X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও তাঁর গণমুখী রাষ্ট্রভাবনা

ড. রাহমান নাসির উদ্দিন
১৫ আগস্ট ২০২১, ১৫:১৮আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২১, ২২:১৬

রাহমান নাসির উদ্দিন আমরা হরহামেশা দেশ আর রাষ্ট্রকে এক করে দেখি। দেশ একটি ভৌগোলিক অস্তিত্ব এবং জনতাত্ত্বিক প্রপঞ্চ। কিন্তু রাষ্ট্র একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান যা একটি দেশকে পরিচালনার দর্শন, নীতিমালা, বিধিবিধান ও ব্যবস্থাপত্রের সমষ্টি। দেশ চালানোর একটি ব্যবস্থার নাম রাষ্ট্র। তাই, আমরা গড়পড়তা রাষ্ট্রব্যবস্থা কথাটা ব্যবহার করি। ১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ আমরা অর্জন করেছিলাম কিন্তু রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। সংবিধান প্রণয়ন, বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তায় বিভিন্ন বাহিনী গঠন প্রভৃতি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে।

মানুষের মৌলিক অধিকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার, নাগরিক অধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আইন-আদালত ও বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে গড়ে উঠে যার রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ক্রমান্বয়ে শক্ত এবং মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়। একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু ক্রমান্বয়ে তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শন ও রাজনৈতিক আদর্শের আদলে এদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলায় হাত দেন। এবং অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে বাংলাদেশ যাতে একটি গণমুখী রাষ্ট্র হয়ে ওঠে তার জন্য বঙ্গবন্ধু নিরলসভাবে কাজ করেন এবং তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতি এবং আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের চরিত্র কী হবে তার একটি স্পষ্ট ধারণা দেন।

একাত্তরের আগের বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও রাজনৈতিক দর্শন ছিল মূলত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের সাত কোটি মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক মুক্তি। বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন-সার্বভৌম মানচিত্র। পৃথিবীর মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর এক খণ্ড জমি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৬-ছয় দফা, ১৯৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এর সবই ছিল প্রধানত একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই এবং লড়াইয়ের রাজনীতি ও রাজনৈতিক কৌশল। কিন্তু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও রাজনৈতিক আদর্শ ছিল প্রধানত একটি গণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা এবং এদেশের আপামর জনসাধারণের মুখে হাসি ফুটানো। তার কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে উপস্থাপন করছি এবং একটা অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ দাঁড় করাচ্ছি।

এক.

১৯৭৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের জনসভায় দেওয়া এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘শাসনতন্ত্রে লিখে দিয়েছি যে, কোনও দিন আর শোষকেরা বাংলার মানুষকে শোষণ করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। দ্বিতীয় কথা, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটে জনগণের প্রতিনিধিরা দেশ চালাবে, এর মধ্যে কারও কোনও হাত থাকা উচিত নয়। তৃতীয়, আমি বাঙালি। বাঙালি জাতি হিসেবে বাঁচতে চাই সম্মানের সঙ্গে। চতুর্থ,আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে, বুদ্ধিস্ট তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হলো, এই ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।’

বঙ্গবন্ধুর এ বক্তব্যের মধ্যে কীভাবে শাসনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি রাষ্ট্র পরিচালিত হবে তার একটি চমৎকার রূপরেখা আছে। রাষ্ট্র চলবে শাসনতন্ত্র অনুযায়ী। ‘আইনের শাসন’ বলতে আমরা আজকে যা বুঝি এবং যাকে গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভের বলি, বঙ্গবন্ধুর এ বক্তব্যের মধ্যে আইনের শাসনের চমৎকার দর্শন অন্তর্নিহিত আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার কথা আছে যেখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। এর চেয়ে সুন্দর গণপ্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের কথা আর কী হতে পারে। এখানে বাঙালি জাতিসত্তার চমৎকার ব্যাখ্যা আছে এবং একটি জাতির আত্মমর্যাদার প্রশ্ন অসাধারণভাবে প্রতিভাত হয়। একটি জাতির বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে মান-মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকা যেটাকে একাডেমিক ভাষায় বলে ‘এথনিক প্রাইড’। এ বক্তব্যে ধর্ম নিরপেক্ষতার একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। ধর্মনিরপেক্ষতার এ পর্যন্ত যত ব্যাখ্যা বই-পুস্তকে আছে আমার কাছে মনে হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর এ বক্তৃতায় তার অনেক স্পষ্ট, বোধগম্য এবং বৈজ্ঞানিকভাবে দেওয়া আছে। ‘ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।’

