X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মশার তো জেট ইঞ্জিন নেই!

ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ
০৪ আগস্ট ২০২৩, ১৯:০৭আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০৪

বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাসে এই জুলাই সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ মাস। স্বাভাবিকের তুলনায় আগেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা এবং বছরের এই সময়ে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ। অপর সংক্রামক রোগের মতো আমাদের সংক্রমণের উৎস নির্মূল করে এই চক্র ভেঙে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মূল অপরাধী হলো একটি উড়ন্ত জীব, যা আমাদের চারপাশে বংশবিস্তার করছে, আমাদের খেয়ে বাঁচছে। প্রধান উদ্দেশ্য হলো এই ভেক্টরগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। এটি করার জন্য তিন ধাপের একটি পরিকল্পনা কাজে আসতে পারে। ধরে নিতে পারি, এই পরিকল্পনা দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন হবে।

প্রথমত, মশা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে ভালো করে বুঝতে হবে এডিস অ্যাজিপ্টি মশার প্রকৃতি এবং আবহাওয়ার সঙ্গে এই ভেক্টরগুলোর সময় সংবেদনশীল সম্পর্ক, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্টাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মৌসুমের আধিপত্য বিস্তারকারী ধরন শনাক্ত এবং নতুন উপসর্গ ব্যবস্থাপনার জন্য হালনাগাদ চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রচার করা। এবং শেষ পর্যন্ত, একটি ম্যাপিং ব্যবস্থা চালু করা, যাতে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যায় ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকাগুলোতে।

এডিস অ্যাজিপ্টি ও ভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃতি কী?

ভাইরাসের বিস্তার একটি দুষ্টচক্র যা সম্পূর্ণরূপে স্ত্রী এডিস অ্যাজিপ্টি মশার ওপর নির্ভরশীল। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দেওয়ার সাত দিন পর তা সংক্রমিত হয় এবং এরপর কামড়ের মাধ্যমে সরাসরি এবং ডিমের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ভাইরাসটি সংক্রমণ ছড়ায়। এটি হলো এমন একটি কীট, যা মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি থাকে এবং জীবনকাল দুই সপ্তাহের, বাতাস থেকে সুরক্ষিত ও উৎপাতহীন অন্ধকারে এগুলো বিশ্রাম নেয়। গোড়ালিতে কামড় দেওয়া এই মশা মানবদেহ থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড,  ঘাম এবং তাপের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সূর্যোদয়ের দুই ঘণ্টা পর এবং সূর্যাস্তের দুই ঘণ্টা আগে সাধারণত এই মশা কামড় দেয়। মানব দেহের রক্ত খেয়ে মশাটি ঘরের কৃত্রিম পাত্রের ভেতরে ডিম পাড়ে। দুই সপ্তাহের জীবনকালে একাধিক স্থানে তিন থেকে পাঁচ ধাপে হাজারো ডিম পাড়ে। ডিমগুলো দেখতে নোংরা, আঠালো এবং শুকিয়ে গেলে নয় মাস থেকে বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। লার্ভা পর্যায়ে ডিমগুলো অল্প পানিতে ঢেকে গেলে তা থেকে বাচ্চা জন্ম নেয়। লার্ভা পর্যায়ে অল্প পানিতে ঢেকে গেলে এগুলো ডিম থেকে বের হয় এবং এমনকি লার্ভা কিছু সময়ের জন্য সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক মশা হিসাবে উড়ে যাওয়ার আগে, লার্ভা এবং পিউপা উভয়ই পানিতে বাস করে এবং দৃশ্যমান হয়। হ্যাচিং থেকে উড়ে যাওয়ার এই পুরো চক্রটি মাত্র সাত থেকে দশ দিন সময় নেয়, তবে এটি আদর্শ আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে এবং এটি না হওয়া পর্যন্ত, ভাইরাসটি শক্ত ডিমের মধ্যে প্রবেশ করে। এমনকি এই লার্ভা কিছু সময় নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সঙ্গে কী সম্পর্ক, কেন সারা বছর প্রজনন হয় না এবং কীভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে?

এডিস হলো একটি শহুরে মশা। নিখুঁত পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে এমন ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে এটি জন্মায়। এই মশাকে নিয়ন্ত্রণে যে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে তাতে মনে হতে পারে এডিস মশা দ্রুত উড়তে এবং জেট ইঞ্জিনের মতো অনেক দূর পাড়ি দিতে পারে! অবাক করার মতো বিষয় হলো, অন্য প্রজাতির মশার মতো কয়েক মাইল উড়তে পারে না এডিস। এগুলো কয়েকশ’ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ মিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। যদিও এই ভেক্টর নতুন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে ভ্রমণ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে স্যুটকেস, উড়োজাহাজ ও অপর পরিবহনের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের এলোমেলো নগর পরিকল্পনা এবং অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বৃদ্ধির ফলে এই মশাকে মহামারির বাহক হিসেবে ছড়িয়ে দেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে।

