X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা

ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন
২৪ মে ২০২১, ১৭:৪৩আপডেট : ২৪ মে ২০২১, ১৭:৪৩

ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ মূলত দুটি– পাঠক্রম পরিচালনা ও গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠক্রম পরিচালনার বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও গবেষণার বিষয়টি এখন পর্যন্ত সেভাবে মূল্যায়িত হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার তিনটি প্রধান অনুষঙ্গ হলো, গবেষণা-অন্তপ্রাণ শিক্ষক, গবেষণার জন্য যথাযথ অবকাঠমো ও উপকরণ নিশ্চিত করা এবং পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পর্যাপ্ত ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনার্স অথবা মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্নকারীদেরকেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর অবশ্য কারণও আছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেধাতালিকার প্রথম দিকের শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত আমরা এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরেটের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে পারিনি। এর ফলে এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে পাস করার পরপরই যদি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান না করা হয়, তাহলে তারা অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে পড়বে অথবা দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যাবে। এদের অধিকাংশেরই দেশে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমে আসবে। এ বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি প্রণীত অভিন্ন শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় প্রভাষক নিয়োগের নীতিমালা কিছুটা পরিবর্তনের দাবি তুলেছে।

এসব তরুণ শিক্ষকদের গবেষণায় আগ্রহের কোনও কমতি না থাকলেও উচ্চতর ডিগ্রি না থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তারা যথাযথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হন না। তাছাড়া তাদের প্রমোশন এবং অন্যান্য ব্যাপারের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কারণে তারা সবসময়ই উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। এ কারণেও তাদের পক্ষে গবেষণায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করা সম্ভব হয় না।

অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি পর্যাপ্ত ফেলোশিপসহ পিএইচডি এবং পোস্টডক্টরেট করার সুযোগ থাকতো তাহলে এরকম সমস্যা তৈরি হতো না। তখন মেধাবী শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসব প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারতো এবং তাদের কোনও আর্থিক চিন্তাও থাকতো না। তাছাড়া তারা জানতো যে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পরপরই তারা কোনও না কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে পারবেন। যতদিন আমরা এই সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত শুধু পিএইচডি ধারীদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি মোটেও সহজ হবে না। অনেক ক্ষেত্রে তা বাস্তবসম্মত নয় বলেই আমি মনে করি। যেসব দেশে পিএইচডি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় না তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশেষত উন্নত দেশগুলোতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দেশে পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করে নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ার মূল কারণ গবেষকদের যথাযথ মূল্যায়নের অভাব। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন মূল্যায়িত হওয়া না হওয়ার বিষয়টি চিন্তা না করে তাদের গবেষণায় মনোযোগী থাকা উচিত। বিষয়টি অত সহজভাবে চিন্তা করলে হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন সে ব্যাপারে সবার একটু খোঁজখবর রাখা দরকার। আমি অন্য কোনও পেশার সঙ্গে তুলনা করছি না বা তারা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, সে বিষয়টিও এখানে আলোচনায় আনতে চাচ্ছি না। যদিও বাস্তবতা হলো দেশের বাইরে কোনও কনফারেন্স, সেমিনার বা অন্য কোনও প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে গেলে সরকার নির্ধারিত নীতিমালার আলোকে সরকারের কর্মকর্তাগণ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, কোনও শিক্ষক বিদেশে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করতে গেলে বা কোনোরকম সেমিনার সিম্পোজিয়াম অংশগ্রহণ বাবদ সে ধরনের কোনও সুযোগ পাচ্ছেন বলে আমার জানা নেই। এমনকি একটি ভালো প্রকাশনার জন্য যে প্রকাশনা খরচ, অনেক ক্ষেত্রেই তা তাঁর নিজের পকেট থেকে দিতে হয়। আপনারাই বলুন এভাবে কি শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ বা উৎসাহিত করা যায়? সুখের বিষয় শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের অনেক শিক্ষক তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং অনেক ক্ষেত্রেই তারা সফলভাবে গবেষণা সম্পন্ন করছেন।

আমরা তো বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নানারকম সমালোচনা করছি। সমালোচনার করুন সমস্যা নেই, কিন্তু একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, একটি প্রকাশনার জন্য কিংবা একটি কনফারেন্সে প্রবন্ধ উপস্থাপন করার জন্য একজন শিক্ষক কী পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন সে বিষয়টির দিকেও একটু নজর দিন। প্রকাশনা এবং প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা গেলে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষকই গবেষণা কার্যক্রমে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন বলে আমি মনে করি। কারণ, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের অনেকেই বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার মাধ্যমে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদান করেছেন। এখনই সময় আমাদের শিক্ষকদের গবেষণার কাজে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা। সাথে সাথে প্রয়োজন তাদের গবেষণা কার্যক্রমের যথাযথ মনিটরিং এবং জবাবদিহিতা। শুধু জবাবদিহিতা চাইবো কিন্তু কোনও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা পাবে না, তা তো যুক্তি সঙ্গত নয়।

