X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ‘আট জনের’ দায় পেয়েছে নাগরিক তদন্ত কমিটি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০৩আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০৪

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) কর্মকর্তাসহ ‘আট জনের’ দায় পেয়েছে এ উদ্দেশ্যে গঠিত নাগরিক তদন্ত কমিটি। শনিবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলন, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রসহ মোট ১৬টি সংগঠনের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আরও ছিলেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসাফ), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন, পিস, গ্রিন ফোর্স, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্ট, দেবীদাস ঘাট সমাজকল্যাণ সংসদ, মৃত্তিকা, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগ, বিডিক্লিক এবং দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে পবা'র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানকে আহ্বায়ক, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুলকে সদস্য সচিব করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সেই কমিটির প্রতিবেদনে লঞ্চটির অগ্নিকান্ড ও হতাহতের জন্য দায় নির্ধারণ করে ‘জড়িতদের দায়’ তুলে ধরে জানানো হয়-

১. বিআইডব্লিউটি এর তথ্য অনুযায়ী, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চলার পর প্রায় তিন মাস চলাচল করেনি। এরপর একই বছরের  ১৯ ডিসেম্বর প্রথম যাত্রা করে। সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। কিন্তু সার্ভের মেয়াদ ও রুটপারমিট বহাল থাকা সত্ত্বেও একটি যাত্রীবাহী নৌযানের চলাচল কেনো এতোদিন বন্ধ ছিল, সে বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক (নৌনিট্রা) বিভাগ ও নৌ পরিবহন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা খোঁজখবর নেননি এবং সংশ্লিষ্ট শিপ সার্ভেয়ারকে জানাননি। এছাড়া সদরঘাট টার্মিনালে অফিস হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট শিপ সার্ভেয়ারও বিষয়টি জানার চেষ্টা করেননি। এ ক্ষেত্রে তারা সকলেই দায়িত্ব পালনে উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছেন। সুতরাং নাগরিক তদন্ত কমিটি মনে করে, উপরোক্ত কারণে বিআইডব্লিউটিএর নৌনিট্রা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন ও পরিবহন পরিদর্শক দীনেশ দাস এবং ঢাকা নদীবন্দরে দায়িত্বরত নৌ পরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান ও একই অধিদফতরের ঢাকা (সদরঘাট) কার্যালয়ের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক (শিপ সার্ভেয়ার) মো. মাহবুবুর রশীদ দায়ী।

২. নৌ পরিবহন অধিদফতর থেকে ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইস্যুকৃত নিবন্ধন সনদে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে প্রতিটি ১১০০ ব্রিটিশ অশ্বশক্তি সম্পন্ন (বিএইচপি) দুটি চায়না ডিজেল ইঞ্জিন থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনার পর সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, লঞ্চটির দুটো ইঞ্জিন-ই ডাইহাটসু ডিজেল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, ওসাকা, জাপানের তৈরি 'ডাইহাটসু ডিজেল ইঞ্জিন'; যার প্রতিটি ৩০৩৬ ব্রিটিশ অশ্বশক্তি সম্পন্ন (বিএইচপি)। লঞ্চমালিকগণ সার্ভে সনদের শর্ত লঙ্ঘন করে নৌ পরিবহন অধিদফতরের অনুমতি ছাড়াই দুটো পুরানা ইঞ্জিন সংযোজন করেছেন। যেকোনও নৌযানে ১১২০ কিলোওয়াট বা ১৫০১.৯২ বিএইচপি'র ওপরের ইঞ্জিন পরিচালনার জন্য ইনল্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার (আইএমই) নিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যার সূত্র: অভ্যন্তরীণ জাহাজ বিধিমালা ২০০১, পরিশিষ্ট-গ। 

সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত-কমিটি

কিন্তু এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে এমন সনদধারী কোনো ইঞ্জিন ড্রাইভার ছিলেন না। এমনকি পরিবর্তিত ইঞ্জিন দুটি ওই লঞ্চের জন্য উপযুক্ত কি না, তাও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করানো হয়নি। উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নাগরিক তদন্ত কমিটির সদস্যরা এই মর্মে একমত হন যে, এসব বেআইনি কার্যকলাপের জন্য নৌযানটির চারজন মালিক দায়ী। প্রসঙ্গত, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের (সরকারি) তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও বিষয়টি এভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

