X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

আগুনে অর্থনীতিরই ক্ষতি

প্রণব মজুমদার
৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৩৯আপডেট : ১৭ মে ২০২৩, ২০:৪১

আগুন নিয়ে খেলা চলছে। রাজনীতিতে এ খেলা নতুন নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ খেলাটা দেশের অসহায় জনগণ দেখে আসছে অনেক দিন। তাতে ফায়দা লুটে প্রভাবশালীরা। আর কপাল পুড়ে গরিব মানুষের, খেটে খাওয়া শ্রমজীবীর। সরকার ও বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, দেশে আগুন নিয়ে খেলার রাজনীতি চলছে। একজন আরেকজনকে দুষছেন। এতে কার লাভ? সাময়িকভাবে নেতিবাচক রাজনীতির জয় হয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এ ক্ষতি জনগণের ওপরই পড়ে। তাহলে সব জেনে-বুঝে আমরা কার ক্ষতি করছি ভেবে দেখেছি? আগুনে অর্থনীতিরই ক্ষতি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ‘বার্ষিক পরিসংখ্যান ডাটা-২০২২’ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে মোট ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে মোট আর্থিক ক্ষতি হয় ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৯ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ২৩৩। মোট আর্থিক ক্ষতি ২৮৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ২০২০ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মোট ২৪ হাজার ৭৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১৮৪ জন নিহত হয়। আহতের সংখ্যা ৫৬০।

এ তো গেলো অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি ও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ। এবার আমরা দেখি সাধারণত কী কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের বার্ষিক পরিসংখ্যান ডাটা-২০২২ অনুসারে, সে বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ কারণে মোট ৯ হাজার ২৭৫টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। শতকরা হার ৩৮ দশমিক ৪৮। এতে মোট ক্ষতি হয় ১৩৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯৭ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো থেকে। মোট অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৭৮। শতকরা হার ১৬ দশমিক শূন্য ৮। এ কারণে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড থেকে এক বছরে মোট আর্থিক ক্ষতি হয় ৩৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৪ টাকা। অগ্নিকাণ্ডের তৃতীয় প্রধান কারণ হলো চুলা (ইলেকট্রিক, গ্যাস ও মাটির চুলা ইত্যাদি)। এ কারণে মোট ৩ হাজার ৩৬৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শতকরা হার ১৩ দশমিক ৯৮। এ কারণে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৮৩ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৮২৯ টাকা। চতুর্থ সর্বোচ্চ  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে গ্যাস সরবরাহ লাইনের আগুনের কারণে। এ কারণে মোট ৭৯৫টি  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শতকরা ৩ দশমিক ৩০। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৯০৩ টাকা।  অগ্নিকাণ্ডের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল ছোটদের আগুন নিয়ে খেলা। এ কারণে এক বছরে মোট ৬০২টি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। শতকরা হার ২ দশমিক ৫০। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকা। এছাড়া অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে খোলা বাতি ব্যবহার (৩২৭টি), উত্তপ্ত ছাই বা জ্বালানি (৪৮৮টি), যন্ত্রাংশের ঘর্ষণজনিত (১৬৭টি), শত্রুতামূলক ও উচ্ছৃঙ্খল জনতার মাধ্যমে অগ্নিসংযোগ (১৫৭টি), বজ্রপাত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ (৪৮টি), বাজি পোড়ানো (৯৪টি), মাত্রাতিরিক্ত তাপ (১৬৫টি), মেশিনের মিসফায়ার (১৬০টি), স্বতঃস্ফূর্ত প্রজ্বলন (২৯টি) ইত্যাদি।

২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি আগুন লেগেছে বাসাবাড়ি বা আবাসিক ভবনে। অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৫৮। আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৫ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে রান্নাঘরে। সংখ্যা ২ হাজার ২৮৭। আর্থিক ক্ষতি ২০ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৬২৬ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বিভিন্ন দোকান ও টংয়ে। অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ২ হাজার ১১৪। আর্থিক ক্ষতি ২৭ কোটি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ২৫৫ টাকা। ২০২২ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়) মোট ১৫৫টি  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আর্থিক ক্ষতি হয় ২ কোটি ৪৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে (মসজিদ-মন্দির-গির্জা ইত্যাদি) ১২১টি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। আর্থিক ক্ষতি হয় ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি।
উল্লিখিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাণহানি হচ্ছে অসংখ্য মানুষের।

