X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বন্ধুরে তোর মন পাইলাম না…’

প্রভাষ আমিন
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:১৬আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:১৬

প্রভাষ আমিন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’কে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী সর্বময় দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দৃশ্যত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিল উল্লাসের ঢেউ। আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতোই ছিল। চলুন এবার আমরা দেশটির নাম ভুলে যাই, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম ভুলে যাই। একটি দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী; এতে উল্লসিত হওয়ার আসলে কোনও সুযোগ নেই। ব্যক্তিটি যেই হোক, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই থাকতে হবে সবাইকে। কিন্তু দেশটির নাম যখন মিয়ানমার, ব্যক্তিটির নাম যখন অং সান সু চি, তখন উল্লাসের কারণটা বুঝতে কারো অসুবিধা হবে না। মিয়ানমারের যে কোনও বিপর্যয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন খুশি হয়। তবে খুশি হওয়ার আগে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে, মিয়ানমারের কোন পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য ভালো।

এবার চলুন একটু পেছনে যাই। ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই গৃহবন্দি ছিলেন অং সান সু চি। তখন তিনি বাংলাদেশে কখনও কখনও মিয়ানমারের চেয়েও জনপ্রিয় ছিলেন। ঢাকার রাজপথে সু চির মুক্তির দাবিতে মিছিল হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, একটা সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠেছিলেন সু চি। তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের প্রতীক, মানবতার প্রতীক, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের নেতা। বন্দি অবস্থায়ই তিনি জিতে নেন নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ অনেক পুরস্কার। ২০১৫ সালে তার দল বিপুল বিজয় পেয়ে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু স্বামী বিদেশি হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারেননি। তার জন্য ‘স্টেট কাউন্সিলর’ বলে রাষ্ট্রপ্রধানের মর্যাদায় একটি বিশেষ পদ সৃষ্টি হয়। তবে অনেক দিন বিশ্বে মিয়ানমার মানেই ছিলেন অং সান সু চি। কিন্তু ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। রাখাইনে সেনা অভিযানে প্রাণ বাঁচাতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। বাংলাদেশ মানবতার কারণে তাদের আশ্রয় দেয়। এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা অভিযানের পর সৃষ্টি হয় জটিল এক আন্তর্জাতিক সংকট। দুঃখটা হলো, এই সংকটে সু চি ন্যায্যতার পক্ষে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাপারটা যদি এমন হতো, সেনাবাহিনীর ভয়ে সু চি কিছু বলতে বা করতে পারছেন না, তাহলেও না হয় কথা ছিল। কিন্তু তিনি খুব সচেতনভাবে রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে এবং সেনাবাহিনীর নির্মমতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেই থেকে অং সান সু চি বাংলাদেশে ‘অশুচি’– তিনি আর শান্তির প্রতীক নন, ‘মগের মুল্লুকের অশান্তির রানি’। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়েই নিন্দিত হন একদা নন্দিত সু চি। দাবি ওঠে তার শান্তির নোবেল প্রত্যাহারের। নোবেল প্রত্যাহার না হলেও আরও অনেক পদক ও পুরস্কার ঘৃণাভরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার ফিরিয়ে নিয়েছে। কানাডার সম্মানজনক নাগরিকত্ব হারানো একমাত্র ব্যক্তি অং সান সু চি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সু চি যে পরিমাণ ঘৃণা কুড়িয়েছেন, তাতে অনেক আগেই তার সব অর্জন ম্লান হয়ে গেছে।

সু চি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৯১ সালে বন্দি অবস্থায়। কিন্তু সেটি গ্রহণ করতে পেরেছিলেন ২১ বছর পর ২০১২ সালে। সে অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি তাকে অভিহিত করেছিল ‘বিশ্ব বিবেকের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে। নোবেল বক্তৃতায় সু চি শান্তি, ন্যায্যতা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র নিয়ে অসাধারণ সব কথা বলে জিতে নিয়েছিলেন আমার মতো কোটি মানুষের ভালোবাসা। আমার বিশ্বাস, সেই বক্তৃতাটি তিনি এখন অস্বীকার করবেন বা ভুলে যেতে চাইবেন। সারা জীবন যিনি গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবতার পক্ষে, ন্যায্যতার পক্ষে লড়াই করলেন, লেখালেখি করলেন, বক্তৃতা করলেন; সেই তিনিই কিনা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যায় চুপ থাকলেন। চুপ থাকলেও না হয় কথা ছিল।

