রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস।
গ্রিন কটেজ নামের সাততলা ভবনটিতে ছিল অধিকাংশই খাবার দোকান। এছাড়া কিছু মোবাইলের দোকান এবং পোশাকের দোকানও ছিল। দ্বিতীয় তলায় ছিল কাচ্চি ভাই নামের খাবারের দোকান। পোশাক ব্র্যান্ড ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউড ছাড়াও পিৎজা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাস’সহ আরও কয়েকটি রেস্টুরেন্টও ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আশপাশের দোকানকর্মীরা জানান, খাবার দোকান থাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরই ভিড় হতো ভবনটিতে। গতকাল অধিবর্ষ উপলক্ষে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয় কাচ্চি ভাই। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন থাকায় ভিড় ছিল সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি।
স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ খান বলেন, ‘ভবনটিতে বেশিরভাগই খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে মানুষ পরিবার, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে খেতে আসে। গতকাল কাচ্চি ভাইতে ৫০ শতাংশ ছাড় ছিল, এ কারণে ভিড় আরও বেশি ছিল। আমি এশার আগে এ পাশ দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম, তখনই দেখেছি অনেক মানুষ আসছে।’
পার্শ্ববর্তী ভবনের নিরাপত্তাকর্মী শরিফ বলেন, ‘প্রতিদিনই ভিড় হয়। সবাই খাওয়া দাওয়া করতে আসে। কাল ভিড় বেশি ছিল। ১০টার দিকে দেখি ভবনের সামনে লোক ভিড় করছে। গিয়ে দেখি নিচতলায় একটা দোকানে আগুন ধরেছে। এরপর তো পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে গেলো।’
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।