X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

টিকটক ভিডিও: সর্বনাশা নেশা

রেজানুর রহমান
০৯ আগস্ট ২০২০, ১৪:৫৬আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২০, ১৫:০১

রেজানুর রহমান একটা ছেলে টিকটক ভিডিও বানায়। তার ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা নাকি কয়েক লাখ। তার নাম অপু। উত্তরায় ব্যস্ত রাস্তা দখল করে শুটিং করছিল। ফলে পথচারীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে দারুণ জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু সেদিক অপু আর তার সহযোগীদের কোনোই ভ্রুক্ষেপ ছিল না। বরং তারা পথচারীদের ওপরই চোটপাট দেখাচ্ছিল। প্রতিবাদ করতে গিয়ে একজন নিরীহ ভদ্রলোক অপু ও তার সহযোগীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। অপুকে গ্রেফতার করে। সংবাদপত্রসহ দেশের সব গণমাধ্যমে ফলাও করে খবরটি প্রচার করা হয়। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রকাশিত এতদসংক্রান্ত খবরের শিরোনাম দেখে যারপরনাই অবাক হয়েছি। টিকটক ভিডিও নির্মাতা অপুর পরিচয় দিতে গিয়ে অপুর সাথে ‘ভাই’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ‘অপু ভাই’ গ্রেফতার। শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে অপু নামের ওই কিশোর অন্ধকার জগতের কোনও ‘ডন’ হয়ে উঠেছে। সে কারণে তার নামের সঙ্গে ‘ভাই’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে।
অন্যায় ও অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিদিনই তো কত মানুষ গ্রেফতার হয়। আবার ছাড়াও পেয়ে যায়। সে কারণে অপুকে গ্রেফতারের ঘটনা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি আমার কাছে। তবে অপুর চেহারা বিশেষ করে মাথার চুলের রঙ দেখে কৌতূহল দমন করতে পারিনি। কালো মাথার চুলে বাহারি রঙ দেখে ছেলেটিকে আস্ত একটা ‘বেয়াদব’ মনে হয়েছে। ফেসবুকে এই ‘বেয়াদবের’ নাকি কয়েক লাখ ফলোয়ার আছে। ওহ! মাইগড! কী করে এটা সম্ভব? আমি যাকে ‘বেয়াদব’ ভাবছি তার ফলোয়ার আছে লাখ লাখ! জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে আমি তো তার কাছে কিছুই না। তাহলে আমি তাকে বেয়াদব ভাবছি কোন যুক্তিতে?
ছেলেটি টিকটক ভিডিও’র নামে কী বানায় তা দেখার জন্য কৌতূহলী হয়ে উঠলাম। দেখলাম তার কয়েকটি টিকটক ভিডিও! স্বীকার করছি এই ছেলের মেধা আছে। কিন্তু সে তার মেধাকে ভুল পথে কাজে লাগাচ্ছে। এই যে ভুল পথের কথা বললাম তা নিয়েও তর্ক হতে পারে। একজনের কাছে যেটা ‘ভুল পথ’ অন্যের কাছে সেটা সঠিক পথ মনে হতে পারে। চোর চুরি করার পরও যুক্তি দাঁড় করায় কেন সে চুরি করেছে। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য সে চুরি করতে বাধ্য হয়েছে। এটা হলো মুদ্রার একপিঠ। মুদ্রার অন্য পিঠে রয়েছে স্বভাবগত ভাবনা। চুরি করা তার পেশা ও নেশা। সে জন্যই বোধকরি একটা কথা প্রচলিত আছে– চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি। একই কথা বোধকরি টিকটক ভিডিও নির্মাতা অপুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই যে আমি তার ব্যাপারে এত নেতিবাচক কথা বলছি, সে যদি প্রশ্ন করে– কোন যুক্তিতে আপনি এত কথা বলছেন? আপনি কি জানেন ফেসবুকে আমার লাখ লাখ ফলোয়ার আছে। তখন এর উত্তর কী হবে?
