X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১
গানের শিল্পী, গ্রামোফোন, ক্যাসেট ও অন্যান্য: পর্ব ১৫ (গ)

নজরুল-আব্বাসউদ্দীন: ইসলামি গান সৃষ্টি ও জনপ্রিয়তার নেপথ্য গল্প

শহীদ মাহমুদ জঙ্গী
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৮আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫১

কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম ও পূর্ব দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহীর উত্তরাঞ্চল, বগুড়ার উত্তরাঞ্চল, আসামের ধুবড়ী ও গোয়ালপাড়াকে বলা হয়ে থাকে ভাওয়াইয়া গানের জন্মভূমি। আব্বাসউদ্দীনকে ভাওয়াইয়া গানের রাজপুত্র বলা হয়। তিনি গানের এই ধারাকে জনপ্রিয় করেন নিজ কণ্ঠগুণে এবং  গায়কীর উত্তম কারিশমা দিয়ে। 

আব্বাসউদ্দীন ভাওয়াইয়া গানের বেশকিছু রেকর্ড করেন। তার মধ্যে বিপুলভাবে জনপ্রিয় হয়- ‘কি ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে’, ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই’, ‘তোরষা নদী উথাল-পাতাল কার বা চলে নাও’, ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে’সহ বেশ কিছু গান। 

নদীর গান হাওরের গান বিলের গান খালের গান হচ্ছে ভাটিয়ালি গান। প্রেমের গান বিচ্ছেদের গান হচ্ছে ভাটিয়ালি গান। আব্বাসউদ্দীনের গাওয়া ভাটিয়ালি গানও সবার মন জয় করেছিল। এখনও এই গানের প্রসঙ্গ এলে আব্বাসউদ্দীনকেই প্রথমে স্মরণ করতে হয়।
 
তিনি গেয়েছেন কানাইলাল শীলের সংগ্রহ করা গান, ‘আমার কার জন্য প্রাণ এমন করে’, ‘আল্লা মেঘ দে পানি দে ছায়া দে রে তুই’, ‘মাঝি বায়া যাও রে’। জসিমউদ্দিনের গান ‘আমায় ভাসাইলি রে আমায় ডুবাইলি রে’, ‘ও আমার দরদী আগে জানলে’, ‘নদীর কূল নাই কিনার নাই রে’। গিরীন চক্রবর্তীর লেখা ‘নাও ছাড়িয়া দে পাল উড়াইয়া দে’, নজরুলের ‘কুচবরণ কন্যা রে মেঘবরণ কেশ’, আশুতোষ চৌধুরীর লেখা, ‘ওরে ও পরাণের মাঝি’- এগুলো ছাড়াও আব্বাসউদ্দীনের গাওয়া বেশ কিছু জনপ্রিয় গান আছে। 

আব্বাসউদ্দীন নিঃসন্দেহে আমাদের লোক সংগীতের অন্যতম প্রধান শিল্পী। অসাধারণ গায়কীর সঙ্গে অনন্য ব্যক্তিত্ব তাকে অন্য উচ্চতায় আসীন করেছিল। 

১৯৯০ সালে আব্বাসউদ্দীন স্মরণ সমিতির অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভাষাবিদ ও লোকসংস্কৃতিবিদ ড.পবিত্র সরকার লেখেন, ‘যখন ছেলেবেলায় পূর্ব বাংলার গ্রামোফোনহীন, রেডিওহীন নদীতীরবর্তী গ্রামে ছিলাম, তখন যে গান শুনেছি তা মায়ের মুখে, লাঙল কাঁধে নিয়ে মাঠের দিকে চলতে থাকা চাষিদের মুখে, আর মন্থর ভাটার স্রোতে নৌকার হাল ধরে থাকা বিকেলের ম্লান আলোয় স্নাত মাঝির মুখে। পরে হাজার রেডিও, গ্রামোফোন, ক্যাসেট, ভিডিও, চলচ্চিত্র লক্ষ লক্ষ গান উদগার করেছে বাতাসে, কিন্তু আমার কান থেকে সে সব গানের স্মৃতি মুছে দিতে পারেনি।’ 

