X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষার পার্থক্য বাড়িয়েছে কূটনৈতিক দূরত্ব

মো. আবুসালেহ সেকেন্দার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৫০আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:৫০

বন্ধু বদলানো যায় কিন্তু প্রতিবেশী বদলানো যায় না– কূটনীতির বহুল প্রচলিত কথা। ভৌগোলিকভাবে মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র– এটা এক চরম সত্য। তাই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রয়োজনে বাংলাদেশ তার বন্ধু পরিবর্তন করতে পারবে কিন্তু প্রতিবেশী মিয়ানমারকে পরিবর্তন করতে পারবে না। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতার বিরুদ্ধে উপর্যুক্ত বিষয়টি মাথায় রেখেই বাংলাদেশকে তার রণনীতি ও কূটনীতির কৌশল সাজাতে হবে।

যতক্ষণ পারা যায় ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশের যে সামরিক সক্ষমতা আছে তার মাধ্যমে চাইলে যে কোনও সময় মিয়ানমারকে জবাব দিতে সক্ষম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভুলেও বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের এমন ভাবা ঠিক হবে না। নীতি-নির্ধারকদের উচিত হবে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া। যদিও গতকাল সীমান্তের নিকট মিয়ানমারের ছোড়া গোলা ও মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশের দুই জন নিহত হওয়ায় বাংলাদেশের জনপরিসরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জোরালো হচ্ছে। কিন্তু একজন সামরিক ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে বরাবরের মতো আমার অবস্থান থাকবে কূটনৈতিক পথে মিয়ানমারকে মোকাবিলার পক্ষে। কারণ মিয়ানমার প্রতিবেশী হওয়ায় তার সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে তা স্থায়ী হবার প্রবল সম্ভবনা আছে। বাংলাদেশের পাতে লাভের বদলে তাতে ক্ষতির পরিমাণই বেশি পড়বে।

বাংলাদেশ মিয়ানমার উভয় রাষ্ট্রই এখন বিশ্বরাজনীতির দাবার ঘুঁটি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে খেলার জন্য বহু খেলোয়াড় পর্দার আড়ালে ঘাপটি মেরে আছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালে লাভ হবে তাদের। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চল ভূ-রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই অঞ্চল আগামীদিনে চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট প্রকল্পের হৃদপিণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। একদিকে বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক প্রাকৃতি সম্পদ ও বাণিজ্য; অন্যদিকে টেকনাফ আরাকান অঞ্চল ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়েতে প্রবেশের দক্ষিণ এশিয়ার দরজা হওয়ায় বিশ্ব মোড়লদের নজর এখন ওই অঞ্চলের ওপর পড়েছে।

আগামী দিনে চীনের অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য ও ব্যর্থতা ওই অঞ্চল কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তার ওপর নির্ভর করবে। ফলে একদিকে চীন চাইবে যে কোনও মূল্যে ওই অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে; অন্যদিকে চীনের প্রতিপক্ষ আমেরিকা চাইবে তাদের নিয়ন্ত্রণ ওই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করতে। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ২৭ দেশের সামরিক নেতাদের সাম্প্রতিক ওই অঞ্চল ভ্রমণের মধ্যে বহু ইঙ্গিত আছে।

ওই সফরকে নিছক সামরিক নেতাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন না ভেবে বাংলাদেশ ভিন্নচোখে ভিন্নভাবে ভাবলে প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে পারবে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কাম্য। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধ শতক পার হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। ওই সম্পর্ক গড়ে না ওঠার অন্যতম কারণ ভাষা। বাংলাদেশের প্রতিবেশী প্রায় সবঅঞ্চলের ভাষা না শিখেই বাংলাভাষীদের পক্ষে অল্প অল্প হলেও বোঝা সম্ভব। কিন্তু মিয়ানমারের ভাষা বার্মিজ বাংলার ধারে কাছেও নেই। ফলে ভাষার এই পার্থক্য থাকায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। যদিও বাংলাভাষায় অক্ষর ‘ক খ গ ঘ’ এর সাথে ‘আ’ কার যুক্ত করলেই বার্মিজ অক্ষর পাওয়া যায়। অর্থাৎ বাংলায় যেটা ‘ক’, বার্মিজে সেটা ‘কা’, বাংলায় ‘খ’, বার্মিজে ‘খা’, বাংলায় ‘গ’ বার্মিজে ‘গা’।

স্বভাবিকভাবে এই কয়ের সাথে কায়ের মিল দেখে মনে হতে পারে বাংলা বার্মিজ সমগোত্রীয় ভাষা। কিন্তু বাস্তবিক দিল্লি দূর আস্ত।

