X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২১ আষাঢ় ১৪৩২

করোনা সংকটের আনসাং হিরো: বাংলাদেশ পুলিশ

সাদিক হাসান
১২ জুন ২০২০, ১২:৪৭আপডেট : ১২ জুন ২০২০, ১২:৫০

সাদিক হাসান কয়েক বছর আগের কথা। আমার স্ত্রী তমার জাতীয় পরিচয়পত্র একটি মার্কেটে শপিং করতে যেয়ে চুরি হয়ে যায়। নতুন একটা দরকার, কিন্তু তার আগে থানায় জিডি করতে হবে। কিন্তু যাচ্ছি-যাবো করতে করতে প্রায় বছর দুই পার করে ফেললাম। ব্যাপারটা এমন না যে সময় বের করতে পারছি না। মূল বিষয়টা হলো থানায় যেতে একটু কেমন কেমন বোধ করা। অথচ আমার বেশ কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থী তো বটেই নিজের আত্মীয়-স্বজন এবং কাছের বন্ধু পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদে আছেন। তারপরও এই কেমন কেমন করাটা পাশ কাটিয়ে থানায় জিডিটুকু করতে যাওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত আমাকে না জানিয়ে তমা বিরক্ত হয়ে একাই রমনা থানায় গিয়ে জিডি করে আসে। ফিরে আসার পর আমি যেভাবে অবাক বিস্ময়ে ওর অভিজ্ঞতা শুনতে বসলাম তাতে মনে হতেই পারে যে তমা মাত্রই একটা দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার শেষ করে ফিরলো।
আমার কথা বাদ দেই। বিভাগের এক কর্মচারীর বাসায় চুরি হয়েছে। আমি সব শুনে খুব ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞেস করলাম পুলিশকে জানিয়েছেন কিনা। উনি একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললেন, সাধ করে নতুন কোনও ঝামেলায় পড়তে চাই না। আর নিজের গাড়ি আছে এমন যে কেউ এই হয়রানির হাজারও উদাহরণ দিতে পারবেন। এই দুয়েকটা ঘটনা থেকেই খুবই স্পষ্ট যে আমরা পুলিশকে কীভাবে দেখি। আমরা উঠতে-বসতে পুলিশকে হাজারটা গাল দেই এবং এহেন অভিযোগ নেই যা আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে করি না। পুলিশের অনৈতিক এবং অন্যায় আচরণের অসংখ্য পোস্ট এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পাওয়া যায়। এভাবে পুলিশ আমাদের কাছে দুর্নীতির একটা বড় বাস্তব উদাহরণ। সমাজে পুলিশের ভাবমূর্তির এই বেহাল দশা বোধকরি পুলিশের কারোরই অজানা নয়। যদিও আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ ছিল প্রথম প্রহরের প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং পুলিশ জনগণের বন্ধু এই আপ্তবাক্যটি সামনে রেখে বাংলাদেশে পুলিশের পথচলা।

কিন্তু করোনা মহামারির এই সময়টা সব হিসাব উল্টে দিয়েছে। এখনকার সময়টা এত কঠিন আর অবাস্তব যে অনেক মানুষ তার স্বাভাবিক মানবিকতাবোধ হারিয়েছে। নিজের রক্তের সম্পর্ককে অস্বীকার করছে। আর সেটা এমনই যে কোনও কোনও স্থানে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ গ্রহণ তো দূরে থাক জানাজা পড়ানোর জন্যও পরিবারের কেউ ছিল না। সেখানে পুলিশের সদস্যরা জানাজা পড়েছেন, কবর খুঁড়েছেন এবং দাফন করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে সঙ্গে অন্য কারণে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশও এলাকাবাসী বাধা দিচ্ছেন দাফন করতে। পুলিশ সেখানেও মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এইতো কিছুদিন আগে চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক নারীর লাশ শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে দাফন করতে গেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসী বাধা দেয়। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন সেখানে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পৌঁছে নিজেই কবর খুঁড়েন এবং লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।