শুধু অপু নয়, তার মতো এমন ধারার আরও অনেক কিশোর ও তরুণ টিকটক নির্মাতার লাখ লাখ ফলোয়ার আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের টিকটকের বিষয়বস্তু নর-নারীর প্রেম, সস্তা সংলাপ ও যৌনতা। পাশাপাশি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি আর অশালীন শব্দের প্রয়োগও টিকটক ভিডিওর অন্যতম আকর্ষণ। আর তাই টিকটক ভিডিও নিয়ে গভীর আগ্রহ কিশোর ও তরুণ বয়সীদের। গোপন আড্ডায় অথবা প্রকাশ্যে রাস্তার মোড়ে অথবা পড়ার টেবিলে একা অথবা দলবেঁধে কিশোর তরুণেরা টিকটক ভিডিও দেখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। গ্রাম, শহর সর্বত্রই একই অবস্থা। অনেকে নাওয়া খাওয়া ভুলে টিকটক ভিডিও দেখে সময় কাটায়। অনেকটা নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষয়টি। করোনাকালের এই দুঃসময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় টিকটক ভিডিওর প্রতি কিশোর ও তরুণদের আগ্রহ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পরিবেশ হয়ে উঠেছে তুষের আগুনের মতো। তুষের আগুন দেখা যায় না। কিন্তু শেষমেশ এই আগুন যখন ভয়াবহ রূপ নেয় তখনই বোঝা যায় কতটা ক্ষতি হয়েছে।
টিকটক ভিডিও অনেকটা তেমনই ভূমিকা পালন করছে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। এখনই হয়তো বোঝা যাচ্ছে না এই ধরনের ভিডিও কিশোর ও তরুণদের মাঝে কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কিন্তু অচিরেই এর প্রভাব ভয়াবহ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
টিকটক ভিডিওর মূল উদ্দেশ্যই থাকে যেকোনও মূল্যে দর্শককে আটকে রাখা। এখানে দেশাত্মবোধের কোনও তাড়না নেই। অপুর একাধিক ভিডিও দেখলাম। গানের ব্যবহার থাকলেও দেশীয় শিল্পীর গান উপেক্ষিত। চটুল হিন্দি গানের প্রতিই অধিক মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে নীতিবাক্যও জুড়ে দেওয়া আছে। রঙিন উদ্ভট স্টাইলের চুলের কারণে বয়োজ্যেষ্ঠদের অনেকে তাকে বেয়াদব ভাবলেও তার সমবয়সীরা বেজায় খুশি। অনেক ‘অপু ভাই’ বলতে অজ্ঞান। মূলত এটাই ভবিষ্যৎ শঙ্কার বিষয়। ধরা যাক, অপুর আদর্শে তারই মতো কিশোর তরুণেরা চুলের স্টাইল ধারণ করে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে শুরু করলো, তখন পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে? প্রসঙ্গত উল্লেখ্যে, অপুকে গ্রেফতারের পর তাকে যখন আদালতে হাজির করা হয় তখন মাননীয় বিচারক তার মাথায় চুলের স্টাইল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অপু কোনও জবাব দেয়নি। কিন্তু তার পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ও তো অভিনয় করে। তাই মাথার চুল এমনটা করতে হয়েছে।
আইন পেশার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আমার। কিন্তু যখন দেখি জলজ্যান্ত অপরাধ ও অপরাধীর পক্ষে শ্রদ্ধাভাজন আইনজীবীদের অনেকেই দাঁড়িয়ে যান তখন মনের ভেতর নানান প্রশ্ন খেলা করে। অপুর মাথায় উদ্ভট স্টাইলের চুলের পক্ষে শ্রদ্ধাভাজন আইনজীবী যত যুক্তিই দেখান না কেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি নিজের ছেলের মাথায় এমন উদ্ভট স্টাইলের চুল দেখতে চাইবেন না। তার মানে বিষয়টি অশোভন। অথচ আমরা অনেকেই স্বার্থের প্রয়োজনে অশোভন কর্মকাণ্ডের পক্ষে জেনে-বুঝেই অবস্থান নিচ্ছি। ফলে আমাদের সমাজে শোভন-অশোভনের মধ্যে এক ধরনের ঠান্ডা লড়াই চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অশোভন কর্মকাণ্ডই লড়াইয়ে টিকে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত একটা বিষয়ে জোর দিতে চাই। দেশজুড়ে কিশোর, তরুণেরা এই যে আপত্তিকর টিকটক ভিডিওর প্রতি এত আগ্রহী হয়ে উঠেছে, এজন্য কি তারাই দায়ী? অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনোদনেরও প্রয়োজন আছে। দেশের কিশোর ও তরুণদের জন্য সেই অর্থে আছে