X
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
২৭ বৈশাখ ১৪৩১

উত্থাপিত গণমাধ্যমকর্মী আইন কি সরকারের জন্য শাঁখের করাত?

শিবলী নোমানী
২৮ মে ২০২২, ১৪:৩৬আপডেট : ২৮ মে ২০২২, ১৪:৩৬
জাতীয় সংসদে গত ২৮ মার্চ উত্থাপিত হয় গণমাধ্যমকর্মী আইন। উপস্থাপিত এ আইন নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া চলমান। অনেক সাংবাদিক এটিকে কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দৈনিক সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (নোয়াব) বলছে, এই আইন পাস হলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। তারা গত ২৪ এপ্রিলে এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রস্তাবিত আইনটির ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয়। নোয়াব এ আইনটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে এই আইনের দরকার নেই বলে দাবি করেছে। তারা উত্থাপিত আইনের ‘বিরোধ নিষ্পত্তি, গণমাধ্যম আদালত, গণমাধ্যম আপিল আদালত’-এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, কোনও সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই আদালত প্রসঙ্গে কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। তবে কি সংসদে উত্থাপিত এই আইন সরকারের জন্য শাঁখের করাত হয়ে দাঁড়ালো?

প্রথমে সাংবাদিকদের কী কী অধিকার এই আইনের মাধ্যমে ক্ষুণ্ন করার পাঁয়তারা চলছে তা আলোচনা করবো। দ্বিতীয়াংশে সম্পাদক পরিষদের বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।

ধারা ১১-এর মৃত্যুজনিত সুবিধার উপধারা (১)-এর (ক) (পৃষ্ঠা-৪)-এ বলা হয়েছে, এক বছর বা ছয় মাসের বেশি কাজ করলে এক মাসের বেতন মালিক পক্ষ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিবে। উপধারা ১-এর ‘খ’-এ বলা হয়েছে, কর্মরত অবস্থায় বা কর্মকালীন দুর্ঘটনায় মারা গেলে ৪৫ দিনের সুবিধা পাবেন। এখানে শ্রম আইন ১৯ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুকালীন সুবিধার কথা বলা হলেও কর্মকালীন দুর্ঘটনায় মারা গেলে শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিপূরণের কথা উল্লেখ করা হয়নি। উল্লেখ করা হয়নি কোনও বিমা সুবিধার কথাও। যদিও আইনের এই ধারায় প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মীকে বিমার আওতায় এনে অঙ্গহানি বা মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কারণে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রাখলে মালিক পক্ষ ও কর্মীর জন্য বিষয়টি সুখকর হতে পারে।

ধারা ২১-এর ‘ছ’ (তৃতীয় অধ্যায় ছুটি, চিকিৎসা সুবিধা ও ভবিষ্যৎ তহবিল পৃষ্ঠা-৮)-এ তিন বছর পর পর শ্রান্তি ছুটি ৩০ দিনের পরিবর্তে করা হয়েছে ১৫ দিন। সরকারি এবং বেসরকারি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এটা ৩০ দিন বহাল আছে। গণমাধ্যমকর্মীদেরও ৩০ দিন ছিল। কিন্তু কী কারণে এটা কর্তন করা হলো তা রহস্যময়। একই ধারার ‘গ’-এ চাকরি সমাপনান্তে ১৮০ দিনের অর্জিত ছুটি নগদায়নের সুবিধা কর্তন করে ১০০ দিন করা হয়েছে; যা গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকারকে আঘাত করেছে।

ধারা ২৩-এ মালিক কর্তৃক চিকিৎসা ভাতা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এটা ওয়েজবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হয়। প্রশ্ন হলো আইন করেও যেখানে সুবিধা দেওয়া যায় না; সেখানে মালিক কর্তৃপক্ষের ওপর এই বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া কতটা যৌক্তিক তা বোধগম্য নয়। ধারা ২০-এর উপধারা ৩-এ পূর্ণ বৎসর চাকরির জন্য অবসর সুবিধা ৬০ দিন কর্তন করে ৩০ দিন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা বর্তমানে ৬০ দিন রয়েছে। নবম ওয়েজবোর্ডেও ৩০ দিন করা হয়েছে। যেখানে সরকারি-বেসরকারিসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে, সেখানে সংবাদকর্মীদের সুবিধা কর্তন করায় এই খাতের কর্মীরা হতাশ।

সাংবাদিকদের অবসরসীমা ৫৯ বছর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের অবসরসীমার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তিনি এই বিষয়টি বাদ দিয়ে নতুন করে আইন সংশোধন করতে বলেছিলেন। করাও হয়েছিল তা-ই। ‘দ্য নিউজপেপার ইমপ্লয়েস (চাকরির শর্তাবলি) আইন-১৯৭৪-এ জাতির পিতার করা আইনকে পাশ কাটিয়ে সাংবাদিকদের অবসরসীমা যুক্ত করা চরম অবমাননাকর। বয়সজনিত কারণে বাধ্যতামূলক অবসরের বিষয়টি বিলুপ্ত করে ১৯৭৪ সালের আইনটি ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেবেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমন প্রত্যাশা সাংবাদিকদের।

