X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তায় শাসিত উৎসব!

আমীন আল রশীদ
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৬আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪০

গত কয়েক বছর ধরে পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার যে ছবিটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় সেটি হলো, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি। শোভাযাত্রার সামনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে থাকে আধুনিক সব অস্ত্র। ফলে এটি কোনও স্বতঃস্ফূর্ত উৎসব নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মহড়া—সেটি ঠিক বোঝা যায় না।

গত বছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয় তা এরকম– সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল পুলিশের সোয়াত টিম, এরপর মোটরসাইকেলে র‍্যাবের একটি দল। তাদের পেছনে ছিল ডিএমপি পুলিশের একটি দল। এরপর ছিলেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা। এছাড়াও ড্রোন উড়িয়ে পুলিশ এবং ডিবির সদস্যরা শোভাযাত্রাস্থল ও আশপাশের জায়গা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখেন। শোভাযাত্রার পেছনেও ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে ছিল তল্লাশিচৌকি। শোভাযাত্রাকে ঘিরে আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই পুরো ক্যাম্পাস এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিকাল ৫টা থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। (ভোরের কাগজ, ১৪ এপ্রিল ২০২৩)।

যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনও জঙ্গি হুমকি নেই। প্রশ্ন হলো, কোনও হুমকি না থাকলে কেন এত নিরাপত্তা? কেন এই সশস্ত্র মহড়া? এই ধরনের সশস্ত্র মহড়া কি সাধারণ মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয় না? মানুষ কি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণে উৎসাহী হয়?

প্রশ্ন হলো, বাঙালির প্রাণের এই উৎসবে কেন এই নিরাপত্তার শাসন? এই উৎসবটিকে ঘিরে কেন এতটা নিরাপত্তার শঙ্কা তৈরি হলো যে অংশগ্রহণকারীর চেয়ে সশস্ত্র পুলিশের সংখ্যা বেশি রাখতে হয়? এরকম নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে চারুকলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের বাইরে আর কারও ইচ্ছা থাকলেও কি এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহ তৈরি হয়? বাঙালির সবচেয়ে বড় এই উৎসবটি কেন এমন এতটি ভীতিকর ব্যাপারে পরিণত হলো? পৃথিবীর আর কোনও দেশের সবচেয়ে বড় এবং জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যে উৎসবটি সর্বজনীন, সেই উৎসবে নিরাপত্তার এমন বাড়াবাড়ি থাকে?

অবশ্য এই যে এত নিরাপত্তার শাসন, তার একটি প্রেক্ষাপট আছে। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। এই দুই মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচারও শেষ হয়েছে।

এই ঘটনার পরে দেশে আরও বেশ কয়েকটি বড় ধরনের জঙ্গি হামলা হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালীন তাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অনেক নেতাকর্মী ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

দেশের উত্তরাঞ্চলে ‘বাংলাভাইয়ের’ নামে জেএমবি এবং আরও একাধিক জঙ্গি তথা উগ্রবাদী সংগঠনের তৎপরতা ছিল। জঙ্গি হামলার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের পয়লা জুলাই রাজধানীর গুলশান হোলি আর্টিসান বেকারিতে।

এসব ঘটনার পরে সরকার জঙ্গিবাদ নির্মূলে যে সাঁড়াশি অভিযান চালায়, তাতে জঙ্গিবাদের ভয় এখন অনেক কম। সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। সরকারের তরফেও বলা হচ্ছে যে জঙ্গিবাদের শেকড় নির্মূল করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রতি বছরই বাংলা বর্ষবরণ এবং থার্টিফার্স্ট নাইট তথা ইংরেজি বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব নির্দেশনা দেয়, তা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয় এবং উৎসবকে একটি ভীতিকর ব্যাপারে পরিণত করে।

যেমন এবারও পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে:

১. ক্যাম্পাসে কোনও ধরনের মুখোশ পরা যাবে না;

২. কোনও ব্যাগ বহন করা যাবে না;

৩. ভুভুজেলা বাজানো ও বিক্রি করা যাবে না;

৪. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে;

৫. নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে, এরপর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে;

৬. নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি ঢুকতে পারবে না;

৭. নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনও যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ;

৮. নববর্ষের দিন রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে ইত্যাদি। (একাত্তর টিভি, ২৫ মার্চ ২০২৪)।

আর এ বছরের বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে এবং যেসব নির্দেশনা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশের যেকোনও স্থানের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করা এবং কোনও ধরনের ফানুস বা আতশবাজি না ফোটানো।

প্রশ্ন হলো, বিকাল ৫টা বা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কেন বর্ষবরণের উৎসব শেষ করতে হবে? বাংলাদেশে কী এমন নিরাপত্তার শঙ্কা তৈরি হলো যে এখানে এক ধরনের সন্ধ্যা আইন জারি করতে হলো?

বাংলা বর্ষবরণ বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব যেখানে ধর্ম, বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়। প্রাণের উৎসব বলা হয় যাকে, সেই উৎসব বিকাল ৫টা বা সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করতে হবে কেন? যদি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বা উগ্রবাদী গোষ্ঠী কোনও ধরনের হামলা চালাতে চায় তারা তো সেটি দিনেও করতে পারে। রমনার বটমূলে বোমা হামলা সন্ধ্যার পরে বা রাতের আঁধারে হয়নি। সুতরাং জঙ্গিবাদের ভয়ে মানুষের উৎসবকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কেন? সংঘাতে লিপ্ত কোনও দেশ ছাড়া পৃথিবীর কোনও শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল দেশে সন্ধ্যার পরে মানুষকে কোনও ধরনের উৎসব করতে নিষেধ করা হয়?

