X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে রাজনীতি, রাজনীতির বিশ্বকাপ

সাইদুর রহমান শামীম
২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৩৭আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৬:৩৭

ক্রীড়াঙ্গনে আদর্শলিপি ঘরানার উপদেশবানী,  ‘খেলার মাঠ থাকবে রাজনীতি মুক্ত।’ এ যে শুধু কথার কথা, তা শিখেছি আগেই। এবার ফুটবল বিশ্বকাপ কাভার করতে এসে আরও একবার বুঝলাম, খেলার মাঠ রাজনীতিমুক্ত নয়, বড্ড রাজনীতিযুক্ত। আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।  গত এক যুগ ধরে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে ছোট বিত্তশালী রাষ্ট্র কাতার  বিশ্বকাপ আসরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেও, পশ্চিমা দুনিয়ার একাংশের মন জয় করতে পারেনি। ক্রমাগত অপপ্রচারণা, অভিযোগ শুনে আর পড়ে আমার মতো আম-জনতাও বিশ্বকাপ কাভার করতে দোহায় আসার আগে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম।

বিশ্বকাপ আসর আয়োজনের পরীক্ষায়  কাতার উত্তীর্ণ হতে পারবে তো? এক সপ্তাহ দোহায় কাটিয়ে মনে হচ্ছে কাতার পারছে, কাতার পারবে। অপরিমেয় অর্থ খরচ করেই অসাধ্য সাধন করেছে, ব্যাপারটা তেমন নয়। অর্থের সাথে সুপরিকল্পনা ও আন্তরিকতা দিয়ে কাতার আয়োজন করছে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের আসর। সবচেয়ে সফল কিনা তা বলতে পারবো ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালের পর। ততদিনে সারাবিশ্ব তাদের রায় দিয়ে দেবে।

কাতারে এসেছি বেশ কয়েকবার। গত এক যুগ ধরে দূরে থেকেই অনুভব করেছি, কাতার এগোচ্ছে। উগ্রতা বা টাকার গরমে নয়, নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখে আধুনিক যুগের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার চেষ্টা তাদের। আয়তনে আমাদের ঢাকার চেয়ে একটু বড় বা ছোট দোহায় আটটি স্টেডিয়ামেই হচ্ছে বিশ্বকাপের তাবৎ খেলা। পঞ্চাশ লাখেরও কম জনসংখ্যার দেশটিতে ফুটবল পর্যটক হয়ে এসেছে বাড়তি ১৩ লাখ অতিথি। এই বিশাল ‘হ্যাপা’ সামলে জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দোহাকে সাজানো হয়েছে ছিমছাম, মনোরম সাজে। পুরো শহর ঘিরে থাকা বিশাল হাইওয়ে, চওড়া রাস্তা, মেট্রো লাইন, সাবওয়ে এবং আপসহীন ট্রাফিক ব্যবস্থা বুঝতেই দিচ্ছে না দোহায় কী মহাযজ্ঞ চলছে। রাত ১২টায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও স্টেডিয়ামের শাটল সার্ভিস কিংবা মেট্রোরেলের মাধ্যমে দর্শক,পর্যটকরা দ্রুতই গন্তব্যে পৌঁছুতে পারছেন।

এত ব্যাপক এবং লাগাতার শাটল সার্ভিস এক যাত্রী এক বাস নিয়েই নিয়ম মেনে অতিথিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।  কাতার সম্পর্কে পূর্ব ধারণা আছে এমন সবাই একমত হবেন– দুবাইয়ের পথ ধরে দোহাও  মধ্যপ্রাচ্যে হয়ে উঠছে সত্যিকারের কসমোপলিটান নগরী। ঐহিত্য, ধর্মীয় মূল্যবোধের বিসর্জন দিয়ে  এই অর্জন চাইছে না কাতার। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মসজিদ থেকে আজানের সুর ভেসে এলে মনে হয়, নিজেদের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সঙ্গে নিয়ে দেশটি এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিক ও প্রযুক্তিময় বিশ্বের দিকে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সেবা রয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের কানাঘুষা শুনে এলেও গত এক সপ্তাহ দেশে সংবাদ পাঠাতে অসুবিধা হয়নি। শুনেছি কাতারি সরকার কিছুটা শিথিলতা দ্খোচ্ছে বিশ্বকাপের সফল আয়োজনের স্বার্থে। সস্তায় দিনরাত যাপনে অতিথিদের জন্য স্বল্প খরচের সপোর্টারস ভিলেজে ছোট ছোট কেবিন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে শহরতলীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সাইজের বিশাল আবাসনের কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। ছিমছাম পরিচ্ছন্ন শহর, চমৎকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দেখে মনে পড়েছে আমাদের বাংলাদেশেও ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি আসর পরপর বসেছিলো বছর কয়েক আগে। সেসময় রাজধানী ঢাকার আগোছালো ট্রাফিকের সঙ্গে দোহার এ সময়ের পরিস্থিতির তুলনাই হয় না। ২০১০ সালের সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপ কাভার করেছি। সেই আসরের সঙ্গে তুলনা করলে কাতার আয়োজকরা লেটার মার্কস পেয়েই পাস করবেন। অতিথিদের বিনা খরচে শহর ও স্টেডিয়ামজুড়ে যাতায়াতের ব্যবস্থাও রয়েছে। এর আগে রাশিয়ার বিশ্বকাপে খেলার দিন দর্শকদের জন্য মেট্রোরেল ছিল বিনা খরচে।

