X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ: পচন কোথায়?

আমীন আল রশীদ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:২৯আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৩২

দেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম সবার আগে সামনে আসে, রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ তাদের অন্যতম। এই কলেজের ওয়েবসাইটে সার্বক্ষণিকভাবে যে স্ক্রলটি চলে, সেখানে লেখা আছে: ‘সন্ত্রাস নয় শান্তি চাই, শঙ্কামুক্ত জীবন চাই।’

কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, রাজনৈতিক দলাদলি, বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা কারণে এই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে আবাসিক হলে থেকে যারা পড়াশোনা করেন, তারা কতটা শঙ্কামুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশ্নটা নতুন নয়। কিন্তু ছাত্রলীগের কলেজ শাখা কমিটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সেই প্রশ্নটি নতুন করে সামনে এসেছে। বিশেষ করে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে হলে থাকা অনেক ছাত্রীকে দিয়ে নানারকম অনৈতিক কাজ করানো; এমনকি দলীয় পদ-পদবি পাওয়াসহ নানারকম স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজ হাসিলের জন্য তাদেরকে নিজেদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোনও পুরুষের ‘শয্যাসঙ্গী’ হতে বাধ্য করার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে।

সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে দেখা যাক সবশেষ এই কলেজে কী ঘটলো?

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন কমিটির সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী। এরপর রিভা ও রাজিয়ার উপস্থিতিতে জান্নাতুলকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ নেত্রী ক্যাম্পাসে রিভা ও রাজিয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এদিন বিকালে রিভা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের সময় একটি গ্রুপ তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকজন আহত হন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রবিবার দিবাগত রাতে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে এই কমিটির ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও বহিষ্কারের তালিকায় মূল অভিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম নেই। যে কারণে প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেত্রীকে প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না? আসা যাক সভাপতি রিভার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে।

অনেক দিন ধরেই তাকে নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম খবর আসছিলো। আবাসিক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোর করে রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেওয়া, প্রতিবাদ করলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, বিনা কারণে ছাত্রীদের মারধর ও গালমন্দ করা, হল থেকে বের করে দেওয়া, ব্যক্তিগত কাজে সাধারণ ছাত্রীদের ব্যবহার, সিটবাণিজ্য, ইডেন কলেজের পাশে ফুটপাথে বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি রুপা ও মিথিলা নামের দুই ছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন রিভা। তাদের হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন। এ ঘটনার একটি অডিও সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই রিভা নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টির জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে এর এক সপ্তাহ না যেতেই ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীকে ডেকে এনে ওই ঘটনা ভাইরাল করার দায় ও অভিযোগ মিথ্যা বলে স্বীকার করাতে রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের ২০২ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে রিভার বিরুদ্ধে।

ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন সরকারি কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট বাণিজ্য করবে; সিট পাওয়ার জন্য মিছিলে নিতে বাধ্য করবে; গণরুমে নির্যাতন করবে; বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চাঁদাবাজি করবে; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর নানাভাবে খবরদারি করবে—এগুলো এখন মোটামুটি গা সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর যে অভিযোগটি উঠেছে তা হলো, সাধারণ ছাত্রীদেরকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করানো।

অন্য কোনও দলের কেউ নন, এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন খোদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বৈধ রুমের মেয়েরা উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করার সময় সভাপতির (তামান্না জেসমিন রিভা) অনুসারীরা তাদের ছবি তুলে রাখেন। সেখান থেকে সুন্দরীদের বাছাই করেন। পরে বাছাইকৃত মেয়েদের রুমে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে তাদের বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দেওয়া হয়। কারণ, তারা ওই মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করাতে চান।’ কিছুদিন আগে একজন মেয়ে কান্না করতে করতে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উল্লেখ করে বৈশাখী বলেন, ‘কলেজের কর্মকর্তারা সবাই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তারা জিম্মি।’(বাংলা নিউজ, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২)।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যাদেরকে বহিষ্কার করে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে এই বৈশাখীর নামও রয়েছে। ক্যাম্পাসে র‌্যাগিং, গণরুমে নির্যাতন, মিছিল মিটিংয়ে যেতে বাধ্য করা, কথিত বড় ভাইদের উঠতে বসতে সালাম দেওয়া, না দিলে মারধরের শিকার হওয়াসহ অন্য যেকোনও অভিযোগের সঙ্গে তুলনা করলে ইডেন কলেজের আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর এই অভিযোগ অনেক ভারী। এটি শুধু রাজনীতি নয়, এটি নারীর অধিকার এবং সামগ্রিকভাবে মানবাধিকারেরও পরিপন্থি। ছাত্রলীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের কোনও নেতা তার নিজের প্রয়োজনে, নিজের স্বার্থে সাধারণ ছাত্রীদেরকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করাবেন, তাতে কেউ বাধা দিলে তাকে নির্যাতন করবেন, এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ধরা যাক, এ বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, পরিমাণ তত নয়। কিন্তু এরকম অভিযোগ একটিই যথেষ্ট। তাছাড়া এরকম ঘটনা না ঘটলে এটা রটতো না। সুতরাং যে নেত্রীর বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ, তাকে কমিটিতে রেখে অন্যদের বহিষ্কার করাটাও একধরনের পরিহাস।

