সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণ মামলার ১০ আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্য অনুসন্ধানে আদালতে আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার (৩ জুন) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান এই আবেদন করেন।
আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানকে আসামিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেন।
মামলার ১০ আসামি হলেন—শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমান উল্লাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, সেলেষ্টি রহমান ওরফে শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া ও জামাল হোসেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মামলার ভিকটিম ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা ভিকটিমকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের মৃতদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয়। হাড়গুলো গারবেজ-পলিতে ভরে ট্রলিব্যাগে করে আশপাশের খালে ফেলে দেয়। আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা পরিকল্পনা করে, মামলার ভিকটিমকে কীভাবে অপহরণ করবে ও টাকা-পয়সা আদায় করবে এবং টাকা-পয়সা নেওয়ার পর কীভাবে হত্যা তথা লাশ গুম করবে তার লোমহর্ষক বর্ণনা গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ তথা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এখন পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলমান আছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নাম্বারের বিপরীতে কোনও ব্যাংকে কয়টা হিসাব (অ্যাকাউন্ট) আছে তার তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ প্রদান করা প্রয়োজন।