X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন সরকারের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে

প্রণব মজুমদার
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে গেলো। নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠিত হলো। ১৪ জন নতুন মুখ নিয়ে আপাতত ৩৬ জন মন্ত্রীর নতুন সরকার সাজানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাণিজ্যেও নতুন মুখ। দেশের চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকারের জন্য বড় চিন্তা এখন অর্থনীতি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কূটনীতিক আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এমন সময়ই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হলো যখন দেশের সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে নাভিশ্বাস, মার্কিন ডলারের সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে ঘাটতি এবং ব্যাংকগুলোয় ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজমান।

ব্যাংকগুলো থেকে মার্কিন ডলার কিনে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়ালেও বিদায়ী (২০২৩) বছরের শেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণ করতে সফল হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন বছরে এসে কমে গেছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। এর কারণ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি ব্যয় পরিশোধ। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, ৯ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন অর্থাৎ ২ হাজার ৩৮ কোটি টাকা। প্রকৃত মজুত ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম।

বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোচিত মুদ্রার নাম মার্কিন ডলার। এর আধিপত্যে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি টালমাটাল। ডলারের প্রভাবে অভ্যন্তরীণ পণ্য বাজারেও মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ ভোক্তারা উদ্বিগ্ন! এ অবস্থা বহু বছর ধরে। বাংলাদেশে প্রধান রফতানি পণ্য পাট ও পাটজাতের সোনালি সুদিনের পর যখন তার স্থলে তৈরি পোশাক স্থান করে নিলো প্রতাপের সঙ্গে, তখন থেকেই দেশে বৈদেশিক লেনদেনে মার্কিন ডলারের ব্যাপক আধিপত্য।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পণ্য রফতানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি বা প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরেনি। দেশীয় মুদ্রায় ডলার প্রতি ১১০ টাকা ২৫ পয়সা ধরে যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রফতানি বাবদ ৩ কোটি ডলার কম এসেছে। যদিও রফতানি বেড়েছিল ৩৪৮ কোটি ডলার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেশের পণ্য ও সেবা রফতানির পরিসংখ্যান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলারের রফতানি আয় দেশে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মানে ওই অর্থবছরের রফতানির ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার দেশে আসেনি। বাংলাদেশের পণ্য রফতানির ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক থেকে আসে।

ইপিবি’র হিসাবে, গত অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তৈরি পোশাক রফতানি থেকে গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৯৫ কোটি ডলার দেশে এসেছে। তার মানে গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক রফতানির ১ হাজার ৪ কোটি ডলার গত জুন পর্যন্ত দেশে আসেনি। একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯১ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হলেও দেশে এসেছে ৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের ১২২ কোটি ডলারের রফতানির মধ্যে দেশে ফিরেছে ১৩১ কোটি ডলার। আবার ১১০ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি হলেও দেশে এসেছে ৭৩ কোটি ডলার।

টানা চার মেয়াদের মধ্যে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন প্রথমবার ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখনও বিশ্ব ছিল অর্থনৈতিক মন্দায়। এর সুফল পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগের দুই বছর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার খাদ্যের দাম নিয়ে মহাসংকটে ছিল। কিন্তু যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তত দিনে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ার সুফল পেয়েছিল বাংলাদেশের মতো স্বল্প আয়ের দেশগুলো। এতে খাদ্যের দাম কমে যায়। কমে যায় মূল্যস্ফীতির চাপ। ফলে নতুন সরকারের সামনে বড় কোনও সংকট ছিল না; বরং দায়িত্ব নিয়েই ডিজেল ও সারের দাম কমানো হয়। এতে লাভবান হন বোরো ধানের কৃষকেরা।

২০১৪ সাল অবশ্য অতটা মসৃণ ছিল না। বিশেষ করে টানা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘাতে অর্থনীতির ক্ষতি ছিল ব্যাপক। ফলে বিনিয়োগ নিয়ে ভয়ই ছিল বেশি।

