X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় ভারতের নাজেহাল অবস্থার জন্য কে দায়ী?

মামুন রশীদ
২৪ এপ্রিল ২০২১, ১৪:১১আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২১, ১৪:১১

মামুন রশীদ প্রশ্নের উত্তরে আমার এক ভারতীয় বুদ্ধিমান বন্ধু লিখেছেন– ‘অলদো দ্য ন্যাশনালিস্ট ইন মি ইজ স্টিল স্ট্রাগলিং টু বিলিভ, দ্য রিয়েলিটি ইজ দ্যাট আওয়ার হেলথকেয়ার সিস্টেম হ্যাজ বিন কট উইথ ইটস প্যান্টস ডাউন অ্যান্ড দ্য হোল ওয়ার্ল্ড ইজ ওয়াচিং।’ আরেক বন্ধু লিখেছেন– ‘কান্ট্রিজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইজ লাইক এ ডিয়ার ব্লাইন্ডেড বাই দ্য হেডলাইটস অব এন অনকামিং ট্রাক।’

বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সালে প্রায় ১১ লাখ লোক শুধু চিকিৎসার জন্য পাশের দেশ ভারতে গিয়েছেন, ভারত মানেই চিকিৎসা, জ্ঞান-বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশটির করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলানোতে এই নাজেহাল অবস্থা দেখে বাংলাদেশের পাঠকরাও  অনেকটা বিহবলিত।

যারাই এনডিটিভি বা বিবিসি দেখছেন তারাই জানেন করোনায় ভারতে কী হচ্ছে। হাসপাতালে জায়গা নেই, আইসিইউ নেই, চারিদিকে শুধু লাশ আর অসহায় মানুষ।  অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির এক হাসপাতালে ২৫ জন মারা গিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের এক হাসপাতালে আইসিইউতে আগুন লেগে মারা গেছেন ১৩ জন। একই বেডে চলছে দু’জন রোগীর চিকিৎসা, হাসপাতালের বাইরে মারা যাচ্ছেন অনেকে, অনেকে আবার হাসপাতাল থেকে লাশও বের করতে পারছেন না। মেঝেতে পড়ে আছেন অনেক রোগী।

সন্দেহ নেই হুট করেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় ভারতজুড়ে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। দেশটির প্রায় সর্বত্র হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে দেখা যাচ্ছে বীভৎস দৃশ্য। শুক্রবার ভারতে একদিনে নতুন করে করোনাক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই কোনও দেশে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় আগামী দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলাও ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন বন্ধুজন ভারতীয়রা। লুট ঠেকাতে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পুলিশি পাহারায়, কালোবাজারে চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ক্রয়-বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার হরিয়ানায় হাসপাতালের গুদাম থেকে ভ্যাকসিন চুরি গিয়েছে, যদিও চোর পরে তা ক্ষমা চেয়ে ফেরত দিয়ে যায়। হাসপাতালে গিয়ে আর কোনও লাভ নেই মনে করে লোকজন বাড়িতেই অক্সিজেন মজুত করে রাখছে। অনেকেই ঝুঁকছে চীনের তৈরি সস্তা চিকিৎসা-সামগ্রীর দিকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন, ভ্যাকসিনের জন্য ভারতীয়দের আকুতি। এমনকি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্তও একজন সাংবাদিক তার অক্সিজেন লেভেল কমতে থাকা নিয়ে লাইভ টুইট করেছেন। ডাক্তাররাও নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জানাচ্ছেন, এরকম বিপর্যয় আর কোনোদিন দেখেননি তারা।

হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ কী?

এই মুহূর্তে লেখচিত্রে ভারতের করোনা সংক্রমণের দিকে তাকালে দেখা যাবে, নতুন সংক্রমণের মাত্রা বক্ররেখায় নয়, বরং খাড়া দেওয়ালের মতো সোজা ঊর্ধ্বরেখায় চলে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই সর্বনিম্ন সংক্রমণ রেকর্ড করার পরই আবার সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের বিশ্বরেকর্ড গড়লো ভারত।