কী কোনও বিনোদন সুবিধা? দেশে বর্তমানে বিটিভিসহ ৩০টিরও বেশি টিভি চ্যানেল ক্রিয়াশীল রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলে কিশোর ও তরুণদের উপযোগী কোনও অনুষ্ঠান নেই। একটা সময় দেশের প্রায় প্রতিটি দৈনিক পত্রিকায় কিশোর ও তরুণদের জন্য পৃথক বিভাগ চালু ছিল। বর্তমানে দুই একটি দৈনিক ছাড়া অন্য দৈনিকে কিশোর, তরুণদের জন্য কোনও বিভাগও চালু নেই। অথচ দেশের জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশই কিশোর ও তরুণ। তাদের মেধার বিকাশ ও বিনোদন ভাবনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমন্বিত কোনও পদক্ষেপ না থাকায় একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। বুঝে না বুঝে এই শূন্যতা পূরণের সুযোগ নিচ্ছে তথাকথিত টিকটক ভিডিও নির্মাতারা। যাদের কাছে দেশ ও দেশের সংস্কৃতি মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং আনন্দ দেওয়ার নামে অনেকে অশ্লীলতাকে পুঁজি করে বিজাতীয় সংস্কৃতিকেই উসকে দিচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশরাই টিনএজার। দেশের ভালো-মন্দ নিয়ে এদের অনেকেরই কোনও দায়বদ্ধতা নেই। একজনের দেখাদেখি অন্যজন টিকটক ভিডিও নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছে। অনেকে ফ্যান ফলোয়ারদের ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং। রাজধানীসহ দেশের নানা স্থানে এই কিশোর গ্যাংরা নানান ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। সুবিধাবাদী অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও তাদের নানাভাবে ব্যবহার করছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, টিকটক নির্মাতা এই কিশোর তরুণদের অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি জানেন। কিন্তু বিষয়টির ক্ষতিকর দিক নিয়ে অধিকাংশ অভিভাবকের কোনও উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা নেই। অপুর বাবা স্বীকার করেছেন তিনি ছেলের ‘টিকটক’ প্রতিভা সম্পর্কে কিছুটা জানেন। কিন্তু এতে যে ছেলের কোনও সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি হবে না তা তিনি জানেন না। শুধু অপুর বাবাই নন, আরও অনেক বাবা-মা সন্তানের টিকটক চর্চা, বিশেষ করে ফেসবুক চর্চার ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন। অনেকের চতুর সন্তান পড়াশোনার নাম করে রাত জেগে ফেসবুক চর্চায় মেতে থাকে। বাবা-মা ভাবেন তার প্রিয় সন্তান রাত জেগে ক্লাসের পড়াশোনা তৈরি করছে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তার উল্টোটা। একটি ছোট্ট ঘটনা উল্লেখ করি।
রাজধানীতে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। ড্রয়িং রুমে বসে আছি। পরিবারটির কর্তার সঙ্গে আলাপ করছি। তাদের স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলেমেয়ের একজনকেও ধারে কাছে দেখলাম না। একসময় পরিবারটির কর্ত্রী ড্রয়িংরুমে এলেন। প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি অনেকটা অহংকারের সঙ্গেই ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে বললেন, ‘রাত জেগে পড়াশোনা করেছে তো। এখন ঘুমাচ্ছে।’ বলা বাহুল্য, সেদিন ছিল ছুটির দিন। সময় ছিল সকাল ১১টা। আমার কেন যেন সন্দেহ হচ্ছিল। শেষমেশ আমার সন্দেহই বাস্তবে প্রমাণিত হয়। ছেলেমেয়ে দুটি স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় সেবার ফেল করেছিল।
প্রিয় পাঠক, একথা নিশ্চয়ই মানবেন অতিরিক্ত আদর সন্তানকে বিপথে পরিচালিত করে। কাজেই সন্তানদের ব্যাপারে সবার উচিত আরও সচেতন ও সজাগ থাকা। সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে, তার বন্ধু কারা, এ ব্যাপারেও সব অভিভাবকের নজরদারি থাকা জরুরি। আপনি সত্যি সত্যি জানেন তো আপনার প্রিয় সন্তান প্রতিদিন কোথায় যায়? কার সাথে মিশে? তার বন্ধু কারা? সত্যি কী জানেন?
