X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন সিনেটরদের চিঠি এবং প্রাসঙ্গিক ভাবনা

ড. রাশিদ আসকারী
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন বিশিষ্ট সিনেটরের লেখা সাম্প্রতিক চিঠিটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক আলোচনার ঝড় তুলেছে। চিঠির বিষয়বস্তু নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়ার বিষয়ে উদ্বেগ এবং তার দায়মুক্তি প্রত্যাশা। বিষয়টি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের শামিল কিনা তা প্রাসঙ্গিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্য দেশের আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের শীর্ষ সিনেটরদের এই ধরনের রাজনৈতিক পত্রপ্রেরণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে সঙ্গত প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। একটি সার্বভৌম দেশের আইনি প্রক্রিয়ায় এই ধরনের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের যৌক্তিকতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তির্যক প্রশ্ন উত্থাপন সময়ের দাবি।
 
সিনেটের মেজরিটি হুইপ ডিক ডারবিন এবং সিনেটর টড ইয়ং, টিম কেইন এবং অন্যদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বসহ সিনেটররা, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার কার্যক্রমকে ‘নিরবচ্ছিন্ন হয়রানি’ হিসেবে অভিহিত করে এর সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে তাদের সম্মিলিত আশঙ্কা প্রকাশ  করেছেন। সিনেটরদের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসব উদ্বেগ দূর করার এবং তাদের ভাষায়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার “অপব্যবহার” বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
 
বিদগ্ধ মার্কিন সিনেটররা বেশ জোরেশোরেই অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষ নিয়েছেন। তবে তাদের চিঠি যে একেবারে বেদবাক্য হয়ে ওঠেনি তা খুব সহজেই প্রমাণ করা যায়। অধ্যাপক ইউনূস তার বিরুদ্ধে আনীত মামলা ও অভিযোগের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে যা বলে আসছেন, সিনেটরদের পত্র যেন তারই প্রতিধ্বনি। এতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না যদি কখনও জানা যায় যে চিঠিটি ইউনূস নিজেই লিখেছেন এবং স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় সিনেটরবৃন্দ নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর প্রদান করেছেন। নয়া সমালোচনায় (New Criticism) পারদর্শী না হলেও চিঠিটির নিবিড় পঠনে এতে ভিত্তিহীন পক্ষপাতিত্ব এবং উদ্দেশ্যমূলক ওকালতির উপাদানগুলো প্রকটভাবে চোখে পড়ে। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে অধ্যাপক ইউনূস ১৫০টিরও বেশি ‘অপ্রমাণ্য মামলার’ মুখোমুখি হয়েছেন এবং কিছু মানবাধিকার সংস্থা তার বিরুদ্ধে “আইনি কার্যক্রমে অনিয়ম’-এর কথা উল্লেখ করেছে। প্রাইমা ফেসি ছাড়া এত বড়মাপের একজন মানুষের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের মতো বোকামি কোনও থানা-পুলিশ কিংবা কোর্ট-কাচারি দেখাবে না। ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে গ্রামীণ টেলিকমের দীর্ঘ বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্রচলিত শ্রম আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
 
তাছাড়া পত্রে সরকার কর্তৃক ইউনূসের প্রতি “লাগাতার হয়রানির” যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও প্রশ্নবিদ্ধ। বরং বিগত দেড় দশক ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকার ও দেশের ভাবমূর্তি ফুটো করা থেকে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করা পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ড কমবেশি সবাই অবগত আছে।
 
সব কিছুকে অগ্রাহ্য করে বিজ্ঞ সিনেটররা কী প্রফেসর ইউনূসকে এই মর্মে চারিত্রিক সনদ দিতে চাইছেন যে তিনি এক অপাপবিদ্ধ ঋষি, যার দ্বারা কোনও অপরাধ কর্ম সম্ভব নয়?
 
কীসের ভিত্তিতে তারা তাকে নির্দোষ দাবি করেন তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের আনা এত অভিযোগ সত্ত্বেও? যদি তার বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলো সত্যিই "অপ্রমাণ সাপেক্ষ" প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের দাবি প্রমাণ করার এই সুবর্ণ সুযোগ লুফে নেওয়া উচিত এবং অবিলম্বে আদালতে প্রমাণের পসরা সাজিয়ে হাজির হওয়া উচিত। ইউনূসের বিরুদ্ধে গৃহীত আইনি কার্যক্রমে কোনও "অনিয়ম" আবিষ্কৃত হলে, তাদের উচিত আদালতের সামনে তা পেশ করা এবং মামলাগুলো পত্রপাঠ খারিজ করার সুবিধা গ্রহণ করা। প্রয়োজন মনে করলে, এই নোবেল বিজয়ীকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সারা দুনিয়া ঘুরে ডাকসাইটে প্রতিরক্ষা আইনজীবীদের ভাড়া করে আনতে পারেন।
 
