মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন অঘোষিত সফরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ পৌঁছেছেন। সোমবার পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে তিনি কিয়েভ পৌঁছান। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন তুলে ধরতে তিনি এই সফর করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে কিয়েভের যুদ্ধ প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক মনোযোগ সরে যাওয়ার আশঙ্কার মধ্যে তিনি এ সফরে গেলেন।
খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আরেকটি কঠিন শীতকালে ইউক্রেনকে জরুরি সামরিক সহযোগিতার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানাবেন মার্কিন মন্ত্রী।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে অস্টিনের এটি দ্বিতীয় কিয়েভ সফর। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভিন্ন। প্রথমবার ২০২২ সালের এপ্রিলে তিনি সফর করেছিলেন। ওই সময় রুশ আক্রমণের মাত্র দুই মাস গড়িয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে ছিল রুশ আগ্রাসনের নিন্দা। ৫০টির মতো দেশকে নিয়ে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিমাসে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহযোগিতার জন্য সমন্বয় বৈঠকে মিলিত হতো দেশগুলো। কিন্তু ৭ অক্টোবর হামাসের পর ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। ইউক্রেন থেকে মনোযোগও সরে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ অস্টিন লিখেছেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে আজ আমি এখানে এসেছি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুক্তির লড়াইয়ে ইউক্রেনের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪৪ বিলিয়ন ডলার এবং অপর মিত্রদের কাছ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পেয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে গুলি থেকে শুরু করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। ইউরোপীয় মিত্ররা ট্যাংক দিয়েছে এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে।
কিন্তু ইউক্রেনের আরও সামরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। যুদ্ধের ২০ মাস ধরে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা দেশগুলোতে সমর্থনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। পোল্যান্ডের মতো কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।