আরও লেখেন, ‘‘পরে যখন আব্বাসউদ্দীনের গান শুনলাম, তখন দেখলাম তা আমার শৈশবের গানকেই বাঁচিয়ে রেখেছে। আমার বড়মার মুখে শুনেছিলাম, ‘হাড় কালা করলাম রে দুরন্ত পরবাসী’, কিংবা গ্রামের চাষিদের মুখে যখন শুনেছিলাম, ‘আল্লা মেঘ দে পানি দে’ তখন ভেবেছিলাম এসব গান ওই সময়, স্থান এবং গ্রামীণতা নির্বাসিত থাকবে এবং পরে হারিয়ে যাবে। তখন জানতাম না আমিও সেসব থেকে নির্বাসিত হব, দেশ বিভাগ আমাকে নাগরিকতার ঘূর্ণাবর্তের মধ্যে নিক্ষেপ করবে। সেখানে পৌঁছে কৈশোরে যখন আব্বাসউদ্দীনের গান শুনলাম তখন দেখলাম আমার শৈশবকে তিনি আশ্চর্য মমতায় রক্ষা করেছেন আমারই জন্য। তিনি আমারই জীবনের এক মূল্যবান অংশ হয়ে রয়েছেন।’’ 

ড.পবিত্র সরকারের প্রশ্ন, ‘তাঁর স্মৃতি কি আয়োজন করে রক্ষা করতে হবে?  তিনি আমাদের জন্মক্ষেত্রের মাটি, তিনি আমাদের বাংলার মুখ।’

কাজী নজরুল ইসলাম ও আব্বাসউদ্দীন আহমদ আব্বাসউদ্দীন সুদর্শন ছিলেন। নিজের অভিনয় করার ইচ্ছা ছিল। বন্ধুদের উৎসাহে একদিন হাওড়ার জয় নারায়ণ বাবুকে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতিষ বাঁড়ুয্যের সঙ্গে দেখা করলেন। জ্যোতিষ বাবু আব্বাসউদ্দীনের গান শুনলেন এবং পছন্দ করলেন। তিনি আব্বাসউদ্দীনকে বললেন ‘বিষ্ণুমায়া’ নামে একটি সবাক সিনেমা অচিরেই করবেন। এবং সেখানে আব্বাসউদ্দীনকে গানের পার্ট দেবেন। জ্যোতিষ বাবু তাকে দুটি গান আর কিছু সামান্য পার্ট লেখা একখানা কাগজ দিয়ে বলেছিলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে সুরটুর করে আসবেন।’

আব্বাসউদ্দীন তাই করলেন। ছবিতে গাইলেন, অভিনয়ও করলেন। পারিশ্রমিকের কথা বললে জ্যোতিষ বাবু কাজ করার সুযোগ দেওয়াকেই বড় প্রাপ্তি হিসাবে বিবেচনা করে, পরের ছবিতে পারিশ্রমিক দেওয়ার আশ্বাস দিলেন। তবে এরপর তিনি আব্বাসউদ্দীনকে আর ডাকেননি। 

ধীরে ধীরে আব্বাসউদ্দীনের সাথে নজরুলের আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ততদিনে তিনি নজরুলের ‘গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কৈ’, ‘বেণুকার বনে কাঁদে বাতাস বিধুর’, ‘অনেক ছিল বলার যদি দু’দিন আগে আসতে’ ইত্যাদি গান রেকর্ড করে ফেলেছেন।

সেই সময় উর্দু কাওয়ালির বেশ চাহিদা ছিল। পিয়ারু কাওয়াল, কাল্লু কাওয়ালের গান খুব ভালো বিক্রি হতো। এক সময় আব্বাসউদ্দীনের ইচ্ছা হলো অনেকটা কাউয়ালি ধরণের বাংলায় ইসলামি গান রেকর্ড করার এবং ইচ্ছার কথা তিনি নজরুলকে জানালেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নজরুলকে বললেন, ‘আপনি তো জানেন কিভাবে কাফের কুফর ইত্যাদি বলে বাংলায় মুসলমান সমাজের কাছে আপনাকে অপাংক্তেয় করে রাখবার জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছে একদল ধর্মান্ধ! আপনি যদি ইসলামী গান লেখেন তাহলে মুসলমানের ঘরে ঘরে আবার উঠবে আপনার জয়গান।’
 