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে অধ্যাপক ইউনূস তার মামলা চালাবার জন্য এবং তার অনুকূলে মামলার রায় আনয়নের জন্য বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে আইনজীবী নিযুক্ত করতে পারেন।
 
নোবেল বিজয়ীর মার্কিন শুভানুধ্যায়ীরা যদি দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে প্রাপ্ত তার সাম্প্রতিক ছয় মাসের কারাদণ্ডে কোনও আইনি অপূর্ণতা খুঁজেই পেয়ে থাকেন, তবে তাদের এই সত্যটি জানা জরুরি যে নোবেল বিজয়ীরাও আইনের ঊর্ধ্বে নন, এবং এটিই একজন নোবেল বিজয়ীর সাজাপ্রাপ্তির একমাত্র উদাহরণ নয়। অন্তত অর্ধ ডজন নোবেল বিজয়ীকে দেখা গেছে এবং যাচ্ছে কারাভ্যন্তরে কাল কাটাতে।
 
আদালতের ৮৪ পৃষ্ঠার রায়ের একটি একটি অংশ এরকম:  “বিবাদী পক্ষের ভাষ্যমতে  অভিযুক্ত নং ১, ইউনূস, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু এই আদালতে নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিচার হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।“  
 
তাছাড়া, আদালত তাকে উচ্চতর আদালতে আপিল করার শর্তে চাহিবামাত্র জামিন মঞ্জুর করেছেন।
 
সিনেটরদের চিঠির জবাবে, বাংলাদেশ সরকার এবং কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এই ধরনের হস্তক্ষেপের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, বিষয়টি সাবজুডিস হিসেবে তার আইনি স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্বদানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এটি সব আইনের একটি মৌল শর্ত যে বিচারাধীন কোনও বিষয়ে বাদী-বিবাদীসহ অন্য সব পক্ষের কেউই কোনোরূপ মন্তব্য করতে পারবে না। প্রত্যক্ষ, অপ্রত্যক্ষ কোনোভাবেই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে- এমন কাজ করতে পারবে না। মার্কিন সিনেটরদের চিঠি কি এই সর্বজনীন আইনি শর্ত লঙ্ঘন করে না?
 
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি মামলার প্রেক্ষাপট পুরো পরিস্থিতিকে গুরুতর করে তুলেছে। এই মামলার ভিত্তি তৈরি করেছে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন এবং আর্থিক অনিয়মের  আমলযোগ্য অভিযোগগুলো। প্রসিকিউটররা দাবি করেন যে অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, বরং সেগুলো গ্রামীণ টেলিকমে প্রফেসর ইউনূসের কর্মকাণ্ডের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ইউনূস “সরকারের রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার” বলে যেভাবে তিনি নিজে দাবি করেন, কিংবা এক ডজন মার্কিন সিনেটর যেভাবে বলেছেন—তার কোনও বস্তুনিষ্ঠতা মেলে না।  
 
ইউনূস বিতর্কের মূল ভিত্তি জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাখ্যায় খুঁজে দেখা দরকার। মার্কিন সিনেটররা কথিত “অবিচারের”  বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এই যুক্তি কোনোভাবেই বর্জনীয় নয় যে বিদেশি হস্তক্ষেপ, এমনকি মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে হলেও, একটি জাতির সার্বভৌমত্বকে  ক্ষুণ্ণ  করতে পারে—এমন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। একদিকে একটি বড় আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করা এবং অন্যদিকে একটি দেশের আইনি প্রক্রিয়াকে সম্মান করা—এ দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা একটি সূক্ষ্ম কাজ এবং শেখ হাসিনার সরকার তা খুব সফলভাবেই করে চলেছে। বিশেষ করে নতুনভাবে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে একটা নতুন স্রোতধারা লক্ষ করা যাছে। মার্কিন-ইইউ বলয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সময়ের দাবি।
 
তবে তা কোনোভাবেই দেশের সার্বভৌমত্ব বন্ধক রেখে নয়। কোমলে-কঠোরে মেশানো এক প্রচণ্ড বাস্তবমুখী পররাষ্ট্রনীতির লেগাসি রচনা করেছেন শেখ হাসিনা। খোদ মার্কিন মুলুকের পত্রিকা—ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে হাসিনার শক্তিমত্তার তারিফ করে ফিচার লেখা হয়। অতএব, সিনেটরদের পত্রাঘাতে দমবার পাত্রী নন শেখ হাসিনা।
 