এনডিটিভিতে এক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে বলতে শুনলাম– তাদের দেশের সাধারণ মানুষ থেকে ধরে নীতি-নির্ধারকরা পর্যন্ত ধরে নিয়েছিলেন যে ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ আসবে না। দুর্ভাগ্যবশত, তাদের এ বিশ্বাসের কারণেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে, সীমিত পর্যায়ের নামে ভ্রমণ, স্থানীয় নির্বাচন, ধর্মীয় উৎসবে জড়ো হওয়া, বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদি শুরু করে দেওয়ার ফলেই ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে ভাইরাসের নতুন নতুন ধরনের দ্বারা তা দ্রুত গতি পেয়েছে।

গত মাসে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ভারতে করোনাভাইরাসের মোট ৭৭১ টি ধরন পেয়েছে। এর মধ্যে লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ ধরনও রয়েছে। ভারতীয় গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভ্যারিয়ান্টের দুটি মিউটেশন দ্বারা সংক্রমণ অনেক বাড়তে পারে কিনা তা তারা পরীক্ষা করে দেখছেন।

দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এমন খবর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারের পর ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী এ দেশটির জনমনে বেশ আতঙ্কও সৃষ্টি হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন ৮৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’ও। দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও অসুস্থ হয়ে তাকে তিন সপ্তাহ হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল। তবে এখন তিনি সুস্থ আছেন। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মোট ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১৩ কোটি ২০ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ ইঞ্জেকশন দিতে পেরেছেন এপর্যন্ত।

তার মানে দাঁড়ায় এই যে, ১০% এরও কম মানুষ এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন এবং ২% এরও কম মানুষ দুই ডোজ পেয়েছেন। মঙ্গলবার ভারত সরকারের প্রদত্ত ডাটা অনুযায়ী, মাত্র ০ দশমিক ৩ বা ০ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে ভারত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ভারত বায়োটেকের অন্য একটি ভ্যাকসিন জনগণকে দিচ্ছে।

লন্ডনের এক গণিতবিদ যিনি ভাইরাসের ভ্যারিয়ান্ট অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করছেন, তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রামক এই স্ট্রেইন [B1617] সবচেয়ে খারাপ এবং ভারতের জন্যেও দুঃসংবাদ। তবে বিভিন্ন দেশে মানুষ আসা-যাওয়া বন্ধের ক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা নিলে হয়তো এটি সব দেশে ছড়ানো বন্ধ করা যাবে। তার মতে- এখনই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।

পত্রিকান্তরে জানা গিয়েছে– গেলো সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আমেরিকানদের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও ভারত ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছে। কানাডা এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশও একই দিকে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির সূত্র অনুযায়ী, গেলো বৃহস্পতিবার ভারতের দৈনিক কোভিড পরিসংখ্যান ঘোষণা করা হলে দেখা যায়- তা গত ৮ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের যে বিশ্ব রেকর্ড হয়েছিল, ভারত ৩,১৩,৩১০ জন শনাক্ত নিয়ে সে সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবারতো সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবুও ভারতে টেস্টিং কিটের স্বল্পতা রয়েছে, তাই বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরও বেশিও হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আড়াই হাজার মৃত্যু নিয়ে ভারতে একদিনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাটাও আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু,প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি হতে পারে, কারণ আগেই বলেছি– বহু ভারতীয় হাসপাতালের বাইরেই মারা গেছেন। মর্গগুলোতে স্তুপীকৃত হচ্ছে লাশ, এমনকি শ্মশানগুলোও লাশ দাহ করে কুলোতে পারছে না। একজন সিনিয়র বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যেই বলেছেন, সব রাজ্যে নির্বাচন শেষ হলে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক অনেক বৃদ্ধি পাবে। তার মতে সংখ্যাটি ইচ্ছে করে কম দেখানো হচ্ছিলো। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ একটা ঝড়ের মতো এসেছে।’ কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তারা ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করবে। কিন্তু এ মাসের শুরুতেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শত শত ক্লিনিকে টিকার ডোজ ফুরিয়ে গেছে বলে জানা যায়। জনসাধারণ প্রতিষেধক নিতে এসে ‘সরবরাহের অভাব টিকাদান বন্ধ’ লেখা দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যায়।