কথাটা নজরুলের পছন্দ হলো। তিনি গ্রামোফোন কোম্পানির কর্মকর্তা ভগবতী বাবুর সাথে আলাপ করার জন্য আব্বাসউদ্দীনকে পরামর্শ দিলেন। আব্বাসউদ্দীন ভগবতী বাবুর সাথে আলাপ করলেন। তিনি এই ধরনের গানের কোনও ভবিষ্যৎ দেখলেন না এবং সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন। 

এর ছয়মাস পরের ঘটনা।
 
গ্রামোফোন কোম্পানির অফিস। বাইরে বৃষ্টি। একটা ঘরে  ভগবতী জমিয়ে গল্প করছেন। এমন সময় আব্বাসউদ্দীন এলেন।নমস্কার দিতেই ভগবতী খুশিমনে বসতে বললেন। আব্বাসউদ্দীন দেখলেন বাবু ভালোই মুডে আছেন। ভাবলেন এটাই উত্তম সুযোগ। বিনয়ের সঙ্গে বললেন, ‘যদি কিছু মনে না করেন তাহলে বলি। সেই যে বলেছিলাম ইসলামী গান দেবার কথা। আচ্ছা, একটা এক্সপেরিমেন্টই করুন না, যদি বিক্রি না হয় আর নেবেন না, ক্ষতি কি?’ 

ভগবতী হেসে বললেন, ‘নেহাতই নাছোড়বান্দা আপনি, আচ্ছা আচ্ছা করা যাবে।’

পাশে অন্য একটি ঘরে তখন নজরুল ইন্দুবালাকে গান শেখাচ্ছিলেন। আব্বাসউদ্দীন নজরুলের কাছে গেলেন এবং জানালেন যে, ভগবতীবাবু রাজি হয়েছেন। 

নজরুল বলে উঠলেন, ‘ইন্দু তুমি বাড়ি যাও আব্বাসের সাথে কাজ আছে।’ ইন্দুবালা চলে গেলেন।
 
এরপর দরজা বন্ধ করে আধঘণ্টার ভেতরেই নজরুল লিখে ফেললেন, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’

তখনই সুর সংযোগ করে আব্বাসউদ্দীনকে শিখিয়ে দিলেন। পরের দিন ঠিক একই সময়ে আসতে বললেন। পরের দিন লিখলেন, 
‘ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর।’

গান দুটো লেখার ঠিক চারদিন পর রেকর্ড করা হলো। তখনকার দিনে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার হতো শুধু হারমোনিয়াম আর তবলা। 

গান দু’টি তখন পর্যন্ত আব্বাসউদ্দীনের মুখস্থ হয়নি। নজরুল হারমোনিয়ামের ওপর আব্বাসউদ্দীনের চোখ বরাবর নিজের লেখা গানের কাগজ মেলে ধরলেন। আব্বাসউদ্দীন তাই দেখে গাইলেন। তৈরি হলো প্রথম ইসলামি গানের রেকর্ড। দু’মাস পর ঈদুল ফেতর। আব্বাসউদ্দীন জানতে পারলেন ঈদে গান দু’খানা প্রকাশিত হবে। 

যথাসময়ে গান বাজারে এলো। সন তারিখের হিসাবে ১৯৩২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়। রেকর্ড নম্বর এন ৪১১১।
 
ঈদে ছুটিতে আব্বাসউদ্দীন বাড়ি চলে এলেন। ফিরে এসে ট্রামে-মাঠে ময়দানে এই গান মানুষের কণ্ঠে শুনতে পেলেন। চারিদিকে ভালো খবর পেয়ে তিনি নজরুলের সাথে দেখা করে কদমবুসি করলেন। এরপর ইসলামি গানের এই ধারা অব্যাহত ভাবে চলতে থাকলো। অল্পদিনের মধ্যেই নজরুলের লেখা আরও কিছু ইসলামি গান রেকর্ড করলেন। গানগুলোর মধ্যে ছিল, ‘আল্লাহ আমার প্রভু আমার নাহি নাহি ভয়’, ‘নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম মোহাম্মদ বোল’, ‘আল্লা নামের বীজ বুনেছি’, ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়’ প্রভৃতি।

