X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার রংপুর সফরে গণমানুষের প্রত্যাশা

উমর ফারুক
০১ আগস্ট ২০২৩, ১৯:০০আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৩, ১৯:০০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ আগস্ট (২০২৩) সরকারি সফরে বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল রংপুরে আসছেন। অবস্থান করবেন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। এ সময় তিনি সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। যোগ দেবেন রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভায়। এই জনসভাকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রবে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে রংপুর জেলা, রংপুর বিভাগ। এই সুযোগে রংপুর বিভাগের প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি উপজেলা ও প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক প্রচারণা জোরদার করেছে আওয়ামী লীগ।

এই সুযোগে, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরার কার্যক্রমটি গুরুত্বের সঙ্গে করছে সংগঠনটি। নতুন করে চাঙা হয়ে উঠেছে দলটির সর্বস্তরের সাংগঠনিক কার্যক্রম। নিশ্চিতভাবে এই কার্যক্রম আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচন তথা আগামী পথচলায় ইতিবাচকভাবে এগিয়ে রাখবে।

রংপুর বাংলাদেশে সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল, সবচেয়ে অবহেলিত অঞ্চল, সবচেয়ে উন্নয়ন বঞ্চিত অঞ্চল। সরকারি হিসাব বলছে, দেশের সবচেয়ে দারিদ্র্য মানুষের বাস রংপুর বিভাগে। সরকারি হিসাব বলছে, দেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত ৮টি জেলার ৪টির অবস্থান রংপুর বিভাগে। এমন একটি অঞ্চলে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী সফরে আসবেন তখন নিশ্চিতভাবে সেই অঞ্চলের মানুষ আশায় বুক বাঁধবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এক গভীর উৎসব ও আকাঙ্ক্ষার জন্ম নিয়েছে।

খুব সরল প্রশ্ন জাগে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রংপুরে কি উন্নয়ন ঘটেছে? গত দেড় দশকে রংপুরে কী উন্নয়ন হয়েছে? কতটা এগিয়েছে রংপুর? কতটা সমৃদ্ধি পেয়েছে রংপুর?

গত দেড় দশকে রংপুরে বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, রংপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, পীরগঞ্জে মেরিন একাডেমি, আদালতের বহুতল ভবন, সিভিল সার্জনের নতুন ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও আধুনিক পুলিশ লাইন্স। এছাড়া ইতোমধ্যে আমাদের নজর কেড়েছে ১৭ তলাবিশিষ্ট ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ, বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বিভাগীয় সদর দফতর, র‌্যাব-১৩ ব্যাটালিয়ন সদর দফতর, রংপুর শিশু হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি অবকাঠামো। খুব শিগগিরই হয়তো সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়ে ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে হাইটেক পার্ক, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, রংপুর-ঢাকা ছয় লেনের মহাসড়ক ও তিস্তা সেচ প্রকল্পসহ আরও বেশ কিছু প্রকল্প। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য সরকার নিশ্চয়ই সাধুবাদ পেতেই পারে। এসব উন্নয়নচিত্র যে কারও সামনে উপস্থাপন করলে হয়তো তিনি সন্তোষ প্রকাশ করবেন এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু গত দেড় দশক তথা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রংপুরে কী উন্নয়ন ঘটেছে তা জানতে আমাদের একটু ঘুরে আসতে হবে দেশের অন্যান্য জেলায়, ঘুরে আসতে হবে দেশের অন্যান্য বিভাগে। তাহলেই আমরা রংপুরের প্রকৃত উন্নয়নচিত্র নিয়ে যথাযথ উপলব্ধি করতে পারবো।

রংপুর বিভাগ কৃষিতে উদ্বৃত্ত একটি অঞ্চল। সারা দেশে একটি মোটা অঙ্কের খাদ্যের জোগান দেয় রংপুর বিভাগ। বিদেশেও রফতানি হয়। রংপুর বিভাগের আছে এক অমৃত সম্ভাবনা। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে রংপুর হওয়ার কথা ছিল সমৃদ্ধ ও উন্নত; কিন্তু তেমনটি হয়নি। পিছিয়ে আছে। কিন্তু কেন? রংপুর বিভাগের মূল সংকট কোথায়?

শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে আমাদের প্রত্যাশাটা কী?