৩. এমডি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তনের জন্য লঞ্চমালিকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নেওয়া সত্ত্বেও যে ডকইয়ার্ডে এই ইঞ্জিন প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সেই ডকইয়ার্ড কর্তৃপক্ষও এই অপরাধের দায় এড়াতে পারে না বলে নাগরিক কমিটি মনে করে। প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত মেয়াদ উত্তীর্ণ ডকইয়ার্ডে লঞ্চটিতে পুরাতন ইঞ্জিন সংযোজন করার কারণে ডকইয়ার্ডের মালিক দায়ী’।

৪. ‘দীর্ঘ প্রায় তিন মাস বসে থাকার পর লঞ্চটি পুনরায় চালু হওয়ার সময় নৌপরিবহন অধিদফতরের 'ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার', পরিদর্শক এবং বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শকগণ কেউই ভালোভাবে লঞ্চটি পরীক্ষা করেননি। নৌ পরিবহন অধিদফতরের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মাহবুবুর রহমানের জবানবন্দী হতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, তিনি লঞ্চটির ইঞ্জিন পরিবর্তনের বিষয়টি খোঁজ রাখেননি। তিনি ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি লঞ্চটি পরিদর্শন করে সার্ভেয়ারের ঘোষণা দিয়েছেন এবং লঞ্চটি চলাচলের অনুমতি প্রদানের সুপারিশ করেছিলেন। তার অফিসের অবস্থান সদরঘাটে হওয়া সত্ত্বেও তিনি ইঞ্জিন পরিবর্তনের বিষয়ে খোঁজ রাখেননি। তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন।’ সরকারি তদন্ত কমিটির এই তথ্য-উপাত্ত ও পর্যালোচনার সঙ্গে নাগরিক তদন্ত কমিটির সহমত পোষণ করে। তবে সরকারি কমিটির প্রতিবেদনে নৌ পরিবহন অধিদফতরের প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক মো. মাহবুবুর রশীদ এর স্থলে মুদ্রণবিভ্রাটজনিত কারণে 'মো. মাহবুবুর রহমান' উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং নাগরিক তদন্ত কমিটি মনে করে দায়িত্বে অবহেলার কারণে নৌ পরিবহন অধিদফতরের ঢাকা (সদরঘাট) কার্যালয়ের শিপ সার্ভেয়ার (প্রকৌশলী ও জাহাজ জরিপকারক)  মো. মাহবুবুর রশীদ দায়ী।

৫. সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘নৌ পরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর এই লঞ্চটি পরিদর্শন করেননি। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর লঞ্চটি পরিদর্শন করেননি। একই তারিখে তিনি অন্য একটি তদন্ত কাজে ব্যস্ত ছিলেন বললেও এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তিন মাস পর লঞ্চটির ইঞ্জিন পরিবর্তন করে চালানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি দেখেননি। তার কর্মস্থল ঢাকার সদরঘাট হওয়া সত্ত্বেও নৌ পরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান লঞ্চটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হওয়ার সময় পরিদর্শন বা কোনও অনুসন্ধান না করে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন।’ নাগরিক তদন্ত কমিটি এই পর্যালোচনা ও মতামতের সঙ্গে পূর্ণ সহমত পোষণ করে। সুতরাং অর্পিত দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতির পরিচয় দেয়ার জন্য নৌ পরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান দায়ী।

৬. বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সরকারি তদন্ত কমিটিকে দেয়া বক্তব্যে ঢাকা নদীবন্দরে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএ'র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক (নৌনিট্রা) ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় লঞ্চটি দুই মাস চলাচল করেনি। তবে চলাচল না করলেও সার্ভে ও রুট পারমিটের মেয়াদ ছিল বিধায় লঞ্চটি চলাচলে কোনো বাধা ছিল না। লঞ্চটি যান্ত্রিকত্রুটি থেকে আসার পর ট্রায়াল দেয়ার বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএর এখতিয়ারাধীন নয়। বিআইডব্লিউটিএ'র নৌনিট্রা বিভাগ নৌযানের প্রশাসনিক বিষয় দেখাশুনা করে। যান্ত্রিক বিষয়গুলো দেখেন নৌ পরিবহন অধিদফতরের শিপ সার্ভেয়াররা। তিনি আরও জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লঞ্চটি প্রায় দুই মাস ঢাকা নদীবন্দরে বার্সিং না করায় সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখা নৌনিট্রা বিভাগের কাজ না। জনাব মো. জয়নাল আবেদীনের এসব বক্তব্যে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর পর লঞ্চটি পুনরায় সার্ভিসে আসার তথ্যটি তিনি অবগত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি। একজন দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যথাযথ ভূমিকা পালন করেননি। নাগরিক তদন্ত কমিটির মনে করে, দায়িত্ব পালনে চরম উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক (নৌনিট্টা) ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন দায়ী। একই অপরাধের কারণে সদরঘাটে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক জনাব দীনেশ দাস দায়ী। 

