X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২

একের পর এক হত্যাকাণ্ড: কোন নীল নকশার বাস্তবায়ন?

বিভুরঞ্জন সরকার
২০ মে ২০১৬, ১৪:২৭আপডেট : ২০ মে ২০১৬, ১৫:১৪

বিভুরঞ্জন সরকার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ১৪ মে সকালে বাইশরি বৌদ্ধবিহারের ভেতর তার রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। আগের রাতের কোনও এক সময় তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কারা এই নিরীহ বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে সেটা জানা যায়নি। তার স্বজনরা দাবি করেছেন- তার সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্বজনরা জড়িত থাকতে পারে। কারও কারও ধারণা এর পেছনে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। আসলে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে রহস্য ভেদ করা যাবে কিনা তা এখনই বলা মুশকিল।
গত ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নাজিমউদ্দিন সামাদকে গলা কেটে হত্যার পর প্রথমে এমন ধারণা ছড়ানো হয়েছিল যে- তিনি হয়তো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কিছু লিখেছিলেন বলেই তাকে টার্গেট করেছিল স্বঘোষিত 'ধর্মরক্ষক' সন্ত্রাসীরা। কিন্তু পরে দেখা যায় নাজিম ধর্ম নিয়ে কখনও কিছু লেখেননি। তিনি ব্লগারও ছিলেন না। ফেসবুকে সত্রিুয় ছিলেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু মতামত তুলে ধরতেন। তাতে ধর্ম অবমাননার কিছু ছিল না। নাজিমউদ্দিন গণজাগরণ মঞ্চের একজন কর্মী ছিলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক–গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। বুকে লালন করতেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
নাজিমউদ্দিনের হত্যার আগে ও পরে একই কায়দায় আরও কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তার কোনও কোনওটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। আবার কোনওটি গণমাধ্যমে প্রচার হলেও সামাজিক প্রতিক্রিয়া তেমন হয়নি। নিহত ব্যক্তির শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থানের কারণেই হয়তো প্রতিক্রিয়ায় হেরফের ঘটেছে। গত বছরের শেষ দিকে দিনাজপুরে একজন খ্রিস্টান মিশনারি এবং ঈশ্বরদীতে এক খ্রিস্টান ধর্মযাজককে হত্যার চেষ্টা করা হলেও তারা প্রাণে বেঁচে যান। এ বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ের দেবিগঞ্জে মঠের ভেতর এক হিন্দু পুরোহিতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২২ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে পরমানন্দ রায় নামে এক সাধুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দেবিগঞ্জের পুরোহিত এবং টুঙ্গিপাড়ার সাধু কেউই কারও কোনও ক্ষতি করেননি। অন্য ধর্ম নিয়ে কোনও বিরুপ মন্তব্যও করেননি। কারও সঙ্গে জমিজমা নিয়ে কিংবা অন্য কোনও কারণে তাদের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল বলেও শোনা যায়নি। অথচ তাদের হত্যা করা হলো। ঘাতক সন্দেহে কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। দেবিগঞ্জের পুরোহিত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে বয়ানও দিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা। টুঙ্গিপাড়ায় সাধু হত্যার অভিযোগে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে কোনও স্বীকারোক্তি দিয়েছে কিনা জানি না। তবে আমাকে একজন বেশ জোর দিয়েই বলেছেন- এদের কোনও শাস্তি হবে না। হিন্দু মারার জন্য কোনও মুসলমানের শাস্তি হলে সামাজিক প্রতিক্রিয়া ভালো হবে না মনে করেই নাকি এসব মামলা এক সময় হিমঘরে চলে যাবে!
পরমানন্দ সাধুকে হত্যার পর দিন ২৩ এপ্রিল হত্যা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নিজের বাসা থেকে সামান্য দূরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে ঘাতকরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পর ১৪ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশপ্রধান রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন- খুব দ্রুত শিক্ষক হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। শিক্ষক হত্যার রহস্য নাকি উন্মোচনের কাছাকাছি। তবে এসব আশ্বাসবাণী সংশ্লিষ্টদের কতটুকু আশ্বস্ত করতে পারছে সে প্রশ্ন উঠছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গত কয়েক বছরে চারজন শিক্ষককে হত্যা করা হলো। কিন্তু কোনও হত্যাকাণ্ডেরই রহস্যভেদ হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।

অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর মতো একজন শিক্ষার জন্য নিবেদিত মানুষ, যিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি কিছু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছাড়া জীবনে আর কিছুই করেননি, এমনকি বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক রাজনীতির মতো অতি আকর্ষণীয় একটি বিষয়ও তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি, অর্থ সম্পদের লোভ যাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে প্রলুব্ধ করেনি- এমন একজন নির্লোভ, নির্মোহ মানুষকে হত্যার টার্গেট করলো কারা? তিনি নিজে নামাজ রোজা করতেন, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে কখনোই আঘাত করেননি। তারপরেও তাকেই কেন হত্যার শিকার হতে হলো? কোনও দুঃখই চিরস্থায়ী নয়, কোনও বেদনাই কেউ সারাজীবন বয়ে বেড়ায় না। অধ্যাপক সিদ্দিকীর জন্য এখন তার সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা যে বেদনা বোধ করছেন তা কিছু দিনের মধ্যেই কেটে যাবে। শুধু তার স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনেরা তার কথা স্বরণ করবেন, চোখের জল ফেলবেন আরও অনেক, অনেক দিন।

অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পর একই দিনে ঢাকায় খুন হয়েছেন দুই জন। ২৫ এপ্রিল বিকেলে কলাবাগানে বাসায় ঢুকে ঘরের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে। জুলহাজ মার্কিন সাহায্য সংস্থায় চাকরি করতেন। তনয় একজন নাট্যকর্মী। তারা কেউই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেননি। ব্লগে বা অন্য কোথাও ধর্মকে অসম্মান করে কিছু লেখেননি। তাহলে তাদের অপরাধ কী? জুলহাজ মান্নান সমকামীদের নিয়ে ‘রূপবান’ নামে একটি ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন। অর্থাৎ তিনি সমকামিতার পক্ষে ছিলেন বলে ধারণা করা যায়। ইসলামে সমকামিতা জঘন্য অপরাধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের দেশে সমকামী আছে। এই সমকামীদের হত্যা করার কথা কোনও ধর্ম কি বলেছে? জুলহাজ ও তনয়কে যারা হত্যা করলো তারা কি ধর্মরক্ষক? তারা নিজেরা কি ধর্মীয় বিধান পালন করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? জুলহাজ ও তনয়কে যখন হত্যা করা হয় তখন নামাজের সময় ছিল বলেই শুনেছি। জুলহাজ যদি কোনও অপরাধ করে থাকেন এবং তার শাস্তি যদি হয় মৃত্যুদণ্ড তাহলে সেটা ঠিক করার দায়িত্ব কার? দেশের প্রচলিত আইন –আদালত উপেক্ষা করে তাকে গলাকেটে হত্যা করার সিদ্ধান্ত কে নিলো? কে তাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে?

জুলহাজ ও তনয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশে না যতটা, তার চেয়ে বেশি হৈচৈ হচ্ছে দেশের বাইরে, ইউরোপে, আমেরিকায়। জুলহাজ যেহেতু একটি মার্কিন সংস্থায় চাকরি করতেন সেহেতু তাকে নিয়ে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া অনেক জোরালো। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ফোন করে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তারপর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে গেছেন। কিন্তু এতসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার নিট রেজাল্ট কী? জুলহাজ–তনয়ের ঘাতকরা কি ধরা পড়বে? তাদের কি শাস্তি হবে? আমাকে একজন অনেকটা নিশ্চিত করেই বলেছেন- না, কারও কিছু হবে না। জুলহাজ ও তনয়কে যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে কষ্টবোধ জাগতে পারে। কারণ মুখে না বললেও আমাদের সমাজে অনেকেই এটা মনে করেন সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জুলহাজ ঠিক কাজ করেননি। তাই তাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ধরে শাস্তি দেওয়াটা অনেকের মনে বিরূপতা তৈরি করতে পারে। ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে কোনওভাবেই আঘাত দিতে চায় না সরকার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে সরকার কঠোর মনোভাব দেখালেও গুপ্তঘাতকদের ব্যাপারে কিছুটা নমনীয়তাই যেন দেখাচ্ছে। এই ধারণা ভুল প্রমাণ করার জন্য সরকারকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