সিনেটররা যা করেছেন তা কেবল অন্য দেশের আইনি প্রক্রিয়ায় একটি অযৌক্তিক হস্তক্ষেপই নয়, এটি তার সার্বভৌমত্বের ওপর একটি হস্তক্ষেপও। সম্মানিত সিনেটররা যা করতে পারতেন তা হলো অধ্যাপক ইউনূসকে আইনি সহায়তা প্রদানে সহায়তা করা। অথবা তারা তাদের নাক গলানোর বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি ন্যায়বিচার প্রদর্শনের মানবিক দাবিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করতে পারতেন। তাছাড়া অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের কতটুকু সংক্ষুব্ধ করেছেন, সে বিষয়ে তারা একেবারেই অজ্ঞ। তার  বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো যদি শেষ পর্যন্ত সত্য প্রমাণিত হয় (যদিও আমরা তা আশা করি না), তাহলে তারা কী করবেন/ বলবেন? একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের জন্য বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াই আইনি কার্যক্রম চলতে দেওয়া অপরিহার্য।
 
যেকোনও কার্যকর গণতন্ত্রের ভিত্তি তার আইনি ব্যবস্থার স্বাধীনতার মধ্যে নিহিত। অন্য যেকোনও সার্বভৌম দেশের মতো বাংলাদেশেও ন্যায়বিচারের সংস্কৃতি বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসনকে সমুন্নত রাখে। সিনেটরদের চিঠিটি বাইরের প্রভাব থেকে মুক্ত একটি দেশের আইনি প্রক্রিয়ার স্বতঃস্ফূর্ততার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়। সিনেটরদের চিঠিটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-স্বীকৃত কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছে, যে নিয়মে দেশগুলো একে অপরের আইনি প্রক্রিয়াতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে। একটি জাতির সার্বভৌমত্ব তার অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে।
 
বাংলাদেশের চলমান আইনি সংস্কারের প্রেক্ষাপটে সরকার সিনেটরদের হস্তক্ষেপের যৌক্তিকতাকে যৌক্তিকভাবেই মোকাবিলা করতে পারে। আইনি ব্যবস্থাকে উন্নত করতে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে বহিরাগত হস্তক্ষেপ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থা দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে নির্দোষ ধরে নেওয়ার অনুকূলে কাজ করে, যা অধ্যাপক ইউনূসের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। তবে বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় বিচারাধীন একটি পক্ষের সঙ্গে সামগ্রিক বিচার প্রক্রিয়ার সাংঘর্ষিক সম্পর্ক চিত্রায়ণের এই পত্রগত প্রচেষ্টা অবশ্য পরিহার্য। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের চিঠিটিকে সর্বজনীন আইনের এই মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে এক সৌজন্যহীন হঠকারী কর্ম হিসাবে দেখা যেতে পারে। ইউনূস ইস্যুতে একটি সুষ্ঠু সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে দেশের আইনি কার্যক্রমের ওপর আস্থা রাখা উচিত।
 
তবে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সিনেটরদের চিঠির যৌক্তিকতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যেতে পারে। তবে,  সিনেটরদের চিঠির অযৌক্তিকতা প্রমাণের  জন্য, তাদের দাবির বাস্তব ভিত্তি যাচাই করা অপরিহার্য। চিঠিটি যে ভুল তথ্য, ভুল ধারণা বা আইনি প্রক্রিয়ার অসম্পূর্ণতার অভিযোগের ওপর নির্ভর করে রচিত, তা চ্যালেঞ্জ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে  হবে।
 
পরিশেষে, জাতীয় সার্বভৌমত্বের ধারণাকে শক্তিশালী করা সরকারের একটি প্রধান দায়িত্ব। যেকোনও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মতোই বাংলাদেশেরও অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো বহিঃশক্তির চাপ-নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। সিনেটরদের চিঠিতে দেশ বিশেষের সেই মৌলিক অধিকারকে কতটুকু সম্মান করা হয়েছে তাও নিরূপণ করে দেখা যেতে পারে।
 
লেখক: সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ

 

/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
রাফাহ শহরে নতুন করে  ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফাহ শহরে নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
টিভিতে আজকের খেলা (২৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ আজ
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ আজ
যশোরে তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মাছের পোনা, ক্ষতি ‌‘২০ কোটি টাকা’
যশোরে তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মাছের পোনা, ক্ষতি ‌‘২০ কোটি টাকা’
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