রাষ্ট্র মানুষের এ ধর্ম পালনের অধিকারের সুরক্ষা দেবে। আবার ‘তবে একটা কথা হলো, এই ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না’-এর চেয়ে সুন্দর করে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা আর বলা যায় না। একটি গণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং রাজনৈতিক আদর্শ আমরা এ বক্তৃতার মাধ্যমে খুব সহজেই গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি।

দুই.

১৮ জানুয়ারি ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন প্রদত্ত উদ্বোধনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি যে, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের যা প্রয়োজন আওয়ামী লীগের সে চারটি জিনিস-নেতৃত্ব, আদর্শ, সংগঠন ও নিঃস্বার্থ কর্মী রয়েছে।

আমরা আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রামে জয়লাভ করেছি। আজ যে নতুন সংগ্রাম শুরু হয়েছে– দেশ গড়ার সংগ্রাম, দুঃখী মানুষকে বাঁচাবার সংগ্রাম, এ সংগ্রামেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।...তাই আজ তোমাদের কাছে আমার আবেদন রইলো– গ্রামে গ্রামে কাজ কর। দুঃখের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়াও।...শুধু একটা কথা বলে যাই– শেষ কথা আমার, যে কথা আমি বারবার বলেছি– সোনার বাংলা গড়তে হবে। এটা বাংলার জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের প্রতিজ্ঞা। আমরা আওয়ামী লীগের কর্মীরা যখন বাংলার মানুষকে বলি তোমরা সোনার মানুষ হও, তখন তোমাদেরই প্রথম সোনার মানুষ হতে হবে, তাহলেই সোনা বাংলা গড়তে পারবা। আর যারা দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংগ্রাম করেছো, তারা বাংলার দুঃখী মানুষের কাছে থেকে সরে যেও না’। এই যে পুরো সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার অংশ এবং অঙ্গীকার হিসাবে দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সত্যিকার সোনার বাংলা গড়া চিন্তা, আহবান এবং অনুরোধ এটা বঙ্গবন্ধুর একটি গণমুখী রাষ্ট্রদর্শনের সুস্পষ্ট স্বাক্ষর বহন করে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সোনার বাংলা গড়তে হলে, নিজেকে সোনার মানুষ হতে হবে। এর চেয়ে অসাধারণ বিপ্লবী দর্শন আর কী হতে পারে। 

তিন.

১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি সামরিক একাডেমিতে প্রথম শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লায় বিদায়ী ক্যাডেটদের উদ্দেশ্য দেওয়া এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আজ  লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।...মাঝে মাঝে আমরা অমানুষ হয়ে যাই। আমরা এত রক্ত দিয়ে দেশে স্বাধীন এনেছি। তবু অনেকের চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি। ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী আর মুনাফাখোর বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে।...এবার বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাদের জন্য আমি আমার জীবন কারাগারে কাটিয়ে দিয়েছি। তাদের দুঃখ দেখলে আমি পাগল হয়ে যাই।’

এই যে একজন রাষ্ট্র নায়কের ‘মানুষের জন্য পাগল হয়ে যাওয়া’র মনোবৃত্তি এবং দরদবোধ, সে রাষ্ট্রনায়ক যখন রাষ্ট্রচিন্তার দর্শন তৈরি করেন, তখন সেটা গণমুখী হতে বাধ্য। এখানে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী আর মুনাফাখোরের হাত থেকে বাংলার মানুষকে বাঁচানোর সদিচ্ছা, প্রতিজ্ঞা এবং প্রতিশ্রুতি যা বঙ্গবন্ধুর গণমুখী রাষ্ট্রচিন্তারই স্পষ্ট স্বাক্ষর বহন করে।

চার.

