নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আরও আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন। মঙ্গলবার সামরিক অ্যাকাডেমির স্নাতকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি ঘোষণা দেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এই বৈঠকে পুতিন জানান, নতুন পরীক্ষা করা সম্রাট আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ২০২২ সালের শেষ নাগাদ মোতায়েন করা হবে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের মধ্যে সামরিক স্নাতকদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, ‘পরিকল্পনা রয়েছে বছরের শেষ নাগাদ, এই জাতীয় প্রথম কমপ্লেক্সটি যুদ্ধের দায়িত্বে থাকবে’। তিনি রাশিয়ার নতুন পরীক্ষা করা আইসিবিএম এর দিকে ইঙ্গিত করে একথা বলেন। এই আইসিবিএমগুলো দশ বা তারও বেশি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
রাশিয়া গত এপ্রিলে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে এই পরীক্ষা আবার পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়া পারমাণবিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন কিছু পর্যবেক্ষক।
নতুন আইসিবিএম মোতায়েনের ঘোষণা দিয়ে পুতিন জানান, সেনা সদস্যরা ইতোমধ্যে এস-৫০০ আকাশ প্রতিরক্ষা এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেতে শুরু করেছে। তিনি দাবি করেন এই অস্ত্রের সঙ্গে পৃথিবীর কোনও অস্ত্রের তুলনা চলে না।
রাশিয়া এস-৫৬০০ এর সঙ্গে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন করছে। দ্রুত মোতায়েন সক্ষম এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরপাল্লার বিমান, হাইপারসনিক মিসাইল এবং আইসিবিএম প্রতিহত করা সম্ভব।
পুতিন বলেন, ‘সম্ভাব্য সামরিক হুমকি এবং ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বিকাশ ও শক্তিশালীকরণ অব্যাহত রাখবো’। ইউক্রেনে রুশ সেনারা ‘সাহসিকতা, পেশাদারিত্ব এবং সত্যিকার বীরের মতো’ যুদ্ধ করছে বলে জানান তিনি।
মস্কো ইউক্রেনে আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ আখ্যা দিয়ে বলেছে এর উদ্দেশ্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকাকে ‘স্বাধীন করা’।
সূত্র: আল জাজিরা