বাংলার সঙ্গে বার্মিজের প্রধানত লেখার পদ্ধতিরও ভিন্নতা রয়েছে। বার্মিজ অক্ষর က (কা), ခ (খা), ဂ (গা), ဃ (ঘা) ইত্যাদি একজন বাঙালির পক্ষে কঠিন অধ্যাবসায় ছাড়া শেখা কঠিন। প্রতিবেশী ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দি শেখা যত সহজ বার্মিজ ভাষা শেখা অত সহজ নয়। নিচের উদাহরণে আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হবে:

বাংলায় আমরা ধন্যবাদ বলি। হিন্দিতেও धन्यवाद (ধনইয়বাদ।) কাছাকাছি উচ্চারণ। কেউ যদি বাংলার মতো করে ধন্যবাদ বলে তাও একজন হিন্দিভাষীর পক্ষে বোঝা সম্ভব। বিপরতীক্রমে একজন হিন্দিভাষী যদি ‘ধনইয়বাদ’ বলেন তাহলে তা বাংলাভাষী সহজের বুঝতে পারে। কিন্তু বার্মিজ ভাষায় ধন্যবাদ হচ্ছে ကျေးဇူးတင်ပါတယ် চে...জু...টিং বা..ড্যায়..। বাঙালির পক্ষে বার্মিজের উপযুক্ত ধন্যবাদ বাক্য মনে রাখা সত্যি কঠিন। তার ওপর এই বাক্যে ব্যবহৃত অক্ষর আর উচ্চারণ আলাদা। এই বার্মিজ ধন্যবাদকে বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। ကျေးဇူးတင်ပါတယ် এর প্রথম অক্ষর က (কা)। এই က (কা) অক্ষরটি কা হলেও এখানে উচ্চারিত হয়েছে চ হিসেবে। က কা এর সাথে ইয়াপ্পেইন ျ যুক্ত হওয়ার কারণে কা হয়েছে চা (ကျ) এই চা এর সাথে তাউয়ে তও বা এ কার ေ যুক্ত হয়ে হয়েছে চে হয়েছে ကျေ। এই চে এর সাথে আবার উইসসাপা (း) যুক্ত হয়ে ကျေး চে... হয়েছে। [উইসসাপা (း) চে উচ্চারণটাকে লম্বা করেছে। অনেকটা আরবি আলিফের লম্বা টানের মতো।] এরপর ဇ জা অক্ষরের সাথে হ্নে-ছাউঙে বা  ূ কার যুক্ত হয়ে জা হয়েছে জু ဇူ। এই জু  ဇူ এর সাথে উইসসাপা (း) যুক্ত হয়ে জু (ဇူ) হয়েছে ဇူး জু... (উইসসাপা হচ্ছে লম্বা টানে পড়ার চিহৃ তাই এখানে ဇူး জু... লম্বা টানে পড়তে হবে)। এরপরের অক্ষর တ (টা) তারপরের অক্ষর င (ঙা)। সুতরাং হওয়ার কথা ছিল টাঙা। কিন্তু বিপত্তি বাঁধছে င (ঙা) উপর  ် ত্যাট চিহৃ। င (ঙা) ওপর ত্যাট চিহৃ থাকায় င (ঙা) এখানে ইংয়ের মতো সাউন্ড করছে। တ (টা) এর সাথে এই ইং (င် ) সাউন্ড যুক্ত হয়ে হয়েছে টিং တင်। এই တင် টিং এর পরের অক্ষর হচ্ছে ပ (পা)। এই ပ (পা) এর সাথে যুক্ত হয়েছে মাউচা বা আ কার। সুতরাং উচ্চারণ হবার কথা ပါ পা। কিন্তু বার্মিজ ভাষায় ပါ পা স্বাভাবিক নিয়মে উচ্চারিত হয় না। বার্মিজে ပါ পা সর্বদা বা  উচ্চারিত হয়। এই ပါ (বা) এর পরের অক্ষর হচ্ছে တ (টা)। আর এই တ (টা) এর সাথে যুক্ত হয়েছে ယ (ইয়া)। সুতরাং উচ্চারণ হওয়ার কথা টিয়া। কিন্তু বিপত্তি বাঁধছে ယ  (ইয়া) এর উপর আছে ত্যাট  ်। ယ  (ইয়া) এর উপর  ် ত্যাট থাকলে ইয়া ইয়া উচ্চারিত না হয়ে ্ ‘যায়’ উচ্চারিত হয়। তাহলে উচ্চারণ হবার কথা ট্যায়। কিন্তু না এবারও স্বাভাবিক নিয়মে উচ্চারণ হবে না। တ (টা) এর যুক্ত ယ (ইয়া) এর উপর ত্যাট ( )် থাকলে একত্রে တယ် ট্যায় উচ্চারিত না হয়ে တယ် ড্যায় হয়। এটাও ပါ পা এর পা উচ্চারিত না হয়ে বা উচ্চারিত হবার মতো ব্যতিক্রম।