চলুন আবার একটু পেছনে ফিরি। রাখাইনে গণহত্যার জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় মিয়ানমারকে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-এর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন সু চি, এই দৃশ্যটি আমার জন্য একই সঙ্গে প্রবল আনন্দের এবং তীব্র বেদনার। গণহত্যার দায়ে শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হয়েছে; ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য নয়, আমার ধারণা বিশ্বের সব মানবতাবাদী মানুষের জন্যই এটা আনন্দের সংবাদ। কিন্তু অং সান সু চি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অপকর্মের সাফাই গাইছেন– সাম্প্রতিক সময়ে এরচেয়ে বেদনাদায়ক অনুভূতি হয়নি আমার। আমি জানি একই অনুভূতি বিশ্বের কোটি মানুষের। তখন আমার রীতিমত নিজেকে প্রতারিত মনে হচ্ছে। এই অং সান সু চি’কে আমরা ভালোবেসেছিলাম! ভুল মানুষকে ভালোবাসায় কষ্ট হয়েছে আমাদের সবার। এবার সু চিকে গ্রেফতারের পর বাংলাদেশে যে উচ্ছ্বাস, সেটা সেই ভালোবেসে প্রতারিত হওয়ার প্রতিশোধ।

পরিবেশ-পরিস্থিতি মানুষের অবস্থান বদলে দেয়। কখনও কখনও তা ইতিবাচক, কখনও নেতিবাচক। পরিস্থিতি কখনও কখনও একজন সাধারণ মানুষকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে, নেতা বানিয়ে দেয়। কোনও কোনও নেতা জাতীয় অবস্থান থেকে আন্তর্জাতিক অবস্থানে চলে যান। এই যেমন শেখ মুজিবুর রহমান। গোপালগঞ্জের অজপাড়াগাঁ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া এই নেতা একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণা করে জন্ম দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। বঙ্গবন্ধু নিছক বাংলাদেশের নেতা থাকেননি, হয়ে উঠেছিলেন সারা বিশ্বের শোষিত নিপীড়িত মানুষের নেতা। আমাদের সময়েও আমরা ইয়াসির আরাফাত বা নেলসন ম্যান্ডেলাকে দেখেছি দেশ-কালের ঊর্ধ্বে উঠে যেতে। তেমন সম্ভাবনা নিয়ে আরেকজনকে বেড়ে উঠতে দেখেছি আমরা। তিনি অং সান সু চি। কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটের পর সু চি প্রমাণ করেছেন, তিনি গণতান্ত্রিক নন, মানবতাবাদী নন; নিছকই ভোটে জিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাওয়া একজন অতি সাধারণ নেতা। অং সান সু চি যদি মাথা থেকে ভোটের হিসাবটা ঝেড়ে ফেলে ন্যায্যতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করতেন, তাহলে তিনি হয়তো মিয়ানমারের রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা হারাতেন বা নির্বাচনেও হেরে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি স্থায়ীভাবে জিতে নিতে পারতেন বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয়, যেটা আগেই তার জেতা হয়েই ছিল। কিন্তু ক্ষমতার লোভ তাকে মিয়ানমারের গন্ডির ওপরে উঠতে দেয়নি। মিয়ানমারের নেত্রী থেকে যিনি আন্তর্জাতিক নেত্রী হয়ে উঠেছিলেন, তিনি এখন আবার মিয়ানমারের রাজনৈতিক বন্দি । কিন্তু এবার আর তার জন্য বিশ্বজুড়ে হাহাকার নেই।