আবার টিকটক ভিডিওর কথায় আসি। এই লেখাটির প্রয়োজনে অপুসহ আরও অনেক কিশোর নির্মাতার একাধিক ভিডিও দেখলাম। সত্যি বলতে কী, ছেলেগুলো বেশ মেধাবী। তবে তাদের গন্তব্য সঠিক নয়। নিজেরাও হয়তো জানে না কি করছে? কেন করছে? সস্তা বাহবা পাওয়া ও নিজেকে হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রায় সবাই তৎপর। অপুদের এসব টিকটক ভিডিওতে অশ্লীল অশোভন সংলাপ, অঙ্গভঙ্গি থাকায় কিশোর তরুণদের মাঝে এক ধরনের নেশায় পরিণত হয়েছে। গ্রাম, শহর সর্বত্রই কিশোর, তরুণদের একটি বড় অংশ এই বদ নেশায় আক্রান্ত। অথচ অভিভাবকদের অনেকেই দেখেও না দেখার ভান করছেন। ভাবটা এমন, ‘ছেলে মানুষ, উঠতি বয়স। এটা ওটা করে সময় কাটাবে। বয়স হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে বলছি, এসব ‘এটা ওটা’ যারা করছে তারা বয়স হলে ঠিক পথে এসে যাবে তা ভাবার কোনও যুক্তি নেই। কারণ, আপনি যাকে ‘এটা ওটা’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন আসলে তা এক ধরনের মরণঘাতী মাদক নেশায় পরিণত হয়েছে। কোমলমতি ছেলেমেয়েরা একবার এই মাদকের খোঁজ পেলে আর ছাড়ে না। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ওই নেশায় বুদ হয়ে থাকে। কাজেই এখনই সময় তাদের ফিরিয়ে আনার।
কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? আমরা অনেকেই অভিযোগ করতে পছন্দ করি। কিন্তু দায়িত্বের কথা উঠলেই নানা ছুঁতোয় নিজেকে সরিয়ে নেই। আড্ডা, আলোচনায় হরহামেশাই দেশের কিশোর-তরুণদের নিয়ে কথা ওঠে। তারা উচ্ছন্নে যাচ্ছে, গুরুজনদের মানে না। দেশের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে না– এ ধরনের অনেক অভিযোগ কিশোর তরুণদের প্রতি। কিন্তু কেন তাদের মাঝে এই ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিচ্ছে তা তলিয়ে দেখি না। আবারও সেই প্রশ্নটাই করি। একবার ভাবুন তো দেশে কিশোর তরুণদের জন্য আছে কি বিনোদনের কোনও সুযোগ-সুবিধা! স্কুল, কলেজের শিক্ষাজীবনও কি তাদের জন্য আনন্দময়? উত্তর হবে– না। তাহলে তারা যাবে কোথায়? করবেটা কি? কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। টিকটক ভিডিও অনেকটা ‘শয়তানের কারখানা’র মতোই। শয়তান যেমন ভালো মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে, টিকটক ভিডিও তেমনি। ভুল পথকেই সঠিক পথ বলে চিনিয়ে দিচ্ছে। এখনই সময় ভুল পথ থেকে দেশের সম্ভাবনাময় কিশোর ও তরুণ সমাজকে ফিরিয়ে আনার। তা না হলে দেশের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। ‘কথা কি পরিষ্কার? নাকি কোনও সন্দেহ আছে?’

লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, সম্পাদক: আনন্দ আলো।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