১৯৭৫ সালের জানুয়ারির ১৫ তারিখ প্রথম পুলিশ সপ্তাহ ও বার্ষিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে, তাদের সেবা করুন। যাদের জন্য যাদের অর্থে আজকে আমরা চলছি, তাদের যাতে কষ্ট না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখুন। যারা অন্যায় করবে, আপনারা অবশ্যই তাদের কঠোর হস্তে দমন করবেন। কিন্তু সাবধান, একটা নিরপরাধ লোকের ওপরও যেন অত্যাচার না হয়। তাতে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠবে। আপনারা সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। আপনারা যদি অত্যাচার করেন, শেষ পর্যন্ত আমাকেও আল্লাহর কাছে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। কারণ, আমি আপনাদের জাতির পিতা, আমি আপনাদের প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনাদের নেতা। আমারও সেখানে দায়িত্ব রয়েছে।’ 

একটি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দায়িত্ব কী হবে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব কী হবে, জনগণের অর্থে পরিচালিত সরকারি বাহিনীর মূল কাজ যে জনগণেরই সেবা করা এবং একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে নিজেকেও এর জন্য দায়ী করা প্রভৃতি চিন্তা নিঃসন্দেহে একটি গণমুখী রাষ্ট্রচিন্তার উজ্জ্বল উদাহরণ। পাবলিক সার্ভেন্টস যে ‘জনগণের সেবক’ এবং ‘পুলিশের কাজ’ যে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা সেটা কী চমৎকারভাবে এ ভাষণে উল্লেখ আছে, ‘যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে, তাদের সেবা করুন।’ এর চেয়ে সুন্দর করে গণমুখী রাষ্ট্রের দর্শন আর কী হতে পারে।

পাঁচ.

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে ঘোষণায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমরা শতকরা পাঁচজন শিক্ষিত। শিক্ষিতদের কাছে আমার প্রশ্ন...আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ? না আমার শ্রমিক? না। এই আমাদের মধ্যেই ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ।...দুর্নীতিবাজ এই শতকরা ৫ জনের মধ্যে, এর বাইরে নয়। শিক্ষিত সমাজকে একটা কথা বলবো, আপনার চরিত্রের পরিবর্তন হয় নাই। আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আপনার গাড়ি চলে ওই টাকায়...। ইজ্জত করে কথা বলুন, ওরাই মালিক...’। এর চেয়ে অসাধারণ গণমুখী রাষ্ট্র দর্শন আর কী হতে পারে। যে রাষ্ট্রচিন্তায় কৃষক, শ্রমিক, মজদুরকে রাষ্ট্রের মালিক হিসাবে গণ্য করা হয় এবং সমাজের শিক্ষিত-চাকরিজীবীদেরকে মালিকের প্রতি সম্মান রেখে কথা বলার এবং আচরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়, সে রাষ্ট্রই তো সত্যিকার গণমুখী রাষ্ট্র। সাধারণ খেটে খাওয়া গরিব দুঃখী মানুষের ঘামে-শ্রমে অর্জিত সামাজিক উদ্বৃত্ত যে সমাজের শিক্ষিত, চতুর, মধ্যবিত্ত শ্রেণিরই একাংশ লুটেপুটে নেয় এবং চেটে খায়, বঙ্গবন্ধু সেটা চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও প্রায় সমানভাবে প্রযোজ্য। বঙ্গবন্ধুর এ অসাধারণ উপলব্ধি আসে প্রধানত একটি গণমুখী রাষ্ট্র দর্শন থেকে যেখানে রাষ্ট্রের মালিকানা নিশ্চিতভাবে গণমানুষের হাতে থাকবে। 

এভাবে বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা, বিবৃতি ও জীবনাচার থেকে অসংখ্য উদাহরণ তুলে ধরা যাবে, যা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ এবং রাজনৈতিক দর্শন মূলত একটি গণমুখী রাষ্ট্র গঠনের পেছনে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছে। এদেশের জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম অঙ্গীকার, তীব্র ভালোবাসা এবং অন্তহীন কল্যাণ-চিন্তা বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র সম্পর্কিত দার্শনিক ভাবনা-বলয়কে প্রবলভাবে গণমুখী করে তুলেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড না-ঘটলে আজকের বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটি কল্যাণ-রাষ্ট্রের উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে বিশ্বের মানচিত্রে প্রজ্বল হয়ে থাকতো।

লেখক:  নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।  

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
দাবদাহে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তরল খাদ্য দিচ্ছে ডিএমপি
জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
কান উৎসব ২০২৪জাপানি ছবির দৃশ্য নিয়ে কানের অফিসিয়াল পোস্টার
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
ড্যান্ডি সেবন থেকে পথশিশুদের বাঁচাবে কারা?
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
লখনউর কাছে হারলো চেন্নাই
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