X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে এ কোন বাংলাদেশ?

রেজানুর রহমান
২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩০আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩০

কষ্ট হচ্ছে মাহমুদউল্লাহর জন্য। সেদিন এমন একটা শতকের পরও বাংলাদেশকে জেতাতে পারলেন না। তবে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছেন। ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি যখন মাত্র ৫৮ রান তখন তিনি মাঠে নামেন। দলের বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা যেখানে প্রায় শূন্য রানে সাজ ঘরে ফিরে গেছেন সেখানে মাহমুদউল্লাহর কীই বা করার ছিল?

তার ওপর সত্যি কি দল আস্থা রেখেছে? আস্থা রাখলে তার তো আট নম্বরে ব্যাট করার কথা নয়। ৮ নম্বরে খেলতে এসে একজন খেলোয়াড় দলকে কতটুকুই বা এগিয়ে নিতে পারে? কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সত্যি সত্যি দলের মান বাঁচিয়েছেন। অনেকে হয়তো প্রশ্ন তুলবেন হেরে যাওয়া দলের আবার মান-সম্মান বাঁচলো কী করে? তাদেরকে বিনীত ভাবে একটি পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিতে বলব। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলার দিন মাহমুদউল্লাহ যখন খেলতে নামেন তখন দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৮। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা যেভাবে মাঠে নেমেছেন এবং নিয়ম রক্ষার নজীর দেখিয়ে মাঠে নেমেই ব্যস্ততা দেখিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে গেছেন সেখানে মাহমুদউল্লাহও মাঠে নেমেই পূর্বসুরিদের অনুসরণ করলে খুব কি অন্যায় করতেন? হ্যাঁ মাহমুদউল্লাহ একটা অন্যায় করেছেন। দলের করুণ বিপর্যয়ের মুখেও দলের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। ১১১ বলে ১১১ রান করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশের রান সংখ্যা দাঁড়ায় ২২৭। ধরা যাক মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, মুশফিকদের মতো মাঠে নেমেই যদি মাঠ ছাড়ার তাড়া দেখাতেন তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে হারের লজ্জাজনক রেকর্ডের মালিক হতো। মাহমুদউল্লাহ সেই লজ্জা থেকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ দিতে গিয়েও কেন যেন বিব্রত বোধ করছি। যারা সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের খেলা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই মাহমুদউল্লাহর বিষন্ন মুখ দেখেছেন। এমন একটা শতক হাকানোর পরও মুখে হাসি ছিল না। বরং মুখ জুড়ে চরম উপেক্ষার কষ্ট ছিল সারাক্ষণ। সত্যি কথা বলতে কী এই বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর তো খেলার কথাই ছিল না। অনেক অবহেলার সাগর পেরিয়ে মাহমুদউল্লাহ এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন। যে ছিল সাইড বেঞ্চের বাসিন্দা সেই কিনা দলের পক্ষে বুক চিতিয়ে দুর্দান্ত লড়াই করলো। বাংলাদেশের হারা ম্যাাচে এটাই বড় প্রাপ্তি।

এবার একটু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি। ক্রিকেট কেন আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা তার একটা ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছি। বাংলাদেশে ক্রিকেটই একমাত্র খেলা যার জয়ের জন্য দলমত নির্বিশেষে দেশের মানুষ এক সাথে প্রার্থনা করে। বাংলাদেশে এই যে এত রাজনৈতিক বিভাজন শুধুমাত্র ক্রিকেট খেলা দেখার ক্ষেত্রে এর কোনও ছায়া চোখে পড়ে না।

এই তো সেদিন একটা সুন্দর দৃশ্য দেখলাম। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল বিরোধী দলের একটি মিছিল। সেই সময় টিভিতে বিশ্বকাপের খেলা চলছিল। বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা। রাস্তার পাশে একটি ক্লাব ঘরে টিভিতে খেলা দেখানো হচ্ছিল। সরকার দলীয় লোকজন এই ক্লাবের মালিক। তারাই টিভিতে খেলা দেখানোর এই আয়োজন করেছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন তরুণ খেলার আপডেট জানার জন্য ক্লাব ঘরে ঢুকে গেল। সবাই এক সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে তালি দিতে থাকলো। আহা। কী সুন্দর দৃশ্য। ক্রিকেট হাসলেই বাংলাদেশ হাসে। সে জন্যই ক্রিকেট আমার এতো পছন্দের খেলা।

একে তো পূজার ছুটি। তার ওপর বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমাদের একজন আত্মীয় সন্ত্রীক বেড়াতে এলেন। ভদ্রলোক ক্রিকেট ভালোবাসেন। খেলা শুরুর আগে ভদ্রলোক চোখে মুখে অনেক প্রত্যাশার আলো ছড়িয়ে বললেন, আমার মন বলছে বাংলাদেশ আজ জয় পাবে। খেলা শুরু হলো। বাংলাদেশ ফিল্ডিং করবে। শুরুর দিকেই পর পর দুই উইকেট পেলো বাংলাদেশ। ভদ্রলোক বাচ্চাদের মতো আনন্দে হাততালি দিচ্ছেন। দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, বাংলাদেশকে আজ আর দাবায়া রাখা যাবে না।