ফুটবল পর্যটকদের জন্য কাতার সরকারের দেওয়া ‘হায়া-কার্ড’ যেন ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’, মুহূর্তেই সব মুশকিল আসান! এমনকি উদ্বোধনী ম্যাচের আগে আল-বায়েত স্টেডিয়ামের গ্যালারির প্রতিটি আসনে দর্শকদের জন্য উপহার হিসাবে রাখা ছিল সুগন্ধী আতরের শিশি। এমন সৌজন্য ও সুরুচিবোধ কোনও বিশ্বকাপ আয়োজকরা দেখাতে পেরেছেন। এতকিছু দেখতে পেতাম না এবারের  বিশ্বকাপ কাভার করতে না এলে, কাতারের সম্পর্কে পশ্চিমা মিডিয়ার প্রচারণাই সত্য ধরে নিতাম।

পশ্চিমা মিডিয়ার তাদের মহাদেশের বাইরে বিশ্বকাপ আয়োজকদের প্রতি এমন প্রবল বিরাগ ও অপপ্রচারণা নতুন নয়। ২০০৬’র জার্মান আসর নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ ছিল না। অভিযোগ শুরু হয়, ২০১০’র সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপ আসর দিয়ে।  আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, সংশয় কী করেনি পশ্চিমা মিডিয়া!

২০১৪ সালের ব্রাজিল এবং ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ আসরও পরিকল্পিত অপপ্রচারের শিকার হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে  নির্মোহ দৃষ্টিতে উল্লেখ করার মতো ত্রুটি এখনও চোখে পড়েনি। আবহাওয়ার বৈরিতা অনেকটাই কেটে গেছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে খেলা মাঠে গড়ানোয়। বাড়তি হিসাবে দর্শকদের স্বস্তি দিতে স্টেডিয়াম ও গ্যালারির শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকছেই। কাতারের বৈরি আবহাওয়া নিয়ে    ইউরোপীয়দের অভিযোগের যুক্তি থাকলেও থাকতে পারে। তবে স্প্যানিয়ার্ড ফুটবল লিজেন্ড জাভি হার্নান্ডেজসহ ইউরোপের একাধিক তারকা ফুটবলাররা যখন কাতারের ঘরোয়া লিগে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেন, তখন এত অভিযোগ, অনুযোগ শোনা যায় না। প্রতি ফুটবল মৌসুমের শুরুতে ইউরোপের বিভিন্ন বড় দল ‘এশিয়ান ট্যুরের’ অংশ হিসাবে কাতারে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলে  নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্ফীত করে, তখনও প্রশ্ন ওঠে না আবহাওয়া নিয়ে। কাতারের মানবতাবিরোধী আচরণ ও শ্রমিক নির্যাতন নিয়ে যা বলা হয়, তা সর্বাংশে সত্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কাতারের নির্মাণ কাজের অংশীদার অনেক বিদেশি কোম্পানিও বিদেশি শ্রমিকদের  নিয়োগ ও কাজের তত্ত্বাবধান করে। সুতরাং কাতার সরকার একা কেন মানবাধিকার বিরোধী অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন? 

পশ্চিমা মিডিয়ার এই দ্বিচারিতা অবশ্য সবক্ষেত্রেই আছে। এবারের বিশ্বকাপে বিপণন ও স্পন্সরশিপের সাথে জড়িত সারা দুনিয়ার ৭৬টি শীর্ষ বিনিয়োগ কোম্পানি। এরমধ্যে ফিফার নিজস্ব স্পন্সর ৭  এবং বাকি ৬৯টি অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তিতে আবদ্ধ। কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক দিয়েছে যে ক’টি দেশ সেইসব দেশের বিভিন্ন কোম্পানির বিপুল বিনিয়োগ  এবারের আসর ঘিরে। কাতার আয়োজকদের নিন্দা বা মুন্ডুপাত করলেও, স্বদেশী কোম্পানিকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায় না পশ্চিমা মানবাধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো।