তাই অগ্নিকাণ্ডের হার ক্রমাগত কমিয়ে আনা ছাড়া গত্যন্তর নেই। বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নগর এলাকায়। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটে পুরান ঢাকা এলাকায়। এ দেশের নগরগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনগুলোয় যথেষ্ট অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই। আবার অনেক এলাকায়, বিশেষত পুরান ঢাকায় রাস্তাগুলো অনেক সরু। ভবনগুলোও একটি অন্যটির গাঘেঁষা। খোলা জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। এক ভবন থেকে সহজেই অন্য ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তাগুলো সংকীর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস দ্রুত পৌঁছাতে পারে না। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও ফায়ারফাইটার আছে কিনা সেটিও একটি বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১১ সালের এক প্রতিবেদনে অনুসারে, ঢাকা শহরে প্রতি ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭০ অধিবাসীর জন্য মাত্র একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। অথচ দিল্লিতে প্রতি ৩৩ হাজার ৬০০ অধিবাসীর জন্য একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। ব্যাংককে প্রতি ১৬ হাজার ২৯০ অধিবাসীর জন্য একটি ও ওকলাহামো সিটিতে প্রতি ১৪ হাজার ৯২৫ জন অধিবাসীর জন্য একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। আবার বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক ভবনেই কিংবা আবাসিক ভবনের পাশেই স্থাপিত হয়েছে রাসায়নিক কারখানা। এ থেকেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। নিমতলী (২০১০ সাল) ও চকবাজারের (২০১৯ সাল) অগ্নিকাণ্ড তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ঈদের ঠিক কয়েক দিন আগে রাজধানীর বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে আগুনের ঘটনা কি নিছকই দুর্ঘটনা? রাজধানীতে একের পর এক আগুন কোনও দুর্ঘটনা নাকি অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা, এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটা মার্কেটকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে তাদের মার্কেটের যে অবস্থা সেখানে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা হতে পারে, কিন্তু পর পর চারটা ঘটনাকে যদি আমরা দেখি, তাহলে এটা কি আসলেই কোনও দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে কোনও কারসাজি আছে? ’ নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকও নাশকতার সন্দেহ প্রকাশ করে তা তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অনেকের মনে এই প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে অগ্নিকাণ্ডের পর নাশকতার প্রশ্ন আসছে কেন? কেন অন্তর্ঘাত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কেনই বা এমন সন্দেহ করা হচ্ছে যে এটা ভিন্নরূপে আগুন সন্ত্রাস? হ্যাঁ, স্বীকার করা যেতেই পারে যে বাংলাদেশে হয়তো বিভিন্ন সেবা সংস্থা, প্রশাসন, উদ্ধারকারী সংস্থা ও সেবাদানকারী সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় নেই। নেই অত্যাধুনিক ডিটেক্টর সরঞ্জামাদি। অধিক ক্ষমতাবিশিষ্ট ইকুইপমেন্টস, মেশিনারিজ ও আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিশেষায়িত উদ্ধারকারী দলও হয়তো নেই। দুর্ঘটনাকেন্দ্রিক এলাকার ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে সতর্কভাবে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাও হয়তো অপ্রতুল। নেই পোর্টেবল অগ্নিনির্বাপক। ওয়াটার হাইড্রেন্টের ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। অগ্নিপ্রতিরোধক বিশেষায়িত দরজার ব্যবস্থা নেই। নেই জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা। স্বয়ংক্রিয় ফায়ার অ্যালার্ম নেই। কিন্তু তারপরও সন্দেহটা যায় না। কারণ, একটি দল ঘোষণা দিয়ে রেখেছে সমমনাদের নিয়ে ঈদের পর তারা আন্দোলন করবে। তাদের আন্দোলনের স্বরূপ তো আমাদের জানা আছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিরোধীদের সহিংস আন্দোলনের বিষয়টি আমরা দেখেছি। একটানা অগ্নিসন্ত্রাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাড়ি, ২৯ট ট্রেন, প্রায় আট-নয়টা লঞ্চ, ৫০০ স্কুল, ৭০টা সরকারি অফিস, ছয়টা ভূমি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছিল ধিকৃত সে দল ও তাদের সহযোগীরা। তিন হাজার ২০০ মানুষকে সে সময় তারা অগ্নিদগ্ধ করেছিল। পাঁচ শতাধিক মানুষ পুড়ে মারা যায়।

মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ঈদের আগে ৯ কোটি টাকার ঈদ উপহার দিয়েছেন। শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমজানে ব্যবসায়ীদের কষ্ট ও কান্না সহ্য করা যায় না। আমি আগেই বলেছি, আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করবো। আমরা ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মূল্যায়ন করবো।’

দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ শর্ত পূরণের জন্য বিদ্যুতের মূল্য আবারও বাড়ানো হয়েছে। ভোক্তা মূল্য বেশি দিতে প্রস্তুত যদি সে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত সেবা পায়। অবৈধ সংযোগ কীভাবে দেওয়া হয়, কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেন? ত্রুটিযুক্ত সংযোগের কারণে দুর্ঘটনার দায় কার? নগরে গ্যাসের সংযোগে যেমন ত্রুটি রয়েছে তেমনি সরবরাহ বা সঞ্চালনে ঘাটতি বিদ্যমান। গ্যাসে চাপ কমের কারণে রান্নাবাড়ায় ভোক্তা কষ্ট পাবেন, অপরদিকে গ্যাসের মূল্য বাড়বে তা তো অন্যায়।

নগরীতে রাজউক বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনহীন দালান তৈরি হয় কীভাবে? মহানগরী ঢাকায় খোলা জায়গা থাকছে না কেন? পুরোপুরি বিল্ডিং কোড কেন মানা হচ্ছে না? নতুন নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক নগরে জলাধার থাকছে না কেন? কেন নগর পিতারা দেখছেন না এসব? এসব সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে।
সতর্ক থাকতে হবে আমাদের সবাইকে। সুগভীর ষড়যন্ত্র ও নাশকতার গন্ধ ফিরছে নাকে। পুরোপুরি আশ্বস্ত হওয়ার কারণ দেখছি না। দেশের মানুষের আবেগ থাকবে। দেশের চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি এই সুযোগটা নিতে পারে। কিছু দিন ধরে রাজধানী ঢাকায় যেভাবে আগুন লাগছে, তা নিছকই দুর্ঘটনা– এভাবে দেখার সুযোগ কম।

সম্পদে আগুন লাগে বা লাগানো হয় সেটা নাশকতা বা দুর্ঘটনা যাই হোক জনগণের ক্ষতি। সরকার বা বিরোধী দলে লোক তো জনগণই। যার সম্পদ ও সম্বল পুড়ে ছাই হয়ে গেলো তার আহাজারি, গগনবিদারী আর্তনাদ শুনতে হয় সব পক্ষকেই। কে করে দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ? সরকার তো জনগণের কর নিয়ে পরিচালিত হয়। তাহলে ক্ষতি তো আমজনতারই। আগে-পরে ক্ষতি তো পূরণ আমাদেরই করতে হয়!

আগুন নিয়ে খেলার মতো অপরাজনীতি সবার জন্যই অমঙ্গলজনক। সুস্থধারার রাজনীতি ফিরে আসুক তা তো সবাই প্রত্যাশা করে। ইতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের কল্যাণ হোক। অগ্নিসন্ত্রাস নয়, আর আগুনে ক্ষতি নয়, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালিত হোক, সে আশাও জনগণেরই।

লেখক: কথাসাহিত্যিক, কবি ও অর্থকাগজ সম্পাদক

[email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কৃষকের মুখে হাসি কপালে চিন্তার ভাঁজ
কৃষকের মুখে হাসি কপালে চিন্তার ভাঁজ
টিভিতে আজকের খেলা (৫ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৫ মে, ২০২৪)
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক থ্রি-হুইলার ভাংচুর
বরিশালে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক থ্রি-হুইলার ভাংচুর
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