এটা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে যে, দেশের নানা প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় এসে সরকারি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকতে গিয়ে সাধারণ পরিবারের মেয়েদের কী ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পুরো শিক্ষাজীবন কতটা আতঙ্কে পার করতে হয়। এরকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় যাদের, তারা কী শিক্ষা অর্জন করেন; দেশ ও মানুষের প্রতি তাদের মমত্ববোধই বা কতটা তৈরি হয়? বরং যারা এরকম বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে যান, তাদের মনে একধরনের প্রতিশোধপরায়ণতা তৈরি হয়— যা ভবিষ্যতে কর্ম ও সংসার জীবনে কোনও না কোনোভাবে প্রভাব ফেলবেই।

সাধারণ পরিবারের মেয়েরা অধিকাংশ সময় এসব অভিজ্ঞতার কথা নিশ্চয়ই অভিভাবককে জানান না। কারণ তারা জানেন, অভিভাবক এইসব কথা জানলে আর তাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেবেন। আবার এইসব মেয়ে যে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকবেন, সেই সক্ষমতাও অধিকাংশের থাকে না। ফলে পুরো শিক্ষাজীবন তারা নানারকম আপসের মধ্যে দিয়ে পার করেন।

এখন প্রশ্ন হলো, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নির্যাতনের ঘটনা কি শুধু ইডেনেই ঘটে? রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা তাদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে তাদেরকে দিয়ে আরও কী কী করান—তা কারও অজানা নয়। কিন্তু এসব সংগঠন বা সংগঠনের অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে মূল দল বা সরকার বড় কোনও পদক্ষেপ নেবে না।

কারণ আগামী বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে নির্বাচনকালীন সরকার, ইভিএমসহ নানা ইস্যুতে দেশের রাজনীতির মাঠ গরম হয়ে যাবে বা বলা ভালো এরইমধ্যে গরম হতে শুরু করেছে। আর মাঠের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে দমন, ভোট কেন্দ্র দখলসহ নানা ইস্যুতে মূল দলের প্রধান হাতিয়ার তাদের ছাত্র সংগঠনগুলো। সুতরাং ভোটের আগে তাদের বিরুদ্ধে এমন কোনও ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ তারা নেবে না যাতে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইটা কঠিন হয়। এখন যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার অধিকাংশই হবে আইওয়াশ বা লোকদেখানো। এখন মূল দলের তরফে কিছু হুমকি-ধমকি দেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হবে সংবাদ শিরোনাম হওয়ার জন্য। ভেতরে ভেতরে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মূল দলের সখ্য ও যুক্ততা আরও বাড়বে। কারণ মাঠ দখলের খেলায় বৃদ্ধরা নামবেন না। সেখানে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকেই। যাদের চোখের সামনে নানা ধরনের প্রলোভনের মুলা ঝুলিয়ে রাখা হয়।

ছাত্র রাজনীতিতে এখন আর দেশ গঠনের জন্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠার কোনও বিষয় নেই। অন্তত ক্ষমতাকেন্দ্রিক মূলধারার দলগুলোর মধ্যে তো নেইই। কিছু বামপন্থি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে মিছিল ও সভা সমাবেশ করলেও সেগুলোর কোনও প্রভাব নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগুলো আমলে নেয় না। বলা ভালো, বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ছাত্র সংগঠনগুলো এইসব বামপন্থি সংগঠনগুলোকে পাত্তাও দেয় না।

কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় কোনও আদর্শ এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারভিত্তিক কার্যক্রম জোরালো নয়? কারণ, এসব ছাত্র সংগঠনগুলো পরিচালিত হয় যে মূল দলের আশীর্বাদ ও ছত্রছায়ায়, তারা নিজেরাই চায় না শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে গড়ে উঠুক। তারা চায় ছাত্র-ছাত্রীরা কাজ করবে তাদের ঢাল হিসেবে। তারা চায় ছাত্র সংগঠনগুলো মূলত ব্যবহৃত হবে মূল দলের ক্যাডার বাহিনী হিসেবে। কারণ তারা তরুণ, তাদের রক্তে জোশ বেশি, তারা ভবিষ্যতে ভালো চাকরি, দলে বড় পদ ও আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য নানারকম ঝুঁকি নেবে—যে ঝুঁকিটা বড়রা (বৃদ্ধরা) নেবেন না। ফলে ওই বড়রা ছোটদেরকে দিয়ে তাদের ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার মূল কাজটা করেন। তাদেরকে মূলত ব্যবহার করেন। আর ছোটরাও সময়ের আগেই দ্রুত বড় হওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতে থাকেন। অনেকে বাধ্য হন।

তাদের চাহিদা সামান্যই। হলে সিট পাওয়া। যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারের সন্তান; যাদের আবাসিক হলে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই, তাদের অধিকাংশই এরকম অন্যের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হন না। হতে চান না। কেউ কেউ বন্ধুদের ডাকে সাড়া দিয়ে যান। কেউ কেউ সত্যিই রাজনৈতিক নেতা হয়ে ভবিষ্যতে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মোহভঙ্গ হয়। তারা বুঝতে পারেন তাদের স্বপ্ন পূরণ হবার নয়। বরং তারা অন্যের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।

অতএব সভাপতি সম্পাদককে কমিটিতে রেখে সহ-সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করা এবং কমিটি স্থগিত করার মধ্য দিয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সংকট এবং সাধারণ ছাত্রীদের ওপর এবং ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হবে না। বরং সমস্যা ও নির্যাতন নতুন মাত্রা পাবে। এই ধরনের সংকট নিরসনে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার, তা বরাবরই অনুপস্থিত। কারণ মূলধারার রাজনীতি এই সংকট জিইয়ে রাখে তাদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে।

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৮ বিজিপি সদস্যকে
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৮ বিজিপি সদস্যকে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