কিন্তু দুই উইকেট খোয়ানোর পর সাউথ আফ্রিকা অনেকটাই বদলে গেলো। মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ালো ৩৮৩। পাহাড় সম রান। বাংলাদেশ কি পারবে এই রান টপকাতে? আমার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেছে। কারণ এই বিশ্বকাপে রান খরায় ভুগছে বাংলাদেশ। সেখানে ৩৮৩ টপকানো অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু ভদ্রলোকের চোখে-মুখে জয়ের স্বপ্ন।

আফগানিস্তানের উদাহরণ দিয়ে বললেন, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মতো বিশ্বকাপ জয়ী দুটি দেশকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশও নিশ্চয়ই আজ একটা চমক দেখাবে। সে সামর্থ্য বাংলাদেশ দলের আছে। দেখবেন আজ আমরা জয়ী হবো। কিন্তু ব্যটিং এ নামার পর বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে ভদ্রলোক অস্থির হয়ে উঠলেন। ৫৮ রানেই ৫ উইকেট নাই। সাকিব, মুশফিক মাঠে নেমেই বিপর্যয়ের মাত্রা ছড়িয়ে দিয়ে মাঠ ছেড়ে সাজ ঘরে ফিরে গেলেন। সাকিবের আউটের সময় ভদ্রলোক চিৎকার করে বললেন, এটা কি হলো? একজন ক্যাপ্টেন কি এভাবে আত্মসমর্পন করতে পারে? আমি বলছি না বাংলাদেশকে এই খেলায় জিততেই হবে। কিন্তু লড়াইটা তো করবে?

মাঠে এলেন মাহমুদউল্লাহ। বলতে গেলে একাই দুর্দান্ত একটা লড়াই করলেন। কিন্তু বাংলাদেশের পরাজয় এড়ানো গেলো না। মনে হলো ভদ্রলোক কান্না লুকানোর চেষ্টা করছেন। টিভিতে মাহমুদউল্লাহর ছবির দিকে তাকিয়ে বললেন, ছেলেটার জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন। বঞ্চনা আর অবজ্ঞায় ক্ষত বিক্ষত... শুধু মাহমুদউল্লাহই নয় এমন আরও অনেকের প্রতি অবিচার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এখন তারা ফল পাচ্ছে। কাগজ কলম আনেন আমি লিখে দিচ্ছি। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অর্জন হবে শূন্য। ক্রিকেটের সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যা করেছেন কর্তা ব্যক্তিরা। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। কঠোর শাস্তি।

ভদ্রলোক যাওয়ার আগে আরও অনেক কথা বললেন। তার কথার সারমর্ম হলো, খেলায় জয় পরাজয় থাকবেই। তাই বলে খেলায় নেমেই হেরে যাবে বাংলাদেশ? লড়াই করে হারার মধ্যেও আনন্দ আছে। সেই লড়াইটা কোথায়? বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে বাংলাদেশ কি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে? যেখানে আফগানিস্তানের মতো ক্রিকেট দল মাত্র ৮ দিনের ব্যবধানে দুটি বিশ্বকাপ জয়ী দেশকে পরাস্ত করলো সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?

ক্রিকেট হলো দলীয় ক্ষেত্রে যোগ্যতা প্রদর্শনের খেলা। সে কথা ভেবেই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো অনেক আগেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। সেখানে বাংলাদেশের ভূমিকা বেশ হতাশাজনক। ভারতে বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ায় আগের দিনও দলে কে থাকছেন কে থাকছেন না এই নিয়ে চরম অস্থিরতা ছিল। বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার তামিম ইকবালের দলে থাকা না থাকা নিয়ে কী নাটকটাই না হয়েছে। তামিম শেষ পর্যন্ত দলে জায়গা পাননি। যে মাহমুদউল্লাহ এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন তারও দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নিয়ে কত নাটকই না হয়েছে। যে কোনও টুর্নামেন্টে ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ওপেনিং জুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস ওপেনিং জুটি হিসেবে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করেছেন। অথচ তামিম ইকবাল দলে জায়গা পেলেন না। তার জায়গায় যে তরুণ ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে খেলার মাঠে তার পারফরমেন্স দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন তামিম যদি কোনও অন্যায়ও করে থাকে তবুও দেশের স্বার্থে তাকে কি জাতীয় ক্রিকেট দলে অন্তর্ভূক্ত করা যেত না?