বার্মিজ এক ধন্যবাদ শব্দটি যদি কেউ বুঝে মনে রাখতে চায় তাহলে তাকে উপর্যুক্ত সব উচ্চারণ নিয়ম মনে রাখতে হবে। একজন বাংলাভাষীর পক্ষে এত কিছু মনে রেখে একটি ভাষা শেখা সত্যি কঠিন। তার ওপর যদি ওই ভাষার অর্থমূল্য থাকতো তাহলে না হয় কথা ছিল। কিন্তু চীনা বা জাপানি বা কোরিয়ান ভাষা শেখার ফলে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি বা চাকরির সুযোগ থাকলেও বার্মিজ শেখার ফলে ওই সুযোগ নেই বললেই চলে। ফলে বাংলাদেশের তরুণরা কখনও বার্মিজ শেখার প্রতি আগ্রহী হয়নি। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও বার্মিজ ভাষা না জানার কারণে বাংলাদেশের তরুণরা বার্মার সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব কমই জানে। বিপরীতক্রমে বার্মার তরুণদের কাছেও বাংলাভাষা শেখা কোনও অর্থমূল্য বহন করে না। ফলে তারাও বাংলাভাষা শেখা ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্কে জানার প্রতি আগ্রহী হয়নি।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কোনও সরকারই উভয় অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর রাষ্ট্রীয় কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ভারত, চীন, আমেরিকা, কোরিয়া, জাপানসহ নানা দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নানা একাডেমিক সাংস্কৃতিক এক্সচেঞ্জ কর্মসূচি থাকলেও মিয়ানমারের সঙ্গে নেই বললেই চলে। আর ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে না জানার কারণে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে কোনও প্রতিবেশীসুলভ আত্মিক বন্ধন গড়ে ওঠেনি। স্বাভাবিক পর্যটক হিসেবেও যাতায়াত খুবই সীমিত পর্যায়ে আছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও উভয় অঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তাই গড়ে ওঠেনি।

বাংলাদেশের উচিত ওই অচলায়তন ভেঙে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের সামরিক বাহিনী ও সামরিক বাহিনীকে পরামর্শ দেওয়া শিক্ষিত সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। মিয়ানমারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বাংলাদেশের অর্থায়নে বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশেও মিয়ানমার নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। তাদের ভাষা চর্চা করা। এর ফলে উভয় দেশের একাডেমিশিয়ান ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে যে পারস্পারিক ভাব বিনিময় হবে, ভাষা ও সংস্কৃতির আদানপ্রদান হবে তা আগামীতে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজে লাগবে। মিয়ানমারের ভেতরে বাংলাদেশের প্রতি সহানূভূতিশীল একটি পক্ষ তৈরি হবে যারা প্রয়োজনে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল ধারণা ভাঙতে কাণ্ডারির ভূমিকা রাখবে।

আশির দশকে প্রায়শই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা দেখা গেলেও এখন তা শূন্যের কোটায় নেমেছে। এর প্রধান কারণ বাংলাদেশের সাথে ভারতের সাংস্কৃতিক, একাডেমিক ও সামরিক বিনিময় ঘটছে নিয়মিত। ফলে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে সর্বক্ষেত্রে হৃদতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। উভয় রাষ্ট্রের জনগণ ও কর্তাব্যক্তিরা একে অপর সম্পর্কে জানা বোঝার সুযোগ পাওয়ায় বলপ্রয়োগের বদলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পথ বেছে নিচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এই পথ একদিনে তৈরি হয়নি। বাংলাদেশের উচিত হবে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়ণের গতিপথ পর্যালোচনা করে মিয়ানমারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বন্ধুত্বস্থাপনের একটি রোডম্যাপ প্রণয়ণ করা।

এতদিন বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের যত সম্পর্ক গড়িয়েছে তার প্রধান ইস্যু ছিল রোহিঙ্গা। কিন্তু আগামীদিনের ভূ-রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের মিয়ানমারকে আরও বহু ইস্যুতে মোকাবিলা করতে হবে। তাই বাংলাদেশের পক্ষে মিয়ানমারকে কোনোভাবেই পাশ কটিয়ে চলা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগের বদলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের হাত প্রসারিত করে বাংলাদেশ মিয়ানমারকে অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় রাষ্ট্রই লাভবান হবে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় রাষ্ট্রই বৃহৎ শক্তির ক্রীড়ানকে পরিণত হওয়া থেকে পরিত্রাণ পাবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সিলেটে ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিলেটে ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার
ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতির আদেশ প্রত্যাহার
সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নান সিদ্দিকীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নান সিদ্দিকীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