প্রথম অধ্যায় (৫)-এর প্রথম তিন শব্দ ‘গণমাধ্যম কল্যাণ সমিতি’ বলা হয়েছে। ধারা ৪৭ (পৃষ্ঠা-১৭)-এ গণমাধ্যম মালিকের বিনা অনুমতিতে কল্যাণ সমিতির কোনও সদস্য কর্মসময়ে কল্যাণ সমিতির কোনও কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকলে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা ৬ মাসের কারাদণ্ড বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ‘কল্যাণ সমিতি’ শব্দ দ্বয়ের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় ‘ট্রেড ইউনিয়ন’ বহাল থাকলে ইউনিয়ন করার পূর্ণ অধিকার পাবেন সাংবাদিকরা।

দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি ধারা ৫-এর (পৃষ্ঠা-৩) উপ-ধারার ৫-এ প্রথম দুই শব্দ ‘করণিক কাজ’ ব্যবহার করায় সাংবাদিক সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত সাংবাদিকদের সরকারের বিরাগভাজন করতে মুখিয়ে আছে। শিক্ষানবিশকাল সর্বাধিক ৬ মাসের বেশি কোনোভাবেই দুই বছর বা এক বছর করা ঠিক হবে না। দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলির ৮-এর উপধারা (১) এ কর্মঘণ্টা (পৃষ্ঠা-৩) সপ্তাহে অন্যূন ৩৬ ঘণ্টার পরিবর্তে ৪৮ ঘণ্টার প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে শ্রম আইনে ৪০ ঘণ্টা রয়েছে সেখানে সাংবাদিকদের ৪৮ ঘণ্টা প্রস্তাবের মধ্যে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কী থাকতে পারে। কার স্বার্থে বা কার পরামর্শে এটা করা হয়েছে জাতির কাছে তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত। অবাস্তব এসব প্রস্তাব যুক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে হেয় করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের দাবি, কোনও গণমাধ্যম যেমন- অনলাইন বা টিভি মাধ্যমে যদি দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করানো হয় সেক্ষেত্রে ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটির বিধান রাখতে হবে। আর পত্রিকায় আগের মতো সপ্তাহে ৩৬ কর্মঘণ্টা বহাল রাখতে হবে। রাত্রিকালীন ও অতিরিক্ত ডিউটির ভাতা আগের মতো বহাল রাখতে হবে।

দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলির ৯ ধারার (পৃষ্ঠা-৩) উপধারায় কোনও গণমাধ্যমকর্মীর বেতনকাল এক মাসের অধিক অর্থাৎ পরবর্তী মাসের ৭ তারিখ প্রস্তাব করায় সাংবাদিকরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। এটা ১ তারিখের মধ্যে করার দাবি করা হচ্ছে।

ধারা-১২ (পৃষ্ঠা-৪) উপধারা ২-এর ‘ক’-এ ছাঁটাই করলে ৪ মাসের মূল বেতন দেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব করে এক মাসের মূল বেতন মূল বেতন প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা শ্রম আইনেরও বিরোধী প্রস্তাব। ক্ষতিপূরণ হিসেবে (ধারা ২০-এর উপধারা ৩-এ অবসরকালীন [পৃষ্ঠা-৭], ধারা ১৫ উপধারা ৩-এর বরখাস্ত [পৃষ্ঠা-৫], ধারা ১৩ অব্যাহতি [পৃষ্ঠা-৫]-এর উপধারা ২ ও ধারা ১১-এর ১-এর ‘ক’-এ মৃত্যুজনিত সুবিধার মতো [পৃষ্ঠা-৪]) পূর্ণ প্রত্যেক বছরের জন্য এক মাসের মূল বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা (অষ্টম ওয়েজবোর্ড) অনুযায়ী দুই মাস বা ৬০ দিন কার্যকর হওয়ার প্রত্যাশা করেন সংবাদকর্মীরা।  

চতুর্থ অধ্যায়ের ধারা ২৫-এর উপধারা ১-এ (পৃষ্ঠা-৯) ‘সরকার চাইলে ন্যূনতম ওয়েজবোর্ড গঠন করিতে পারবে’ উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে উপধারা ৫-এ বলা হয়েছে ‘সরকার পাঁচ বছর পর পর ন্যূনতম ওয়েজবোর্ড গঠন করিতে পারিবে।’ এতে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সরকার না চাইলে ন্যূনতম ওয়েজবোর্ড গঠন নাও করিতে পারে। অর্থাৎ বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আর থাকছে না। দোদুল্যমান অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধনীর মাধ্যমে। এটা পরিবর্তন করে নিশ্চয়তামূলক স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চায় সংবাদকর্মীরা। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মী বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে তারও একটা ব্যাখ্যা থাকতে হবে।