প্রত্যাশা ১: রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ

রংপুর অঞ্চলের উন্নয়ন বঞ্চনার নেপথ্য খুঁজতে গেলে সবার আগে ভেসে ওঠে এক গভীর বেদনা। এর নেপথ্য কারণ নেতৃত্ব। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রংপুর বিভাগের মূল সংকট মূলত রাজনৈতিক নেতৃত্ব। অধিকাংশ সময় এই অঞ্চলের সংসদ সদস্যরা ছিলেন বিরোধী দলের। ফলে উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার হয়েছে অঞ্চলটি। অধিকন্তু সত্য, এই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতারা এই অঞ্চলের সংকট ও সম্ভাবনাকে সবসময় যথাযথভাবে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে পেরেছেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বৈকি! এই অঞ্চলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা উদ্যোগ নেবেন। তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতাদের আগামী দিনে উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়ে আসবেন তেমনটি প্রত্যাশিত।

প্রত্যাশা ২: উন্নয়ন বরাদ্দ

রংপুর বিভাগ সরকারি হিসাবেই পিছিয়ে। তুলনামূলক দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে যোজন যোজন দূরত্বে অবস্থান করছে রংপুর বিভাগ। সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দ ও বৈষম্য নিরসনে যথেষ্ট উদাসীনতা লক্ষ করা যায়। মূলত বাজেট বণ্টন হতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে, সমতার ভিত্তিতেও নয়। সেখানে রংপুর অঞ্চল বাজেটে বরাদ্দ পায় বৈষম্যের ভিত্তিতে। ফলে রংপুর বিভাগকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে সবার আগে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ জরুরি। শেখ হাসিনা তার ঘোষণায় উন্নয়ন বরাদ্দ নিশ্চিতকরণের জন্য ঘোষণা দিতে পারেন। তেমনটি প্রত্যাশিত।

প্রত্যাশা ৩: তিস্তা মহাপরিকল্পনা

রংপুর বিভাগের মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও জীবিকা কেড়ে নিয়েছে তিস্তা। বন্যা ও খরা এই অঞ্চলের মানুষের জীবনসম্ভাবনার জন্য গভীরতর হুমকি। তিস্তাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ঘরবাড়ি ও সম্পদ হারাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ, যার কেবল আর্থিক মূল্যই লাখ লাখ কোটি টাকা। ফলে রংপুর অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য তিস্তাকে নিয়ে একটি বিজ্ঞানসম্মত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও দ্রুততম সময়ে তা বাস্তবায়ন জরুরি। মনে রাখতে হবে, কেবল তিস্তাকে কেন্দ্র করে রংপুর বিভাগের ৩টি জেলার মানুষ চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনও বিকল্প নেই।

প্রত্যাশা ৪: স্বাস্থ্যসেবা

রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান অত্যন্ত অনুন্নত। স্বাস্থ্য খাতে নেমে এসেছে বিশাল এক শূন্যতা। এই অঞ্চলের দুই কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের আধুনিকায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে রংপুরে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনও এখন সময়ের দাবি।

প্রত্যাশা ৫: কর্মসংস্থান সৃষ্টি

রংপুর বিভাগের মানুষের মূল সমস্যা হলো কর্মসংস্থানের সংকট। প্রতিবছর তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসংস্থানের জন্য ছুটে বেড়ান। ফলে রংপুর অঞ্চলের উন্নয়ন তথা এই অঞ্চলের দারিদ্র্য হার হ্রাসকরণের জন্য সবার আগে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এই কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ জাতীয় বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ জরুরি। দেশের অন্য প্রান্তের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ নিশ্চিতকরণে বিশেষ পদক্ষেপ জরুরি।

অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দেও এই অঞ্চল বৈষম্যের শিকার হয়েছে। দেশের মোট ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রংপুর বিভাগের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র চারটি। অথচ জনসংখ্যা বিবেচনায় এই সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল আরও অন্তত পাঁচগুণ।

প্রত্যাশা ৬: রংপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন ও রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা

রংপুর সিটি করপোরেশনের বয়স এক দশক; কিন্তু এই এক দশকেও ন্যূনতম উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রংপুরে। রংপুর সিটি করপোরেশন উন্নয়নেও চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছে রংপুরবাসী। ন্যূনতম বরাদ্দও নিশ্চিত হয়নি।

