X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা না বাড়ানো অন্যতম ভুল

স্বদেশ রায়
১৭ জুন ২০২২, ১৬:১৪আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১৬:১৪
ভারতে নেসলে কোম্পানি তাদের ম্যাগি নুডুলসের ১১০ গ্রামের প্যাকেট থেকে নুডুলস কমিয়ে সেটা ৭০ গ্রামের প্যাকেট করেছে। ১১০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ছিল ১০ টাকা। সেটা ১২ টাকা করেছে। অন্যদিকে দাম না বাড়িয়ে  হলদিরাম কোম্পানি তাদের আলু ভুজিয়া’র ১০ টাকার প্যাকেট থেকে ২৩% আলু ভুজিয়া কমিয়ে নিয়েছে। ঠিক এমনই এইচ ইউ এল কোম্পানি ‘ভীম’ ডিসওয়াশ বারের দাম ঠিক রেখে ওজন কমিয়েছে ১৩%। একই কাজ করছে ডাবর কোম্পানিও তাদের পণ্যগুলোতে।

নেসলে কোম্পানির মার্কেট রিসার্চার বলছেন, দাম বাড়ালে মানুষ কিনতে পারবে না। তাই তারা দাম ঠিক রেখে বা সামান্য বাড়িয়ে সব ক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে। তারপরেও তাদের হিসাবে ইতোমধ্যে গ্রাম এলাকায় ক্রেতার হার গত জানুয়ারি থেকে মার্চ অবধি কমে গেছে ৫.৩% । আগামী জানুয়ারি আসতে আসতে এটা কমে দাঁড়াবে ১১.৯%। অন্যদিকে গ্রাম ও শহরে সাধারণ মানুষ যারা কিনছে তাদের কারও পক্ষে বেশি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হচ্ছে তারা প্যাকেটে পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে দিতে।

এই হচ্ছে নিত্যপণ্যের বড় কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট বিক্রির একটা চিত্র ভারতে। যার থেকে বোঝা যাচ্ছে সেখানে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে এবং আরও কমে যাবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের এই পরিবারগুলোতে চাল, ডাল, আলু, তেল, ডিম, মাছ ও মাংস শতকরা কত হারে কমেছে–  তার কোনও হিসাব এখনও সেভাবে মিডিয়ায় আসেনি। তবে কমে যে গেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র এর থেকে খুব বেশি ভিন্ন হবে এমনটি চিন্তা করলে ভুল করা হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নুডুলসের জোগান হয় ভারত থেকে আমদানি করা ম্যাগি নুডুলসের মাধ্যমে। সেখানে ইতোমধ্যে দাম প্যাকেটে দুই টাকারও বেশি বেড়ে গেছে আর ১১০ গ্রামের প্যাকেট থেকে  ৪০ গ্রাম নুডুলস কমেছে। এমনিভাবে অন্যান্য জিনিসেরও দাম বাড়ার ফলে কেনার পরিমাণ কমে গেছে। এই কেনার পরিমাণ কমে যাওয়াটা অবশ্য বাজারের পণ্য দেখে কখনও বোঝা যায় না। কারণ, এই পণ্য কেনা যখন কমে যায় তখন কিছু মানুষ পণ্য না কিনতে পারাতে বাজারে পণ্য থাকে। যার ফলে বোঝা যায় না বাজারে পণ্য কম আসছে। কেবল সাধারণ মানুষের কাছে গেলে বোঝা যায়। দেখা যায় মানুষ কম খাচ্ছে। কম ব্যবহার করছে। ভারতের  নেসলে, এইচইউআই, ডাবর বা হলদিরাম যেমন তাদের পণ্যের ক্ষেত্রে একটি সঠিক রিসার্চ করিয়েছে তেমনি কোভিড পরবর্তী সব দেশের সাধারণ মানুষের ওপর সে দেশের সরকার একটা সঠিক জরিপ করলে দেখতে পাবে সবখানেই সাধারণ মানুষ কম খাচ্ছে। কম ব্যবহার করছে। শুধু ভারত বা বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে নয়। যেমন ব্যাংককে একজন পানি বিক্রেতা বলেছে, সে ২০ বাথ দিয়ে একবেলা নুডুলস খাচ্ছে কিন্তু তার থেকে যারা কম আয় করে তারা কী খাচ্ছে সে জানে না।  একই ধরনের কথা বলছে সিঙ্গাপুরের ট্যাক্সি ড্রাইভার। তার কথা, সে ১৫০ ডলার আয় করছে বলে ২২ ডলার দিয়ে একবেলা জাঙ্কফুড খেয়ে নিতে পারছে কিন্তু তার মতো আয় করতে পারছে পরিচিতদের মধ্যে কম লোকেই।

কোভিডে সব দেশের সাধারণ মানুষকে এমন দুর্দিনে ফেলে দিয়েছে। আর নেসলের মার্কেট রিসার্চ থেকে বোঝা যাচ্ছে এটা ২০২৩-এর জানুয়ারিতে গিয়ে আরও বাড়বে।