জুলহাজ–তনয়ের পর ৩০ এপ্রিল হত্যা করা হয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিখিল জোয়াদ্দার নামে এক দর্জিকে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঘাতকরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে নিরাপদে পালিয়ে গেছে। নিখিল একজন খুব সাধারণ মানুষ। পেশা যেহেতু দর্জির, সেহেতু তার খুব উচ্চশিক্ষা ছিল না বলেই ধরে নেওয়া যায়। এ রকম একজন খেটে খাওয়া মানুষকে কারা এবং কেন হত্যা করলো? শোনা যাচ্ছে কয়েক বছর আগে ধর্ম নিয়ে নিখিল নাকি কটূক্তি করেছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছিল, তার বাড়ি আক্রান্ত হয়েছিল। তাকে কয়েক মাস জেলও খাটতে হয়েছে। নিখিলের অপরাধের এক ধরনের শাস্তি তাকে পেতে হয়েছে। এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে পরিবার নিয়ে তিনি শান্তিতেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু ঘটনার এতদিন পর আবার কার বা কাদের মধ্যে ধর্মানুরাগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো, যে জন্য নিখিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো? একজন স্বপ্ল শিক্ষিত দর্জি কি এমন কটূক্তি করতে পারে যা সহ্য করার ক্ষমতা কথিত 'ধর্ম গুরুদে'র নেই? ধর্ম বিশ্বাস কি এতটাই ভঙ্গুর যে- একজন পগন্ডের মুখের কথায় তা ভেঙে খান খান হয়ে যাওয়ার মতো? হায়, এ কি অসহিষ্ণুতা, এ কি অস্থিরতা! এভাবে খুন-খারাবি করেই কি মানুষকে ধর্মানুরাগী করে তোলা যাবে?

গত ৭ মে রাজশাহীর তানোরে শহীদুল্লাহ নামে একজন পীরকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল আমবাগানে। তার কী অপরাধ? তিনি কি ধর্ম সম্পর্কে কোনও কটূক্তি করেছিলেন? সে তো হতেই পারে না। তাহলে তাকে হত্যা করা হলো ধর্মের কোন পবিত্রতা রক্ষার জন্য? ধর্ম নিয়ে যারা মাতামাতি করেন, যারা বিভিন্ন ছুতা-নাতায় শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সমাবেশ ডাকেন তাদের কাউকেই শহীদুল্লাহ হত্যার প্রতিবাদে টু শব্দটি করতে শোনা গেলো না। এই নীরবতার কারণ কী? হেফাজতে ইসলাম নামে সংগঠনটিও এ নিয়ে মুখ খুললো না। তাহলে পীর শহীদুল্লাহ কি ইসলামের কোনও বড় ক্ষতি করেছিলেন? ইসলামের নব্য হেফাজতকারীদের বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। না হলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবে।

এই ধারায় সর্বশেষ খুনের ঘটনা ঘটলো বান্দরবানে। বৌদ্ধভিক্ষু মং সু ইউ চাকমাকে হত্যা করে কার কী লাভ হলো সেটা আমাদের জানা নেই। তার স্বজনেরা দাবি করেছেন, ধ্যান, প্রার্থনা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বাইরে কোনও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এই বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাকে যে হত্যা করাই ছিল ঘাতকদের উদ্দেশ্য সেটাও স্পষ্ট হয়েছে বিহার থেকে কোনও কিছু খোয়া না যাওয়ায়। নগদ কিছু টাকাও সেখানে ছিল। ঘাতকরা তা ছুয়ে দেখেনি। তাহলে কোন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এই ধর্মপ্রাণ মানুষটিকে হত্যা করা হলো? তিনি কি ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছিলেন না বলেই?

আগের কোনও হত্যাকাণ্ডের যেমন কোনও কূল-কিনারা হয়নি, রহস্য ভেদ হয়নি, বৌদ্ধ ভিক্ষুর ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হবে। এভাবে ছাত্র, সাধু, শিক্ষক, পীর, সমকামী অধিকার কর্মী, দর্জি, বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার ঘটনা কী প্রমাণ করছে? এসব কি বিছিন্ন ঘটনা? নাকি এর একটির সঙ্গে আর একটির মিল রয়েছে? আমাদের এই দেশটিকে এক ধর্ম মতের মানুষের রক্ষণশীল একটি ভূখণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠার নীল নকশা হাতে নিয়েই কি এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটানো হচ্ছে না? 




লেখক:  সাংবাদিক, কলামিস্ট

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
সেই ব্যাংক কর্মকর্তার খোঁজ মিলেছে
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বরগুনায় আবারও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ১০২
বরগুনায় আবারও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ১০২
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সর্বশেষসর্বাধিক