X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প: শেখ হাসিনার দার্শনিক ভিত্তির অনুসন্ধান

রেজা সেলিম
১০ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৩২আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৩২

রেজা সেলিম গত প্রায় দুই মাস যাবৎ পৃথিবীর নানা প্রান্তের আবাসন ও বসতি ব্যবস্থাদির তথ্য সংগ্রহ করে জানলাম, আমাদের দেশের ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মতো ভূমির মালিকানাসহ গৃহহীনের ঘর দেওয়া এমন সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগের কোনও উদাহরণ আর কোথাও নেই। পরিসরে এর প্রকার অনেক বড়, তবে তার চাইতে এর দার্শনিক ও সামাজিক নৃতত্ত্বের গুরুত্ব অনেক বেশি। ঘরহারাদের ঘর দিয়ে সমাজে বিদ্যমান জীবন প্রণালিকে গুরুত্বপূর্ণ ও একই সঙ্গে বৈষম্যহীন করার এমন উদ্যোগ বুঝবার চেষ্টা যেকোনও সমাজকর্মীর কাছে আকর্ষণীয়।

আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দর্শনের ভিত্তি স্থাপন করেছেন এই মর্মে যে মুজিববর্ষে আমরা এমন এক বাংলাদেশ দেখবো যেখানে এই দেশের কোনও মানুষ ঘরহারা পরিচয় নিয়ে থাকবে না। সবার মাথা গোঁজার  ঠাঁই থাকবে, সে ঠাঁই তার মালিকানায় থাকবে ও সেই মানুষগুলো দেশের আর দশ জন নাগরিকের মতো সব অধিকার ভোগ করবে। এমনকি এই আইডিয়ায় আছে, পরিবারগুলো পরিজন নিয়ে সরকারের নিজের হাতে তৈরি করে দেওয়া একটি দুই কক্ষের সেমিপাকা দালানের ঘর পাবে আর সঙ্গে পাবে যে ভূমির ওপর ওই ঘর তৈরি হলো তার সামনে পেছনে মিলিয়ে দুই শতক জমির মালিকানা।

আমাদের যূথবদ্ধ পরিবারগুলো তথাকথিত শহুরে নাগরিকের জীবন অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ও ভেঙে গেলেও এই দেশের সব মানুষের পরিচয় ও ঠিকানা আছে। নদীভাঙন, জীবিকা অন্বেষণে স্থানান্তর, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক কুচক্রের কৌশলে পরাস্ত হয়ে ঘর-ঠিকানা হারিয়ে এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভাসমান মানুষের পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকলেও সে বিশ্বাস করে একটি ঠিকানা তার ছিল ও সেই ঠিকানাকেই বর্তমান ধরে নিজের পরিচয় দেয়। এ দেশের মানুষ কখনোই ঠিকানাবিহীন থাকতে চায়নি কিন্তু বিধির নিয়মে চরম দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে নানা প্রচেষ্টায় বেরিয়ে আসতে চেয়েও সে একই তিমিরে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ভাগ্যপীড়িত জীবনযাপন করছে। সরকারের তালিকা অনুসারে এরকম ঘরহারা ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা এখন ২,৯৩,৩৬১ কিছুটা কম। শেখ হাসিনা তাদের ঘর ও জমি দেবেন এমন প্রতিজ্ঞা করে দেশের প্রশাসন যন্ত্রকে উদ্বুদ্ধ করলেন তা বাস্তবায়নের নেতৃত্ব নিতে। ভূমি-ক্ষুধার্ত এই দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরকারি জমিগুলো উদ্ধার ও বিন্যস্ত করে, কোথাও কোথাও জমি কিনে ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের অধীনে ঘরগুলো তৈরি হচ্ছে, তদারকি করছেন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি’ যেখানে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিও আছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে নানা সরকারি বিভাগ/মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিকে যুক্ত করে করা হয়েছে ‘কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটি’। দু’টি অবশ্য-অনুসরণীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে- ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য জমি সংস্থান সংক্রান্ত নীতিমালা’ ও ‘মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদান নীতিমালা’। এই প্রক্রিয়ায় নিঃসন্দেহে একটি সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক উদ্যোগের পরিকল্পনা আমাদের চোখে পড়ছে। আমাদের ভালো করে উপলব্ধি করা দরকার, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের ঘর পাবার এই অধিকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কোন দার্শনিক ভিত্তি বিবেচনায় রেখে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণের শুরুতেই উল্লেখ করেছিলেন, “একটি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মুক্ত ও সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকারের জন্য বাঙালি জাতি বহু শতাব্দী ধরে সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে। তারা চেয়েছে বিশ্বের সব জাতির সঙ্গে শান্তি ও সৌহার্দ্যের মধ্যে বসবাস করতে। জাতিসংঘ সনদে যে মহান আদর্শের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের জনগণের আদর্শ এবং এ আদর্শের জন্য তারা চরম ত্যাগ স্বীকার করেছে। এমন এক বিশ্ব-ব্যবস্থা গঠনে বাঙালি জাতি উৎসর্গীকৃত, যে ব্যবস্থায় সব মানুষের শান্তি ও ন্যায়বিচার লাভের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে এবং আমি জানি, আমাদের এই প্রতিজ্ঞা গ্রহণের মধ্যে আমাদের লাখো শহীদের বিদেহী আত্মার স্মৃতি নিহিত রয়েছে”।

বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে আরও যা যা বলেছিলেন সেসবের বিশ্লেষণ করলে আমরা স্পষ্টতই দেখতে পাই, শেখ হাসিনা মূলত সে ভাষণেরই প্রতিপাদ্যকে তাঁর নিজের জীবন ও দেশ পরিচালনার আদর্শে যুক্ত করে নিয়েছেন। ভাষণের এক অংশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘মানবের অসাধ্য সাধন ও দুরূহ বাধা অতিক্রমের অদম্য শক্তির প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থার কথা আবার ঘোষণা করতে চাই।

আমাদের মতো দেশসমূহ, যাদের অভ্যুদয় সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে, এই আদর্শে বিশ্বাসই তাদের বাঁচিয়ে রাখবে। আমাদের কষ্ট স্বীকার করতে হতে পারে, কিন্তু আমাদের ধ্বংস নেই। এই জীবন যুদ্ধের মোকাবিলায় জনগণের প্রতিরোধ ক্ষমতা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাই শেষ কথা। আত্মনির্ভরশীলতাই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগই আমাদের নির্ধারিত কর্মধারা। এতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সম্পদ ও প্রযুক্তিবিদ্যায় অংশীদারিত্ব আমাদের কাজকে সহজতর করতে পারে, জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে পারে। কিন্তু আমাদের ন্যায় উদীয়মান দেশসমূহের অবশ্যই নিজেদের কার্য-ক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু জনগণের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হতে পারি, গড়ে তুলতে পারি উন্নততর ভবিষ্যৎ।’

১৯৭৪ সালে বিশ্বদরবারে দেওয়া এই দিকনির্দেশনার সঠিক অনুসরণ আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস্তব ও সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমে যেসব দেশের জন্ম ‘মানবের অসাধ্য সাধন’ই তো সেসব দেশের আদর্শ। বঙ্গবন্ধু এরকম এই জীবন যুদ্ধের মোকাবিলায় জনগণের প্রতিরোধ ক্ষমতা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাই শেষ কথা মনে করেছেন, যা হলো আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন। তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সম্পদ ও প্রযুক্তিবিদ্যায় অংশীদারিত্ব চেয়েছেন কিন্তু বাংলাদেশের মতো উদীয়মান দেশগুলোর নিজেদের কার্যক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার আদর্শ চেতনার ভিত সেখানেই।

বঙ্গবন্ধু উল্লেখিত ‘স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মুক্ত ও সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকারের জন্য’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছেন। যার ঘরই নেই তাঁর অধিকার নিশ্চিত হবে কেমন করে? এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে শুরু করেন ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনায় দায়িত্ব পাবার পর পরই। আমার সাথে একটি বার্তাবিনিময় কথোপকথনে তিনি লিখেছেন, “১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠন করে ভূমিহীন মানুষের পুনর্বাসন শুরু করি। আশ্রয়ণ প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম, গৃহায়ন, ঘরে ফেরা, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় আট লক্ষ পরিবার পুনর্বাসন করেছি। সেই সাথে জীবন জীবিকার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে। মুজিবের বাংলায় একটি পরিবারও ভূমিহীন থাকবে না। কুষ্ঠ রোগী, বেদে, হিজড়াসহ সব অনগ্রসর মানুষের জন্য ঠিকানা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, জমি ঘর ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছি। বিদ্যুৎ শতভাগ হয়েছে। কোনও ঘর অন্ধকার থাকবে না”। এই স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে ও আমরা বাংলাদেশের নাগরিকগণ এখন এই মর্মে গৌরববোধ করতে পারি যে আমি যে দেশের নাগরিক সেই দেশে কোন ঘরহারা, ঠিকানাহারা পরিবার আর নেই এমনকি আমরা নাগরিকের সুবিধা থেকে আর পেছনেও পড়ে নেই।