ইসলামি গানের বিপুল চাহিদা তৈরি হলো। প্রায় প্রতিমাসেই তখন আব্বাসউদ্দীনের ইসলামি গান প্রকাশ হচ্ছে। প্রতিমাসে একজন শিল্পীর গান প্রকাশিত হলে, গান একঘেয়ে হয়ে যাবে। আব্বাসউদ্দীন নিজেই দুই-একজন মুসলিম শিল্পী এনে গান রেকর্ড করালেন। ইসলামি গানে গ্রামোফোন কোম্পানিকে তখন প্রচুর পয়সা দিচ্ছে। তাই মুসলিম শিল্পীর স্বল্পতায় ধীরেন দাস সাজলেন গণি মিয়া, চিত্ত রায় হয়ে গেলেন দেলোয়ার হোসেন, গিরীণ চক্রবর্তী হলেন সোনা মিয়া, এছাড়া আশ্চর্যময়ী হরিমতীও মুসলিম নাম নিয়ে ইসলামি গান গাইলেন। যেমন একসময় মুন্সি মোহাম্মদ কাসেম সনাতন ধর্মের ভক্তিগীতি গাইতে গিয়ে হয়ে গিয়েছিলেন প্রখ্যাত গায়ক কে মল্লিক। 

নজরুলের গানই আব্বাসউদ্দীনকে সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি দেয়। আব্বাসউদ্দীন তা বলতেন, কৃতজ্ঞতার সঙ্গেই বলতেন। 
আব্বাসউদ্দীন পুত্র মুস্তাফা জামান আব্বাসী লিখেছেন, ‘পিতা বলেছেন আমাকে, জানো বাবা, আব্বাসউদ্দীনের নাম কেউ জানতে পারত না, যদি নজরুল কাছে টেনে না নিতেন। আমার শরীরের প্রতিটি রোমকূপ তাঁর কাছে ঋণী।’  

ইসলামি গান শুরুর দু’বছরের মধ্যেই আব্বাসউদ্দীনের সবদিক গোছানো হয়ে গেল। তিনি সরকারের কৃষি বিভাগে একটি স্থায়ী চাকরি পেলেন। অফিসের বস যদুনাথ সরকার। আব্বাসউদ্দীনের পরিচয় পেয়ে হেড এসিস্টেন্ট ধর্মদাস বাবুকে ডেকে বললেন, ‘দেখুন, এঁকে কোনও জটিল কাজ দেবেন না। অফিসে এসে নাম দস্তখত করে যেখানে খুশি সেখানে যাবেন, বিশেষ করে দুপুরে যদি রেকর্ড করবার জন্য রিহার্সালে যেতে চান কক্ষনো বাধা দেবেন না। আমার বিভাগে এমন লোক পেয়েছি এতো আমাদের সৌভাগ্য।’ আব্বাসউদ্দীন এই দু’জনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তার মতে বাঁধাধরা নিয়মে চাকরি করতে হলে, নির্বিবাদে সংগীত সাধনা করতে পারতেন না। 

এবার আব্বাসউদ্দীন বিয়ের ব্যাপারে তার সম্মতির কথা বাবাকে জানালেন। অল্পদিনের মধ্যে বিয়ের আয়োজন হলো, কনের নাম লৎফুন।

আব্বাসউদ্দীন  বাসায় কয়েকটি গান প্রায় গুনগুন করে গাইতেন। গানগুলো  সম্পর্কে মুস্তাফা জামান আব্বাসী জানিয়েছেন। 
গানগুলো হলো- রজনীকান্তের লেখা ‘আমায় সকল রকমে কাঙাল করেছে গর্ব করিতে চূর’, প্রণব রায়ের লেখা- ‘হে চির সুদূর, তোমার বিরহ আমারে করেছে কবি’, অতুলপ্রসাদের গান- ‘কেন রে তুই যেথা সেথা’, ভিন্ন ভাষায়- ‘ম্যাই কেয়া কহু কে ইশকে মুহাম্মদ নে ক্যায়া কিয়া’, প্রণব রায়ের কথায়- ‘মোছে কি গো পরিচয়’ প্রভৃতি।