৭. প্রত্যক্ষদর্শী অনেক যাত্রীর বরাত দিয়ে সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমডি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন নেভানোর কোনোরকম চেষ্টা করা হয়নি। লঞ্চের মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টর খলিলুর রহমানও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। লঞ্চে ছয়টি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র অব্যবহৃত পাওয়া যায়। আগুন লাগার পর লঞ্চটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, দুর্ঘটনাস্থল সংলগ্ন মানুষের বক্তব্য থেকে নাগরিক তদন্ত কমিটি জানতে পারে, আগুন লেগে ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার পর লঞ্চটি নদীতে প্রায় ৪০ মিনিট ভাসতে ভাসতে গাবখান-ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চরা ভাটারাকান্দা গ্রামে নদীর তীরে ভেড়ে। এর আগে লঞ্চটি নোঙ্গর করা কিংবা বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাওয়া সত্ত্বেও লঞ্চকর্মীরা তা করেননি। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই তা নেভানোর চেষ্টা এবং লঞ্চটি দ্রুত নোঙ্গর করা কিংবা কোথাও ভেড়ানো হলে আগুনের ভয়াবহতা ও প্রাণহানি অনেক কম হতো বলে নাগরিক তদন্ত কমিটি মনে করে। কিন্তু আগুন লাগার পর প্রথম স্থানে লঞ্চটি ভিড়লে দুই ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ ও আবুল কালাম এবং গ্রিজাররা পালিয়ে যান বলে তদন্তকালে জানা গেছে। লঞ্চটির ইনচার্জ মাস্টার ও দ্বিতীয় মাস্টারের বরাত দিয়ে সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে, আগুন লাগার পর তাদেরকে আর দেখা যায়নি। এসব কারণে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ ও আবুল কালামসহ সেদিন কর্মরত সকল গ্রিজার দায়ী বলে নাগরিক তদন্ত কমিটি মনে করে।

৮. সরকারি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমডি অভিযান-১০ লঞ্চটি চাঁদপুর ঘাট অতিক্রম করার পর ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়, অস্বাভাবিক শব্দ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীগণ বলেছেন। ইঞ্জিনের ত্রুটি সারাতে ব্যর্থ হওয়ায় লঞ্চটি আর না চালিয়ে নিরাপদ কোনো ঘাটে আগেই ভেড়ানো উচিত ছিল। অনেক যাত্রী লঞ্চ ভেড়ানোর অনুরোধও করেছিল। কিন্তু লঞ্চের মাস্টার ও ইঞ্জিন ড্রাইভার এ বিষয়ে কর্ণপাত না করে ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন দিয়ে লঞ্চটি চালিয়ে যেতে থাকে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে নাগরিক তদন্ত কমিটি। তাদের ভাষ্য মতে, সেদিন লঞ্চটির ইঞ্জিনের শব্দ অন্য দিনের মতো ছিল না। ইঞ্জিনকক্ষ ও আশপাশের এলাকা প্রচণ্ড গরম হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে আগুন ধরে যায়। এতে অর্ধশত মানুষের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সুতরাং নাগরিক তদন্ত কমিটির সদস্যরা একমত হন যে, অত্যন্ত বেদনাদায়ক এ ঘটনার জন্য লঞ্চটির প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. খলিলুর রহমান এবং প্রথম শ্রেণির ড্রাইভার মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার আবুল কালাম দায়ী।

/বিআই/ইউএস/
টাইমলাইন: অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড
২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:০৩
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ‘আট জনের’ দায় পেয়েছে নাগরিক তদন্ত কমিটি
২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০৩
২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:৩০
২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৫৮
২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:০৬
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