মানসম্পন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং গবেষণা সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। আমাদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটোরই অভাব রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হেকেপ প্রকল্পের অধীনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশকিছু ল্যাব স্থাপিত হলেও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে এসকল ল্যাবসমূহের অনেকগুলোরই যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি। আমরা একটু খোঁজখবর নিলেই বিষয়টি জানতে পারবো। যে কোনও অবকাঠামো নির্মাণ বলুন বা ল্যাব স্থাপন করার কথাই বলুন, আমাদের নীতি-নির্ধারকগণের উচিত কীভাবে আমরা এগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবো,সে ব্যাপারে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং শুধুমাত্র পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নযোগ্য মনে হলেই এসব অবকাঠামো বা ল্যাব স্থাপনের দিকে অগ্রসর হওয়া। তা না হলে আমরা অনেক অর্থ অপচয় করে অবকাঠামো নির্মাণ করব কিন্তু এগুলোর যথাযথ ব্যবহার আমরা কখনোই নিশ্চিত করতে পারবো না। আমাদের মতো একটা উন্নয়নশীল দেশে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা অতীব জরুরি।

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আরেকটি বাধা হলো গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছোটখাট উপকরণ ক্রয় করার ক্ষেত্রেও নানারকম জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতা। একারণেও অনেক শিক্ষক গবেষণা বিমুখ হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয় মূলত স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামকে ভিত্তি করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখন পর্যন্ত উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। এর পেছনে মূল কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেলোশিপের ব্যবস্থা না থাকা। যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেলোশিপের ব্যবস্থা থাকত তাহলে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য হন্যে হয়ে চেষ্টা না করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে বেশি আগ্রহী হতো। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। যতদিন পর্যন্ত আমাদের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির ব্যাপারে আগ্রহী করতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্পন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। বিষয়টি আমরা যত দ্রুত উপলব্ধি করবো ততই সবার জন্য মঙ্গল।

যতদূর জানি সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যে ফেলোশিপ চালু রয়েছে যার অর্থমূল্য সত্যিই আকর্ষণীয়। বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এই অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য সরকার অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য এবং এর জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদও জানাচ্ছি। কিন্তু আমার কথা হলো, এই ফেলোশিপের অর্ধেক পরিমাণ অর্থও যদি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য দেওয়া হতো,তাহলে আমার বিশ্বাস আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা কার্যক্রম অনেক বেশি বেগবান হতো এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে যেত। আমাদের নীতি নির্ধারকগণ দ্রুতই বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে আশা করি।

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি। যদিও বিষয়টির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ইদানীং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে অনেক ধরনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে যা আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাদের কারও জন্যই সুখপ্রদ নয়। একজন উপাচার্য কী পরিমাণ ক্ষমতা ভোগ করেন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলেই এ ব্যাপারে কমবেশি অবগত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় নিয়োগ,পদোন্নতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদ যথা ডিরেক্টর, হল প্রভোস্ট, চেয়ারম্যান, এডভাইজরস, বিভিন্ন কমিটির সদস্য নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপাচার্য মহোদয়গণের ভূমিকাই মুখ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কারণ তাঁদের হাতেই রিসার্চ সেল এবং ইনস্টিটিউটসমূহের ডিরেক্টর নিয়োগের ক্ষমতা। তাঁরা যদি যোগ্য শিক্ষকদের বিভিন্ন রিসার্চ সেল এবং ইনস্টিটিউটসমূহের দায়িত্ব প্রদান না করে অন্য কাউকে ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম কীভাবে এগুবে?

সত্যি করে বলুন তো, ব্যক্তি উদ্যোগ ব্যাতীত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার যথাযথ পরিকল্পনা এতদিনেও কি আমরা সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে পেরেছি? শুধু মুখে বড় বড় কথা বললেই তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেন্টার অফ এক্সসিলেন্স হবে না। এর জন্য প্রয়োজন ভিশনারি চিন্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালোবাসা ও কর্ম প্রচেষ্টা। কোনও ব্যাপারে কিছু বললেই তাকে ব্যক্তি পর্যায়ে না নিয়ে এবং যিনি বলেছেন তাকে ভিক্টিমাইজ না করে, তিনি কি পরামর্শ দিয়েছেন এবং এর গুরুত্ব কী তা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের অগ্রসর হওয়ার এখনই সময়। এতে করে যিনি পরামর্শ দিয়েছেন তিনিও অনেক উৎসাহিত হবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়েরও অনেক উপকার হবে।

আমাদের শিক্ষকবৃন্দের প্রধান পরিচয় হওয়া উচিত নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, গবেষক এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। এই নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও গবেষকগণকেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালগুলোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করা প্রয়োজন, যা বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশেই হয়ে থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেই সুদিন দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম।

লেখক: অধ্যাপক, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)

 

/এসএএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
টিভিতে আজকের খেলা (২০ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২০ এপ্রিল, ২০২৪)
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