X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

উচ্চশিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার: আমাদের করণীয়

ড. মোহাম্মদ কামরুল হাসান 
০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১১আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১১

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আজকের বিশ্বে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প ও বাণিজ্য সবখানেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর মধ্যে উন্মুক্ত  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্মগুলো আধুনিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধরনের সহায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষত উচ্চশিক্ষায় উন্মুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমন চ্যাটজিপিটি’র মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এর যথেচ্ছ ব্যবহার গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষাপটে, যেখানে শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা ক্রমাগত কাজ করছি, উন্মুক্ত  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর নেতিবাচক দিকগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা না গেলে তা দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে।

উচ্চশিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহার বর্তমান সময়ে একটি দ্রুত প্রসারমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এআই-এর ভূমিকা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ চ্যাটজিপিটি, কগনিটিভ কনটেন্ট জেনারেটর এবং ডাটা বিশ্লেষণ টুলগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণা, অ্যাসাইনমেন্ট লেখা এবং সমস্যার সমাধান করতে পারছে এবং ইদানীং খুব বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, শিক্ষার্থীরা এআই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, যা তাদের সৃজনশীলতা ও স্বাধীন চিন্তার বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এআই প্ল্যাটফর্মগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আমরা যদি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করি তবে দেখতে পাবো যে, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার নানবিধ চ্যালেঞ্জ এর সৃষ্টি করছে।  সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হলো, এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্ব-শিক্ষার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের থেকে চিন্তা বা গবেষণা করার চেয়ে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর দেওয়া উত্তর বা সমাধানের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে যদি একটি প্রবন্ধ লিখতে দেওয়া হয়, তবে সে হয়তো AI-কে ব্যবহার করে পুরো প্রবন্ধ লিখে ফেলতে পারে, নিজে থেকে চিন্তাভাবনা না করেই।  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যেখানে শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীলতার ঘাটতি ইতোমধ্যে শিক্ষার মানকে প্রভাবিত করছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অতিরিক্ত ব্যবহার এই সমস্যাকে আরও প্রকট করে তুলতে পারে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তার চর্চার অভাবে তাদের শিক্ষা  এবং পেশাগত জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা  দেখা দিচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষার্থীরা সমস্যার সমাধান করতে নিজের মেধা ও চিন্তা প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। এতে করে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য—জ্ঞানার্জন, দক্ষতা উন্নয়ন, এবং সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ—প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দ্রুত কোনও অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রবন্ধ তৈরি করে দিতে পারলেও, তার মাধ্যমে তারা কতটা শিখছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে যেখানে বহু শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পাঠ্যবই পড়ার এবং বিষয়বস্তু বোঝার পরিবর্তে শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করার প্রবণতা বেশি সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভরশীলতা এই সমস্যাকে আরও তীব্র করবে। ফলে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনের প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে সরে আসবে এবং সত্যিকারের দক্ষতা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে।

এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সহজেই যে কোনও প্রবন্ধ, অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণা নিবন্ধ তৈরি করতে পারে, যা নকল প্রবনতা বা প্লেজারিজমের (plagiarism) ঝুঁকি বহন করে। যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি করা কনটেন্ট হয়তো সরাসরি অন্য কারও লেখা থেকে কপি করা না, তবে শিক্ষার্থীরা এটি নিজের বলে দাবি করলে তা নৈতিকতার প্রশ্ন তোলে।

প্লেজারিজম (plagiarism) এবং কপিরাইট লঙ্ঘন শিক্ষার মানকে ক্ষুণ্ণ করবে এবং একাডেমিক অসততার উদাহরণ তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সাথে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্লেজারিজম চেক করার জন্য Turnitin বা Grammarly-এর মতো টুল ব্যবহৃত হলেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি কনটেন্ট শনাক্ত করা অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের কাজের জন্য নিজস্ব চিন্তাশক্তি বা মেধা প্রয়োগ না করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করতে পারে, যা তাদের প্রকৃত শিক্ষার মানকে ব্যাহত করবে। অধিকন্তু, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের ওপর অনেকটাই দায়িত্ব থাকে। তারা শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষা, এবং গবেষণা কাজ মূল্যায়ন করে তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান যাচাই করে থাকেন। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ফলে শিক্ষকদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞান বা দক্ষতা যাচাই করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরাসরি ব্যবহারের সুযোগ না পেলেও, ঘরে বসে করা অ্যাসাইনমেন্ট বা গবেষণায় তারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষককে বিভ্রান্ত করতে পারে।