২৭ অক্টোবর ১৯০১ সালে আব্বাসউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন। ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। 


লেখক: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও গীতিকবি 

তথ্য সহায়তা:
‘আমার শিল্পী জীবনের কথা’ আব্বাসউদ্দীন আহমদ 
‘Nazrul Islam and Abbasuddin - a pioneering duo’
Down memory lane with Ferdousi Rahman
by Syeda Shamin Mortada.
‘আব্বাসউদ্দীন মানুষ ও শিল্পী’ মুস্তাফা জামান আব্বাসী
‘বাঙালির কলের গান’ আবুল আহসান চৌধুরী

আরও:

পর্ব ১: অ্যাঞ্জেলিনা ইয়ার্ড থেকে সুপার স্টার গওহর জান হয়ে ওঠার ইতিহাস

পর্ব ২: শিল্পীদের আয়ের বিজ্ঞানসম্মত পথ খুলে দেয় গ্রামোফোন

পর্ব ৩: গান-বাণিজ্যে গওহর জান নায়িকা হলে, লালচাঁদ বড়াল নায়ক

পর্ব ৪: ‘সেকালের কলকাতার লোকেরা ছিলেন সংগীত-ছুট’

পর্ব ৫: রেকর্ডিং কোম্পানিগুলোর কাছে যোগ্য সম্মানি পাননি কে. মল্লিক

পর্ব ৬: অমলা দাশের কারণেই অনেক প্রতিভাবান শিল্পী এসেছিলেন

পর্ব ৭: প্রথম রেকর্ড হাতে পেয়ে ইন্দুবালা নিজেই ভেঙে ফেলেন!

পর্ব ৮: টাইটানিক থেকে ঢাকা, রেডিওর গপ্পো

পর্ব ৯: দৃষ্টি হারিয়েও সেই যুগের শ্রেষ্ঠ গায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে

পর্ব ১০: আঙ্গুরবালা দেবীর গান গাইতে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শিল্পী ভয় পেতেন

পর্ব ১১: ভারতে গীতিকার হিসেবে প্রথম সম্মানী পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ 

পর্ব ১২: সাহানাকে রবীন্দ্রনাথ: আমি যদি সম্রাট হতুম, তোমাকে বন্দিনী করতুম

পর্ব ১৩: রবীন্দ্রনাথের পরে দিলীপকুমারের ওপরেই দাবি ছিল সর্বাধিক

পর্ব ১৪ (ক): পংকজ মল্লিক: বাড়ি বাড়ি টিউশনি থেকে বেতার-সিনেমা ও রেকর্ডিংয়ে অবদান

পর্ব ১৪ (খ): পংকজ-রাইচাঁদ জুটি: বাংলা ও হিন্দি সিনেমায় প্লে-ব্যাক শুরুর ইতিহাস

পর্ব ১৪ (গ): পংকজের কণ্ঠ-সুর: কবিগুরু থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত

 
/এমএম/
সম্পর্কিত
‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্তিতে সংগীত ঐক্যর পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা
‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্তিতে সংগীত ঐক্যর পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা
৫০-এ সোলস: ব্যান্ডের লোগো নির্বাচন ও গান লিখতে পারবেন আপনিও
৫০-এ সোলস: ব্যান্ডের লোগো নির্বাচন ও গান লিখতে পারবেন আপনিও
রবীন্দ্রনাথের সকল গানের ভাণ্ডারি দিনেন্দ্রনাথ
গানের শিল্পী, গ্রামোফোন, ক্যাসেট ও অন্যান্য: পর্ব ১৬রবীন্দ্রনাথের সকল গানের ভাণ্ডারি দিনেন্দ্রনাথ
আব্বাসউদ্দীন: রবীন্দ্র-নজরুল গেয়েও লোকসংগীতে তুলনাহীন
গানের শিল্পী, গ্রামোফোন, ক্যাসেট ও অন্যান্য: পর্ব ১৫ (খ)আব্বাসউদ্দীন: রবীন্দ্র-নজরুল গেয়েও লোকসংগীতে তুলনাহীন
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
অবশেষে মুক্তির বার্তা
অবশেষে মুক্তির বার্তা
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!