২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ফিফার আয় হয়েছিলো ৬০ হাজার কোটি টাকা। এবার সেই আয়  আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। শেষ মুহূর্তে নিজের সংগঠণের স্বার্থেই ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো কাতার আয়োজকদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। স্টেডিয়ামে পানীয় বা বিয়ার বিক্রির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, দোহার কর্নিচ’র  ফিফা ফ্যান জোনে বিদেশি পর্যটকদের আয়েশে বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিতে দেখেছি। সমকামিতাকে যারা মানবাধিকার হরণ বলছেন তাদের বিচার বুদ্ধি নিয়েই প্রশ্ন তোলা উচিত। শুধু ইসলাম ধর্মে নয়, মানবজাতি পালন করে এমন কোনও ধর্মই সমকামিতাকে প্রশ্রয় বা বৈধতা দেয়নি। মুসলিম দেশ হিসাবে সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়াটা দোষের নয়। ইউরোপীয় সমাজের রক্ষণশীল অংশ এখনও সমকামিতাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়নি। ‘ওয়ান লাভ’ নামে ইউরোপীয় দলগুলোর অধিনায়কদের ‘রেইনবো’ আর্মব্যান্ড পড়ে মাঠে নামার ইচ্ছাটাকে বাড়াবাড়ি  এবং আদিখ্যেতা  মনে হয়েছে। 

গত সাতদিন বিশ্বকাপের বিভিন্ন ভেন্যুতে ঘুরে অনেক সংক্ষিপ্ত বসনার দেখা পেয়েছি, তারা নির্বিঘ্নে মার্জিতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকের আয়োজক যে কোনও দেশই তার নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখে সফল হতে পারে। তবে বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকের মতো বৈশ্বিক আসরের আয়োজক এশিয়া অফ্রিকার কোনও দেশ হলেই শুরু হয়ে যায় এমন দীর্ঘমেয়াদি অপপ্রচার। মাঠে বসে খেলা দেখতে হলে বিয়ার পান করতেই হবে এমন দিব্যি কেউ দেয়নি।

ফুটবল মাঠে দুই দল সমর্থকদের মধ্যে প্রাণঘাতি অনেক সংঘাতের পেছনে পানাসক্তদের বেসামাল আচরণকে দায়ী করা হয়। প্রচারণার পালে প্রশ্রয়ের  হাওয়া দেওয়ার অভিযোগ আছে কাতারের অনেক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক ধনকুবের রাষ্ট্র ইউরোপীয় ক্লাব কিনে এরমধ্যেই পেশাদারি ফুটবল শিল্পে বিলিয়ল ডলার বিনিয়োগ করেছে। ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসলের পর আরও দুটি বড় ক্লাব লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি কনসোচির্টয়াম।

পিএসজি’র পর লা-লিগার একটি ক্লাব কেনার প্রক্রিয়ায় আছে কাতার ফাউন্ডেশন। ইউরো-ক্লাব ফুটবলে আরব বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতেই বিশ্বকাপ নিয়ে অপ্রাসঙ্গীক এই  ক্রীড়া রাজনীতি খেলা কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন সফল হলে  বিশ্ব ফুটবল মানচিত্রের গতিপ্রকৃতি পাল্টে যেতে পারে। পেশাদারি ক্লাব ফুটবলে ইউরোপীয়দের আধিপত্যে ভাগ বসাতে পারে  আরব বিশ্বের ধনকুবেররা। আগামী দিনের বিশ্ব ফুটবলের লাগাম নিজেদের হাতছাড়া না করতেই বিশ্বকাপ নিয়ে নোংরা রাজনীতিকে উসকে দেওয়া হচ্ছে কিনা তাও ভাবার সময় এসেছে। তবে বিশ্বকাপ আসরের সবকিছুই ভালো, এমন কথা বলা যায় না। ইউরোপীয় ক্লাব মওসুমের মাঝপথে বিশ্বকাপ আয়োজন করে বিপদে ফেলা হয়েছে ক্লাব এবং তারকা ফুটবলারদের।

ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের অর্ধেকটা সময় খেলার ধকল নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসে অনেক তারকা ফুটবলার ইনজুরিতে পড়েছেন। ছিঁটকে গেছেন  বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। বিশ্বকাপ শেষে আবারও ক্লাব ফুটবলে যোগ দিতে যাওয়া অনেক ফুটবলারের বিরুদ্ধে পা বাঁচিয়ে খেলার অনুযোগ উঠছে।

অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মাঝে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। ভালো খেলা, ভালো গোল, টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার পাশপাশি আগামীদিনের তারকাও খুঁজে নেবে এবারের ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’।

পরাজিত হবে, বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো সর্বজনীন উৎসবের সফল পরিসমাপ্তির বিরদ্ধে থাকা ক্রীড়া রাজনীতির নৈপথ্যের কুশীলবেরা।


লেখক: বিশেষ প্রতিনিধি, চ্যানেল আই।

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
আট বছর পর জাবিতে ডিন নির্বাচন
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