ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতরে হামলা চালিয়ে ইউক্রেন। শুক্রবার রাশিয়া বলেছে, হামলার পর এক সেনা নিখোঁজ রয়েছে। সর্বশেষ হামলার বিষয়ে কিয়েভ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি শিপইয়ার্ড থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামর পর একজন সেনা সদস্য নিখোঁজ রয়েছে। প্রথমে মন্ত্রণালয় বলেছিল এক সেনা নিহত হয়েছে। পরে নিখোঁজের কথা জানানো হয়।
স্থানীয় রুশপন্থি গভর্নর বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছেন, আরেকটি হামলা হতে পারে। লোকজনকে ঘরের ভেতর থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
চলমান যুদ্ধে রুশ নৌবহরে সবচেয়ে বড় ইউক্রেনীয় আঘাতের মাত্র দশ দিন পর এই হামলা চালানো হলো।
হামলার পর সেভাস্তোপোল শহরে বিমান হামলা সতর্ক সংকেত বেজে ওঠে। গভর্নর মিখাই রাজভোজায়েভ বলেছেন, সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, সবার মনোযোগ আকর্ষণ করছি! আরেকটি হামলা হতে পারে। দয়া করে কেউ শহরের মূল কেন্দ্রে যাবেন না। ভবন থেকে বের হবেন না।
অপর এক পোস্টে তিনি বলেছেন, দমকল কর্মীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।
গত সপ্তাহে ইউক্রেন ক্রিমিয়ায় রাশিয়া নৌবহর ও বন্দরের অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে একটি সাবমেরিন এবং একটি যুদ্ধজাহাজের ক্ষতিসাধন করেছিল।
এদিকে, ক্রিমিয়ার রুশপন্থি গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ টেলিগ্রামে বলেছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। তবে কতটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে তা উল্লেখ করেননি তিনি।
২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এখানে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। মস্কোর এই দখলকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রুশ সেনাদের দখল থেকে ভূখণ্ডটি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।