গর্বের সঙ্গে নিজেদের বিশ্বের শীর্ষ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে দাবি করা ভারতের ভাগ্যে যেন এটি এক অপ্রত্যাশিত মোড়। তবে চলমান ভ্যাকসিন স্বল্পতার মধ্যেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ভ্যাকসিনের কাঁচামাল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে। সেরাম ইনস্টিটিউট নিজেরা ভ্যাকসিন বানালেও এর কাঁচামাল তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করতো। গেলো সোমবারই ভারত সরকার সেরাম-এর ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়াতে ৬১ কোটি ডলার তহবিল অনুমোদন দিয়েছে।

তবে ভারতের বিরোধী দলগুলোর দাবি, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মোদি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিশাল নির্বাচনি র‍্যালি করেছেন। বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র অন্তত তিনটি র‍্যালি ছিল। পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনি দামামায় প্রচুর র‍্যালি হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় এখনও কমবেশি চলছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা এ মাসে অনুষ্ঠিত ‘কুম্ভ মেলা’ ও স্থগিত রাখতে রাজি হননি। কুম্ভ মেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি জনসমাগমপূর্ণ ধর্মীয় মেলা যা গঙ্গার তীরে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে হাজার হাজার ভক্ত জড়ো হয় এবং এরপর অন্তত একজন ধর্মীয় নেতার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহান্তে মোদি টুইট বার্তায় জানান, কুম্ভ মেলার বাকি অংশ ‘প্রতীকী’ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আর আমার বন্ধুদের অনেকেই কুম্ভমেলায় কোনও সামাজিক দূরত্ব আর নিরাপত্তা ছাড়া হাজার হাজার লোক দেখে বলেছেন-‘লাস্ট নেইল অন দ্য কফিন’।

গেলো মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মোদি আরো একটি জাতীয় লকডাউনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, একেবারে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দেওয়া হবে। তিনি জনগণকে লকডাউন এড়িয়েই যতটা সম্ভব সুরক্ষিত থাকতে এবং ‘মাইক্রো কন্টেইমেন্ট জোন’ এ নজর দিতে বলেন।

ভারতের দুটি বড় শহর, দিল্লি ও মুম্বাইয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্রন্টলাইন কর্মীরা ছাড়া বাকি সবাইকে বাসায় থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে। বাইরে ঘোরাফেরা বা জগিং করতে গেলেও জরিমানা করা হবে বলা জানানো হয়।

২০২০ সালে মার্চে যখন ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদি তখনই বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করেন। সেসময় চার ঘণ্টার নোটিশে এটি কার্যকর করা হয়। তখন ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হয় প্রায় ২৪ শতাংশ এবং অভিবাসী শ্রমিকরা না খেতে পেয়ে পথে বসেছিল।

গেলো সপ্তাহে দিল্লিতে নতুন বিধিনিষেধের মধ্য দিয়েই শহরের মূল বাস স্টেশনে দেখা যায় অভিবাসী শ্রমিকদের ভিড়। শহর ছেড়ে গ্রামে পালিয়ে অনাহার থেকে বাঁচতে চাইছেন তারা। আর সেখানেও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছিল না বললেই চলে।

বাংলাদেশ সুলভে প্রায় উন্নত মানের চিকিৎসা, গুনগত মানের শিক্ষা আর বিশ্বমানের প্রযুক্তি সমাধানের জন্য যৌক্তিক কারণেই পাশের দেশ ভারতের উপর বেশ নির্ভরশীল।  চিকিৎসা গবেষণায়ও অনেক এগিয়ে ছিল দেশটি। তাই বিশ্ব সমাজের পাশাপাশি দেশটির প্রাজ্ঞজনেরাও হতবিহ্বল।  এমনটি প্রত্যাশিত ছিল না। কেন হলো? শুধু কি পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন আর কুম্ভমেলাই দায়ী, না-কি দারিদ্রের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলায় অনীহা, নাকি রাজ্য সরকারগুলো বা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা?

তবে এটি সত্য যে এভাবে চললে, এই ভঙ্গুরতা থাকলে যে ভারত উন্নয়নশীল বিশ্বকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিল, তাদের সেই আশা তিরোহিতই থেকে যাবে।

 

লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
কাভার্ডভ্যান-লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই গাড়িতেই আগুন, প্রাণ গেলো একজনের
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন তাইওয়ানের প্রতিনিধি
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