ঢাকা-১৭ আসন উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এর মধ্যেই বনানীর ২৫ নম্বর রোডের ৫০ নম্বর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মোহাম্মদ এ আরাফাত বের হলে তাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগসহ নৌকার কর্মীসমর্থকেরা নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের সেলফি তোলার হিড়িক দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা মোহাম্মদ এ আরাফাতের সঙ্গে বের হলেই সেলফি তুলতে ভিড় করেন অনেকে। তাদের সেলফি তোলার বিড়ম্বনায় মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গাড়িতে উঠতেও বেগ পেতে হয়।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের ভোটগ্রহণ বিকাল ৪টার দিকে শেষ হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়েছি, আমাদের এজেন্টের মাধ্যমে কোথায় কী ঘটনা ঘটছে, কোথায় কীভাবে চলছে, সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভালোভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। পুরো চিত্রটি এখনও আমাদের হাতে আসেনি। আনঅফিসিয়াল খবর পাচ্ছি নৌকা ভোটে বিজয়ী হতে যাচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমি মনে করি আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যত সুন্দর পরিবেশ থাকবে, শান্তিপূর্ণ থাকবে, তত নৌকার জন্য লাভ। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে চাই পরিবেশ বিনষ্ট হলে এটা নৌকার জন্যই ক্ষতি। যারাই আইনের ব্যত্যয় ঘটাবে সেখানেই আইনের প্রয়োগ হবে।
আরাফাত বলেন, সারাদিন ধরে কোনও সমস্যা হয়নি, পুরো সময় ধরেই কোনও সমস্যা হয়নি, শেষ মুহূর্তে কী হলো? যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের মুখ উন্মোচিত হওয়া উচিত। তাদের সাজার আওতা আনা উচিত। আমি শেষ মুহূর্তে খবর পেয়েছি চারজন আটক হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হউক সেটাই আমি দাবি করি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।