X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

একমুখী শিক্ষা : সবার জন্য সমান শিক্ষা

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
১০ নভেম্বর ২০২১, ১২:১৬আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, ১৫:২৩
ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন
‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’ এটি একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ। কিন্তু এই মেরুদণ্ড যদি শিক্ষার্থীকে সব ধারার মৌলিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত রেখে কিংবা শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাবিরুদ্ধ ধারা চাপিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয়, তাহলে জাতি এই মেরুদণ্ডের ওপর কতটা স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে- এই প্রশ্ন থেকেই যায়। শিক্ষাবিদরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তনের কথা বলছেন। আশার দিক হলো, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুনরূপে সাজানোর ঘোষণা এবার সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। ইতোমধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই  শিক্ষাব্যবস্থায় একটি সুন্দর ও ইতিবাচক বদল আসতে চলেছে, যা প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের জন্য আনন্দের সংবাদ। এই ইতিবাচক পরিবর্তন হলো মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে নেওয়া।  

বর্তমানের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ১৯৬২ সালে চালু করা হয়। এই শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ী নবম শ্রেণিতে গিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় সে বিজ্ঞান, মানবিক না বাণিজ্য বিভাগ বেছে নেবে। তবে প্রকৃত অর্থে বিভাগ বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীর ইচ্ছা বা পছন্দের ওপর নির্ভর করে না। শিক্ষার্থীদের বিগত বছরের ফলাফল অনুযায়ী তাদের ওপর বিভাগ চাপিয়ে দেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রে। অপেক্ষাকৃত কম নম্বর বা ফলধারী শিক্ষার্থী আগ্রহ থাকলেও অনেক সময় বিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে পারে না। আবার নবম শ্রেণির প্রথম সারির শিক্ষার্থীরা অতি আগ্রহে যদি মানবিক বিষয়ে পড়তে চায় তাহলে বিদ্যালয় ও পরিবার থেকে মনে করা হয় ওই শিক্ষার্থীদের বুঝি সর্বনাশ হলো। শিক্ষার্থীর আগ্রহের চেয়ে এখানে মূল্যায়ন করা হয় সামাজিক মানদণ্ড; লোকে কী বলবে, এসব বিষয়। নম্বরের হেরফের কারণে বিভাগ বিভাজনের সময় অনেকাংশেই শিক্ষার্থীর পছন্দ উপেক্ষিত হয়। শিক্ষক ও অভিভাবকের পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে বিভাগ পছন্দ করতে হয়। যা অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। বাধাগ্রস্ত হয় শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের উদ্ভাবনী চিন্তার পথ। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর হলে এই সমস্যার একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। একীভূত শিক্ষাক্রমে নবম-দশম শ্রেণিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সিলেবাস, যে কৌশলে পড়ানো হবে, আমাদের প্রত্যাশা তা আমাদের জাতির প্রগতির ও উন্নয়নের গতিধারায় বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখবে।

মানসম্মত শিক্ষার সহায়ক

ব্যক্তি পর্যায় থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে শিক্ষা। একটি জাতির জন্য মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা খুব জরুরি। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণিতে একই বিষয়ে পড়ানো হবে। এখানে সব বিষয়ের গুরুত্ব সমানভাবে প্রাধান্য পাবে। যাতে শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ের মৌলিক ও প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং দক্ষতা অর্জনের পথে পরবর্তী জীবনে অগ্রসর হতে পারে। চলমান শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভাজন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্য বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা না পেয়েই উচ্চ মাধ্যমিক ও পরবর্তীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছে। ফলে তাদের মধ্যে সামগ্রিক বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান ও দক্ষতার ঘাটতি থাকছে। বর্তমান পদ্ধতিতে নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ পড়ুয়ারা সমাজবিজ্ঞান ও মানবিকের ছাত্ররা সাধারণ বিজ্ঞান পড়লেও তা ন্যূনতম জ্ঞান ও দক্ষতা তৈরিতে যথেষ্ট নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা অন্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি দায়সারাভাবে সম্পন্ন করছে, পরীক্ষার বৈতরণী পার হওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মাঝে হয়তো এই ভাবনা কাজ করে যে ভবিষ্যতে আমার শিক্ষাজীবনে এই বিষয়টি তেমন কাজে আসবে না। যার ফলে সামগ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন (Holistic Approach) বাধাগ্রস্ত হয়।