শুধু কী তাই? সরকার ঘোষিত ছুটি ও ঘরে থাকার নির্দেশ এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণের দায়িত্বের পাশাপাশি পুলিশ এমন কোনও কাজ নেই যা করছে না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে যখন বাড়িওয়ালা বাসা থেকে বের করে দিয়েছে তখন পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। পুলিশ সহায়তা দিয়েছেন অনেক ভাড়াটিয়াকে, যারা বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালার হুমকির মুখে ছিলেন। ঢাকার কলাবাগানের ঘটনাটা তো মিডিয়ার কল্যাণে অনেকেরই জানা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশ নিজের বেতন, বোনাস এমনকি রেশনের অংশ দিয়েও দুস্থ এবং বিপাকে পড়া মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে পুলিশ সদস্যরা পালন করছেন একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। চট্টগ্রামে তো পুলিশ সাধারণ মানুষের বাজারের ব্যবস্থাও করেছেন। সিলেটে ফোন করলেই খাবার ও ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে জেলা পুলিশ। এই সেদিন বাহরাইন প্রবাসী এক ব্যক্তির ফোন কল পেয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চাল, ডাল, আলুসহ নিত্যপণ্যের একটি প্যাকেট পৌঁছে দেন ওই প্রবাসীর বাড়িতে। বিভিন্ন স্থানে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার কাজও করছেন পুলিশ সদস্যরা। এমনকি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার কাজও। কোয়ারেন্টিন এবং আইসোলেশন নিশ্চিত করার কাজেও পুলিশকে মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি ‌‘ভয় নয় সবাই মিলে করোনাকে করবো জয়’—এই বার্তা লিখে করোনা আক্রান্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় এক ঝুড়ি ফল পাঠিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। সপ্তাহ কয়েক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরেকটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন পুলিশ কর্মকর্তা পকেট থেকে ওয়ালেট বের করে একজন মহিলাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করছেন। এভাবে জনগণের পাশে যেকোনও প্রয়োজনে পরম বন্ধুর মতো হাজির হয়েছে পুলিশ।

আমাদের মধ্যে অনেকে যেকোনও ধরনের সাহায্যকে যেভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তাতে অনেক সময় সাহায্যের মূল সুরটিই হারিয়ে গিয়ে শো-অফ করাটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে পুলিশ সদস্যরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিভৃতে। যা কিছুটা প্রচার হয়েছে তা মিডিয়ার কারণে হয়েছে। পুলিশ এখানে এক আনসাং হিরো।

কিন্তু এতো সব কাজ করতে যেয়ে করোনা যুদ্ধের প্রধান সেনানী ডাক্তারদের মতো পুলিশ সদস্যদেরও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি মিশতে হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এতে অনেকে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেননি। ফলে, ১১ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ৬ হাজার ৯৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৩ জন পুলিশ সদস্য।  অসুস্থদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৬০ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন। শতকরা হিসাবে সুস্থতার হার ৫১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও পুলিশ সদস্যরা মনোবল হারাননি। বরং তারা দিন গুনছেন কবে ভালো হয়ে আবারও ফিরে যাবেন ডিউটিতে। এখন পর্যন্ত এগারশ’র বেশি সদস্য সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। রংপুর জেলার কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার (আরআরএফ) মেহেদুল করিম তার স্ত্রীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আশাবাদের গল্প শুনিয়েছেন। ভিডিওর মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, 'করোনাকে ভয় নয়, জয় করতে হবে। প্রথমে আমার মা একটু কান্নাকাটি করেছেন। কিন্তু এখন আমার মা প্রচণ্ড সাহসী। আমরা সাহসের প্রতীক হতে চাই।' পুলিশ সুপার করিমের মা, স্ত্রী, বোন ও ভাগ্নে এবং বাড়ির কাজের সহকারী ছেলের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

কাজের ধরনের কারণেই ডাক্তারদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদেরও ব্যক্তিগত সুরক্ষা দরকার ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া কোনও পুলিশ সদস্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য কাজ থেকে বিরত থাকতে চেয়েছেন বলে জানা যায়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রহরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৩২ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের আক্রমণ পুলিশ সদস্যরা যেভাবে কোনও ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া সাধারণ ৩০৩ রাইফেল দিয়ে প্রতিহত করেছিলেন সেভাবে এবারও তারা কর্তব্যের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।

সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াও এই বাহিনীর নিজস্ব সমস্যাও কম নয়। একটা বড় সংকট আবাসনের। বিশেষ করে কনস্টেবল থেকে উপরের দিকে। সারাদিন ডিউটি করে এসে গাদাগাদি করে ব্যারাকের মেসে থাকতে হচ্ছে। এমনও আছে যে এক বিছানা দুই-তিনজন পালাক্রমে ব্যবহার করেন। কেউ কোনও কারণে একটু আগে চলে এলেও বিশ্রাম নিতে পারেন না। অপেক্ষা করতে হয়। বিছানাগুলোও খুব চাপাচাপি করে রাখা। ব্যারাকের বারান্দায় পাতা বিছানার ছবিও পাওয়া যাচ্ছে পত্রিকার পাতায় আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রুমগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় বৈদ্যুতিক পাখার সংখ্যাও কম।

