ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে বেইজিং সহযোগিতা করছে বলে ন্যাটোর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পশ্চিমা সামরিক জোটটিকে সংঘাত উসকে না দিতেও সতর্ক করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি এসব কথা বলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা আগে ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। এতে তারা চীনকে রাশিয়ার যুদ্ধে ‘সহযোগিতাকারী’ বলে উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে চীনের ‘বৃহৎ আকারের সহায়তার’ কারণে। ন্যাটো চীনকে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সব সামগ্রী ও রাজনৈতিক সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো আগে থেকেই চীনের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইট চিত্র স্থানান্তরের অভিযোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, রাশিয়া মেশিন সরঞ্জাম ও মাইক্রোইলেকট্রনিক্স আমদানি করে তার প্রায় ৭০ ও ৯০ শতাংশ চীন থেকে আসে।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেলডকাম্পের ফোনালাপের সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেছেন, চীন এ সব অভিযোগ একেবারেই মেনে নেয় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তারা সবসময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে কাজ করেছে। চীনের ভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও মূল্যবোধকে চীনের বিরুদ্ধে সংঘাত উসকে দেওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয় ন্যাটোর।
তার মন্তব্য ছিল বেইজিংয়ের ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সর্বশেষ উদাহরণ। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ন্যাটো চীনের বিরুদ্ধে ‘মনগড়া মিথ্যা তথ্য’ প্রচার করছে।
বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তারা রাশিয়াকে যুদ্ধের সহায়তা দেয়নি এবং তারা একটি নিরপেক্ষ পক্ষ। তারা সংঘাতের অবসান চেয়েছে এবং একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করেছে।