শিক্ষার একমুখীকরণ

নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে সব শিক্ষার্থীকেই দশটি বিষয় পড়তে হবে। সবার জন্য বরাদ্দকৃত বিষয়গুলোর মধ্যে থাকবে বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ প্রয়োজনীয় পাঠ্যসূচির কাঠামোগত সমন্বয়। শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনের ফলে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা কমবে, অতিরিক্ত সিলেবাসের চাপ থাকবে না, বাড়বে স্বাধীনভাবে চিন্তা-ভাবনা ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার সুযোগ। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর ধারণা পাবে। উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে তারা নির্দিষ্ট  একটি বিভাগ পছন্দ করতে পারবে। ফলে শিক্ষার্থীরা সামগ্রিক বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠবে। মানসম্মত শিক্ষার পথে এই একীভূতকরণ যুগান্তকারী হবে। শিক্ষার এই একমুখীকরণ উদ্যোগ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সুগঠিত করবে। আমাদের দেশে বাংলা মিডিয়াম, বাংলা ভার্সন, ইংরেজি মিডিয়াম, কারিগরি, আলিয়া ও কওমি নামক নানা ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে, যা আমাদের শিক্ষার্থীদের নানান চিন্তাধারার নাগরিক হিসেবে তৈরি করছে। কিন্তু আশার বিষয় হচ্ছে, এই সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা অতি শিগগিরই একমুখী হবে। শিক্ষামন্ত্রীর কথায় সে আভাস পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এত ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যদিও আমরা চেষ্টা করছি সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি মৌলিক বিষয়গুলো রাখতে পারি, সেটি এক ধরনের একমুখী শিক্ষার দিকে যাওয়ার  একটি পথ তৈরি হবে।’ শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একবারে মৌলিক বিষয় ভাষা, বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস ও  তথ্যপ্রযুক্তি এই ধরনের বিষয়গুলো যদি আমরা পড়াতে পারি, তাহলে এক ধরনের একমুখী শিক্ষার দিকে যাওয়ার একটি পথ তৈরি হলো। আমরা বলতে পারবো, মৌলিক বিষয়গুলো শিখছে শিক্ষার্থীরা।’ [সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন]

একমুখী শিক্ষাই যুগোপযোগী 

বর্তমান বিশ্ব রকেট গতিতে ধাবমান হচ্ছে উন্নতির দিকে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রযুক্তিনির্ভর চিন্তাভাবনাই উন্নত দেশগুলোকে এনে দিচ্ছে সাফল্যের নতুন ছোঁয়া। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষার যুগোপযোগীকরণ ও হালনাগাদ করার বিকল্প নেই। উন্নত দেশগুলোতে নিয়মিত শিক্ষার সংস্কার চলে। এখন ঘরের ভেতরে ও বাইরে প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এমন একটি প্রেক্ষাপটে শুধু বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি পড়বে এমনটি হওয়া কাম্য নয়। আবার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা ভূগোল, ইতিহাস, মানবিক মূল্যবোধ, সুশাসনের ধারণা পাবে না এটিও সমীচীন নয়। নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ করতে হবে। যা নতুন শিক্ষাক্রমের বিশেষত্ব। চলমান এই সংস্কার যুগোপযোগী শিক্ষার পথ উন্নত, মসৃণ ও সময়োপযোগী করতে ভূমিকা রাখবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। যাতে করে তারা দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত হয়ে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলতে পারে।

শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক 

শিক্ষানীতি-২০১০ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি শিক্ষানীতি। এই শিক্ষানীতিতে শিক্ষায় বৈষম্য কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। অথচ এতদিন ধরে আমরা দেখেছি, ১৪ বছর বয়সের একজন শিক্ষার্থী নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য নিয়ে পড়ার কারণে তার অন্য বিভাগের বিষয়গুলোর নির্যাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বৈচিত্র্যময় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগও তাদের আর থাকছে না। বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের পক্ষপাত থাকায় শ্রেণিকক্ষের প্রথম দিকের শিক্ষার্থীদের সে বিষয়ে পড়ার জন্য চাপ থাকে। অন্যদিকে অনেক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, মানবিক ও বাণিজ্যে যারা পড়াশোনা করে তাদের প্রতি যত্নের মাত্রা কিছুটা কম থাকে। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও অভিভাবক যদি পূর্ব অনুমেয় চিন্তাভাবনা দ্বারা বন্দি হয়ে থাকেন তবে তা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর হতে বাধ্য। নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর কথিত বৈষম্যের সম্ভাবনা থাকছে না। যা শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বস্তি নিশ্চিত করবে। এই শিক্ষাক্রমের ফলে শিক্ষানীতি-২০১০ একটি বাস্তবিক রূপ লাভ করবে।

শিখনভিত্তিক শিক্ষা 

বিগত দিনগুলোতে আমরা দেখেছি, বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জটিল সব সমীকরণ ও সূত্র মুখস্থ করতে হয়। মানবিক বা বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষার বাস্তবিক ব্যবহার না জেনেই বিভিন্ন বিষয় মুখস্থ করে যায়। মুখস্থ করে ভালো ফলাফল করার যে প্রবণতা, তা আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী চিন্তাচেতনার প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমে হাতে-কলমে শিক্ষা ও শেখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে মুখস্থ করার প্রয়োজনীয় কমে আসবে। বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক তিনটি বিষয় পড়ানো হয়, কিন্তু এই শিক্ষাক্রমে সব শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞানের একটি বিষয় পড়ানো হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা একটি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করবে যা সনদসর্বস্ব শিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই তা কার্যকর করা হবে।

মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভাগ বিভাজন হওয়ায় একজন শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকে অন্য বিভাগের বিষয়গুলো আর পড়তে পারে না, নতুন এই পাঠ্যক্রমে এখন শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ বেছে নিলেও সঙ্গে অর্থনীতিসহ অন্যান্য বিভাগ-সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ও পড়তে পারবে। একীভূত শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এর ছোট ছোট ইতিবাচক বিষয়গুলো একসঙ্গে বড় সুফল বয়ে আনবে, যা পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আমাদের যে সম্মিলিত প্রয়াস তার গতি এই শিক্ষাক্রমের দ্বারা হবে।

লেখক: অধ্যাপক; বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ; সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) , পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।
/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