বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এবার বিশেষ তদন্ত কমিটি (সিট) গঠন করলো পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। শুক্রবার (৩১ মে) এই সিট গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। এদিকে, সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার দেহাংশ বাংলাদেশের এমপির কিনা তা জানতে ডিএনএ টেস্ট করবে সিআইডি। নিহত আজীমের মেয়ের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে নমুনা। ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি তাতে একজন আইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া রয়েছেন তিনজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা। সঙ্গে থাকবেন আরও ১০ থেকে ১২ জন অফিসার।
ইতোমধ্যে খুনের মাস্টারমাইন্ডের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিস। রেড কর্নার নোটিস জারির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জুবের ওরফে জিহাদকে। খুনের তদন্তে উঠে এসেছে হানিট্র্যাপের প্রসঙ্গও। জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে শিলাস্তি রহমান নামের নারীও রয়েছে।
এদিকে, সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে পাওয়া দেহাংশ পরীক্ষার জন্য করতে ঢাকা থেকে দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে ডিএনএ টেস্টের নমুনা দিতে কলকাতায় আসবেন নিহত এমপির মেয়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার হওয়া দেহাংশের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেতে চাইছে সিআইডি। পাশাপাশি সিয়ান নামে আরেক অভিযুক্তকে হাতের নাগালে পাওয়ার চেষ্টা করছে সিআইডি। সন্দেহ করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ হয়ে নেপালে পালিয়ে গেছে সিয়ান। বাংলাদেশ সরকারের তরফে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে নেপাল পুলিশের সঙ্গে।
এদিকে, যে রাস্তা দিয়ে এসে কেষ্টপুর খালসহ বিভিন্ন জায়গায় এমপি আজীমের পোশাক ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে, সেই রুটের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ সংগ্রহ করেছে সিআইডি।