পরীক্ষার মুখে মার্কিন সামরিক কৌশল
শহীদ মিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা
শহীদ মিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা
বিমানবন্দরে বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে যাওয়া বাসের চালক গ্রেফতার 
বিমানবন্দরে বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে যাওয়া বাসের চালক গ্রেফতার 
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