উৎসব মানেই সেখানে প্রাণের সঞ্চার। মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা, আড্ডা, গল্প। ছোট সন্তানের হাত ধরে বাবা মায়ের নির্ভয়ে পথচলা। তারা বেলুন কিনবে। বাঁশি বাজাবে। ফুচকা খাবে। নাগরদোলায় চড়বে। শাহবাগের দোকান থেকে বেলি ফুলের মালা কিনে নারীরা খোঁপায় ঝুলিয়ে উচ্ছ্বসিত মনে ঘুরবে। এই তো উৎসব। কিন্তু এরকম প্রাণের উৎসবের দিনেও চারদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া। নানারকম বিধিনিষেধ। একটা ভয় জাগানিয়া পরিস্থিতি। উৎসব কি এমন হয়?

শুধু পহেলা বৈশাখ নয়। প্রতি বছর থার্টিফার্স্ট নাইট তথা ইংরেজি বর্ষবরণকে সামনে রেখেও পুলিশের তরফে নানারকম নির্দেশনা দেওয়া হয়।

যেমন­–

১. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না;

২. আতশবাজি, পট্কা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না;

৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টা পরে বহিরাগত কোনও ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না;

৪. গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না;

৫. হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কোনও সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না ইত্যাদি।

প্রশ্ন হলো, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান উন্মুক্ত স্থানে করা যাবে না কেন? উৎসব কি মানুষ তার ঘরের ভেতরে বা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে করবে? বর্ষবরণ মানেই তো মানুষ বাইরে বের হবে। পরিবার পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবে। সুতরাং উৎসবে গৃহবন্দি করে রাখার উদ্দেশ্য কী?

দ্বিতীয়ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়। এটি ঢাকাবাসীর একটি দম ফেলারও জায়গা। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় পড়েছেন, তারাও কি বহিরাগত? অথবা যারা পড়েননি তারা যদি পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটির দিনে বা কোনও উৎসবের দিনে এই সুন্দর ক্যাম্পাসে আসতে চান, তাহলে তাদের বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করা হবে কেন?

জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান দেশের নাগরিকদের কী করে ‘বহিরাগত’ বলে চিহ্নিত করে? এটি কোনও সামরিক স্থাপনা বা কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান নয় যে আইডি কার্ড দেখিয়ে এখানে প্রবেশ করতে হবে।

বাস্তবতা হলো, পুলিশের নির্দেশনা মেনে কোথাও আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধ থাকে না। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা শহর তো বটেই, দেশের বড় বড় শহরগুলোর আকাশ রঙিন হয়ে ওঠে। কেননা, নিরাপত্তার শাসন দিয়ে মানুষের উৎসব আটকানো যায় না।

ফানুসের ক্ষেত্রে এই ধরনের নির্দেশনার কিছু বাস্তবতা আছে। কেননা, বাতাস বেশি থাকলে এবং ফানুস ঠিকমতো উড়ে অনেক উঁচুতে না উঠে গিয়ে কোনও দাহ্য বস্তুর ওপর পড়লে অগ্নি দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হয়। এরকম কয়েকটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এজন্য দরকার সচেতনতা বাড়ানো। পুলিশি নির্দেশনা দিয়ে সচেতনতা বাড়ানো যায় না। মানুষ যত শিক্ষিত হবে, অন্যের অধিকার সম্পর্কে মানুষ যত বেশি সংবেদনশীল হবে, ফানুস ওড়ানোর ব্যাপারে মানুষ তত বেশি সতর্ক হবে।

বাস্তবতা হলো, প্রতিটি উৎসব সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যে এসব নির্দেশনা দেয়, তার প্রধান কারণ ভয়। আরও পরিষ্কার করে বললে জঙ্গিবাদের ভয়।

এখন প্রশ্ন হলো, একটা দেশে কেন জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদের জন্ম হয় বা বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে যেসব জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার সঠিক কারণ কি উদ্ঘাটন করা গেছে? বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের যে পশ্চিমা বয়ান, যে ইসলামোফোবিয়া—বাংলাদেশ কি সেই বয়ানকেই ধারণ করে? সেটি অন্য তর্ক এবং অনেক বড় তর্ক।

তবে মোদ্দা কথা, মানুষ উৎসবের দিনে আনন্দ করবেই। সেটি হোক প্রভাতে কিংবা ভরদুপুরে অথবা সন্ধ্যার পরে। কোথাও নিরাপত্তার শঙ্কা রয়েছে কিনা সেই তথ্য গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে থাকবে। কোথাও সংশয় থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে মানুষকে নিরাপত্তা দেবেন—এটিই কাম্য। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি যেন এমন না হয় যেটি মানুষকে নির্ভয় করার বদলে উল্টো তাদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়।

লেখক: সাংবাদিক

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন চালু
খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন চালু
ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার, নদীতে ঝাঁপিয়ে পালালো পাচারকারীরা
ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার, নদীতে ঝাঁপিয়ে পালালো পাচারকারীরা
তীব্র গরমে কাজ করার সময় মাথা ঘুরে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু
তীব্র গরমে কাজ করার সময় মাথা ঘুরে পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