জানুয়ারিতে গিয়ে কিন্তু শুধু খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে বা ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে এমন মানুষের সংখ্যা বাড়বে না জিনিসপত্রের দাম বাড়বে অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি আরও ঘটবে। আর এই মূল্যস্ফীতি যতক্ষণ না কমানো যাবে ততক্ষণ সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় খাবার ও ব্যবহারের জিনিসটি পাবে না।

এখন প্রশ্ন হলো, এই মূল্যস্ফীতি কমাবে কে? ভারতে ২০১০ সালে এই মূল্যস্ফীতি ১০% গিয়ে দাঁড়ালে সে সময়ে এই বিষয়টাকে প্রাধান্য দিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুকে প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দায়িত্ব গ্রহণ করে কৌশিক বসু বাস্তবে এই কাজটি কারা করবে, কীভাবে করবে এজন্যে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কথা বলাসহ অন্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ব্যবসায়ীদের  সিন্ডিকেট নিয়েও চিন্তা করছিলেন। এমনই সময়ে একদিন বাড়িতে রাতের খাবারে বসে নানান কথার ভেতর মূল্যস্ফীতির কথা উঠলে, কথার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বাড়ির রান্নার কাজের সহকারী সুষমা বলেন, জিনিসের দাম যে কোনোভাবে হোক সরকারকে কমাতে হবে। কৌশিক বসু মনোযোগ সহকারে তাঁর বাড়ির রান্নার সহকারীর কথাটা শোনেন। এবং তার কাছ থেকে আরও জানতে পারায় সে এ কথায় আরও বেশি বিশ্বাসী হয়েছে। কারণ, অন্যান্য বাড়িতে যারা তার মতো রান্নার সহকারী আছেন তারাও একই কথা বলছেন। কৌশিক বসু’র চিন্তা তখনই স্থির হয়। আসলে এ কাজ যেকোনোভাবে হোক না কেন সরকারকেই করতে হবে।

কৌশিক বসু ও মনমোহন সিং শেষ পর্যন্ত ওই কাজ করতে পেরেছিলেন। আর সেখানে তারা প্রথমে যাদের পণ্য কেনা কমে গেছে বা যারা কিনতে পারছে না তাদের সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে আসে। অর্থাৎ সরকার থেকে তাদের নানানভাবে অর্থ জোগান দেওয়া হয়। সরকার থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশায় বিভিন্নভাবে অর্থ জোগান দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়িয়ে মানুষকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসে। কম জিনিস কেনা ও আদৌ জিনিস কিনতে না পারা অবস্থা থেকে শতভাগ বের করে আনতে না পারলেও আনার পথে হাঁটেন।

এ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতে হলে সরকারকে পণ্য জোগান দেওয়ার পথটি সহজ করতে হয় বা দ্রুত অন্য দেশ থেকে পণ্য আনতে হয়। ভারত ২০১০ সালে যখন সমস্যায় পড়েছিল তার থেকে কঠিন সমস্যায় এখন ভারত, বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশ, এমনকি ধনী দেশগুলো এই মূল্যস্ফীতি নিয়ে। কারণ, ভারতের ওই সময়ের মূল্যস্ফীতি ছিল শুধু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে। আর বর্তমানে কোভিড-১৯-এ দুই বছর পৃথিবীর অধিকাংশ কাজ বন্ধ থাকায় আর তা শেষ না হতেই ইউক্রেন যুদ্ধ, যা গোটা পৃথিবীকে আঘাত করছে।

নেসলের ভারতের বাজার গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে আগামী এক বছরে অর্থনীতির এই ক্ষত বাড়বে। তাই ২০২৩-এর জানুয়ারিতে যে ক্ষত বাড়বে সেটা যদি ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকেও শুকাতে শুরু করে তাহলেও তো এক বছর লাগবে। অর্থাৎ সহজ হিসাবে দেখা যাচ্ছে আগামী দুই বছর এই মূল্যস্ফীতি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি থেকে দ্রুত বের হতে হলে পৃথিবীতে যেখানে যে পণ্য সহজে পাওয়া যায় সেখান থেকে সেটা সহজে দ্রুত নিয়ে আসতে হয়। কোভিড-১৯ শেষ হওয়ার পরে এই সুযোগ সৃষ্টি হলেও  ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ সব মিলিয়ে পণ্য ও অর্থ সহজে চলাচল এই মুহূর্তের পৃথিবীতে কঠিন হয়ে গেছে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। তাই দেশে পণ্য উৎপাদন ও পণ্য দ্রুত আনা দুটোই কঠিন হয়ে পড়েছে।