এডিস প্রজননের জন্য আদর্শ বাহ্যিক তাপমাত্রা হলো ৮০ শতাংশ আর্দ্রতায় ২৫-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যখন তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, তখন মশা দ্রুত বিকাশ লাভ করে, মশার মধ্যে ভাইরাস দ্রুত প্রতিলিপি করে এবং ভেক্টরের কামড়ের হার বেশি হয়, যার ফলে দ্রুত রোগ সংক্রমণ হয়। এটি এই বছরের স্বাভাবিকের চেয়ে আগে রোগের বিস্তারকে ব্যাখ্যা করতে পারে। কারণ, একটি রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য নিখুঁত পরিবেশ তৈরির মতো বৃষ্টিপাতসহ এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকাল দেখেছি।

দাপুটে ধরন শনাক্ত ও চিকিৎসা ব্যবস্থা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি স্বতন্ত্র সেরোটাইপ রয়েছে। এই চারটি (ডিইএন-১, ডিইএন-২, ডিইএন-৩ ও ডিইএন-৪)-এর মধ্যে যেকোনও একটি দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হলে ওই নির্দিষ্ট ধরনের বিরুদ্ধে জীবনব্যাপী ইমিউনিটি অর্জিত হয়। অপর সেরোটাইপগুলোর ক্ষেত্রে ৬-১২ মাসের ক্রস-ইমিউনিটি প্রদান করে। পরে যদি ওই ব্যক্তি অন্যান্য সেরোটাইপ দ্বারা সংক্রমিত হন তবে মারাত্মক ডেঙ্গুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে অবশ্যই মৌসুমের দাপুটে ধরন শনাক্ত করতে হবে। কীসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন জানতে চাওয়া ব্যক্তিদের সতর্ক হওয়ার জন্য তা ঘোষণা করা উচিত। প্রতি বছর রোগটির উপসর্গ পাল্টাচ্ছে। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থাও বদলে যাচ্ছে। সমালোচনা এড়াতে এটিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।

ভেক্টর প্রজনন নিয়ন্ত্রণে কোনও কৌশলগত হাতিয়ার কি সহযোগিতা করতে পারে?

স্বাস্থ্য অধিদফতর একটি ডেঙ্গু ড্যাশবোর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করছে। এতে প্রতিদিনের মোট আক্রান্তের হালনাগাদ তথ্য থাকে। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগী ও সারা দেশে ডেঙ্গুতে মৃতদের সংখ্যা জানিয়ে একটি বিস্তারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই একই প্ল্যাটফর্মকে দ্রুত নির্ণায়ক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিয়েল টাইম রিপোর্ট সহকারে আরও ইন্টারেকটিভ করে তোলা সম্ভব। স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতর বা সিটি করপোরেশন একটি হটলাইন বা একটি অ্যাপ কিংবা অন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে। যেখানে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সব সক্রিয় ডেঙ্গু রোগীর তথ্য পাঠাতে বাধ্য থাকবে। এই তথ্য ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা (জিআইএস)-এ অন্তর্ভুক্ত করে রোগপ্রবণ অঞ্চলগুলোর আঞ্চলিক পরিসংখ্যান প্রদর্শন  করা যেতে পারে। যখন এই মানচিত্র রোগের উৎসের নির্দিষ্ট অবস্থান জানাতে পারবে তখন কর্তৃপক্ষ ওই এলাকা পরিদর্শন, পানির আধার সন্ধান ও পরিষ্কার করতে পারবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত ওই এলাকার ৪০০ মিটার ব্যাসার্ধে মশা, ডিম ও লার্ভা ধ্বংস করা যেতে পারে। পাশাপাশি, মশার ডিমের ও প্রজননের পাত্রের ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ ব্যাপকভাবে প্রচার করা যেতে পারে, যাতে সাধারণ নাগরিকরা সক্রিয়ভাবে নিজেদের আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগী হন।

একটি জাতীয় দৈনিক সম্প্রতি আমাদের প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের সফল কৌশলের কথা প্রকাশ করেছে। ১৯৮৫ সালে এই কৌশলের ভিত্তি স্থাপন করা হয় মশাটির প্রকৃতি প্রথমবার চিহ্নিত করার মাধ্যমে। তারা প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। যাতে রয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর, একজন চিকিৎসক, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভেক্টর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা। তাদের প্রধান কৌশল হলো উৎস শনাক্ত ও তা নির্মূল করা। যেসব বাসা ও অফিসে লার্ভা পাওয়া গেছে সেগুলোর ঠিকানাসহ একটি সমৃদ্ধ তথ্য রাখা হয় এবং সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতার যে বিল আসে তা জরিমানা হিসেবে মালিকের আয়করের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। ভেক্টর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের আরও দুটি পর্যায় রয়েছে। যেগুলোতে প্রকল্পটি মনিটর করার জন্য কীটতত্ত্ববিদ, ডাক্তার এবং ভেক্টর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা  রয়েছেন।