এবার আলোকপাত করা যাক উন্নত বিশ্বের এ সংক্রান্ত পদক্ষেপের দিকে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলো উচ্চশিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যুক্তরাজ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্য স্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছে এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাশক্তি বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করছে। এদেশে, শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা -এর মাধ্যমে তৈরি লেখা  যাচাই করার জন্য উন্নত প্লেজারিজম (plagiarism)   চেকিং টুল ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং গবেষণা এবং অ্যাসাইনমেন্টে স্ব-নির্ভরতার গুরুত্ব তুলে ধরা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষভাবে অনলাইন কোর্স ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধ করতে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা -অ্যাক্টিভেশন’ ( AI –Activation) পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। তারা শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  ব্যবহার সীমিত করে প্রজেক্ট-ভিত্তিক মূল্যায়ন এবং সৃজনশীল সমস্যা সমাধানের দিকে জোর দিচ্ছে। এছাড়াও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষকদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে, যাতে তারা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গাইড করতে পারেন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝাতে পারেন।

এই পদক্ষেপগুলো উন্নত দেশগুলোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী মডেল প্রদান করছে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও সহায়ক হতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিদ্যমান অবস্থা এবং বৈশ্বিক শিক্ষণের আলোকে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার  নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার বহুমাত্রিক পদেক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথম এবং প্রধান সমাধান হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের নৈতিক দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে তা সৃজনশীল চিন্তা এবং জ্ঞানার্জনের বিকল্প হতে পারে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যথাযথ ব্যবহার এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থীদের বলা হবে কীভাবে এবং কোন সীমার মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  ব্যবহার করা যেতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, গবেষণার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা যেতে পারে তথ্য সংগ্রহের জন্য, কিন্তু তা বিশ্লেষণ ও সমাধানের জন্য নিজস্ব চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করা উচিত।

পাশাপাশি শিক্ষকদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি। পরীক্ষার প্রকৃতিকে পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা পরীক্ষার জন্য নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, “ওপেন-বুক পরীক্ষা” এবং  “প্রকল্প-ভিত্তিক মূল্যায়ন”  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরাসরি ব্যবহারকে সীমিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের স্ব-শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করতে সহায়ক হতে পারে। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা-কেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি প্রকট, যেখানে মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভরশীলতা প্রবল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের কারণে এই প্রবণতা আরও ক্ষতিকর হতে পারে। তাই শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করা এবং তাদের থেকে মৌলিক চিন্তা আশা করা।

অধিকন্তু প্লেজারিজম (plagiarism) চেক করার টুলগুলোর ব্যবহারের পাশাপাশি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তৈরি কনটেন্ট যাচাই করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি প্রবর্তন করা দরকার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্লেজারিজম (plagiarism) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং নৈতিকভাবে সঠিক পথে চলার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্ট লেখার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং এর জন্য শিক্ষার্থীদের নৈতিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা জরুরি।

এছাড়াও শিক্ষকদের নিজেদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে, যাতে তারা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গাইড করতে পারেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং সেমিনার আয়োজন করে শিক্ষকদের এ বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। শিক্ষকরা যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হন, তবে তারা শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঠিক ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একদিকে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করছে, অন্যদিকে শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। যদি এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, তবে তা শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং প্রকৃত জ্ঞানার্জনের জন্য হুমকি হতে পারে। তবে, সঠিক নীতিমালা, প্রশিক্ষণ, এবং নৈতিক নির্দেশনার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা সম্ভব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি শক্তিশালী টুল হতে পারে, তবে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা এবং স্ব-শিক্ষার প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে।

লেখক: লোকপ্রশাসন গবেষক

[email protected]

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
লা লিগায় দ্রুততম হ্যাটট্রিকে সরলথের ইতিহাস
লা লিগায় দ্রুততম হ্যাটট্রিকে সরলথের ইতিহাস
যুদ্ধবিরতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শাহবাজ
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতযুদ্ধবিরতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শাহবাজ
সর্বশেষসর্বাধিক