নিজ দেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের এই চিত্রটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট দেওয়ার পরে গত দেড় সপ্তাহে সৃষ্টি হয়নি। এর একটা কারণ- অর্থাৎ কোভিড-১৯ ছিল ২০২০ থেকে ২০২২-এর জানুয়ারি অবধি। তারপর থেকে পৃথিবী ধীরে ধীরে কোভিডমুক্ত হচ্ছে। তবে অর্থনীতি শতভাগ সচল হয়নি কোথাও। আর দুই বছরের ক্ষত রয়ে গেছে সবখানে। অন্যদিকে বাজেট পেশ হয়েছে ৯ জুন আর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি। যুদ্ধ শুধু শুরু নয়, এই যুদ্ধ কোনদিকে যাবে ও বিশ্ব অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে তাও পরিষ্কার হয়ে গেছে মার্চ মাসের মধ্যেই। এমনকি সর্বশেষ ৬ জুন এবং এর আগেও বেশ কয়েকবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পৃথিবীর অর্থনীতি ৭০-এর দশকের মতো একই ক্রাইসিসে পড়তে যাচ্ছে।

তাই ইউক্রেন যুদ্ধ না হলেও কোভিডের ক্ষতে যে একটা বড় অংশ মানুষ অতি দরিদ্র, দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের পর্যায়ে চলে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে- এ বিষয়টি পরিষ্কার ছিল। আর ইউক্রেন যুদ্ধ জানিয়ে দেয়, এগুলো আরও প্রকট আকারে ঘটবে।

এমন একটা সময়ে যেকোনও সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো মানুষকে এই কম খেতে পাওয়া বা প্রয়োজনীয় খাবার হতে ছিটকে পড়া থেকে বাঁচানো। মনমোহন সিং ও কৌশিক বসুর আমলটা ছিল একটা সাধারণ সময়, ওই সময়ে ঘটেছিল তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ত্রুটির ফলে। তারপরেও তারা ওই অবস্থার যতটুকু উন্নতি ঘটাতে পারেন তা ঘটিয়েছিলেন সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়িয়ে। অর্থাৎ সরকার থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে আর্থিকসহ নানান ধরনের সুবিধা দিয়ে। বাস্তবে বুর্জোয়া অর্থনীতিতে এই বৈষম্যের মধ্যে যখন একটা অংশ বা সমাজের কয়েকটি অংশের মানুষ এমনি খাদ্যও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর যোগ্যতা থেকে ছিটকে পড়ে, সে সময়ে রাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ কার্যকরী বলে এ মুহূর্তে কেউই বলছেন না। সামাজিক এই নিরাপত্তাকে টমাস পিকেটি বলছেন অমর্ত্য সেনদের অর্থনীতির ধারা। এর বিরুদ্ধে অবশ্য অনেকেই আছেন। তারা মনে করেন, কাজ সৃষ্টি করে এ অবস্থা থেকে মানুষকে বের করে আনতে হবে।  টমাস পিকেটি তাঁর সর্বশেষ দীর্ঘ সাক্ষাৎকারেও বলেছেন, তিনি মনে করেন অমর্ত্য সেনের এই সামাজিক নিরাপত্তার পথই মূলত দরিদ্র মানুষকে বাঁচানোর পথ।

আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬-২০০১ অবধি অনেক সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি শুরু করে। ২০০৮-এ ক্ষমতায় এসে তারা প্রতি বছরই সেটা বাড়িয়ে গেছে। কিন্তু ২০১৯ থেকে একটা উল্টো যাত্রা দেখা যাচ্ছে। ২০১৯-এ অর্থনীতির জন্যে  সব থেকে বড় কাজ ছিল ব্যাংকিং খাতের ক্ষত সারানোর উদ্যোগ নেওয়া। সেখানে স্বচ্ছতা ও ঋণখেলাপিদের ওপর কঠোর হওয়া উচিত ছিল। প্রয়োজনে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের চিন্তাটা বাস্তবায়িত করলে লাভ হয় কিনা, অর্থাৎ ঋণখেলাপিদের কোম্পানিগুলো সরকার গ্রহণ করে সেগুলো পাবলিক খাত হিসেবে পরিচালনা করা। এগুলো ভেবে দেখা যেতো।  কিন্তু তার পরিবর্তে দেখা গেলো যারা ঋণ শোধ না করে অপরাধ করলো তারাই সব থেকে বেশি সুযোগ পেলো। তাদের অপরাধই হলো সরকারি সুযোগ পাওয়ার মূল যোগ্যতা।  অন্যদিকে কোভিডের সময়ে দুটো বাজেটে ব্যবসায়ীদের যে অনুপাতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, দরিদ্র মানুষকে ওই অনুপাতে সামাজিক নিরাপত্তার খাতে আনা হয়নি। আর এই দুই বছরের কোভিডের আঘাতে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যেখানে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা ও পরিমাণ দুটোই বাড়া উচিত ছিল। তার পরিবর্তে বিষয়টি হলো উপেক্ষিত। অথচ এই মানুষগুলোর দায় সরকারেরই। আর সামাজিক নিরাপত্তা খাত না বাড়িয়ে এদের রক্ষার বিকল্প কোনও পথ আপাতত নেই।  
 

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্যে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘গাজার গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন’
‘গাজার গণকবরে অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত দাফন’
‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে’
‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে’
প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
উত্তাল চুয়েট, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
উত্তাল চুয়েট, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