আমার বিবেচনায় এই ঘর দেয়া কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রভাব হয়েছে ভাসমান, বেদে বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে যখন নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হলো। গ্রাম সমাজে অংশগ্রহণ না থাকায় জ্ঞাতি সম্পর্ক স্থাপনে এসব নাগরিকের এতদিন বাধা ছিল, সেই বাধাও অপসৃত হয়েছে যখন সে ঘর পেয়েছে। গ্রামীণ জীবন ব্যবস্থায় এর আরও প্রভাব পড়বে যখন এই নাগরিক মর্যাদা পাওয়া পরিবারগুলো তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাতে শুরু করবে। সামাজিক বিবাহবন্ধন, আচার-আচরণ ও সংস্কৃতির চর্চা গ্রাম সমাজের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ও ঘনিষ্ঠ করবে। আমার ধারণা, প্রশাসনিক নেতৃত্ব ও তদারকি থাকায় সমাজের এই দুই অংশকে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রবহমান জীবনযাত্রায় কোনও সাংস্কৃতিক-নৃতাত্ত্বিক দূরত্বের সুযোগও থাকবে না।

‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি মডেল উপস্থাপন করেছেন যা ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষেরা যখন জীবনযাপনের মূল স্রোতে অংশ নেবার সুযোগ পায় তখন দারিদ্র্য বিমোচনে তার নিজেরও একটি অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ‘বহুমুখী গ্রাম সমবায়’ চিন্তা সমাজকে প্রভাবিত করছে। ২০২০ সালে সমবায় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর চিন্তা খুবই সহজ ভাষায় প্রকাশ করেন এভাবে যে “শুধু একা খাবো সেটা না, সবাইকে নিয়ে, সবাইকে দিয়ে খাবো এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করবো, এই চিন্তাটা বেশি প্রয়োজন। আজকে পরীক্ষিত যে বহুমুখী গ্রাম সমবায় আমি যদি গড়ে তুলতে পারি, বাংলাদেশে কোনও দারিদ্র্য থাকবে না। দারিদ্র্য সম্পূর্ণ নির্মূল হবে। সেটা আমরা করতে পারবো। এখানে সমবায়ীদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনারা সেভাবে কাজ করে যাবেন যেন বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি”। বাজারজাত ব্যবস্থাপনা উন্নত করতেও সেদিন তিনি তাঁর ভাবনা তুলে ধরেন,  “উৎপাদন করলে বাজারজাত করাটা হচ্ছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি এটা বাজারজাতের ব্যবস্থা না করি, মার্কেটিং সিস্টেম যদি ডেভেলপ না করি তাহলে একসময় উৎপাদন করলেও বিক্রি করতে পারবো না। তখন সবাই উৎসাহ হারাবে। কাজেই উৎসাহ হারাতে দেওয়া যাবে না। আমি মনে করি, বাজারজাতের ব্যবস্থাটাও আমাদের বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হবে”।

ঘর পাওয়া মানুষগুলো যখন তাঁদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে গ্রামীণ বাজারে প্রবেশ করবে সেখানেও দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অর্থনৈতিক উদাহরণের সৃষ্টি হবে। আমরা ধারণা করি কৃষিপণ্যের বাজারেই তারা অন্তর্ভুক্ত হবেন, উৎপাদন পর্যায়ে যদি সম্মিলিত সমবায়ী উদ্যোগ থাকে তা বাজারে প্রভাব ফেলবে আর এর ফলে যে নতুন মূল্যবোধের সমাজ বিকশিত হবে তাতে ‘সংকীর্ণকরণ বনাম সর্বজনীনকরণের’ বিতর্কের অবসান ঘটবে। গ্রামীণ সমাজ জীবনে গতিশীলতা সৃষ্টির এমন সুযোগ বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে রাখতে সক্ষম হবে, হয়তো শেখ হাসিনার মননের এই দার্শনিক ভাবনাই এখন তাঁর সব উন্নয়ন চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু।

লেখক: পরিচালক, আমাদের গ্রাম।

ই-মেইলঃ [email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