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হারের প্রেক্ষিতে তামিম প্রসঙ্গ অনেক বেশি জোরালো হচ্ছে। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখলাম ভারতের দর্শকও তামিম ইকবালের খোঁজ করছেন। সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের খেলার দিনে স্টেডিয়ামে হাজির তরুণ দর্শকদের অনেকেই বাংলাদেশ দলে তামিমের মতো বিশ্বখ্যাত খেলোয়াড় না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একজন তো বলেই ফেললেন, ভাই এটা বিশ্বকাপ। আপনি ভাগ্যের ওপর ভরসা করে খেলতে আসবেন তা কি পেশাদারী ভাবনা? বিশ্ব আসরে অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক। একজন তামিম দলে থাকা আর নতুন একজন খেলোয়াড় দলে থাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বাংলাদেশের সেটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল।

ক্রিকেটের প্রতি অনুরক্ত একজন দর্শক বললেন, বড় টুর্নামেন্টে ব্যাপক প্রস্তুতির দরকার হয়। অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দল প্রধান সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে ভারতের সঙ্গে খেলার দিন মাঠে নামতে পারলেন না। ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পেলেন একজন তরুণ ক্রিকেটার। অথচ দলেই সাবেক ক্যাপ্টেন ছিলেন। তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেত। তামিম যদি দলে থাকতেন তাহলে তিনিও এই সংকটে ভূমিকা রাখতে পারতেন। বাংলাদেশ দল কেন এই বিষয়গুলোকে মাথায় নেয়নি তার একটা ব্যাখ্যা প্রয়োজন।

আরও ব্যাখ্যা প্রয়োজন অব্যাহত হারের। বোর্ড সভাপতি সামান্য কিছু একটা হলেই প্রচার মাধ্যমে কথা বলেন। খেলোয়াড়দের শাসন করেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অব্যাহত ভরাডুবির সময়ে তিনি কেন নিশ্চুপ? আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। বিশ্বখ্যাত একজন সাবেক ক্রিকেটার মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখনও ভারত, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা অর্জন করেনি। এই ধরনের মন্তব্য কি একটি দেশের জন্য অপমানজনক নয়? অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়ানডে ক্রিকেটের সমীহ জাগানিয়া একটি দল হয়ে উঠেছিল। বর্তমানে দলটির ব্যর্থতায় দায় ভার কার? ক্রিকেট বোর্ড কি দায় এড়াতে পারবেন?

একথা সত্য ক্রিকেট হাসলেই বাংলাদেশ হাসে। কিন্তু সেই হাসি মিলিয়ে যাচ্ছে কাদের ব্যর্থতায়? অনেকেই বলেন ক্রিকেটে রাজনীতি ঢুকেছে। রাজনীতি কি খারাপ বিষয়? রাজনীতি না বলে বলা উচিত আমাদের ক্রিকেটে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না।

মাহমুদউল্লাহর তো বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সেঞ্চুরি করার পর এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, হয়তো আল্লাহ আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। চেষ্টা করেছিলাম ফিটনেস ঠিক রাখতে। এর বাইরে তো আমার করার কিছুই ছিল না। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, অনেক কথা বলার আছে। তবে এখন বলব না...

কী কথা বলবেন মাহমুদউল্লাহ? কথা বলে কি কোনও কাজ হয়? বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই যে এত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে তাতে কারও কি কোনও সমস্যা হচ্ছে? জবাবদিহিতে পড়েছেন কেউ? হ্যাঁ জবাবদিহিতায় পড়েছেন দেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী সাধারণ মানুষ। ক্রিকেটের এই বাংলাদেশ কি আমার, আমাদের বাংলাদেশ? আমরা তো এমন ছিলাম না। আমাদের ক্রিকেট পরিবারে অনেক আনন্দ ছিল, শ্রদ্ধা, সম্মান ভালোবাসা ছিল। আর ছিল জয় করার দুরন্ত সাহস। এখন কেন সেটা নেই? এই প্রশ্নের জবাব কার কাছে খুঁজবো?

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান দলের সঙ্গে কলকাতায় না গিয়ে দেশে এসেছিলেন তার ফিটনেস ঠিক করার জন্য। আন্তর্জাতিক কোনও টুর্নামেন্টে দল প্রধান দলের সদস্যদের রেখে এভাবে দেশে আসার ঘটনা ইতিপূর্বে কোনও দেশে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। তাই মনে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্নটি হলো দল প্রধান সাকিব আল হাসান নিজের খেলার টেকনিক ঠিক করার জন্য দেশে এলেন। অথচ দলের একজন কোচ আছেন। তাকে লাখ লাখ টাকা বেতন দেয় ক্রিকেট বোর্ড। তার প্রতি কি আস্থা হারিয়েছেন সাকিব? যদি এটাই সত্যি হয় তাহলে দলের অন্য সদস্যরা আস্থা রাখবে কী করে?

দেশের ফিরে ক্রিকেট গুরুর কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে ভারতে ফিরে গেলেন সাকিব। তার মানে একজন সাকিব ভালো খেললেই বাংলাদেশ জিতবে? অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ তার ৫ম খেলায় নেদারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। এরপর একই মাঠে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট লড়াই হবে। সেজন্য আদৌ কি প্রস্তুত বাংলাদেশ?

লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, সম্পাদক আনন্দ আলো

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
যে সাফল্যে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন 
যে সাফল্যে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন 
সারা দেশে আবারও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
সারা দেশে আবারও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
গরমে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করছে ‘স্বপ্ন’
গরমে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করছে ‘স্বপ্ন’
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