বাংলাদেশে শহর এলাকাগুলোতে স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন/পৌরসভায় বিভক্ত। এগুলো আবার ওয়ার্ডে ভাগ করা। নির্বাচিত মেয়ররা সিটি করপোরেশনের প্রধান এবং কাউন্সিলরগণ ওয়ার্ডের নির্বাচিত প্রতিনিধি। গ্রামাঞ্চলে জেলাগুলো উপজেলা ও ইউনিয়নে বিভক্ত। প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে ৯টি ওয়ার্ড। ওয়ার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান হলে চেয়ারম্যান। স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ অনুসারে, জনস্বাস্থ্য, জনকল্যাণ ও গণপূর্তের মতো দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ক্ষমতা রয়েছে মেয়রদের এবং তারা সব কাউন্সিলরের প্রধান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫ জন সাধারণ এবং ২৫ জন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৪ জন সাধারণ এবং ১৮ জন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছেন। আমরা কি এই নির্বাচিত নেতাদের কাজে লাগাতে পারি না, জ্ঞানভিত্তিক ভেক্টর নিয়ন্ত্রণ কৌশল পরিচালনায় পশ্চিমবঙ্গের মতো একই ধরনের কমিটি তৈরি করতে পারি না? এ জন্য প্রয়োজন প্রকৃত নিষ্ঠা, কৌশলী পরিকল্পনা এবং রোগটিকে উৎস থেকে নির্মূল করার লক্ষ্য। এমনকি যদিও জিআইএস হিট ম্যাপিং ব্যয়বহুল বলে মনে করা হয়, তবে কমিটির প্রধানদের সঙ্গে সংযুক্ত হটলাইন নম্বরের মতো একটি সহজ প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে তাদের তথ্য দিতে পারবে।

জনগণের ভূমিকা কী?

সচেতন হোন। শত্রুকে জানুন এবং টিকা আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করুন। ভেক্টর ও রোগ বিস্তার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে আমরা ২৩ বছর সময় পেয়েছি। ফলে একটি মৃত্যুও অনেক বেশি। মশা, ডিম, লার্ভা ও প্রজননক্ষেত্রের ছবিসহ ভিডিও, প্রচারপত্র ও ছবি অবশ্যই ব্যাপকভাবে টিভি, রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রচার করতে হবে। যদি ডেঙ্গু আক্রান্ত নির্দিষ্ট জিপ কোড শনাক্ত করা হয়, তাহলে সেই এলাকায় বসবাসকারী লোকদের অবশ্যই তাদের আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করার জন্য খুদে বার্তার মাধ্যমে সতর্ক করতে হবে। ভেক্টরের স্থানান্তর এড়াতে একটি সতর্ক কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।

গাঁদা, ইউক্যালিপটাস, পুদিনা, লেমনগ্রাস, জাম্বুরা, ল্যাভেন্ডার ও পাইন তেল মশা তাড়ায়। এরমধ্যে কিছু গাছ আমাদের আশপাশে চাষ করতে পারি। মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার, পুরো শরীর ঢেকে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরা এবং মশারির নিচে ঘুমানো কিছুটা সুরক্ষা দেবে।

ডেঙ্গু সংক্রমণ দমন করার জন্য জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীবাণুমুক্ত পুরুষ মশা ব্যবহার করে এবং এডিসের মধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রতিলিপিকে বাধা দেওয়ার জন্য ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারের পরীক্ষামূলক প্রকল্পগুলো এখনও আলোচনার পর্যায়ে, কার্যকর করা হয়নি। অন্তত একটি পাইলট প্রকল্প শুরুর সময় এখন।

চলতি বছরে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৭১৬ আক্রান্ত ও ২৮৩ জনের মৃত্যু নিঃসন্দেহে বড় স্বাস্থ্য বিপর্যয়। শিশুরা ভুগছে বেশি। আমরা কি বিশ্বব্যাপী বিকশিত সফল কৌশলগুলো অধ্যয়ন করতে এবং এই বিপদ প্রশমিত করার জন্য কিছু কঠোর পদক্ষেপযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারি না?

লেখক: অর্গানিকেয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। এমবিবিএস, এমবিএ ও হেলথ কেয়ার লিডারশিপে স্নাতকোত্তর।


/এএ/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
চেয়ারম্যান হলেন ৯ এমপির স্বজন, হেরেছেন দুজন
জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
জোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে রিয়াল
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
চেয়ারম্যান হলেন এমপির ছেলে ও ভাই
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বিজয়ী হলেন যারা
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বিজয়ী হলেন যারা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