টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তার এই শপথ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। তবে এই অনুষ্ঠান পিছিয়ে রবিবার নেওয়া হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরও পিছিয়েছে। ভারতের নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবারের পরিবর্তে শনিবার দিল্লি যাবেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শনিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে বলে আমাদের জানানো হয় এবং আমাদের প্রস্তুতি ছিল শুক্রবার যাওয়ার। পরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পিছিয়ে রবিবার করা হলে প্রধানমন্ত্রীর সফরও একদিন পিছিয়ে যায়।
শপথগ্রহণের পরে ভারতের নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি স্বাভাবিক কূটনৈতিক শিষ্টাচার। ভারতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করছে বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। রেকর্ড গড়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতার মসনদে বসতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার (৭ জুন) ভারতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে সাত দফায় ভারতের ১৮তম সাধারণ নির্বাচন শেষ হয় ১ জুন। মঙ্গলবার (৪ জুন) ঘোষিত ফলাফলে বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ২৯৩টি আসন জিতেছে, যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসনের চেয়ে ২০টিরও বেশি। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে মোট ২০২টি আসন।
টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাওয়া নরেন্দ্র মোদিকে এরইমধ্যে ব্যক্তিগত ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনা তার এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আপনার (নরেন্দ্র মোদি) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণে এনডিএ’র এই বিজয় সম্ভব হয়েছে। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভারত ও তার জনগণ বিশ্ব অঙ্গনে আরও এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার সুপ্রতিবেশী, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।