২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা; যার বিপরীতে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রাপ্তি ছিল অর্ধশত কোটি টাকারও কম। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য বরাদ্দ না বাড়িয়ে আরও কমানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আয়তনে রংপুরের এক-চতুর্থাংশ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে চলতি অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা, যা গত বছরের আড়াইগুণ ও রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্তমান অর্থবছরের বরাদ্দের প্রায় ৩০ গুণ। দেশের সবচেয়ে সুসজ্জিত রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তুলনায়ও রংপুর সিটির বরাদ্দ অত্যন্ত হাস্যকর। ফলে রংপুর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ বৃদ্ধি ও একই সঙ্গে দ্রুত রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাও এখন সময়ের দাবি।

প্রত্যাশা ৭: যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন

রংপুরের স্থানীয় যোগাযোগ অবকাঠামো ও সারা দেশের সঙ্গে এর যোগাযোগ অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। রংপুরের রেলপথ সীমাহীন বৈষম্যের শিকার হয়েছে। আকাশ পথে রংপুর থেকে কোনও যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। ফলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারিয়েছে রংপুর। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে রংপুর; ফলে পিছিয়ে পড়েছে এ এলাকা। উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নতকরণ জরুরি।

প্রত্যাশা ৮: কৃষিনির্ভর শিল্পকারখানা স্থাপন

রংপুর হলো এক অসীম সম্ভাবনার বিভাগ। এই অঞ্চলের উদ্বৃত্ত কৃষিপণ্য যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা যায়, যদি যথাযথভাবে বাজারজাতকরণ করা যায়, যদি কৃষক তার ন্যায্যমূল্য পায়, তাহলে বদলে যেতে পারে রংপুর বিভাগের দারিদ্র্যের চিত্র। এই অঞ্চলে যদি কৃষিনির্ভর শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা যায় তাহলে বদলে যাবে কৃষি, বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। মূলত এই অঞ্চলে সস্তা শ্রমবাজারকে কাজে লাগিয়ে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এটি হতে পারে একটি উত্তম বিকল্প।

প্রত্যাশা ৯: কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার

শিক্ষায়, অধিকন্তু কর্মমুখী শিক্ষায় আজও তুলনামূলক অনেকটা পিছিয়ে রংপুর বিভাগ। সরকারি তথ্য বলছে, এই বিভাগের মানুষ সবচেয়ে বেশি খোলা স্থানে মলত্যাগ করে। এই তথ্য যদি সত্য হয়, তাহলে ভাবতে হবে স্বাস্থ্য ও সচেতনতায় কতটা পিছিয়ে আছে রংপুর বিভাগ। বলা বাহুল্য, এই অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার আজ জরুরি হয়ে পড়েছে। ফলে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে; পাশাপাশি এই অঞ্চলে ব্যাপক হারে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। কেবল কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষাই পারে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে।

প্রত্যাশা ১০: ক্রীড়া, সাহিত্য-সংস্কৃতি খাতের উন্নয়ন

দুঃখজনক হলেও সত্য, অনুন্নয়ন ও বঞ্চনার ছোঁয়া রংপুর অঞ্চলের প্রায় সব খাতেই দৃশ্যমান। ক্রীড়া শিক্ষা ও ক্রীড়া উন্নয়নেও এই অঞ্চল সরকারিভাবে ব্যাপক পিছিয়ে। নেই কোনও জাতীয়/আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। নেই কোনও সন্তোষজনক ক্রীড়া শিক্ষা ও অবকাঠামোর সুযোগ। ফলে ব্যাপকভাবে খেলাধুলায় পিছিয়ে পড়ছে অঞ্চলটি। এই অঞ্চলের ক্রীড়া, সাহিত্য-সংস্কৃতি খাতের উন্নয়নে নজর দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরের পুত্রবধূ। এই অঞ্চলের মানুষের অনেক প্রত্যাশা তার কাছে। তিনিও এই অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

গ্রাম থেকে শহরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ধ্বনি। এই অঞ্চলের মানুষ আশা করছেন, ২ আগস্ট ২০২৩ শেখ হাসিনার কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হবে গণমানুষের স্বপ্ন। এই অঞ্চলের মানুষ আশা করছেন, তিনি রংপুরের মানুষের জন্য উপহার দেবেন উন্নয়নের রূপরেখা, বাস্তবায়ন করবেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা, সৃষ্টি করবেন কর্মসংস্থানের সুযোগ।

লেখক: শিক্ষক, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

[email protected]

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মে দিবসে বন্দরগুলোতে আমদানি-রফতানি বন্ধ
মে দিবসে বন্দরগুলোতে আমদানি-রফতানি বন্ধ
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