মিশুক মনি পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘দেয়ালের দেশ’। ভালোবাসাময় পাগলামির চূড়ান্ত এক নিরীক্ষাধর্মী ছবি ‘দেয়ালের দেশ’। মানুষ মরে গেলেও ভালোবাসা বেঁচে থাকে এই দর্শনের ভিন্ন চিন্তার ছবি ‘দেয়ালের দেশ’। মিলন না হওয়া প্রেমিকা মরে যাবার পর তার সাথে একদিন সংসার করার সামান্য ধীর গতির ছবি ‘দেয়ালের দেশ’। শরিফুল রাজের জন্য যথাযোগ্য চরিত্রের আরেক ছবি ‘দেয়ালের দেশ’। ভালোবাসা ছাড়া একদিনও বেশি না বাঁচার ছবি ‘দেয়ালের দেশ’।
এতিম খানায় মানুষ হওয়া এক যুবক বৈশাখ। বাসে বাসে লিফলেট বিলি করা এক মেয়েকে ভালো লাগে তার। মেয়েটার পিছু নেয় সে। মেয়েটা বুঝতে পারে সব। জীবনের প্রয়োজনে মেয়েটা এক বাসায় কাজ নেয়। বৈশাখ সেখানে যেয়েও মেয়েটার জন্য প্রতীক্ষায় থাকে। অবশেষে নহর নামের মেয়েটাও তার প্রেমে পড়ে যায়। বৈশাখ ছেলেটা তবু বদলায় না। সে মেয়েটার কাছ থেকে টাকা নেয়, ক্রিকেট খেলায় বাজি ধরে। বৈশাখকে ফেরানো যায় না। ডেলিভারি ম্যান-এর চাকরি নিয়ে জেলে যেতে হয় তাকে। বদলে যায় তাদের জীবন।
সব হারিয়ে বৈশাখ কাজ নেয় মর্গে। একা একা মানুষটা মর্গে নেশা করে। হঠাৎ একদিন একটা লাশ আসে মর্গে। বৈশাখের মনে হয় লাশটা তার চেনা। সে বক্স খুলে দেখে এটা তার প্রেমিকা নহরের লাশ। শুরু হয় সিনেমার মূল গল্প।
ছবিতে গান ব্যবহৃত হয়েছে দুটো। ‘বেঁচে যাওয়া ভালবাসা’ গানটির কথা লিখেছেন রোহিত সাধুখাঁ এবং কণ্ঠ দিয়েছেন মাহতিম সাকিব ও অবন্তী সিঁথি। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন ইমন চৌধুরী। ‘বিসর্জনের ব্যথা’ শিরোনামের অন্য গানটির কথা লিখেছেন মিশুক মনি ও রোহিত সাধুখাঁ এবং ইমন চৌধুরীর সুর ও সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিঠুন চক্র। গান দুটো জনপ্রিয় হতে পারে ক্রমশ।
‘দেয়ালের দেশ’ ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২২-এর মার্চে এবং শেষ হয় ২০২৩-এর ডিসেম্বরে। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন মিশুক মনি। এটি তার প্রথম ছবি।
মিশুক মনির প্রথম ছবি হিসেবে তাকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানানো যেতেই পারে। ভালোবাসা চিরজীবী হোক।
জয় হোক বাংলা ছবির।
পরিচালক: মিশুক মনি
অভিনয়ে: রাজ ও বুবলী
চিত্রগ্রহণ: সাহিল রনি
প্রযোজনা: তথ্য মন্ত্রণালয়, মাহফুজুর রহমান ও মিশুক মনি
মুক্তি: ১১ এপ্রিল ২০২৪
সমালোচক: রম্যলেখক, সাংবাদিক ও কবি
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।
আরও সমালোচনা:
রাজকুমার: ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এক বিয়োগান্তক ছবি
কাজলরেখা: ঘোড়া, গরু, হাতিগুলো স্বাস্থ্যবান নয়
হুব্বা: সামথিং লাইক আ ক্রিমিনাল’স অটোবায়োগ্রাফি!
খুফিয়া: বাংলাদেশ নিয়ে ‘শঙ্কা ও ভাবনার’ ভারতীয় ছবি!
অন্তর্জাল: সাইবার থ্রিলার নিয়ে স্মার্ট ছবি
এমআর-৯: ‘মাসুদ রানা’ আছে ‘মাসুদ রানা’ নেই!
১৯৭১ সেই সব দিন: ৫৩ বছর আগের বাস্তবতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
আম কাঁঠালের ছুটি: দুরন্ত শৈশব মনে করিয়ে দেয়া এক ছবি
প্রিয়তমা: পরিচিত গল্প আর ‘তাড়াহুড়ো’য় নির্মিত ছবি!
প্রহেলিকা: ছবিটি দেখলে কিছু প্রশ্ন উঠবেই
‘পরাণ’-এর আরেক ভার্সন ‘সুড়ঙ্গ’!
সুলতানপুর: ফর্মুলায় আক্রান্ত ধারাবাহিকতাহীন ছবি
আদিম: ‘বস্তি ঘনিষ্ঠ’ এক অপরূপ ছবি!
পাপ: শেষ না হওয়া এক থ্রিলার গল্পের ছবি
কিল হিম: বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন অনন্ত, কিন্তু সেটা নড়ে না!
লিডার: স্বস্তি আর অস্বস্তির পাঁচ-ছয়
লোকাল: রাজনীতির ব্যানারে প্রেম ও প্রতিশোধের ছবি!