ন্যায্যতার পক্ষে অবস্থান না নিয়ে নগদ লাভ পেয়েছিলেন সু চি। গত নভেম্বরের নির্বাচনে আরও বেশি ভোট পেয়েছিল তার দল। ক্ষমতায় থাকতে দিনের পর দিন অন্যায়ের সমর্থন করে গেছেন। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতেও তিনি নিজেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দালাল হিসেবেই উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। তার লাভের গুড় এখন পিঁপড়ায় খাচ্ছে। যে সেনাবাহিনীর জন্য তিনি নিজের সারা জীবনের অর্জন বিসর্জন দিলেন, সেই সেনাবাহিনীই এখন তাকে উৎখাত করে আবার বন্দি করেছে, এমনকি রিমান্ডেও নিয়েছে। কারাগারে বসে এখন তিনি সেনাবাহিনীর উদ্দেশে গাইতে পারেন, বন্ধুরে তোর মন পাইলাম না…।

মিয়ানমারে কী হয়েছে, কী হচ্ছে; সেটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের জন্য একটাই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু- বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা কবে যাবে। আর এই প্রশ্নের মীমাংসা করতে গিয়েই আমি মিয়ানমারের এই ওলটপালটে উল্লসিত হতে পারছি না। নানান আন্তর্জাতিক চাপ এবং বিচারের মুখোমুখি হয়ে মিয়ানমার কিছুটা নমনীয় হয়েছিল। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রশ্নে কিছুটা অগ্রগতিও হয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেই উদ্যোগ এখন থমকে গেছে। আবার কবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আলোচনার টেবিলে আসবে, সেটাও অনিশ্চিত। আমি বলি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ এক জটিল সাপ-লুডু খেলায় আছে। অনেক চেষ্টায় প্রত্যাবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ হয়তো ৩০-এর ঘরে উঠেছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমরা আবার শূন্যে নেমে এলাম। এখন আলোচনাটা কার সাথে হবে, কীভাবে হবে সেটা নিয়ে আবার নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। কারণ, ত্রিপক্ষীয় আলোচনা এগিয়ে নিতে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়াই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে অনেকে আবার মিয়ানমারের এই পরিবর্তনকে মন্দের ভালো বলছেন। কারণ, এতদিন বেসামরিক সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলেও মূল নিয়ন্ত্রণ ছিল সেনাবাহিনীর হাতেই। সেনাবাহিনীর মত ছাড়া সু চির পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে সেনাবাহিনীর সাফাই গাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এখন আলোচনা হবে সরাসরি সেনাবাহিনীর সাথে। তারা যা বলবে, তা বাস্তবায়নের ক্ষমতাও তাদেরই হাতে। তবে স্থগিত থাকা আলোচনা যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই মঙ্গল। রাখাইনে গণহত্যা এবং রোহিঙ্গাদের আজকের পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী দায়ী। তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও লাভ হবে কিনা জানি না। তবে অনেকের আশা, নানামুখী আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নিজেদের ভালো প্রমাণ করার জন্য সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হতে পারে। আশির দশকে সেনা শাসনামলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়েছিল। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, রোহিঙ্গা ইস্যু ফোকাসের বাইরে চলে যাওয়া। সবার কাছে এখন মিয়ানমার মানেই সেনা শাসন, সু চির মুক্তি ইত্যাদি ইস্যু; রোহিঙ্গারা যেন সেখানে ভুলে যাওয়া নাম। দশ লাখ রোহিঙ্গার মানবতার সব দায় যেন বাংলাদেশের। এখন আমাদের অবশ্যই সব আন্তর্জাতিক ফোরামে মিয়ানমার বিষয়ক সকল আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটিও যেন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে না পারে।

আমি ‘আদার বেপারি জাহাজ’-এর খবর নিয়ে কাজ নেই। আমার দুটি ছোট্ট চাওয়া। মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। মুক্তি পাক জনগণের ভোটে নির্বাচিত অং সান সু চি। তবে এবার যেন তিনি শুধু ভোটের গণতন্ত্রটা না বোঝেন। এবারের বন্দিত্ব যেন এক নতুন সু চি’কে ফিরিয়ে দেয়, যিনি মানবতা বুঝবেন, ন্যায্যতা বুঝবেন। আর সবচেয়ে বড় চাওয়া হলো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে আটকে থাকা প্রতিটি রোহিঙ্গাকে যেন মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেটা সামরিক সরকার করুক, আর বেসামরিক সরকার করুক।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
গরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