আর একটি বিষয়, দুই উৎসব ভাতার মতো সরকারিসহ অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো বৈশাখী ভাতা প্রদানের বিষয়টি যুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম রাষ্ট্রের কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা ঘোষণা করেন। তখন বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বহু প্রতিষ্ঠানে এটি কার্যকর করে। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমও এই ভাতা প্রদান করে। কিন্তু বিধান না থাকার কারণে পরবর্তী সময়ে অল্প কয়েকটি গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া অনেকেই এটা পাচ্ছেন না।

এবার উত্থাপিত আইন নিয়ে সম্পাদক পরিষদের আপত্তির বিষয়ে আসা যাক। ধরে নেওয়া হলো, এখানে সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাতে সম্পাদকদের কী যায় আসে? সহজভাবে বললে উত্তর দেওয়া যায় এভাবে, সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিয়েই তো ব্যবসা তাদের। তাই এদের ইজ্জতে আঘাত লাগলে তো তাদেরই ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। কারণ, কর্মীর মন খুশি থাকলে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায়। এতে তো ব্যবসারও সমৃদ্ধি ঘটে। অনেক গণমাধ্যমে করোনাকালে ও পরবর্তী সময়ে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা কর্তন করা হয়েছে, বেতন বাকি রেখেছে। এর বিপরীতে ভালো দৃষ্টান্তও কিন্তু আছে। কিন্তু কী আছে উত্থাপিত এই আইনে যে কারণে সম্পাদক পরিষদ এটি প্রত্যাখ্যানের দাবি করেছে?

নোয়াব বিবৃতিতে বলেছে, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ নামে নতুন কোনও আইনের প্রয়োজনীয়তা নেই। প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক বিভাগীয় এলাকার জন্য গণমাধ্যম আদালত স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। এই আদালতে একজন চেয়ারম্যান এবং দুজন সদস্য থাকবেন। কর্মরত জেলা জজদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান হবেন। দুই সদস্যের একজন হবেন গণমাধ্যমের মালিক ও আরেকজন গণমাধ্যমকর্মী।’ নোয়াব বলছে- সংবাদকর্মীদের দেনা-পাওনা এবং যেকোনও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালত রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মাধ্যমে গঠিত বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বাকস্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে আসছে। একই সঙ্গে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মান বজায় রাখা ও সংশোধন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যেই সংস্থাটি কাজ করে থাকে। কাজেই প্রচলিত শিল্প আইন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, প্রেস কাউন্সিল এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মাধ্যমেই সংবাদপত্রের সব কার্যক্রম তদারকি করা সম্ভব।’

নোয়াবের দাবি প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র আরও বেশি রুগ্ন হবে। একই সঙ্গে নোয়াব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও বাতিলের দাবি করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার সাংবাদিকদেরও প্রাণের দাবি। তবে শ্রম আইন, শিল্প আইন, প্রেস কাউন্সিল এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর- এই চারটি সংস্থার টানাটানির মধ্যে না রেখে প্রস্তাবিত গণমাধ্যম আদালত ও আপিল আদালত বাস্তবায়িত হলে বিরোধ নিষ্পত্তি খুব অল্প সময়ে হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে হেনস্তার কোনও অপসুযোগ তৈরির রাস্তাও বন্ধ হবে।

সর্বশেষে বলতে চাই, এরকম বিতর্কিত করে এই আইন উত্থাপনে কারা পরামর্শ দিয়েছেন; তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যারা সাংবাদিক, সম্পাদক ও সরকারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফায়দা লুটতে চেয়েছেন তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা নির্বাচনের আগে হয়তো এরকম আরও বহু বিতর্ক তৈরির পাঁয়তারা করছেন। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে আইনে অভিজ্ঞ বিচারক, আইনজীবী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের পরামর্শের সমন্বয়ে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যম আইন পাস হবে- এটাই প্রত্যাশা সাংবাদিক এবং এই খাতের কর্মীদের।    

লেখক: সাংবাদিক

ইমেইল : [email protected]
/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ১৭ মে বিক্ষোভ করবে ইসলামী আন্দোলন
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ১৭ মে বিক্ষোভ করবে ইসলামী আন্দোলন
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাসদ
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাসদ
কাল যুবদলের সমাবেশ, থাকবেন মির্জা ফখরুল
কাল যুবদলের সমাবেশ, থাকবেন মির্জা ফখরুল
নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