X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

অদম্য বাংলাদেশের অবিচল কান্ডারি জননেত্রী শেখ হাসিনা

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০৭আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০৭

দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। বাঙালির জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন শেখ মুজিব। আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন তথা সোনার বাংলা বিনির্মাণে রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর ভিত গড়েছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশকে এখন পৃথিবীর মানুষ জানে উদীয়মান এবং অদম্য এক শক্তি হিসেবে। যাকে কোনোভাবে দাবিয়ে রাখা অসম্ভব।

বাংলাদেশকে যিনি এই পরিচিতি এনে দিয়েছেন তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চতুর্থবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে আরও অনেক পরিচয় ও অভিধায় ভূষিত করা গেলেও তাঁর জন্য সবচেয়ে গৌরবময় যে পরিচয় তা হলো তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা এবং বাংলাদেশের গণমানুষের নেত্রী- জননেত্রী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সব গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ড থেকে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তাঁকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।

শেখ হাসিনার রাজনীতির পাঠ 

জননেত্রী শেখ তাঁর রাজনীতির পাঠ নিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে। এজন্যই পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ব্রতের সঙ্গে কন্যা শেখ হাসিনার জীবনের ব্রত যেন হুবহু মিলে যায়। পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে শেখ হাসিনার একটি ভাষ্য পাওয়া যায়। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ভূমিকায় লেখেন: ‘আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জীবনের সব থেকে মূল্যবান সময়গুলো কারাবন্দি হিসেবেই কাটাতে হয়েছে। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়েই তাঁর জীবনে বারবার এই দুঃসহ নিঃসঙ্গ কারাজীবন নেমে আসে। তবে তিনি কখনও আপস করেননি। ফাঁসির দড়িকেও ভয় করেননি। তাঁর জীবনে জনগণই ছিল অন্তঃপ্রাণ। মানুষের দুঃখে তাঁর মন কাঁদতো। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন, সোনার বাংলা গড়বেন- এটাই ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র ব্রত। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য- এই মৌলিক অধিকারগুলো পূরণের মাধ্যমে মানুষ উন্নত জীবন পাবে, দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পাবে, সেই চিন্তাই ছিল প্রতিনিয়ত তাঁর মনে। যে কারণে তিনি নিজের জীবনের সব সুখ, আরাম আয়েশ ত্যাগ করে জনগণের দাবি আদায়ের জন্য এক আদর্শবাদী ও আত্মত্যাগী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, বাঙালিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা।’ পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন জীবনের আদর্শ, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনারও জীবনের আদর্শ হলো পিতার মতোই মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন লড়াই করে যাওয়া। তিনি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি দেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিয়ে সকল গণতান্ত্রিক অধিকার। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করা।
 
প্রবাস জীবন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নকে সেদিন নস্যাৎ করার এক ঘৃণ্য পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হয়। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় দেশি-বিদেশি কুচক্রী গোষ্ঠী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের। সেদিন শিশু শেখ রাসেলও সেই অশুভ অন্ধকারের শক্তির হাত থেকে রেহাই পায়নি। বিদেশে অবস্থানের কারণে ভাগ্যক্রমে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পর দেশে-বিদেশে রাতারাতি পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে সহ্য করতে হয় অভাবনীয় অনিশ্চয়তা ও অবহেলা। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তারা দেশটিতে আশ্রয় লাভ করেন। তাদের স্থান হয় নয়া দিল্লির ডিফেন্স কলোনির একটি বাসায়।

দিল্লিতে অবস্থানকালে নিরাপত্তার স্বার্থে কারও সাথে যোগাযোগ না করা এবং কাউকে পরিচয় না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ডকুড্রামা হাসিনা: এ ডটারস টেল-এ শেখ রেহানা বলেন, ‘দিল্লি থাকাকালীন আমাদের নামও পরিবর্তন করে থাকতে হয়েছে। মিস্টার তালুকদার, মিসেস তালুকদার, মিস তালুকদার। যেন আশপাশের কেউ (আমাদের উপস্থিতির কথা) না জানে। আমি প্রথমে বললাম, দেশ ছাড়া, ঘরছাড়া, বাবা-মা ছাড়া, এখন নামও বদলাবো!’

আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন

ভারতে অবস্থানকালে ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিভিন্ন সময় দিল্লিতে যান বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয়ের খোঁজ-খবর নিতে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জিল্লুর রহমান, আব্দুস সামাদ আজাদ, তৎকালীন যুবলীগ নেতা আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী পৃথক সময়ে দিল্লিতে যান। আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারত সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ১৫ আগস্টের মর্মন্তুদ ঘটনার পরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণে শেখ হাসিনাকে উদ্বুদ্ধ করা। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার অবর্তমানে ১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫  ফেব্রুয়ারির আওয়ামী লীগের ত্রয়োদশ জাতীয় কাউন্সিলে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ঘটনার পালাবদলে একসময় দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা। ১৭ মে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঢাকায় পৌঁছান। দেশে ফেরার বিষয়ে ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল-এ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অবর্তমানে আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভানেত্রী নির্বাচিত করলো, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসবোই। ১৯৮১ সালে আমি যখন দেশে ফিরে আসি তখন খুনিরা অবাধে ঘোরাফেরা করতো। দেশে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিষিদ্ধ ছিল। আমি মানুষের কাছে গেছি, আমি জানতাম আমার তো অন্য কোনও জায়গা নেই। আমার জায়গা তো বাংলাদেশের মানুষের কাছে, জনগণের কাছে। আমি সভা-সমাবেশে যেতাম, পিতৃহত্যার বিচার চাইতাম।’

নেতৃত্বভার গ্রহণ ও দেশ গঠন

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দেশ পরিচালনায়ও তিনি অনন্য। তিনি টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। দেশে ফেরার পর থেকেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর গণ-আন্দোলনে পতন হয় স্বৈরাচারী এরশাদ সরকাররে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দরিদ্র দেশ থেকে উন্নত দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন দুই হাজার পাঁচশ’ মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর অধিকার, জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অবকাঠামো, ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে হয়েছে অভূত উন্নয়ন।

অগ্রগতির পথে যাত্রা

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার ঘোষণা করে সেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। শুরুতে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেক রাজনৈতিক দল ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করলেও পৃথিবীর বুকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন অনিবার্য বাস্তবতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন আমাদের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের চিন্তাভাবনাকে প্রাধান্য দেয়। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রশংসা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত প্রযুক্তি আমাদের দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ গড়তে সহায়তা করছে। ইন্টারনেটভিত্তিক কৃষিসেবা, অনলাইন টিকিটিং ও অনলাইনে কেনাকাটাসহ সর্বত্র প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ও রায় কার্যকর, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নৌবাহিনীর বহরে সাবমেরিন সংযুক্তকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে নতুন নতুন উড়াল সড়ক নির্মাণ, মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীতকরণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, প্রবৃদ্ধিও হার বৃদ্ধি, করোনা মহামারি মোকাবিলাসহ অসংখ্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার রূপকল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ভিশন ২০৪১। শতবর্ষব্যাপী পরিকল্পনার নাম ডেল্টা প্ল্যান। সবকিছু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য।
জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। পৃথিবীর অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রনায়কগণ শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার নীতি ও কৌশল নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে গবেষণা হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের শক্তি অশেষ। তিনি একটি দেশ ও জাতির সত্যিকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপকার। শেখ হাসিনার সংগ্রামের আলেখ্য বাংলার মানুষের জন্য এক অসীম প্রেরণার সম্ভার।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। শুভ জন্মদিন আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা।

লেখক: অধ্যাপক; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ; সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি); পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। এবং প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

 

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