বর্তমান সংক্রমণের জন্য এই আবাসন ব্যবস্থার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, ডিউটি করতে গিয়ে কেউ যদি সংক্রমিত হয়েই যান তবে যে কয়দিন সময় লাগছে উপসর্গ প্রকাশ পেতে ততদিনে গাদাগাদি করে থাকার কারণে তিনি আশেপাশের আরও অনেকজনকে সংক্রমিত করে ফেলছেন না জেনে। তারা আবার অন্যদের।

যদিও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে টহল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জীবাণুমুক্ত করাসহ পুলিশ ব্যারাকের আবাসন ব্যবস্থায় সামাজিক দূরত্ব মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব সদস্যকে ব্যাপক হারে সুরক্ষাসামগ্রীও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ডিউটির আগে প্রতিদিন মাঠপর্যায়ের সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ দূরত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে বলা হচ্ছে। আক্রান্ত সদস্যদের জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ সব পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য ১১টি আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়া ছাড়াও ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য একটা বেসরকারি হাসপাতালও ভাড়া করা হয়েছে।

চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ৩০ জন চিকিৎসক সংযুক্তি করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে একটা কথা বলা যায়, করোনার এই সংকট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে পুলিশ সদস্যদের বড় পরিসরে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো সক্ষমতা এখনও কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের হয়নি। সশস্ত্রবাহিনীর মতো পুলিশের একটা মেডিক্যাল কোর যদি প্রতিষ্ঠা করা যেতো তাহলে হয়তো জনগণের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনী অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারতো। সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য এটা বেশি প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পুলিশের নিজস্ব যানবাহন এবং লজিস্টিকের জোগানও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

পুলিশ বাহিনীর আরেকটা চ্যালেঞ্জ খাদ্যসামগ্রী। পুলিশের সদস্যরা রেশনের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী পান। এই খাদ্যসামগ্রীর মানও আরেকটু উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি ডিউটির সময় খাওয়ার কষ্টও কম নয়। স্বাভাবিক সময়ে রমজানের সময় রাস্তায় ডিউটি করা পুলিশ সদস্যরা সেহরি-ইফতারও করেন ডিউটি করতে করতে। আর এখন এই অস্বাভাবিক সময়ে বেশিরভাগ হোটেল বন্ধ থাকার কারণে সেই সেহরি-ইফতার করাটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ পুলিশ সদস্যদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছেন।

ঈদের দিনও পুলিশের হাজার হাজার সদস্য পরিবার ফেলে ডিউটি করেছেন। তখনও বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষ পুলিশ সদস্যদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন খাবার। সাধারণ মানুষ যে কোনও প্রয়োজনে এখন পুলিশ ছাড়া আর কাউকে আপন ভাবতে পারছে না। এই যে ভালোবাসাটা সাধারণ মানুষ দেখাচ্ছেন সেটা এমনি এমনি নয়। এই কঠিন সময়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের কাজের মাধ্যমে সেই ভালোবাসাটা অর্জন করেছেন। যে বেহাল ভাবমূর্তি ছিল তা বদলে আবার স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে।

সাধারণ মানুষের অংশ হিসেবে আমাদের শুধু একটাই চাওয়া—মানুষের এই ভালোবাসাটা যেন অক্ষয় হয়। করোনা পরবর্তী সময়েও মানুষ যেন সত্যি সত্যিই করোনা সংকটের আনসাং হিরো পুলিশকে বন্ধু ভাবতে পারে।

লেখক: শিক্ষক, লোক প্রশাসন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পঞ্চগড় সীমান্তে আবারও ১৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ
পঞ্চগড় সীমান্তে আবারও ১৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ
‘ভাইরাল আলভি’সহ গ্রেফতার ৪ জন কারাগারে
‘ভাইরাল আলভি’সহ গ্রেফতার ৪ জন কারাগারে
আ. লীগের দমন-পীড়ন ছিল এজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান
আ. লীগের দমন-পীড়ন ছিল এজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান
তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কোন্নয়নকে স্বাগত জানাল চীন
তালেবানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কোন্নয়নকে স্বাগত জানাল চীন
সর্বশেষসর্বাধিক