অর্থনীতিতে এখন রয়েছে চ্যালেঞ্জ; আছে অনিশ্চয়তা। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার চলছে উল্টো পথে। স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠনের কোনও উদ্যোগ নেই। সামগ্রিকভাবে সামষ্টিক অর্থনীতিতে যেসব সংকট তৈরি হয়েছে, এর পেছনে সঠিক নীতিরও অভাব রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ না এলে আর্থিক ঘাটতি হবেই। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে পতন এবং দেশের আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ পরিশোধের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা দরকার।

অর্থনীতিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার দৃশ্যমান, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক। এমনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে, যাতে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। বেসরকারি খাত অনেক কম সুদে ঋণ নিয়ে এখন বেশি সুদে পরিশোধ করছে। খেলাপি ঋণের আসল চিত্র কাগজ-কলমের চেয়ে অনেক বেশি।

সরকারের ঋণ-জিডিপি অনুপাত কম, যা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নির্ভর করে রাজস্ব সংগ্রহের ওপর। বাংলাদেশে রাজস্ব ও বৈদেশিক ঋণের অনুপাত ৪০০ শতাংশের মতো, যা উদ্বেগজনক। এর কারণ, বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৮ শতাংশ; যা যেকোনও দেশের মধ্যে কম। এ অবস্থা থেকে বের হতে ব্যাপক কর সংস্কার দরকার। কর প্রশাসন ও কর নীতি আলাদা করা প্রয়োজন। কর না বাড়ালে টাকা ছাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।

আমদানিনির্ভর দেশে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে রফতানিকারক দেশগুলোর মূল্য পরিশোধ এতে করে গিয়ে আমাদের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি হয়। বৈদেশিক মুদ্রা পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে এর প্রভাব পড়ে। দেশের খাদ্যসহ বেশ কিছু পণ্য অতিরিক্ত দামে মার্কিন ডলারে পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং সংকট। তাছাড়া রফতানিকারকদের সুবিধা দেওয়া। প্রতি মার্কিন ডলার দেশি মূল্যে বেড়ে তিন অঙ্কের সংখ্যায় (ডিজিট) দাঁড়িয়েছে। সরকারের যুক্তি হলো রফতানিকারকদের প্রেষণা ও উৎসাহ দান। কিন্তু প্রশ্ন হলো রফতানিকারক সবাই কি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক? প্রণোদনার অর্থও কি দেশের অভ্যন্তরে থাকে?

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ- এই চারটি স্তম্ভের সমন্বয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে। এবারে ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দ্বাদশ নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও দুর্নীতিবাজদের অর্থ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয় এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে।

নতুন সরকারের বড় সমস্যা হলো দেশের অর্থনীতি। প্রবাসী আয়, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত, ব্যাংক খেলাপি ঋণ ও রাজস্ব আদায় এসব সূচকের অবস্থা ভালো নয়। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। ঠেকাতে হবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন। স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে সংস্কার।

অর্থনীতিকে সবল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সর্বপ্রথম ঠেকাতে হবে সব খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন শুধু মুখে বললেই হবে না।

আওয়ামী লীগ সরকারকে পুঁজি বাজার বিনিয়োগমুখী করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বহুজাতিক কোম্পানি এবং দেশের বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজি বাজারে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। কোনও গ্রুপের শেয়ারের সংখ্যা কেন বাড়ে তা সংশ্লিষ্ট দফতরকে খতিয়ে দেখতে হবে। আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ে। ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ কমে না। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেমন কমাতে হবে, তেমনি বাড়াতে হবে রাজস্ব আয় সংগ্রহের পরিমাণ। কর সংস্কার প্রয়োজন। সরকারি কোষাগারের পরিবর্তে দুর্নীতিগ্রস্ত কর আদায়কারী কর্মকর্তার পকেট স্ফীত যাতে না হয়; সেদিকে রাজস্ব বোর্ডকে তৎপর হতে হবে। এ জন্য বেতনের বাইরে আদায়ের ওপর উপযুক্ত কর কর্মকর্তার নগদ প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এখানেও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি।

বিগত ৬ বছরে যে বিষয়টি নিয়ে দেশের জনগণ সবচেয়ে উদ্বিগ্ন তা হলো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাজার। সরবরাহ বাড়লে পণ্যের দাম কমে অর্থনীতির মৌলিক এ সূত্র দেশের বাজারে অকার্যকর। মৌসুমে পণ্যের দাম কম থাকছে না! ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙতে উদ্যোগ নিতে হবে। দোষী ব্যবসায়ীকে শুধু নামেমাত্র জরিমানা নয়, কঠোর বিচারের আওতায় তাদের আনতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত তদারকি রাখতে হবে। আমদানি নির্ভরতা দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখা যায় না তা দৃশ্যমান বাস্তবতা। দেশে উৎপাদন হয় এমন পণ্য নিয়মিত আমদানি না করে বরং উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ অধিক মনোযোগী হতে হবে। সুষম পণ্য বিপণন ব্যবস্থায় ‘সাপ্লাই চেইন’ একটি বড় বিষয়। ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে গিয়ে ভোক্তাকে অতিরিক্ত মূল্য দিতে হয়, এর কারণ যাতায়াতে পরিবহন ব্যবস্থায় ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি। তা কঠোরভাবে দমন করতে হবে।

প্রবাসী আয় বাড়াতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রণোদনা বাড়াতে হবে। প্রণোদনাসহ সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে যাতে সহজে উপার্জিত অর্থ দেশে প্রেরণ করতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা চাই।

দেশের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যেসব কাজ সমাপ্ত করতে গৃহীত বৈদেশিক ঋণ সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। চাপ পড়বে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ওপর। মার্কিন ডলারের ওপর চাপ কমাতে বৈদেশিক বাণিজ্যে দ্বিপাক্ষিক মুদ্রাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ঠিক করতে হবে ডলারের আসল দর। পাচারকৃত ডলার ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

অর্থনীতিকে গতিশীল করতে দেশি বিদেশি বিনিয়োগের বিকল্প নেই। দেশ পরিচালনায় সরকারের অধিক হারে অভ্যন্তরীণ ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমাতে হবে। এতে বেসরকারি খাত নিরুৎসাহিত হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্ষদে রাজনৈতিক নিয়োগ এবং ব্যাংক ব্যবস্থায় দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।

মেগা প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি কমানো, প্রবাসী আয়, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত, রফতানি আয় বাড়ানো, শেয়ার বাজার ঠিক করা এবং ডলার সংকট সামলানো- অর্থনীতির এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে নতুন সরকারের বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে। অর্থশাস্ত্রের ছাত্র আবুল হাসান মাহমুদ আলী নতুন অর্থমন্ত্রী। তিনি অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। বিশিষ্ট কূটনীতিবিদও। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বিদেশে উচ্চতর শিক্ষায় পাঠ নিয়েছেন। পুঁজি বাজার, তথ্য-প্রযুক্তি ও বিমা ব্যবসায়ে তাঁর দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা বিদ্যমান। অর্থমন্ত্রীর চেয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ এই মন্ত্রী পণ্য বাজারের অস্থিরতা কমাতে সিন্ডিকেট ভাঙতে কতটা সফল হবেন সেটা বড় প্রশ্ন বটে!  প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ এই দুই মন্ত্রীর কাছে তাই আমজনতার প্রত্যাশা অনেক। আগামী দিনগুলো সুখের হোক সে প্রত্যাশা আমারও।

লেখক: কথাসাহিত্যিক, কবি ও অর্থকাগজ সম্পাদক।
[email protected]

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মুম্বাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে লখনউ
মুম্বাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে লখনউ
তপ্ত রোদেও থামে না তাদের কাজ
আজ মহান মে দিবসতপ্ত রোদেও থামে না তাদের কাজ
মদ ছেড়ে বললেন, ‘মাইলফলক’
মদ ছেড়ে বললেন, ‘মাইলফলক’
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